
স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান আসরে শুরু থেকেই বিতর্ক লেগে আছে। আর মাঝ পথে এসে যোগ হলো ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ডমিনেটর্সের বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। তারা নাকি খেলোয়াড়দের পাওনা না দিয়ে আইন ভেঙেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার দাবি করেছেন, টুর্নামেন্টের মাঝ পথে আসলেও গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা একটি টাকাও পাননি। এটিই শেষ নয়, তারা নাকি এখনও কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। অথচ এই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা আসর শুরু হওয়ার আগেই।
তবে জানা যায়, খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঢাকার শেষ ম্যাচে কিছু খেলোয়াড়কে পাওনার সামান্য অংশ দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার কয়েকজন ক্রিকেটার একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের পক্ষ থেকে একটি ফোন পেয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমরা কিছু অর্থ বুঝে পাই। আর কয়েকজনকে বুধবার দেওয়া হয়েছে।’
ঢাকা অবশ্য পারিশ্রমিকের যে আইন রয়েছে তা মানেনি। যেখানে নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই দিতে হয়। ২৫ শতাংশ মাঝে পথে ও বাকি ২৫ শতাংশ আসরের শেষে।
খেলোয়াড়রা বলেন, ‘আগের আসরগুলোতে আমরা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলাম। অথচ এই আসরে এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই বিষয়ে তাদের নিয়ম পরিবর্তন করেছে কিনা তা আমরা জানি না।’
ঢাকা ডমিনেটর্সের চেয়ারপারসন তাহসিন ইসলাম দাবি করেছেন, তারা বিসিবির নির্দেশনা অনুযায়ী খেলোয়াড়দের প্রাথমিক অর্থ পরিশোধ করেছে। তবে এই বিষয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাননি।
তিনি বলেন, ‘বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী আমরা পারিশ্রমিকের অর্থ পরিশোধ করেছি। এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আমরা ক্রিকেটাররা ইতোমধ্যে পাওনা পেয়েছে।’
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী অফিসার ও একইসঙ্গে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এমনি করার কোনো সুযোগ নেই। যেখানে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চুক্তিপত্র করতে হবে।
বিপিএলের নবম আসরটিতে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক রয়েছে। কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এলিমিনেটর পর্বের আগে ডিআরএস পদ্ধতি ব্যবহার হবে না। এছাড়া টুর্নামেন্টের জন্য ভালো সময় বের করা যায়নি। যার কারণে বিদেশি ভালো কোনো ক্রিকেটার আসেনি।
আসর শুরুর পর অবশ্য বিতর্ক কিছুটা কমেছে। কেননা টুর্নামেন্টের তৃতীয় পর্বের সমাপ্তি পর্যন্ত অনেকগুলো রোমাঞ্চকর ও বড় স্কোরের ম্যাচ হওয়ায় মাধ্যমে সমালোচনা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। কিন্তু ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির এই সমস্যা যদি দূর করা না যায়, তবে বিসিবি ওপর ফের দায় এসে পড়বে।