Logo
আজঃ বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বিপিএল এবার পারিশ্রমিক বিতর্কে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৪৪জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান আসরে শুরু থেকেই বিতর্ক লেগে আছে। আর মাঝ পথে এসে যোগ হলো ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ডমিনেটর্সের বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। তারা নাকি খেলোয়াড়দের পাওনা না দিয়ে আইন ভেঙেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার দাবি করেছেন, টুর্নামেন্টের মাঝ পথে আসলেও গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা একটি টাকাও পাননি। এটিই শেষ নয়, তারা নাকি এখনও কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। অথচ এই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা আসর শুরু হওয়ার আগেই।

তবে জানা যায়, খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঢাকার শেষ ম্যাচে কিছু খেলোয়াড়কে পাওনার সামান্য অংশ দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার কয়েকজন ক্রিকেটার একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের পক্ষ থেকে একটি ফোন পেয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমরা কিছু অর্থ বুঝে পাই। আর কয়েকজনকে বুধবার দেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা অবশ্য পারিশ্রমিকের যে আইন রয়েছে তা মানেনি। যেখানে নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই দিতে হয়। ২৫ শতাংশ মাঝে পথে ও বাকি ২৫ শতাংশ আসরের শেষে।

খেলোয়াড়রা বলেন, ‘আগের আসরগুলোতে আমরা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলাম। অথচ এই আসরে এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই বিষয়ে তাদের নিয়ম পরিবর্তন করেছে কিনা তা আমরা জানি না।’

ঢাকা ডমিনেটর্সের চেয়ারপারসন তাহসিন ইসলাম দাবি করেছেন, তারা বিসিবির নির্দেশনা অনুযায়ী খেলোয়াড়দের প্রাথমিক অর্থ পরিশোধ করেছে। তবে এই বিষয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাননি।

তিনি বলেন, ‘বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী আমরা পারিশ্রমিকের অর্থ পরিশোধ করেছি। এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আমরা ক্রিকেটাররা ইতোমধ্যে পাওনা পেয়েছে।’

এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী অফিসার ও একইসঙ্গে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এমনি করার কোনো সুযোগ নেই। যেখানে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চুক্তিপত্র করতে হবে।

বিপিএলের নবম আসরটিতে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক রয়েছে। কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এলিমিনেটর পর্বের আগে ডিআরএস পদ্ধতি ব্যবহার হবে না। এছাড়া টুর্নামেন্টের জন্য ভালো সময় বের করা যায়নি। যার কারণে বিদেশি ভালো কোনো ক্রিকেটার আসেনি।

আসর শুরুর পর অবশ্য বিতর্ক কিছুটা কমেছে। কেননা টুর্নামেন্টের তৃতীয় পর্বের সমাপ্তি পর্যন্ত অনেকগুলো রোমাঞ্চকর ও বড় স্কোরের ম্যাচ হওয়ায় মাধ্যমে সমালোচনা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। কিন্তু ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির এই সমস্যা যদি দূর করা না যায়, তবে বিসিবি ওপর ফের দায় এসে পড়বে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনিদের উপর হামলার প্রতিবাদে নবীনগরে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ইমাম পরিষদের আয়োজনে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি মুসলিম,নারী পুরুষ ও শিশুদের উপর নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যা এবং অমানবিক হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার সকালে বিদ‍্যাকুট বাজারে ইমাম পরিষদ ও ইউনিয়নের হাহার মুসল্লীদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  বাজার ঈদগাহ ময়দানে এসে শেষ হয়।

ওই ময়দানে বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ইমাম পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম কাসেমীর পরিচালনা ,সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার , মাওলানা আবুল হাসান, হাজী মুহসিন, মোঃ আনোয়ার হোসেন , মাওলানা জুনায়েদ আহমেদ ইয়াকুবি , মাওলানা আমিনুল ইসলাম ইয়ামিন সরকার , মুফতি সাজিদ বিন নূর , ডাঃ নজরুল ইসলাম , মাওলানা ইব্রাহিম বেলালী , মাওলানা জয়নাল আবদীন জহিরী , মাওলানা আবু বকর, মাওলানা জয়নাল আবেদীন যুক্তিসাহি অলিউল্লাহ।

সমাবেশে বক্তরা ফিলিস্তিন মুসলমানদের উপর ইসরায়লি বর্বরোচিত হামলা ও নারকীয় হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসাথে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত ইসরায়লি হামলা বন্ধেরও আহ্বান ও ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি, ইসরায়েলের তৈরী পন্য বর্জসহ ৭ দফা দাবি জানান। জঙ্গি তৎপরতা ইসরায়লি হামলা বন্ধকরে আল আকসা মসজিদকে মুসলমানদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এমপি শিবলী সাদিক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:- হাকিমপুরের পথসভা করেছেন দিনাজপুর- ৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় হিলি চারামাথা মোড়ে পথসভা করেন তিনি। এসময় সেখানে হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন,সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত,সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ টুকুসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনি সকাল ১০ টায় ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা ঘোড়াঘাট জিরোপয়েন্টে পৌঁছালে ৪ উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ কয়েক হাজার মোটরসাইকল, মাইক্রোবাস ও ট্রাক যোগে এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন নেতাকর্মিরা। এরপর তিনি হাজার হাজার মানুষের ঢল নিয়ে জিরোপয়েন্ট থেকে একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন এর উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি ঘোড়াঘাট-গাইবান্ধা মোড়ে পথসভায় যোগ দেন। নেতাকর্মীদের স্লেগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর তিনি বিকেল ৪ টায় বিরামপুর উপজেলা ঢাকা মোড়ে পথসভায় যোগ দেন। পরে তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলায় পথ সভায় যোগ দেন।

পথসভায় এমপি শিবলী সাদিক বলেন, আজকের এই মনোনয়ন প্রাপ্ত দিনাজপুর-৬ আসনের সাধারণ মানুষ ও নেতা কর্মীদের প্রাপ্তি। তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন প্রাপ্তি আপনাদের দোয়ায় সফল হয়েছি। এই নির্বাচন কোন ব্যক্তির নির্বাচন নয়, এই নির্বাচন সংবিধান ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কে রক্ষা করা ও সন্ত্রাসকে দমন করা নির্বাচন। এই এলাকার গরীব, দুঃখী অসহায় মেহনতি মানুষের যে আকাঙ্খা ও চাওয়া সেটি যেন জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আপনাদের উপহার দিতে পারি।

আপনারা সকলে দোয়া করবেন। দিনাজপুর-৬ আসনের হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত শিবলী সাদিক। তরুন মেধাবী, যোগ্যতা ও মার্জিত আচরণের কারণে আগেই দিনাজপুর- ৬ এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন এমপি শিবলী সাদিক।


আরও খবর



কৃষকের জমি নিয়ে অপারেটরদের রাম রাজত্ব অপারেটরের কাছে জিম্মি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:জমি কৃষকের হলেও রাম রাজত্ব করছেন গভীর নলকূপ অপারেটরেরা বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। এরাম রাজত্ব চলে আলু মৌসুমে। সিংহভাগ কৃষকের জমি লীজ দেন অপারেটরেরা। অধিক টাকায় লীজ দিলেও যত সামান্য টাকা কৃষকদের দেয়া হয়। এমন ঘটনা ঘটে রয়েছে রাজশাহীর তানোর উপজেলা জুড়েই। বছরের পর বছর ধরে বিএমডিএ ও অপারেটরেরা কৃষকের জমি লীজ নিয়ে রাম রাজত্ব করে আসলেও কোন প্রতিকার নেই। উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে আলু রোপনের কাজ। বহিরাগত আলু চাষীরা প্রজেক্ট করে থাকেন উপজেলায়। তারা কৃষকের কাছ থেকে জমি লীজ না নিয়ে সরাসরি গভীর নলকূপ অপারেটর দের কাছ থেকে লীজ নিয়ে থাকেন। এমনকি কোন প্রান্তিক কৃষক দু চার বিঘা আলু চাষ করতে চাইলেও পারেন না। আবার জমির মালিক হয়েও জানেনা কাকে লীজ দেয়া হয়েছে, কত টাকায় লীজ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গভীর নলকূপে এমন ভয়াবহ চিত্র। ফলে এসব নিয়ে বিএমডিএ ও প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত করলেই অপারেটরদের রাম রাজত্ব ধরা পড়বে বলে মনে করেন কৃষকরা।

জানা গেছে, কয়েক জেলার মধ্যে এউপজেলায় আলু চাষ হয় সব চাইতে বেশি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমি চাষীরা প্রজেক্ট করে থাকেন। এমৌসুমে জমির লীজ বেড়ে প্রকার ভেদে এক বিঘা ২০ হাজার, ১৮ হাজার ও ১৫/১৬ হাজার টাকায় লীজ হয়েছে। উপজেলায় সেচ যন্ত্র বা গভীর নলকূপ রয়েছে বিএমডিএর আওতায় ৫৩৬ টি ও ব্যক্তি মালিকানা ১৬ টি, মোট ৫৫২ টি। উপজেলায় আবাদ যোগ্য জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর। সেচের আওতায় ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর জমি। অগভীর বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্র রয়েছে ৪১১ টি।

সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় আলুর চাষ হয় নিম্মে ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর থেকে উর্ধ্বে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। সিংহভাগ জমিতে বহিরাগতরা প্রজেক্ট হিসেবে চাষ করে থাকেন। এক একটি গভীর নলকূপের আওতায় ২০০ বিঘা থেকে ৩০০ বিঘার প্রজেক্ট করে থাকেন।কৃষকরা জানান,  গভীর নলকূপ হয়েছে কৃষকের জন্য। সেই গভীর নলকূপ নিয়ে রাজনীতির শেষ থাকেনা। অপারেটর হতে নিম্মে ৫০ হাজার টাকা থেকে উর্ধ্বে ৭০/৮০ হাজার টাকা এমনকি স্কীম বড় হলে ১ লাখ টাকা দিয়েও অপারেটর হয়েছে । অপারেটর হওয়ার পর তাদের দাপটের শেষ থাকেনা। যেই গভীর নলকূপ চাষাবাদের জন্য সেই নলকূপ নিয়ে রাহাজানীর শেষ নেই। তবে যে সব গভীর নলকূপ সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হয় সে সবে কিছুটা হলেও সেচ হার কম নেয়। কিন্তু আলুর প্রজেক্ট করতে জমি লীজ দেয় অপারেটর। তারা প্রজেক্ট করা ব্যক্তির সাথে কৃষকের নামে লীজ নামা তৈরি করলেও কৃষকরা কিছুই জানেনা।চলতি মৌসুমে আলুর জমি লীজ হয়েছে নিম্মে ১৬ হাজার টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ২০/২২ হাজার টাকা করে। অথচ কৃষক রা এসব নিয়ে কোন কথা বললেই সে আর চাষাবাদ করতে পারবে না।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকের সাথে কথা বলা হলে নাম প্রকাশ না করে অনেকে বলেন, একটি গভীর নলকূপে ২০০ বিঘা কিংবা ১০০ বিঘা জমিতে আলুর প্রজেক্ট করা হলে এবং প্রতি বিঘায় যদি ১৮ হাজার টাকা করে লীজ হয়, আর কৃষককে যদি ১২ হাজার টাকা দেয়া হয়। তাহলে প্রতি বিঘায় ৬ হাজার টাকা করে অপারেটরের পকেটে ঢুকছে। তাহলে ১০০ বিঘার বিপরীতে ৬ লাখ টাকা অপারেটরের পকেটে যাচ্ছে। অবশ্য যে গভীর নলকূপে ২০০ বিঘা কিংবা তার বেশি জমি থাকে ওই সবে বেশি পরিমাণ প্রজেক্ট হয়। প্রতি আলু মৌসুমে ১০০ বিঘার বিপরীতে যদি ৬ লাখ টাকা আসে তাহলে কেন লাখ টাকা খরচ করে অপারেটর হবে না। দীর্ঘ দিন ধরে বিএমডিএর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সবাই সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত করার নির্দেশনা দিলেও উপজেলা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী একেবারেই নিরব। 

বিএমডিএর বেশকিছু কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান, এতদিন সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম থাকলে প্রায় গভীর নলকূপ গুলো সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হত। তিনি সমিতি করার জন্য কঠোর ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ার পর থেকে সবকিছু থমকে গেছে। গভীর নলকূপ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের। বরং কোন কৃষক তার সাথে কথা বলতে এলেও খারাপ আচরণ করে থাকেন। যেখানে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ সমিতির মাধ্যমে সেচ পরিচালনার জন্য নির্দেশ দিলেও বর্তমান সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান কর্নপাত করেন না। তিনি নিজের খেয়াল খুশিমত সবকিছু করে থাকেন। 

এসব নিয়ে সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের সাথে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন, জমি লীজ কিভাবে হবে এসব আমার দেখার বিষয় না।তারপরও কোন কৃষক লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



সুনামগঞ্জে বিএনপি জামায়াতের ২০জন গ্রেফতার: ১শ জন আ.লীগে যোগদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে অবরোধকে কেন্দ্র করে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ২০জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে সেচ্ছায় আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে বিএনপি সমর্থিত ১শ জন নেতাকর্মী। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে- আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের যুবদল সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরআগে গতকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এই উপজেলার বিএনপি নেতা আমীর শাহ, ডাঃ এসকে শফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাহাত রাব্বি, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বিএনপি সভাপতি কামাল হোসেন, একই ইউনিয়নের জামায়াত নেতা আল-আমিন ও মাহমুদ উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে দিরাই উপজেলা বিএনপির সমাজসেবা সম্পাদক মাসুক মিয়া, এউপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুন নুর, করিমপুর ইউনিয়ন কৃষকদল নেতা আব্দুল ওয়াদুদ, মধ্যনগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব ওয়াশিল আহমদ, বিএনপি নেতা রেজাউল মড়ল, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিল ও ছাতক পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল হক খোকন, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সামাদ মিয়া, সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহববুল আলম, ওই উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়ন য্ধুসঢ়;দল সভাপতি হেলাল আহমেদ, একই ইউনিয়নের যুবদল কর্মী ইকরাম আলী, দোলারবাজার ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান, ভাতগাঁও ইউনিয়নের জামায়াত কর্মী দেলোয়ার হোসেন।

এদিকে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের নেতৃত্বে পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের যোগদান করে। তাদেরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে বরণ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন। বিএনপি ও জামায়াতের ২০ নেতাকর্মী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান, দিরাই থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন, মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন, ছাতক থানার ওসি শাহ আলম ও তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান- আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি জনসাধারণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ তাদের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুয়ায়ী কাজ করছে। এবং গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দিয়ে পৃথক ভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে অবরোধ প্রতিরোধে আ’লীগের মোটরসাইকেল শোডাউন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১১০জন দেখেছেন

Image
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ প্রতিরোধ ও প্রত্যাখ্যান করে শোডাউন করেছেন সিরাজগঞ্জ পৌর  আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে পৌসভার বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া ও অবস্থান করেন তাঁরা।

রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে শহরের হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সামনে থেকে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম আহমেদ এর নেতৃত্বে প্রায় শতাদিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এই মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনে অংশ নেয়। এসময় তারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, শেখ হাসিনার সরকার,বারবার দরকার’, ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ স্লোগান দিতে থাকে।

শোডাউন শেষে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ বলেন,যেভাবে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত যে কাজগুলো করছে এটা ন্যাক্কারজনক। এভাবে হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসীদের আর সন্ত্রাসীপনা করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাশীদের সংগঠন। তারা জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি করতে চায়। আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছি৷ আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগ অপশক্তির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার আছে এবং আগামীতেও থাকবে ইনশাল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম,পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য বেলাল হোসেন মিন্টু,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কাউসার আহম্মেদ পান্না, যুবলীগ নেতা সজিব আহম্মেদ ও ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ প্রমুখসহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা ।

আরও খবর