Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার কে এই তরুণ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০৩জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বের সর্বোচ্চ অর্থ প্রদানকারী খেলাগুলির মধ্যে একটি ফুটবল এবং এই ফুটবল খেলেই অনেকে কোটিপতি হয়েছেন। কেউ কেউ তো বিশ্বের শীর্ষ আয় করা ক্রীড়াবিদও হয়েছেন। এদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, ডেভিড বেকহ্যাম ও ওয়েন রুনিরা। তবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার কে, এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকে চমকে জেতে হবে। কেননা ওপরের তালিকার কেউই সবচেয়ে ধনী ফুটবলারের তকমা পাননি!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলারের নাম ফাইক বলকিয়াহ! তরুণ এই ফুটবলারের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি ব্রুনাই রাজকীয় পরিবারের সদস্য। দেশটির জাতীয় দলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। বর্তমানে থাইল্যান্ডের দল চোনবুরি এফসির হয়ে খেলছেন ফাইক।

ফাইক বলকিয়াহর ১৯৮৮ সালের ৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে জন্ম হয়। কৈশরে তিনি চেলসি যুব দল ও অনূর্ধ্ব-১৮, লেস্টারের অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-২৩, সাউদাম্পটন এসিএ, নিউবুরি ইয়ুথ, মারতিমো বি ও মারতিমোর হয়ে খেলেছেন।

বলকিয়াহর ট্রান্সফার মূল্য অবশ্য খুবই কম (২১৫৬৫০ মার্কিন ডলার)। তবে রাজকীয় পরিবারের কারণেই তিনি মূলত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার।

২৫ বছর বয়সী বলকিয়াহ ব্রুনাইর প্রিন্স জেফরি বলকিয়াহর সন্তান। এই জেফরি আবার ব্রুনাইয়ের বর্তমান সুলতান হাসানাল বলকিয়াহর ভাতিজা। ফাইক বলকিয়া ব্রুনাই ও যুক্তরাষ্ট্র দুজায়গারই নাগরিক। তিনি গ্রেট ব্রিটেনের ব্র্যাডফিল্ড কলেজ থেকে লেখাপড়া করেছেন।

কিশোর বয়সে ফাইক সাউদাম্পটন, চেলসি ও লেস্টার সিটির অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেছেন। তবে তিনি প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবগুলোর মূল দলের হয়ে খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে ২০২০ সালে পর্তুগালের ক্লাব মারিতিমোতে যোগ দেন।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




প্রানীসম্পদ সেবাসপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)  প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে ফাইভ স্টার মাঠে আয়োজিত প্রদর্শণীতে প্রাণি সম্পদ ও প্রাণীজ উপকরণ প্রদর্শন করা হয়।

বৃহস্পতিবার(১৮এপ্রিল) সকাল সারে ১১ টায় দিনব্যাপি ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নীলফামারীর -৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নুর- ই আলম সিদ্দিকির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,সহকারি কমিশনা( ভুমি) মোঃ আমিনুল ইসলাম,  সৈয়দপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, সানজিদা বেগম লাকী ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।

প্রধান অতিথি এমপি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম বলেন, সরকার প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সারাদেশে স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মাংস বিক্রির জন্য আধুনিক মাংস বিক্রয় কেন্দ্র ও স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী কসাইখানা নির্মাণ হচ্ছে। এতে করে আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

প্রদর্শনীর ৫০টি স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্যণীয়। তবে ২৬টি ষ্টলই ফাঁকা দেখা যায়। শহর ব্যাপি প্রচার প্রচারনা না থাকায় অনেক খামারিই জানতেন না দিন ব্যাপি খামার প্রদর্শনের কথা। উপস্থিত খামারির মধ্যে আফতাব ডেইরি ফার্মে ১৫০০ কেজি ওজনের একটি বিশাল আকৃতির গরু প্রদর্শন করা হয়। একই সাথে তিনি প্রদর্শন করেন প্রায় ১০০ কেজি ওজনের একটি খাসি। পাশাপাশি লোকমান খামারি তার ষ্টোলে ২৪ মন ওজনের ২ টি মহিষ প্রদর্শন করেন। সন্তোস নামের এক খামারি উপজেলার বোতলাগাড়ি ৩ নং ওয়ার্ড থেকে এক গরুর জমজ ২ বাচ্চা নিয়ে ওই মেলায় প্রদর্শন করেন। 

খামারি আফতাব উদ্দিন বলেন, শ্যামল কুমার সাহেব শুধু মাত্র পদপদবিতেই প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা। তিনি খামারিদের কোনদিনই খোজখবর রাখেন নাই। তিনি খামারিদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখলে প্রানী পালন করে প্রতিটি খামারিই লাভবান হতো। তার অবহেলার কারনেই অনেক খামারি লোকসানের কবলে পড়েন বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

এবিষয়ে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার রায় বলেন, খামারিদের অভিযোগ সত্য নয়। সময় ও সুযোগ পেলে প্রায় প্রতিদিনই খামারিদের খামার তদন্ত করা হয়। 


আরও খবর



নিটারিয়ানদের ভাবনায় ঈদ-আনন্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন পালন করবেন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। তবে ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ক্লান্তিময় জীবনের শেষে সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে ঈদ পালনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসায় পৌছে গেছে । ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে  নিটার শিক্ষার্থীদের কেমন সময় কাটছে, কেমন উপভোগ করছেন ঈদের আমেজ তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                                                    ‘‘অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রেমে মগ্ন হয়ে ঈদের উৎসবে”
আমার ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এবং কাঁচা আমের সুগন্ধে। আম্মু দেখি এখনো বিভিন্ন রকম খাবার  তৈরিতে ব্যস্ত । আমার ছোট ভাই-বোনেরা এসে বলতে লাগল, “ভাইয়া, আজকে কিন্তু আপনাকেও সালামি দিতে হবে।” বললাম, “আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আগে গোসলটা করে আসি।” আমার নানুর বাড়ি আমাদের বাড়ির মোটামুটি পাশেই। গোসল করার পর কাপড়-চোপড় নিয়ে নানুর বাড়ি গিয়ে মামাদের ডাক দিলাম। বললাম, “চলেন, নদীতে গোসল করতে যাই।” সবাইকে নিয়ে মাতামুহুরি নদীতে একসাথে গোসল করলাম। অনেক মজা করলাম। আমার নানুর বাড়ি যেহেতু কাছে, তাই ঈদ মানে আমার দ্বিগুণ উৎসব দ্বিগুণ আনন্দ। গোসল করে বাসায় গিয়ে তৈরি হয়ে সবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে রওনা দিলাম । ঈদের নামাজ পড়ে সবার সাথে কোলাকুলি করলাম। ধনী-গরিব সবাই একসাথে নামাজ পড়ছে, কুশলবিনিময় করছে এরচেয়ে আর সুন্দর মুহূর্ত কি হতে পারে! পুরাতন বন্ধুদের সাথেও দেখা হয়ে গেল।  নামাজ পড়ে বের হতেই চারিদিকে শুধু  সুঘ্রাণ পাচ্ছি। তর সইছে না। বাড়ি গিয়ে  অবস্হা কাহিল, সালামি নেওয়ার জন্য সবাই ঘেরাও করছে ওদের সালামী দিতে গিয়ে আমার পকেট ফাঁকা।  এরপর  প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে যে  ভোজন শুরু করলাম, শেষ কিন্তু আর হয় না। এমন ভোজন করলাম যে, পেট ফেটে যাবে এমন অবস্হা, তবু ইচ্ছা করতেছে আরও খাই। কেন খাব না বলেন! খাবারে যদি থাকে পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, সেমাই ও বিভিন্ন রকমের পিঠা ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভোজনের সাথে কিন্তু আমিও সালামি নিতে ভুলিনি। এরপর বছরের সব জমানো কথা নিয়ে বিকালে স্কুলের মাঠে পুরাতন বন্ধুরা আড্ডা  দিতে বসলাম। এইভাবে অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং ঘুরে বেড়িয়ে আমার ঈদ কাটালাম।
কবির মোহাম্মদ গালিব তাসপি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                          ‘‘ছোটবেলার সেই চাঁদরাত আর আজকের চাঁদরাত”
ছোটবেলায় বিশ রোজার পর অপেক্ষায় থাকতাম কবে ২৯ রোজা আসবে, চাঁদ উঠবে। দোয়া করতাম যেন, কোন মতেই ঈদ ৩০ রোজায় না হয়। কারণ ২৯ রোজায় চাঁদ ওঠা একটা অনিশ্চয়তার ব্যাপার, আর তাই মজার। ইফতার করতে পারতাম না সেদিন, পানি আর দুই একটা জিনিস মুখে দিয়েই দৌড়। পিছন পিছন আম্মা হয়তো বলত, এই দাঁড়া, দাঁড়া। কে শোনে কার কথা? আমরা থাকতাম কলোনীতে, চাঁদ দেখতাম বড় মাঠে গিয়ে। আমরা এখন আর কলোনীতে থাকি না, সেই মাঠ এখনো আছে, কিন্ত আমরা ঢাকাবাসীরা কতদিন চাঁদ দেখি না। এখন চাঁদ দেখা যায় চুয়াডাংগা, পঞ্চগড় এ।আর দেখা যাবেই বা কেম নে ঢাকাতে এখন আকাশ দেখা যায় নাকি? চাঁদ উঠলে আমরা বাজি ফুটাতাম, তারাবাতি জালাতাম। আরেকটু বড় হলে ভাইরা ডেক সেটে গান ছাড়ত, মসজিদে মসজিদে আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, অসাধারাণ সেই সুর, কিছুক্ষন পর পর হুজুরের জানিয়ে দেয়া ঈদের জামাতের সময়। বাসা বাসা থেকে আসত রান্নার গন্ধ। সব মিলিয়ে আনন্দটা ছিল অনেক বেশি। এখন আর ছোট নেই, আমি বড় হয়েছি। এখন অনেক দায়িত্ব। তবুও মাঝে মাঝে খুব ছোট হতে ইচ্ছা করে আবারো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখনো ঈদে অনেক আনন্দ আছে, অন্যরকম এবং দায়িত্বের। ছোট বেলার সেই বল্গাহীন আনন্দটা নেই। তবে সেজন্য আমি দুঃখিত নই এতটুকুও, মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই এই আর কি! সবাইকে ঈদ মোবারক।
মোঃ আরাফাত হোসেন রাফি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                        ‘‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে পরিবার”
ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে সীমাহীন আনন্দ ও ভালোবাসা। ব্যস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবনে ঈদ নিয়ে আসে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বয়স ভেদে মানুষের কাছে ঈদের সংজ্ঞা বা ঈদের আনন্দের রঙ একটু আলাদা। কেউ সকালে শত আশা-প্রত্যাশা নিয়ে জেগে উঠে ঈদের দিন ভোরে সকলের দোয়া নেওয়ার আশায়, কেউবা শত ত্যাগ এর মাধ্যমে হাসি ফুটিয়ে দেয় পরিবারের ছোটোবড় সকলের মাঝে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়াই ঈদের সার্থকতা। আবার, সকল ছেলেদের কাছে ঈদ স্বপ্নের চেয়ে কোন অংশে কম নয়! কারণ, এই দিনে সে নিজের বাবার সাথে কোলাকুলি এবং সালাম করার মাধ্যমে জীবনের সকল হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে জীবন, যেমন করে ঈদের দিন ভোরে একটু একটু করে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হয় নতুন একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনের আশায়। আবার, শেষ রোজার সন্ধ্যায় সূর্য পশ্চিমে লুকিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে দেখা যায় ছোট্ট একফালি ঈদের চাঁদ। যা সকলের শত ক্লান্তি ও পরিশ্রমের পর স্নিগ্ধ এক হাসির কারণ। ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মোঃ সাদিয়াল হোসেন, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                  ‘‘ঈদ মানে ব্যস্ত জীবনে আনন্দের ছোয়া”
ঈদ হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ হতে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালনের পর ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে আনে। ঈদের আগমন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ে, ছোটবেলায় দাদুবাড়িতেই ঈদ কাটানো হতো। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের নামাজে ঈদগাহে যাওয়া কিংবা নামাজে না গিয়ে চাচাতো ভাইয়াদের সাথে সদাই খাওয়া, খেলনা কিনার দিনগুলো এখন শুধুই সোনালী অতীত। যতই বয়স বেড়েছে ঈদের আনন্দ আসতে আসতে কমে এসেছে। তবুও ঈদ যেন পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেওয়ার সু্যোগ করে দেয়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনা, খেলাধুলা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে সরে যাই। তবে ঈদের সময় বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষেরা খোঁজখবর নেয়। পুনরায় যোগাযোগ করার একটি সুন্দর সুযোগ হয়ে উঠে। এবারের ঈদটি কিছুটা বিশেষ কারন এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ঈদ। ঈদের দিন রাত থেকেই অন্য রকমের অনূভুতি হয়। সকালে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু। আব্বু-আম্মুর থেকে সালামি নিতে ভুল হয় না। তারপর কিছুটা মিষ্টিমুখ করে ঈদের নামাজ শেষ হয়। পেটুক হওয়াতে কিছুক্ষণ পর পরই মুখে কিছু দিতেই হয়। সারাদিন আব্বু-আম্মু আর বোনের সাথে অনেক মজায় সময়গুলো কাটে। বিকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুরতে যাওয়া ঈদ আনন্দের অন্যতম অংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সহপাঠী বন্ধুদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এই ঈদটি আরো বিশেষ হওয়ার অন্যতম কারন হলো এই রমজানের শেষের দিকে অর্থাৎ ঈদের আগ মুহূর্তে ঘটে গেছে সূর্যগ্রহণের মতো বিরল এক ঘটনা যা প্রায় ১২৫ বছরের ব্যবধানে হতে দেখা যায়। এই হলো আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একজনের ঈদ! হয়তো ঈদ উদযাপন খুবই সাধারণ, তবুও ছোটবেলার মতো খুবই জাকজমকপূর্ণ না হলেও এমন বিভিন্ন কারনে এই ঈদ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা ঈদের দিনের মতো বছরের অন্যান্য সময়গুলোও কিছুটা হলেও আনন্দময় করে দিক এবং মুছে দিক সকল বেদনা।
মোঃ আব্দুল হাশেম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



জীবন সংসার নিয়ে ফিরছেন শামীম হাসান ও তাসনুভা তিশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢালিউডে জনপ্রিয় এক সিনেমার ‌নাম ‌‘জীবন সংসার’। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। এতে অভিনয় করেছেন অমর নায়ক সালমান শাহ। তার সঙ্গে জুটি হয়ে দর্শকের মনে দোলা দিয়েছিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর। ছবিতে আরও আছেন ফারুক-ববিতা জুটি। মিষ্টি প্রেমের গল্প ও গান সমৃদ্ধ সিনেমাটির আবেদন আজও ফুরায়নি।

সেই জীবন সংসার নতুন করে ফিরে এলো নাটকে। একই নামে নাটক নির্মাণ করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। আসছে ঈদের জন্য এই ফিকশনটি বানিয়েছেন তিনি। নামটুকু ছাড়া অবশ্য আর কোনো কিছুতেই মিল নেই দুই জীবন সংসারের মধ্যে। আলমের নাটকের সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সুস্ময় সুমন। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার, তাসনুভা তিশা। তাদের সন্তান আয়াজ চরিত্রে অভিনয় করেছে শিশুশিল্পী তাওহিদুল ইসলাম তাইফ।

জীবন সংসার নাটকে দুইটি গান ব্যাবহার করার হয়েছে, গান দুইটি গেয়েছেন রেজোয়ান শেখ ও ইয়াসমিন লাবন্য , গান দুটি লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রেজোয়ান শেখ।

সুলতান মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নাটকটির প্রযোজনা করেছেন তানভির মাহমুদ। নাটকটি নিয়ে জিয়াউদ্দিন আলম বলেন, ‘প্রথমে নাটকটির নাম ছিল বৃত্তের ভেতর। কিন্তু একটা সময় মনে হলো এর গল্পটা জীবন সংসার নামের সঙ্গেই বেশি মানাবে। সেজন্য নামটি বদলে ফেলা। এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, সালমান-শাবনূর অভিনীত সিনেমার প্রসঙ্গটি ফিরে এসেছে আমাদের নাটকের মধ্য দিয়ে। আমি

জীবন সংসার সিনেমাটি কয়েকবার হলে গিয়ে দেখেছি। সিনেমার গানগুলোও ছিল দারুণ রোমান্টিক। জাকির হোসেন রাজু ভাইয়ের অনবদ্য একটা সৃষ্টি আমি মনে করি এই সিনেমা।নিজের নাটকের গল্প সম্পর্কে আলম জানান, নাটকের গল্পে দেখা যাবে আসিফ আর মিলির সংসার।

তাদের সন্তান আয়াজ স্কুলে পড়ে। সমস্যা হলো আসিফ ও মিলি তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে এত ব্যস্ত যে, সংসার ও সন্তানকে তারা সময় দিতে পারে না। এসব দায়িত্ব নিয়ে প্রায়ই দুজনের ঝগড়া চলতে থাকে।

মিলি প্রমোশনের আশায় বসের সঙ্গে বন্ধুত্বে জড়িয়ে পড়ে। সে নিয়ে কলহ চলতে থাকে আসিফের সঙ্গে। হঠাৎ তাদের সন্তান আয়াজ অসুস্থ হওয়ায় সবকিছু বদলে যেতে থাকে। এমনই এক পারিবারিক গল্প নিয়ে জীবন সংসারে হাজির হবেন শামীম ও তিশা।


আরও খবর



নিটারে আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন মিলনায়তনে গত পহেলা এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ বাদ আছর নিটার কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ও নিটার আবাসিক হলে অবস্থানরত  শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল হতেই দলে দলে ধর্মপ্রাণ  শিক্ষার্থীরা ইফতার মাহফিলে যোগদান করার উদ্দেশ্যে নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন মিলনায়তনে  জড়ো হতে থাকে। উপস্থিত সকলে আসন গ্রহণ করলে নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সকলের উদ্দেশ্যে ইফতারের গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। এছাড়া ইফতার মাহফিলের সকল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে আয়োজকরা নিরলসভাবে সবকিছুর আয়োজন করে। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর সুশৃঙ্খল অংশগ্রহনে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইফতার কর্মসূচির সূচনা হয় ও মোনাজাত শেষে ছাত্র-শিক্ষক সকলে একসাথে বসে সম্মিলিতভাবে ইফতার গ্রহন করে এবং নিটার লেডিস হোস্টেলে অবস্থানরত মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথকস্থানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উক্ত ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এধরনের ইফতার মাহফিল কর্মসূচির আয়োজনে তারা আনন্দিত এবং এরকম আয়োজন পরস্পরের সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধের ও ভালোবাসার বিকাশ ঘটায়। সকলে একসাথে এক স্থানে বসে ইফতার করেছি এরচেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে!  এরকম আয়োজন নিয়মিত করা প্রয়োজন বলে তারা অভিমত জানিয়েছে।

এভাবেই প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল কর্মসূচি সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে সমাপ্ত হয়।


আরও খবর



মধুপুরে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৮জন গ্রামপুলিশকে পুরস্কৃত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃমধুপুরে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৮জন গ্রামপুলিশকে পুরস্কৃতটাঙ্গাইলের মধুপুর থানা ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান, যিনি একের পর এক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নানাবিধ অপরাধ, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদক, চুরি ডাকাতি সহ বিভিন্ন বার্তার মাধ্যমে অপরাধীদের নতুন নতুন কৌশল সম্পর্কে জনসাধারণকে সতর্ক করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন।যিনি সব সময়ই পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশের কাজের গতি ও জনসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করে থাকেন।

তিনি মধুপুরে এসেই এবং বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে  জনসাধারণের সাথে মিশে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।আর এরই অংশ হিসেবে তিনি গ্রাম পুলিশকে চৌকস করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। যা অতীতে কোনো পুলিশ অফিসার এ বিষয়গুলো নজরে আনেনি।এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থানা পুলিশকে সহায়তা করার জন্য প্রতি ৩ মাস পরপর গ্রামপুলিশকে মধুপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।

মঙ্গলবার (৯এপ্রিল) সকালে মধুপুর থানা প্রাঙ্গণে ৮জন গ্রামপুলিশকে ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১টি করে পান্জাবি ও শাড়ি ঈদ উপহার হিসাবে প্রদান করেন থানা ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান।এর ফলে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অপরাধ অনেকাংশেই কমে গেছে যা অতীতে কোনো পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে সম্ভব হয়নি। এই ঈদ উপহার প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন এসআই আপেল মাহমুদ সহ আরও অন্যান্য পুলিশ অফিসারগন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর