Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

বিশ্ব ইজতেমা, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগামীকাল রোববার ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে গাজীপুর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।

আজ শনিবার সকালে টেশিস শিল্প সংস্থার মাঠে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আখেরি মোনাজাতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন। এ উপলক্ষে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। মোনাজাত উপলক্ষে বেশ কয়েকটি বিশেষ বাস ও ট্রেন চলাচল করবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান, উপপুলিশ কমিশনার (সদর ও অর্থ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, উপপুলিশ কমিশনার মাহবুব-উজ-জামান প্রমুখ।

এক ট্রাফিক নির্দেশনায় ডিএমপি জানায়, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে রোববার ভোর ৪টা থেকে প্রগতি সরণি ক্রসিং-আব্দুল্লাহপুর-ধউর ব্রিজ-আশুলিয়া ক্রসিং-মিরপুর মাজার রোড থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক, চিড়িয়াখানা থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক এবং পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্য ভারী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। এদিন সকালে আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলোকে হোটেল র্যাডিসন গ্যাপে ডাইভারশন দেওয়া হবে। এসব এলাকার যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।

এ ছাড়াও কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন দেওয়া হবে। প্রগতি সরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলোকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন দেওয়া হবে। এসব সড়কের যানবাহনগুলোকেও বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলেছে ডিএমপি।

রোববার উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল প্রকার যানবাহনের চালকদের বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।

ডিএমপি আরও জানায়, বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য রোববার ভোর ৪টা থেকে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, দুটি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহন সার্ভিসের জন্য মোতায়েন থাকবে।


আরও খবর



শাকিব ছেলের জন্মদিনে যা উপহার দিলেন

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;সময়টা ভালো যাচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ছিল শাকিব-বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন। তিন পেরিয়ে চার বছরে পা রাখল বীর। এদিন বাবা-মা দু’জনেই ছেলেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর শত বিতর্ক-সমালোচনার মাঝেও বীরের জন্মদিন পালন করতে ভুল করেননি তারা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক আয়োজনে একমাত্র সন্তানে জন্মদিন উদযাপন করেন শাকিব-বুবলী। এদিন রাতে শাকিবের গুলশান ২ নম্বরের বাসায় ঘরোয়া আয়োজনে জন্মদিনের কেক কাঁটা হয়। সেখানে বীরকে নিয়ে হাজির হন বুবলী। এছাড়াও শাকিবের বাবা, মা, ভগ্নীপতি, বোনের ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই মিলে মেতে ওঠেন ছোট্ট বীরের চতুর্থ জন্মদিন উদযাপনে।

সেসব ছবি ফেসবুকে দিয়ে নায়িকা লিখেছেন, ‘পরিবারের মূল্যবান কিছু মুহূর্ত।’ আর জন্মদিনে ছেলে বীরকে একটি লাল গাড়ি উপহারও দিয়েছেন শাকিব খান। তবে গাড়িটি চলবে না রাস্তায়, এটি বাচ্চাদের।

উল্লেখ্য, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে প্রথমে বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করেন বুবলী। এরপর ৩ অক্টোবর বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন এই অভিনেত্রী।

সে সময় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বুবলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার জীবনের স্মরণীয় দুটো তারিখ ২০.০৭.২০১৮ এবং ২১.০৩.২০২০। এর মধ্যে ২০ জুলাই ২০১৮ সালটি হচ্ছে শাকিব-বুবলীর বিয়ের তারিখ, আর ২১ মার্চ ২০২০ সাল হচ্ছে ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্ম।’


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৫২৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯৩ হাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৫২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৯৪৩ জনে। আজ শুক্রবার সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে জানা যায় এসব তথ্য।

এ নিয়ে মহামারীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৬৮ লাখ দুই হাজার ৭৪৯ জনে। আর করোনা শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৮ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। আর সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে তাইওয়ান। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাইওয়ানে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ১০৩ জনের।

এরপর একই সময়ে জাপানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৫০৬ জন এবং মারা গেছেন ৮৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭২ হাজার ৫৭৩ জন মারা গেছেন। আর করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ৩ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার ৫৪৪ জনে।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩০ জন মারা গেছেন। আর মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৭ জনে।

দৈনিক মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পরই রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫০ জন। এরপর রাশিয়ায় ৩৯, ব্রাজিল ৩৩, পোল্যান্ড ২৬, ফ্রান্স ২১ এবং চিলিতে ২০ জন মারা গেছেন।


আরও খবর



ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের শুরু থেকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনো প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি।

গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত আদেশটি এরই মধ্যে সব আঞ্চলিক উপপরিচালককে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

আদেশে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে তা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান-প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবেন।

এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।


আরও খবর



মধুপুর থানার এসআই মামুনুর রশিদের বিশাল সাফল্য অর্জন

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ২৬২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা (বিশেষ প্রতিনিধি) মধুপুর টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই(নিঃ)মামুনুর রশিদ একাধারে তিন তিনবার মাসিক কাজে দায়িত্ব পালনে বিশেষ অবদানের জন্য টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।এসআই মামুনুর রশিদ মধুপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি তার কর্মদক্ষতার ব'লে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।


সদাহাস্যজ্বল ও মিষ্টভাষী এই পুলিশ অফিসার সাধারণ মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন- পুলিশ জনগণের বন্ধু। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বিপিএম এর দিকনির্দেশনায় তিনি মানুষের সেবাদানের লক্ষ্যে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি একজন চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে মাসিক কাজের বিশেষ অবদানের জন্য পরপর তিনবার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।


থানা সূত্রে জানা যায়, তিনি গত ডিসেম্বর ২০২২ ইং সালে একাধিক সাজা বডি তামিলকারী হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন, মামলার রহস্য উদঘাটনকারী হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে পুরস্কার গ্রহন করেন এবং একাধিক সাজা বডি তামিলকারী হিসেবে আবারও ফেব্রুয়ারী মাসে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে পুলিশ সুপার এর হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস গ্রহন করেন।আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এই বিশাল কৃতিত্ব মধুপুরবাসীর জন্য সু-বাতাস বয়ে আনবে এমনটাই আশা করছেন বিশিষ্টজনেরা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



মুকুলে ছেয়ে গেছে বাগান, লাভের স্বপ্নে বিভোর আমচাষিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ২১জন দেখেছেন

Image

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। রাস্তার ধারে, বাড়ির আঙিনায়, মাঠ-ঘাটে, আনাচে কানাচে গাছের ডালে হলুদ ও সোনালী বর্ণে শোভা পাচ্ছে মুকুল। ফাগুন হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ, মাতোয়ারা চারপাশ। বাগানজুড়ে মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মুগ্ধ করেছে প্রকৃতি প্রেমীদের। আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগানমালিক ও আম চাষিরা। ভালো ফলনের আশায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। 

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৮৪৪টি আম বাগানের রয়েছে। যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমি। এছাড়াও বসত বাড়িরসহ মোট ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমির আম গাছ। উপজেলার বিভিন্ন বাগানে আম্রপালি, সূর্যপূরী, বান্দিগড়সহ বিদেশি কিং চাকাপাত, নাম দোকমাই, চিয়াংমাই, আলফান শো, রেডপার্লমারসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। এসব বাগানের প্রতিটি গাছেই ব্যাপক মুকুল এসেছে। কোনো কোনো গাছে গুটিও আসতে শুরু করেছে।

ভালো ফল পেতে গাছের পরিচর্যা ও পোকা দমনে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষি ও বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলায় মোট ৪৯ হাজার ১৮৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি আম উৎপাদন হতে পারে বলে ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। আম চাষিরা জানান, আবহাওয়ার কারণে গত বছর আম চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবার প্রতিটি গাছে ব্যাপক পরিমাণ মুকুল এসেছে।

অনুকূল আবহাওয়া থাকলে আর কোনো রোগ বালাই না আসলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি না হলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা তাদের। এছাড়াও সরকারিভাবে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরও বেশি লাভবান হবেন বলেও জানান তারা। পীরগঞ্জ উপজেলার আম চাষি মো. আহসান হাবিব (ডিপজল) বলেন, তার ২০ একর জমিতে আম্রপালি, সূর্যপূরী, বান্দিগড়িসহ বিদেশি কিং চাকাপাত, নাম দোকমাই, চিয়াংমাই, আলফান শো, রেডপালমারসহ বিভিন্ন জাতের ৮ হাজার আম গাছ আছে। এসব গাছের পরিচর্যায় প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ শ্রমিক কাজ করেন।

এবার  প্রতিটি গাছেই মুকুল এসেছে। মনে হচ্ছে এবার আমের ভালো ফলন হবে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হাবিব নামে এক বাগান মালিক বলেন, গত বছর তিন দফায় শীলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার আম বাগানে প্রায় ৯ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এবার গাছগুলোতে খুব মুকুল এসেছে। প্রতিটি গাছের পরিচর্যা খুব ভালোভাবে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, তেমন ঝড়বৃষ্টি না হলে ভালো আম হবে। এবং গত বারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব। পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহের আমচাষি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি প্রতি বছরই বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করি। এ বছরও ২০টা বাগান লিজ নেওয়া আছে। এবার আমার প্রতিটি বাগানে প্রচুর মুকুল এসেছে।

আর কয়েকদিনের মধ্যে গাছে আমের গুটি আসতে শুরু করবে। তাই গাছে পোকার আক্রমণ যেন না করতে পারে, মুকুল যেন ভালো থাকে সেজন্য বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকম ওষুধ স্প্রে করছি। আশা করছি লাভবান হব। কিন্তু আমাদের এদিকে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা আম উৎপাদন করেও বেশি লাভবান হতে পারে না। সরকার যদি আমাদের এসব উৎপাদিত আম বিদেশে রফতানি ও এলাকায় আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করত তাহলে আমরা আরও লাভবান হতে পারতাম। এতে করে আম চাষে কৃষকরা আরও বেশি আগ্রহী হতেন বলেও জানান এই কৃষক। আগের তুলনায় এই জেলায় ব্যাপকহারে আম চাষ হচ্ছে।

সবার বাগান বা গাছের আম প্রায় একই সময় পরিপক্ক হয়। ফলে সকল গাছের আম এক সঙ্গে বাজারে ওঠে বলে দাম পাওয়া যায় না। তাই যদি সরকার আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে পারতাম ও ভালো মূল্যে বিক্রিও করতে পারতাম বলে জানান উপজেলার হাজীপুরের চাষি আবদুল আজিজ। তিনি সরকারিভাবে আম রফতানি ও সংরক্ষণের জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠন গড়ার দাবির জানিয়েছেন। রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়ের আমচাষি আব্দুল খলিল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গাছে ব্যাপক মুকুল এসেছে। ইতোমধ্যে কিছু গাছে আমের গুটি আসা শুরু করেছে।

খন পরিচর্যা বলতে শুধু বিষ প্রয়োগ ও গাছে সেচ করতে হচ্ছে। তবে এখন একটু বৃষ্টির প্রয়োজন। বৃষ্টি হলেই চিন্তা নাই। আর বৃষ্টি না হলে ওষুধ মেশানো পানি গাছের মুকুলে স্প্রে করতে হবে। রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের আশাপাশের প্রতিটি আম গাছে ও বাগানে অনেক মুকুল এসেছে। এবার আমও হয়তো ব্যাপক হবে। তবে সরকার এসব আম রফতানি করার উদ্যোগ নিতো তাহলে চাষিরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারতো।

এবার যে হারে আমের মুকুল এসেছে সেগুলো ধরে রাখতে পারলে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে গাছে সেচ, আমের মুকুল ও গুটি ঝড়া রোধে কীটনাশক স্প্রেসহ আমের ফলন সম্প্রসারণে সকল প্রকার পরামর্শ আম চাষিদের দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতার মাধ্যমে জেলায় আম সংরক্ষণের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা বিভিন্ন মিটিং ও সেমিনারে ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে,  ঠাকুরগাঁওয়েও একসময় আম সংরক্ষণে আমভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে।


আরও খবর