Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

বিপিএল এবার পারিশ্রমিক বিতর্কে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান আসরে শুরু থেকেই বিতর্ক লেগে আছে। আর মাঝ পথে এসে যোগ হলো ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ডমিনেটর্সের বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। তারা নাকি খেলোয়াড়দের পাওনা না দিয়ে আইন ভেঙেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার দাবি করেছেন, টুর্নামেন্টের মাঝ পথে আসলেও গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা একটি টাকাও পাননি। এটিই শেষ নয়, তারা নাকি এখনও কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। অথচ এই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা আসর শুরু হওয়ার আগেই।

তবে জানা যায়, খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঢাকার শেষ ম্যাচে কিছু খেলোয়াড়কে পাওনার সামান্য অংশ দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার কয়েকজন ক্রিকেটার একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের পক্ষ থেকে একটি ফোন পেয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমরা কিছু অর্থ বুঝে পাই। আর কয়েকজনকে বুধবার দেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা অবশ্য পারিশ্রমিকের যে আইন রয়েছে তা মানেনি। যেখানে নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই দিতে হয়। ২৫ শতাংশ মাঝে পথে ও বাকি ২৫ শতাংশ আসরের শেষে।

খেলোয়াড়রা বলেন, ‘আগের আসরগুলোতে আমরা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলাম। অথচ এই আসরে এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই বিষয়ে তাদের নিয়ম পরিবর্তন করেছে কিনা তা আমরা জানি না।’

ঢাকা ডমিনেটর্সের চেয়ারপারসন তাহসিন ইসলাম দাবি করেছেন, তারা বিসিবির নির্দেশনা অনুযায়ী খেলোয়াড়দের প্রাথমিক অর্থ পরিশোধ করেছে। তবে এই বিষয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাননি।

তিনি বলেন, ‘বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী আমরা পারিশ্রমিকের অর্থ পরিশোধ করেছি। এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আমরা ক্রিকেটাররা ইতোমধ্যে পাওনা পেয়েছে।’

এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী অফিসার ও একইসঙ্গে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এমনি করার কোনো সুযোগ নেই। যেখানে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চুক্তিপত্র করতে হবে।

বিপিএলের নবম আসরটিতে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক রয়েছে। কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এলিমিনেটর পর্বের আগে ডিআরএস পদ্ধতি ব্যবহার হবে না। এছাড়া টুর্নামেন্টের জন্য ভালো সময় বের করা যায়নি। যার কারণে বিদেশি ভালো কোনো ক্রিকেটার আসেনি।

আসর শুরুর পর অবশ্য বিতর্ক কিছুটা কমেছে। কেননা টুর্নামেন্টের তৃতীয় পর্বের সমাপ্তি পর্যন্ত অনেকগুলো রোমাঞ্চকর ও বড় স্কোরের ম্যাচ হওয়ায় মাধ্যমে সমালোচনা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। কিন্তু ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির এই সমস্যা যদি দূর করা না যায়, তবে বিসিবি ওপর ফের দায় এসে পড়বে।


আরও খবর



অধরা সাধ্যের ব্রয়লার মুরগিও

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;খাবারসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে খরচ পড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন দাম দেখে অনেকেরই ‘চক্ষু চড়ক গাছ’ হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, গরুর পর এবার মুরগির মাংসকেও বিদায় জানাতে বাধ্য হবেন অনেক ক্রেতা।

রাজধানীর রায়েরবাজারে মুরগি কিনতে এসে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ব্রয়লারের কেজি ২৭০-২৮০ টাকা হবে কখনো কল্পনাও করিনি। সুযোগ বুঝে রোজা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এক লাফে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে যা খুশি চলছে। দেখার যেন কেউ নেই। দ্রব্যমূল্যের এ পাগলা দৌড় কে থামাবে। এত দামে মুরগি কেনা সম্ভব নয়। এখন গরুর মতো মুরগি খাওয়াও ছাড়তে হবে।’

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত। মহাখালী, সেগুনবাগিচাসহ কদমতলী এলাকার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায়। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কাপ্তানবাজারসহ রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয় দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, সরবরাহ কমেছে। তাই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। খামার পর্যায়েও দাম বাড়ছে বলে জানান খামারিরা।

অথচ গত রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, মুরগির খাবারসহ অন্যান্য সব ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এ মুরগির বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে। বাজারে মুরগির দাম কত হওয়া উচিত, তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রিশিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মুরগির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

এদিকে প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রি খাতে প্রতিটি পর্যায়ে অনিয়মের কারণে বাজারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির ঘাটতির সুযোগ নিয়ে কয়েকটি চক্র অল্প সময়ে বিপুল মুনাফার চেষ্টা করছে। এর আগেও একবার মুরগি ও ডিমের বাজারে এমনটা হয়েছে। এবার রমজান মাস শুরুকে কেন্দ্র করে আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, একদিনের বাচ্চার দাম বাড়তে বাড়তে ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। বাড়তি এ দামেও বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার প্রান্তিক খামারি মো. শহীদুল আলম ও জয়পুরহাটের খামারি মিজবাহ-উল-হক জানান, বাচ্চা ও মুরগির দাম মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে হুটহাট বাড়ে-কমে। গতকালও এসএমএসে একদিনের বাচ্চার দর ৬২ থেকে ৬৭ টাকা জানানো হয়েছে। এ দামেও বাচ্চা মিলছে না। সিন্ডিকেটের বাইরের কারও বাচ্চা পেতে প্রতি পিসে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। যারা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ে যুক্ত রয়েছেন, তারা কম দামে বাচ্চা পাচ্ছেন। অপরদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পরই অজানা কারণে ফিডের (মুরগির খাবার) দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমানে ব্রয়লারের একদিনের বাচ্চার দাম ৬২ থেকে ৬৭ টাকা। যদিও খামারিরা বলছেন, বাচ্চা সংকট দেখিয়ে ডিলাররা দাম আরও বেশি রাখছেন। অথচ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও বাচ্চার দাম ছিল মাত্র ৯ টাকা। ১৫ তারিখে দাম বেড়ে ১৫ থেকে ১৮ টাকা হয়। এরপর ২৫ তারিখে ৩০ টাকা, ২৬ তারিখে ৩৬ টাকা, ৩০ তারিখে হয় ৪০ টাকা। ২ ফেব্রুয়ারি ৩৯ থেকে ৪২ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় ওঠে। মার্চে আরও বাড়ে। অর্থাৎ প্রায় আড়াই মাসে দাম ৭ গুণেরও বেশি বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, একটি বাচ্চার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত হলে সেটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, একদিনের বাচ্চার সম্পূর্ণ বাজার বড় করপোরেট কোম্পানিগুলোর হাতে। পাশাপাশি কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ের নামে তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন। গায়েবি এসএমএসে (মুঠোফোন বার্তা) হুটহাট বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের বাইরের খামারিরা বাচ্চা পাচ্ছেন না। পেলেও অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। সব দিক থেকেই করপোরেট কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

পোল্ট্রি খাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কারসাজিকারী চক্র ১৮০ কোটি টাকা লোপাট করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এবারের হিসাব আরও বড় হবে। রোজা ঘিরে আবারও একটি চক্র কারসাজি করছে। এর আগেও ডিম নিয়ে বড় কোম্পানির কারসাজির তথ্য উঠে এলে সরকারি সংস্থা মামলাও করেছে। কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। আমরা বহুবার এ তথ্য তুলে ধরছি। অথচ কারও যেন টনক নড়ছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও যেন চোখ বুজে আছে। ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১ মাসের সময় নিয়েছিল পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের কৌশলপত্র তৈরির জন্য। কিন্তু তা এখনো হয়নি।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কারসাজি করে বড় লোকসানে ফেলে ছোট খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যেগুলো অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাজার দখল করে নিয়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন তারা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেটের হাতে বাজার চলে গেলে এমনটাই হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিম নিয়ে কারসাজির সময় আমরা দেখেছিলাম আমদানির ঘোষণায় দাম রাতারাতি কমে গিয়েছিল। এবার ডলার সংকটের কারণে মুরগি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে না। এ কারণেই হয়তো মুরগির বাজারে কারসাজি চলছে।

কারসাজিকারীরা বাজারে নানা অনিয়ম ও মনিটরিংয়ে ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ে রসিদ ব্যবহার হচ্ছে না। বাজারে হাত বদলের সংখ্যা কমাতে হবে। বারবার ব্যবসায়ী সমিতির নাম উঠে আসছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে মুরগির দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে মুরগির দাম। বর্তমানে তা কেজিতে রেকর্ড ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রায় ১৫০ টাকা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে গত শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর গতকাল সোমবার বেড়ে দাঁড়ায় ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা পর্যন্ত।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারজুড়ে দাম কমতে শুরু করেছে মুরগির। মার্চের মাঝামাঝি কলকাতার বেশ কিছু বাজারে মুরগির কাটা মাংসের দাম কেজিতে ২৬০-২৭০ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) ছিল। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যেটির উত্তর থেকে দক্ষিণের জেলাগুলোতে এই দাম নিম্নমুখী।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন-এর তথ্যে বলা হয়েছে, গত ৭ দিনে কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা কমেছে পোল্ট্রি মুরগির মাংস। বর্তমানে কলকাতায় গোটা মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৩০-১৩৮ টাকা, কাটা মাংস ২১০-২১৫ টাকা কেজি। হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোটা মুরগির মাংস প্রতি কেজিতে ১২২-১২৮ টাকা, কাটা মুরগি ২০৫-২১০ টাকা কেজি।

গতকাল সোমবার থেকে রাজ্যটির পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে গোটা মুরগির মাংস প্রতি কেজিতে ১১৬-১২৩ টাকা আর কাটা ১৯৫-২০০ টাকা কেজি। বাঁকুড়া আর পুরুলিয়ায় গোটা মুরগির দাম কেজিতে ১১২-১১৯ টাকা আর কাটা মাংসের দর ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি।

অন্যদিকে দেশটির বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেওয়া আজকের তথ্যানুযায়ী, আজ মঙ্গলবার কর্ণাটক রাজ্যে চামড়াসহ প্রতি কেজি মুরগির মাংস ভারতীয় মুদ্রায় ১৯০ টাকা। অন্যদিকে দিল্লিতে গোটা মুরগির দাম ১৩০ টাকা। আসামে দাম ১৬০ টাকা। বিহার রাজ্যেও গোটা মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৩০ টাকা। গুজরাটেও একই দামে কেজি প্রতি গোটা মুরগি পাওয়া যাচ্ছে আজ।


আরও খবর



এবার মাহিকে নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আজ শনিবার সকালে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে মাহি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আর এই সময়ে এসে মাহির সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন তিন নির্মাতা শিহাব শাহীন, রেদওয়ান রনি ও আশফাক নিপুণ। এবার কথা বললেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

তার ভাষায়, ‘অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রেপ্তার করা হয়েছে। মাত্রই খবরে পড়লাম। পুলিশ তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেননি। মাহি জনপ্রিয় অভিনেত্রী, কিন্তু দেশের সব নাগরিকের মতো তিনিও আইনের অধীন। তবে এই কথাটা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, তিনি এখন নয় মাসের অন্তঃসত্তা। তার অভিযোগের তদন্ত চলুক, কিন্তু একজন গর্ভধারিণী মায়ের এবং তার সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।’

পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়ে জয়া বলেন, ‘রিমান্ড মঞ্জুর না করার জন্য বিজ্ঞ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশের কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করব, মা আর অনাগত শিশুর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে যেন সংবেদনশীল থাকবেন।’


আরও খবর



সৌদিতে সপ্তাহে তিন দিন ছুটির পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: গত বছর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সপ্তাহে চার দিন অফিস চালু করেছে। ছুটি দিয়েছে তিন দিন। এবার সেই পথ অনুসরণের পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। স্থানীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব তিন দিন সাপ্তাহিক ছুটি করার পরিকল্পনা করছে। 

সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সপ্তাহে চার দিন অফিস এবং তিন দিন ছুটির পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছে। দেশটিতে বেশিরভাগ বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার। 

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক টুইটার ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে বলেছে, অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে তারা শ্রমব্যবস্থার মূল্যায়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং বাজারকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে আইন সংশোধন করছে।

সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে দেশের শ্রমব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যে কোনো ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক কোম্পানিতে চার দিন অফিস ও তিন দিন ছুটির ব্যবস্থা করছে। দিন দিন এই ব্যবস্থা জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি ইউরোপে জনপ্রিয় হলেও আফ্রিকার অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে। 


আরও খবর



সব বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। এরইমধ্যে চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গাজীপুরের তেতুইবাড়ির কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নার্সিং পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে দিয়েছি। এই সেবার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও যেন আকৃষ্ট হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে আরও বেশি নিয়োজিত হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা নার্সদের কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

৪০ হাজারের মতো নার্স নিয়োগ দিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বয়স ছিল না তবে অভিজ্ঞ হিসেবে আমরা ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যাতে তারা সেবাটা দিতে পারেন। তার সঙ্গে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সেবা করার দিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা ২৩টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করেছি। আরও ১৬টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করার প্রক্রিয়া রয়েছে। আমরা প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি। এর সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের সেবা করে। বাংলাদেশটাকে আমরা বদলে দিতে পেরেছি। আজকের বাংলাদেশ হলো ডিজিটাল বাংলাদেশে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে পেরেছি। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়েছি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ আমরা বিনা পয়সায় মানুষকে দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি কমিউনিটি ক্লিনিকে আমরা যে বিনা পয়সায় ওষুধ দেই সেখানে ইনসুলিনটাও বিনা পয়সায় দিয়ে দেব। যাতে এই রোগটা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি।'

কোভিড মহামারীকালে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এখনই আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারা বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, যার ফলে মানুষের কষ্ট, যে কারণে আমরা অধিক দামে খাদ্য ক্রয় করে অল্প দামে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। যারা একেবারেই কর্মক্ষম তাদের জন্য আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। প্রায় ১ কোটি বিশেষ পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি, যেখানে মাত্র ৩০ টাকা দামে চাল কিনতে পারবে। সেই সঙ্গে তেল, ডাল বা রোজার সময় প্রয়োজনীয় জিনিস ছোলাসহ অন্যান্য জিনিস আমরা দিচ্ছি।'

সরকারপ্রধান বলেন, বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করছি, তারাও মেডিকেল কলেজ করছে এবং সেই সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নার্সিংয়ের ব্যাপক চাহিদা, আমাদের দেশে জনসংখ্যা বেশি, আমাদের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় হাসপাতাল রয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, মাতৃসেবা কেন্দ্র রয়েছে, সবক্ষেত্রে আমাদেরই বেশি নার্সও দরকার। ’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের সিইও মো. তৌফিক বিন ইসমাইল।

এতে স্নাতক সমাপনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া কেপিজে হেলথকেয়ার ইউনিভার্সিটি উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস দাতো ডা. লোকমান সাইম।


আরও খবর