Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৩২৭জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক: যক্ষ্মা পৃথিবীর প্রাচীন রোগগুলোর একটি। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে যক্ষ্মা সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চিকিৎসায় কাজ চলছে। কিন্তু যক্ষ্মা থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং যক্ষ্মা থেকেও মারাত্মক মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (এমডিআর) যক্ষ্মা দিন দিন বাড়ছে। দেশে এখন ১০ হাজারের বেশি এমডিআর যক্ষ্মা রোগী রয়েছে।

আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘হ্যাঁ আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি।

সাধারণ যক্ষ্মা রোগীদের সঠিক চিকিৎসা না হওয়া, অর্ধেক ওষুধ খেয়ে সুস্থ বোধ করলেই অনেকেই সাধারণ যক্ষ্মার ওষুধের পুরো কোর্স সম্পন্ন করেন না। ফলে যক্ষ্মার জীবাণুরা আরো শক্তিশালী হয়ে এমডিআর টিবিতে পরিণত হয়। একজন এমডিআর যক্ষ্মারোগী অন্যদের মধ্যে ভয়ঙ্কর এমডিআর যক্ষ্মাই ছড়িয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচলিত ওষুধে না গিয়ে টিকা ব্যবহারের দিকে আমাদের যাওয়া উচিত। পৃথিবীর কয়েকটি দেশে যক্ষ্মার বিরুদ্ধে টিকা ব্যবহারে সফলতা এসেছে।

এ ব্যাপারে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির বিভাগীয় যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ ডা: আহমেদ পারভেজ জাবীন বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া ও জাম্বিয়ায় গ্ল্যাক্সো অ্যান্ড স্মিথক্লাইনের (জিএসকে) তৈরি টিবি ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট এম৭২/এএসও আইই’ নামক যক্ষ্মার টিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।’ এই দেশগুলোতে জিএসকের ৯ হাজার ভায়াল টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে বলে ডা: জাবীন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যক্ষ্মার টিকাকে সব দেশেই উৎপাদনের অনুমতি দিয়ে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখার সুযোগ দেয়া হোক।’

যে হারে সাধারণ যক্ষ্মা থেকে এমডিআর যক্ষ্মা হচ্ছে এবং এমডিআর যক্ষ্মার জীবাণুও ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে আরো ভয়ঙ্কর এক্সটেনসিভলি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স টিবি (এক্সডিআর। জীবাণুতে পরিণত হচ্ছে এবং এই এক্সডিআর টিবি থেকে আরো ভয়ঙ্কর যক্ষ্মার জীবাণু আরআর টিবি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যক্ষ্মা রোগে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক থেকে এখন বের হয়ে আসা উচিত এবং টিকার দিকে যেতে হবে।

১৯৯৫ থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রায় ত্রিশ লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে শিশু রয়েছে প্রায় ২০ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন পরিচালকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ২০২১ সালে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ যক্ষ্মায় মারা গেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রায় তিন লাখ ৭৫ হাজার মানুষ লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় এবং ৪২ হাজার মৃত্যুবরণ করে। অর্থাৎ প্রতি ১২ মিনিটে যক্ষ্মার কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।’


আরও খবর



৭১৬ জন কর্মীকে ছাঁটাই করবে লিংকডইন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

চাকরি ডেস্ক: বেকারদের চাকরি খুঁজে দিতে যে সংস্থা বদ্ধপরিকর, এবার সেই সংস্থারই কর্মীরাই হারিয়েছেন চাকরি। শোনা যাচ্ছে, অন্তত ৭১৬ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিংকডইন।পেশাজীবীদের জন্য পরিচালিত সংস্থাটি ছাঁটাইয়ের পাশপাশির চীনের স্থানীয় চাকরির অ্যাপটিও বন্ধ করে দেবে।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রায়ান রোসলানস্কির এক চিঠিতে জানান, সংস্থাকে কার্যক্রমকে সুবিন্যস্ত করা হলো এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য।গত ছয় মাসে, অ্যামাজন, লিংকডইনের প্যারেন্ট মাইক্রোসফট ও অ্যালফাবেটসহ বেশকিছু সংস্থা ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

রোসলানস্কি বলেন, ‘বাজার ও গ্রাহকের চাহিদার ওঠানামা এবং উদীয়মান ও সম্প্রসারিত বাজারে নিজেদের কার্যকরভাবে পরিবেশনের জন্য এই সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিবর্তনের ফলে ২৫০টি নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে।উল্লেখ্য, চীনে পরিচালিত একমাত্র পশ্চিমা সামাজিক-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। ২০১৪ সালে দেশটিতে তারা কাজ শুরু করে।


আরও খবর

সেই টাইটানিক, যা আগে দেখেনি কেউ

বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩




মার্কিন ভিসা নীতির ফলে বিদেশে অর্থপাচার কমবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্বপ্রতিবেদক:বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি নেই, কখনো ছিল না। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে।

কোনো দেশেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এসকর্ট হায়ার (ভাড়া) করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নের এসকর্ট নিতে পারবেন।

মার্কিন নতুন ভিসা নীতি প্রসঙ্গে আব্দুল মোমেন বলেন, মার্কিন ভিসা নীতির ফলে বিদেশে অর্থপাচার কমবে। যারা দেশে জ্বালাও পোড়াও করে, তারা সাবধান হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের চিহ্নিত হওয়ার কিছু নেই। বরং কতিপয় সরকারি কর্মচারি, ব্যবসায়ী, আমলা যাদের যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ আছে, তারা চিন্তিত হবেন।

এ সময় দুটি দেশের রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা আবারও ফেরত দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে আব্দুল মোমেন জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।


আরও খবর



গাইবান্ধায় তীব্র তাপদাহে ১ হাজার ৪ শ ৭২ হেক্টর জমির আম চাষ বিপর্যয়ের মুখে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:-তীব্র তাপদাহে গাইবান্ধার  আম চাষে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে । লাগাতার তাপদাহ ও গরমে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে বাড়ন্ত আম । এতে বিপাকে পড়েছেন বাগান মালিক ও আম চাষীরা । গাছে সেচ ও স্প্রে করেও কোন ফল পাচ্ছেন না তারা । গাছ থেকে আম ঝরে পড়ে যেনো এক প্রকার আমের বিছানা লেগেছে বাগানগুলোতে ।

জেলার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, সদরসহ ৭ টি উপজেলার এ বছর ১ হাজার ৭ শ ৭২ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।সরেজিমন তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায় গাইবান্ধার জেলায় ৭ টি উপজেলায় গোপালভোগ , সূর্যাপূরী , আম্রপালী , ল্যাংড়া , ফজলি, বউভূলানী , আসিনিয়া , ছাতাপড়া , চিনিফজলী , সুরমাই ,মিশ্রীভোগ কালাপাহাড়ী , গুটি , মধুচুষি , খিরশাপাতি প্রায় ১৫ থেকে ২০ প্রজাতির আম চাষ হচ্ছে।

গাছে এবার আমও ধরেছে ভালো ।কিন্তু আমে এবার বিপর্যয় দেখা দিয়েছে । তীব্র তাপদাহে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে বাড়ন্ত আম । পলাশবাড়ীর করতোয়া পাড়ায় আম বাগান মালিক হারুন হোসেন জানালেন , তারা আম নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন । প্রচন্ড তাপদাহে গাছ থেকে আম পড়ে বিছানা লেগেছে । এতে বিপাকে পড়েছেন বাগান মালিক ও আম চাষীরা । 

গাছে সেচ ও স্প্রে করেও কোন ফল পাচ্ছেন না তারা । গাছ থেকে আম ঝরে পড়ে এক প্রকার যেনো আমের বিছানা লেগেছে আম বাগান গুলোতে ।আম বাগান কিনে এবার ক্ষতির আশংকা করছেন আম বাগান ক্রেতারা । আমচাষে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে এমনটাই দাবি করেছেন কৃষি বিভাগ ।

 প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে প্রায় ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে । বৃষ্টি না হওয়ায় গরমে গাছের আম ঝরে পড়ছে ।সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আমবাগান মালিক বলেন আমের ফলন ভালো হলে ও  অতিরিক্ত খড়ার কারনে গাছ থেকে আম ঝড়ে পরছে।কৃষি বিভাগের পরামর্শ প্রয়োজন।

সাদুল্লাপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুক বলেন অতিরিক্ত খড়ায় আম ঝড়ে পরছে। আম ঝড়ে পড়া প্রতিরোধে আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পানি রাখতে হবে।এছাড়াও পটাস সালফার প্রয়োজন মোতাবেক গাছের গোড়ায় দিতে হবে।পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কায়সার মিশু কাছে জানতে চাইলে তিনি আম উৎপাদন - বিপনন ও বিপর্যয়  নিয়ে নিদিষ্ট  কোন তথ্য প্রদান করতে পারে নাই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপ পরিচালক খোরশেদ আলম  বলেন বৃষ্টি না হলে এবং এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এবার আম উৎপাদনে বিপর্যয়ে পড়বে বাগান মালিক ও আমচাষীরা । এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষি বিভাগ আম চাষীদের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছেন । আম গাছের আমের  ডগা-পাতায় পানি। স্প্রে এবং গাছের গড়ায় সেচ অব্যাহত রাখতে বলছেন ।কৃষি বিভাগ যাই বলুক এই আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে চলতি মৌসুমে আম চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন কৃষিবিদসহ আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীরা।

আরও খবর



কাতার সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কাতার সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিন সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এর আগে বুধবার (২৪ মে) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২৫মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ২৫ মিনিট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে

প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির আমন্ত্রণে তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরামে (কিউইএফ) যোগ দিতে গত ২২ মে দোহায় পৌঁছান। শেখ হাসিনা কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগদান ছাড়াও সফরের সময় আমিরি দিওয়ানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে সাক্ষাত, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ ছাড়া কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি ও সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ ও সৌদি অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

শেখ হাসিনা কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন ও দোহায় কাতার ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



অভিযোগের ১৩ দিনেও হয়নি ব্যবস্থা দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন মৃত গাভীর মালিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ভূয়া ডাক্তারের  ভূল চিকিৎসায় দুটি গাভী মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে গাভীর মালিক বিচারের আসায় দ্বারেদ্বারে  ঘুরলেও ভূয়া চিকিৎসক মামুনুর রশিদ দেদারসে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ মৃত গাভীর মালিক ওয়াসিম আকরামের। এতে করে সব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওয়াসিমের পরিবার। কিন্তু রহস্য জনক কারনে ইউএনও, ওসি ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কিছুই করছেন বলে দাবি অভিযোগ কারীর। এমন কি এঘটনায় আমাদের রাজশাহী পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। এক প্রকার বাধ্য হয়ে আগামী রবিবারের দিকে আদালতে মামলা করবেন বলে জানান গাভীর মালিক। 

জানা গেছে,   উপজেলার কামারগাঁ ইউপির জমশেদপুর গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেনের পুত্র ওয়াসিম আকরামের দুটি গাভীর খুরা রোগ হয়।  এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রজেক্টে কর্মরত মামুনুর রশিদ কে ডাকেন। সে গরু দেখেই ১০-১২ টির মত ইনজেকশন পুষ করে। সাথে সাথেই একটি গাভী মারা যায়। তখন চিকিৎসক মামুন দ্রুত সটকে পড়েন। পরের দিন আরেকটি গাভী মারা যায়। এঘটনায় চলতি মাসের ৩ তারিখে গাভীর মালিক বাদি হয়ে মামুনকে বিবাদী করে ইউএনও, ওসি ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।  লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা রা। দুটি গাভী মেরে ফেলেও দেদারসে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন মামুন। অপর দিকে জীবনের শেষ সম্বল গাভী মৃত্যুর পর থেকে হাতাশায় ভুগছেন মালিক।

গাভীর মালিক ওয়াসিম আকরাম বলেন, মামুনুর রশিদ নিজেকে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের সরকারি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে গাভী দুটির খুরা রোগ হয়। আমি রাসেল নামের একজনকে বললে তার মারফতে এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে সন্ধ্যার দিকে মামুন এসেই কোনকিছু না দেখে ১০-১২টির মত ইনজেকশন পুষ করে। তার সামনেই একটি গাভী মারা যায় এবং পরের দিন আরেকটি মারা যায়। দুটি গাভীর পেটেই বাচ্চা ছিল। এতে করে নিম্মে হলেও আমার ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। আমি আগামী রবিবারে আদালতে মামলা দায়ের করব। 

প্রাণী সম্পদ দপ্তরের লাইভস্টক ফিল্ড এসিসটেন্ট( এম,এফ,এ) প্রজেক্টে কর্মরত  মামুনুর রশিদ বলেন, দুটি গাভী অসুস্থ ছিল। সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মারা গেছে এজন্য আমার উপর দায় চাপানো হচ্ছে । যদি ভালো হত তাহলে কিছুই হত না। আমার চিকিৎসায় মরেছে কিভাবে প্রমান করবে, অন্য কারনেও তো মরতে পারে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা: সুমন মিয়া জানান, আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামুনুর রশিদ প্রজেক্টে কর্মরত সে কি চিকিৎসা দিতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার চিকিৎসা দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। প্রসঙ্গত গত এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে ভূল চিকিৎসায় দুটি গাভী মারা যায়। 


আরও খবর