Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি আমরা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিষয় নিয়ে কথা বলার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এমপিদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তার নির্দেশ আমরা পালন করছি। একইসঙ্গে আমরা বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ পৃথিবীর বহু দেশেই সংকট। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়াও আছে। ইউরোপে পর্যন্ত রেকর্ড ভাঙা সংকট। আমেরিকায় সংকট। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা কথা থাকে, সমালোচনাও থাকে। কিন্তু সেখানে প্রেসিডেন্টে বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করে না। তবে আমাদের দেশে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের দাবি করা হয়। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করা হয়। পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।

তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত— এ কথা আমি বলব না। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে পারব এবং বিকাশের ধারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। রাতারাতি এটির পরিবর্তন সম্ভব নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে বলতে গেলে গণতন্ত্র ছিল না। গণতন্ত্র ছিল শৃঙ্খলিত। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে প্রথমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার দুঃসাহসিকতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং জেলা হত্যার বিচার হয়েছে। এসব অসম্ভব কাজগুলো তিনি সম্ভব করতে পেরেছেন।’

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা যায় কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ আগস্টের ঘটনার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান খুনিদের বিদেশে পাঠিয়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করেছেন। তিনি বিচার না হওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তারপরও খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী উনার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই সময় তাকে অপমান করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে সংস্কার আনার চেষ্টা আওয়ামী লীগের আছে। খালেদা জিয়াকে গণভবনে দাওয়াত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। আসলে হয়তো আলাপ হতো। পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে, কিন্তু বিএনপি মাঝখানে শুধু দেয়াল তৈরি করেছে। পরিবর্তনের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।


আরও খবর



লাশের সঙ্গে আশরাফের ৪৯ বছর!

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর সংবাদদাতা:১৬ বছর আগের কথা। জামালপুরের ইসলামপুর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে একটি লাশ ভ্যান গাড়িতে তোলা হয়। ততক্ষণে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেছে। কিন্তু নিহতের বাড়িতে লাশ দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে।

তাই বাধ্য হয়ে অন্ধকার রাতেই রওনা হতে হয়। ইসলামপুর জামালপুর মহাসড়কের কাঙ্গালকুর্শা এলাকায় আসতেই হঠাৎ পিছনে ঘোংড়ানোর শব্দ হয়। ফিরে তাকাতেই কলিজাটা লাফ দিয়ে উঠে। সাহস নিয়ে ভ্যানটা আবার টানা শুরু নিহতের বাড়ীর উদ্দেশ্যে। প্রথমে ভূত ভেবে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যাই। সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়। হাত-পা কাঁপতে থাকে। সামনে একটা দোকান দেখে ভ্যানগাড়ি থামিয়ে বসে পড়ি। বুকের মধ্যে ধুকধুক করছিল।

ইসলামপুর পৌর শহরের নটারকান্দা গ্রামে মৃত-শহিদ শেখের ছেলে আশরাফ আলী। এই পেশায় কীভাবে আসলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,জন্মের পর থেকেই অভাব অনাটনের মধ্যে বড় হয়ে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে। হঠাৎ ভ্যান চালক ওস্তাদ আবু বক্করের সাথে পরিচয় হওয়ার সুবাধে এ পেশায় জড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে ভয় করলেও জীবিকার তাগিদেই এই পেশায় জড়িয়ে পড়ি।

আশরাফ জানায়, তার ওস্তাদ বক্কর প্রায় ৬০বছর লাশ টেনেছে। তারি সাথে জীবনের ৫০টি বছর অতিবাহিত করে আজো লাশ টানছে। তার ওস্তাদ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ভয় পেয়ে মৃত্যু বরণ করেছে॥

একদিন সন্ধ্যায় লাশ নিয়ে জামালপুর মর্গে রওনা হয় ওস্তাদ বক্কর। জামালপুর ইসলামপুর মহা সড়কে শ্যামপুর পথের মধ্যে হঠাৎ পিছন ফিরে তাকায় বক্কর। ফিরে তাকাতেই লাশটি বসে রয়েছে দেখেই ভ্যান ফেলে দৌড়ে পালায়। পরে প্রতক্ষদর্শীরা দেখে তাকে আবার সাহস যুগিয়ে রওনা হতে বলে। তারপর থেকেই ওস্তাদ বক্কর বিছানা থেকে উঠে দাড়াতে পারেনি। অবশেষে মৃত্যু হয়েছে তার। নিজের ও ওস্তাদের লাশবহন করা পেশার ৫০ বছরের দুটি ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই এ প্রতিবেদকের নিকট বলছিলেন আশরাফ আলী।

বিচিত্র এই পেশায় এসে কম পক্ষে সহশ্রাধিক লাশ বহন করেছেন আশরাফ। লাশ বহন করতে এখন তার মনে ভয়-ডর নেই। গভীর রাতেও একাকী লাশ নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে যান। ভ্যান চালানোর সময় বারবার পেছনে ফিরে দেখেন লাশটা ঠিক আছে তো।

আশরাফ জানান, উপজেলায় কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে ইসলামপুর থানা থেকে ডাক পড়ে তার। এরপর ভ্যানগাড়ি নিয়ে লাশ উদ্ধার করার জন্য বেরিয়ে পড়েন তিনি। কখনো দড়িতে ঝোলানো বীভৎস লাশ, কখনো ক্ষত-বিক্ষত, কখনো পচা- গলা লাশ, কখনো আবার দেহের ছিন্নভিন্ন হাত-পা বা মাথার অংশ নির্ভয়ে ভ্যানে তুলে নেন। এরপর লাশ থানায় আনা, ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যাওয়া, আইনি সকল প্রক্রিয়া, সর্বশেষ নিহতের লাশ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজটাও আশরাফ নিজেই করে থাকেন।আশরাফ বলেন, ‘পরিচয়হীন হলে লাশের ময়নাতদন্ত ও বহনের জন্য তিন হাজার টাকা না হলে পুষে না। এ টাকা লাশের ওয়ারিশদের নিকট থেকে নিতে থাকি। মাঝে মাঝে উপার্জন ভালোই হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর শহরের নটারকান্দা গ্রামে তার বাড়ি।সেখানেই ছোট একটি ঘরে তার সংসার। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। তবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অভাবের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় তাকে।

কারণ প্রতিদিনি তো আর লাশ মিলে না। আর লাশ না মিললে উপার্জন বন্ধ। তাছাড়া তার নেই সরকারি বেতন-ভাতা। ঈদ-নবান্ন-বৈশাখেও জোটে না সরকারের উৎসবভাতা। তাই প্রতিদিন লাশের খবরের জন্য ভ্যান গাড়ি নিয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয়।

এদিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক শক্তিও কমছে তার। আশরাফ বলেন, অভাব-অনটনের সাথে যুদ্ধ করে আমার সংসার চলে। যখন লাশ থাকে তখন আমার সংসার চলে। আর যখন লাশ থাকে না তখন আমার ঘরে খাবারও জুটে না। তখন চলতে খুব কষ্ট হয়। তাই আমার চাকরিটা মাসিক বেতনের ভিত্তিতে স্থায়ীকরণের জন্য পুলিশ বিভাগ ও সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। দয়া করে আমাদের দুঃখ-দুর্দশা একটু পত্রিকায় তুলে ধরেন।’

ইসলামপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিক মিয়া জানান, আশলাফ শুধু লাশ বহন করে না, লাশ পাহারাও দেয়। লাশ নিয়ে আশরাফের অসংখ্য ঘটনা শুনলে ভৌতিক মনে হয়, যা সত্য।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন তালুকদার বলেন, প্রতিটি থানায় লাশ বহন করার জন্য একজন করে চালক থাকে। তবে পুলিশ বিভাগে তাদের চাকরি স্থায়ী করার সুযোগ নেই। তারপরও আশরাফের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।


আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




খাগড়াছড়িতে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে“পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-উদযাপন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি  জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী,র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ।হিসেবে খাগড়াছড়ি  জেলা পুলিশ লাইন্সে- পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে  পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়

শনিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে  খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্সে পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) । পরে একটি চৌকস পুলিশ দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করেন। এ সময় বিউগল করুণ সুর বাজানো হয়।

খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর  সভাপতিত্ব পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি  এপিবিএন এবং  বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার, এর কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি), পরিতোষ ঘোষ (এনডিসি)।

খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেড  আলোচনা সভাশেষে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ কারী ৯ পুলিশ সদস্যের পরিবারের হাতে সম্মাননা ও ফুল  দিয়ে বরণ করেন। এবং খাগড়াছড়ি জেলার আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গের নিকট উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ি  পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)। 

পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেড এ আলোচনা সভার শুরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী শহীদ পুলিশ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ শতবর্ষের পুরানো একটা প্রতিষ্ঠান। দেশের সেবায়, মানুষের সেবায়, সরকারের নির্দেশনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবসময় পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এদেশের মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের প্রতিটি সদস্য তাদের নিজে দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পেশাদারীত্বের সাথে পালন করছে। আর এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের অসংখ্য পুলিশ সদস্যকে আমরা হারিয়েছি।তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের উজ্জীবিত করে। পেশাগত দায়িত্ব পালনে আরো শানিত করে। এ সময় তিনি জীবন উৎসর্গকারী এসব পুলিশ সদস্যের পরিবারে যেকোন প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বস্থ করেন। পরবর্তীতে তিনি এসব পরিবারের স্ত্রী, সন্তান ও পিতা-মাতার খোঁজ খবর নেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত আত্মোৎসর্গকারী ৯ পুলিশ  পরিবারের  সদস্যরা তাদের অভিব্যাক্তি প্রকাশকালে আবেগে আব্লুত হয়ে মাননীয় আইজিপি মহোদয়কে  আর্থিক অনুদান, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেটর জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) মহোদয় কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান তাদেরকে সম্মানিত করার জন্য এবং সবসময় পাশে থেকে তাদের সুযোগ সুবিধা দেখার জন্য।

এসময় ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এডিশনাল ডিআইজি, খন্দকার ফরিদুল ইসলাম, অধিনায়ক ( অস্থায়ী হেডকোয়ার্টার) মহালছড়ি  ৬ এপিবিএন, অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি  মো. সাজিদ হোসেন, মহালছড়ি ৬ এপিবিএন, ,ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার,এর কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) মিলু মিয়া বিশ্বাস,খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মো. তফিকুল আলম,  সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং  কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যগণদের পরিবারবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



সোনালি আঁশ সোনালি দিনের হাতছানি দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে পাট ব্যবহারের সুযোগ বেড়েছে। পাট-পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো ও নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে ৬টি পাটকল ও বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাট সোনালী আঁশ। এটি এমন এমটি পণ্য, যার চাহিদা কখনও শেষ হবে না। সোনালী আঁশ সোনালী দিনের হাতছানি দিচ্ছে। সেটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। পাট পণ্যকে বহুমুখীকরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, পাটকলগুলো লিজ দিলেও নজরদারি থাকবে। একটি সম্পদ তুলে দিয়েছি, এর যতœ করবেন। নিজের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশেরও যেন উন্নয়ন হয় সেদিকে লক্ষ্য করবেন। উৎপাদিত পাটপণ্য স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নতমানের যেন হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাটকলগুলো লিজ নিয়ে বেসরকারিভাবে যারা চালাবেন, তারা ইন্ডাস্ট্রির প্রতি যতœবান হবেন। নতুন যন্ত্রপাতি আনেন এবং পাট পণ্যকে বহুমুখী করেন। কৃষি ও রপ্তানি পণ্য হিসেবে পাটের যে প্রণোদনা পাওয়া উচিৎ সেটি পাট পাবে।


আরও খবর



কিংবদন্তি আশা ভোঁসলের নাতনি সিনেমায় আসছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখতে যাচ্ছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলের নাতনি জানাই ভোঁসলে ডেবিউ। সংগীতশিল্পী নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে এ সুখবর দেন। কোন সিনেমায় ও কোন চরিত্রে দেখা যাবে তাকে?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, জানাই ভোঁসলেকে দেখা যাবে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের স্ত্রী রানি সাই ভোঁসলের চরিত্রে। সন্দীপ সিংহ পরিচালিত ‘দ্য প্রাইড অব ভারত’ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ সিনেমায়। নাতনি ডেবিউর কথা জানিয়ে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন গায়িকা।

এদিন এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে লেখেন, ‘আমার নাতনি জানাই ভোঁসলেকে আসন্ন গ্র্যান্ড এপিক ‘দ্য প্রাইড অব ভারত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ' সিনেমার হাত ধরে সিনেমায় পা রাখতে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করি সিনেমার ইতিহাসে ও নিজের প্রত্যাশিত স্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে এবং ওকে ও সন্দীপ সিংহকে শুভেচ্ছা জানাই।’

পরিচালকও জানাইয়ের যোগদানকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিচালক বলেন, ‘ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের বংশধর এবং প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরজী তার পরিজন এবং আশা ভোঁসলেজির নাতনি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং দক্ষ পরিবারের অংশ জানাই। তার সঙ্গে কাজ করতে পারার জন্য আমি অত্যন্ত সম্মানিত এবং সম্পূর্ণভাবে সৌভাগ্যবান বোধ করছি। তিনি একজন গর্বিত ভোঁসলে, যিনি ইতোমধ্যেই একটি প্রাণময় কণ্ঠ পেয়েছেন এবং সংগীতের জন্য তার শ্রবণশক্তি তীক্ষ্ণ। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে তিনি একজন প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী এবং একজন দক্ষ অভিনেত্রী। রানি সাই বাই চরিত্রের প্রতি তিনি পূর্ণ সুবিচার করবেন।’

পরিচালক আরও বলেন, ‘স্ত্রী হিসেবে, রানি সাই বাই, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের একজন দক্ষ শাসক ও মানুষ হিসেবে উন্নত হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিপুল অবদান রয়েছে।’

এদিকে বিশাল আকারে তৈরি হচ্ছে ‘দ্য প্রাইড অফ ভারত - ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ যা ২০২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা। উল্লেখ্য ওই দিনই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জয়ন্তী।


আরও খবর



বিরামপুরে ৪ টি স্বর্নের বারসহ চোরাকারবারি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্তে  ভারতে পাচার কালে ৪টি বারসহ মোস্তাকিম হোসেন মোস্তাক (২২) নামে এক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে  বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ঘাসুডিয়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা।

আটককৃত স্বর্ন চোরাকারবারি মোস্তাকিম হোসেন মোস্তাক  (২২) দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের দামুদারপুর (বাসুপাড়া) গ্রামের মৃত্যু দবিরুল ইসলামের ছেলে।

শুক্রবার (০৮ মার্চ) সকালে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টাকালে ৪টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জয়পুরহাট-২০  বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা মোস্তাকিম হোসেন মোস্তাক  (২২) নামে এক স্বর্ণ চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে। জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়ার নির্দেশে ও  উপ-অধিনায়ক মেজর আফিক হাসান এর সমন্বয়ে ঘাসুরিয়া বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ২৮৯/এমপি হতে আনুমানিক ২০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দক্ষিণ দামুদারপুর (বাসুপাড়া)  নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন।  এসময় চোরাকারবারি মোস্তাকিম রহমান মোস্তাক  (২২) নামে এক যুবককে ৪টি স্বর্ণের বার ও ১টি সীমকার্ডসহ মোবাইল ফোন জব্দপূর্বক তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  জব্দ করা স্বর্ণসহ মালামালের মূল্য প্রায় ৪৪ লক্ষ ৮১ হাজার ২'শত টাকা। গ্রেপ্তারকৃত স্বর্ণ চোরাকারবারি মোস্তাকিম রহমান মোস্তাক  (২২) এর বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান আইনে বিরামপুর থানায় মামলার ও তাকে বিরামপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।  মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি:র অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবি'র এই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের বিজিবি ৪টি স্বর্ণের বারসহ একজনকে গ্রেপ্তারের কথা শুনেছি। এবিষয়ে বিজিবি মামলা দায়ের এখনো করেনি। মামলা দায়ের করলে মামলা অনুযায়ী পরর্বতীতে প্রযোজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর