Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির পদত্যাগ করা এমপিরা কী সুবিধা নিয়েছেন, জানতে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির এমপিরা রাষ্ট্র থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ নোটিশ পাঠান।

সংসদ সচিবালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে বিএনপির এমপিরা রাষ্ট্র থেকে যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।

এরপর গতকাল রোববার দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন পাঁচ এমপি। এ সময় অনুপস্থিত দুজনের পক্ষেও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়। স্পিকার তখন পাঁচ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং ওই পাঁচটি আসন শূন্য হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।

বাকি দুজনের একজন আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় তার আবেদনের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলে যাচাই করার পর গ্রহণ করার কথা জানিয়েছিলেন স্পিকার। আর হারুন অর রশিদ বিদেশে থাকায় তার পদত্যাগপত্র আপাতত গ্রহণ করা হয়নি।

সন্ধ্যার মধ্যে আব্দুস সাত্তারের পদত্যাগের আবেদন যাচাই শেষে গ্রহণ করা হয়। এরপর রাতে সংসদ সচিবালয় থেকে ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।


আরও খবর



মান্দায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় তুচ্ছ ঘটনায় এক সন্তানের জনক সাদেকুল ইসলাম ওরফে ছোটন (২৬) নামে এক যুবকের পিটিয়ে  হত্যার ঘটনায় অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক সোমবার (১৫ এপ্রিল) অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বাদলঘাটা গ্রামে ঘটেছে।

নিহত সাদেকুল ইসলাম ছোটন বাদলঘাটা গ্রামের চা বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। রোববার রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি । হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত সাগর হোসেন (৩০) একই গ্রামের হযরতুল্যাহ মন্ডলের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সাগরের পরিবারের  সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।স্থানীয়রা জানান,নিহতের বাবা একজন চা বিক্রেতা।তিনি চা বিক্রি করেই জীবন-যাপন করেন। তিনি গ্রামের একজন অসহায় মানুষ। এ কারণে প্রতিবেশি আশরাফ আলী’র ছেলে জামাল উদ্দিন নামে এক আ’লীগ নেতা তাকে দোকানঘর করার জন্য কিছু জমি দেয়। তার দেওয়া জমিতে দোকানঘর তৈরি করে চা- ব্যবসা করে আসছিলেন। আশরাফ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অভিযুক্ত সাগর গত (১১ এপ্রিল) শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাকের দোকান উচ্ছেদের জন্য ভাংচুর শুরু করেন। ওইসময় দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিহত ছোটন। এরই এক পর্যায়ে নিহত ছোটনের শরীরে একটি বাঁশের কাবাড়ি’র সজোরে আঘাত লাগে।  ওইসময় তিরি প্রতিবাদ করলে তার মাথায় কাঠের বাটাম (লাঠি) দিয়ে সজোরে আঘাত করে অভিযুক্ত সাগর । এতে ঘটনা স্থলেই মাটিতে লুটে পড়েন নিহত সাদেকুল ইসলাম ছোটন। পরবর্তীতে তাকে আরো একাধিক আঘাত করা হয় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে রামেকে নেওয়ার পর তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মর্ডান ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে দেন। ঘটনার ৩ দিনপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন,এঘটনায় নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ট্রেনের অগ্রিম টিকিট আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ৩ এপ্রিল থেকে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে।

সোমবার আজ (২৫ মার্চ) সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ বিক্রি করা হবে ৪ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। এটি ঈদে ট্রেন যাত্রার দ্বিতীয় দিনের টিকিট।

আজ পাওয়া যাবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



ঈদ উদযাপনে পুলিশের ১৮ পরামর্শ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে ১৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

পরামর্শগুলো হলো-

যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রাখুন।

চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দিবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করবেন না।

রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে জেব্রা ক্রসিং অথবা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ নেই সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হউন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে কিংবা লড়ু ৎরফরহম করবেন না। এতে জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

অপরিচিত কোন ব্যক্তির নিকট থেকে খাবার খাবেন না।

বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ

অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে না দেওয়া। চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দেওয়া। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো যাবে না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করা যাবে না।

বাস চালকদের প্রতি অনুরোধ

ওভার স্পিডে গাড়ি চালাবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং করবেন না। ক্লান্তি বা অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সাথে রাখুন।

আঞ্চলিক সড়ক/মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলুন।

লঞ্চ/ স্টিমার/ স্পিডবোটের যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌযানে উঠবেন না। নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

যাত্রাপথে ঝড় দেখা দিলে এদিক ওদিক ছোটাছুটি না করে নিজের জায়গায় অবস্থান করুন। স্পিডবোটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।

লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোট মালিকদের প্রতি অনুরোধ

নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ও ড্রাইভার দ্বারা নৌযান পরিচালনা করুন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌযানের চলাচল বন্ধ রাখুন। নৌযানের মাস্টার ব্রিজে যাত্রী সাধারণের অবাধ চলাচল বন্ধ করার জন্য দু’পাশ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন। লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া রাখুন।

লঞ্চ/ স্টিমার/ স্পিডবোট চালকদের প্রতি অনুরোধ

আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ত্যাগ করুন। ডেকের উপর যাত্রীদের বসার স্থানে মালামাল পরিবহন থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত সংখ্যক বয়া/ লাইফ জ্যাকেট নৌযানে রাখুন।

যাত্রাপথে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন বা তীরে ভিড়িয়ে রাখুন। নৌযানে মোবাইল ফোন ও রেডিও রাখুন এবং নিয়মিত আবহাওয়ার বুলেটিন শুনুন।প্রয়োজনে আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন।

বৈধ কাগজপত্র বিহীন নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকুন।

সকল ফায়ার পাম্প ও অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতির সঠিকতা নিশ্চিত করুন। দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান সনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযানসমূহে ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সম্বলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন।

ট্রেন যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

ট্রেনের ছাদে, বাফারে, পাদানিতে ও ইঞ্জিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণের সময় পাথর নিক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণকালে মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন। বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। যে কোন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পুলিশকে অবহিত করুন। জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করুন।

প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে ০১৩২০০০১২৯৯, হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৮২৫৯৮, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৭৭৫৯৮, নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৬৯৫৯৮, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ০১৭৭৭৭২০১৯৯ নম্বরে এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে যোগাযোগ করুন।


আরও খবর



যশোরে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপিয়ে মা মেয়ের আত্নহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোর সদরের পোলতাডাঙ্গা শশ্নানঘাট এলাকায় ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ দিয়ে মা মেয়ে আত্নহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকাল ৩ টার সময়। নিহতরা হলেন বড় হৈবতপুর গ্রামের ভাড়াটিয়া লাকি বেগম(৩৫) ও তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিম(১২)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড় হৈবতপুর গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর মেয়ে লাকি বেগম। স্বামী পরিত্যাক্ত লাকি বেগম তার একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিমিকে সাথে নিয়ে সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো। রোববার বিকাল ৩ টার সময় তারা মা ও মেয়ে পোলতাডাঙ্গা নামকস্থানে এসে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যা করতে পারে। তবে কি কারণে আত্নহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সাখাওয়াত হোসেন জানান, সুন্দরবন এক্সেপ্রেস ট্রেনটি তিনটার দিকে যাওয়ার পর লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তিনি আরো বলেন,মেয়েটিকে জোর করে নিয়েই মা ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ দেয়।

নিহতের ছোট বোন রোজিনা খাতুন জানান, তিনি জানতেন তার বোন সকালে ডাক্তার দেখাতে যশোর শহরে গেছে। পরে তার বোনের মোবাইল থেকে ফোন করে জানানো হয় তারা ট্রেনে কেটে মারা গেছে। তবে কি কারণে তারা আত্নহত্যা করেছে তা তিনি জানেননা। রোজিনা খাতুন আরো জানান, তার বোনের দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিলো। বর্তমানে তিনি স্বামী পরিত্যাক্ত।

সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সেলিম হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটা আত্নহত্যা।তবে কি কারণে তারা মা মেয়ে একই সাথে আত্নহত্যা করেছে তা এখনি বলা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, মরদেহের পাশ থেকে একটি জম্মদিনের কেক, একটি মোবাইল ফোন ও দুটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।


আরও খবর



৮ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঢাকাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার (৩১ মার্চ) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা এবং কুমিল্লা জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর