Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

বিএনপির পদত্যাগ করা এমপিরা কী সুবিধা নিয়েছেন, জানতে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির এমপিরা রাষ্ট্র থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ নোটিশ পাঠান।

সংসদ সচিবালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে বিএনপির এমপিরা রাষ্ট্র থেকে যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।

এরপর গতকাল রোববার দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন পাঁচ এমপি। এ সময় অনুপস্থিত দুজনের পক্ষেও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়। স্পিকার তখন পাঁচ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং ওই পাঁচটি আসন শূন্য হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।

বাকি দুজনের একজন আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় তার আবেদনের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলে যাচাই করার পর গ্রহণ করার কথা জানিয়েছিলেন স্পিকার। আর হারুন অর রশিদ বিদেশে থাকায় তার পদত্যাগপত্র আপাতত গ্রহণ করা হয়নি।

সন্ধ্যার মধ্যে আব্দুস সাত্তারের পদত্যাগের আবেদন যাচাই শেষে গ্রহণ করা হয়। এরপর রাতে সংসদ সচিবালয় থেকে ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।


আরও খবর



‘মোখা’ উপকূলে আঘাত হানবে কখন, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এটি আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটারের দূরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এটি আজ শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এ কারণে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধস হতে পারে।

এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (১৫ মে) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উপকূলীয় ১৩টি জেলায় সাত হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুর্নবাসন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মোখার বিষয়ে আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের উপনেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।


আরও খবর



চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য আফছারুল আমীন মারা গেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

তার ভাই এরশাদ আমীন বলেন, ‘আমার বড় ভাই আফছারুল আমীন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

পরিবার সূত্র জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। প্রথমে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরপর দেশে নিয়মিত চিকিৎসা নেন।

তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম-১০ আসনে ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সরকারের নৌপরিবহন ও পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।


আরও খবর



আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের ২৭৫ রানের জবাবে ৩ উইকেট হারিয়েই ২২৫ রান তুলে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। ৫০ বলে দরকার ছিল মাত্র ৫০ রান। আয়ারল্যান্ডের জয় যখন সময়ের অপেক্ষা মনে হচ্ছিল তখনই আঘাত হানেন অনিয়মিত বোলার নাজমুল হোসেন শান্ত। এই রানে হ্যারি টেক্টরকে ফিরিয়ে শান্ত যে উৎসব শুরু করেন, বাকি ৫ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগ করে ও আটসাঁট বোলিংয়ে সেই উৎসবের পূর্ণতা দেন দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।

পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি আইরিশরা। হার দেখে ৫ রানের। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল তামিম ইকবালের দল।

বাংলাদেশের দেয়া ২৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭ রানে স্টিফেন ডোহানির উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান ওপেনার পল স্টার্লিং ও তিনে নামা অ্যান্ডি বলবার্নি। ১২৬ রানের মাথায় ফেরেন ৫৩ রান করা বলবার্নি। দলের সাথে আর ২০ রান যোগ হতে ফেরেন স্টার্লিংও (৬০)।

এরপর ৬৪ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হ্যারি টেক্টর ও লোরকান টাকার। তবে ম্যাচের নাটকীয়তা তখন অনেক বাকী। যেই নাটকের শুরু করেন শান্ত, টেক্টরকে ফিরিয়ে। ২২৫ রানে টেক্টরের (৪৫) বিদায়ের পর ২২৬ রানে ক্যাম্ফার, ২৩৬ রানে জর্জ ডকরেল ও ২৪২ রানে লোরকান টাকারকে (৫০) বিদায় করেন মোস্তাফিজ।

শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ২৪ রান দরকার ছিল আইরিশদের, হাতে ৩ উইকেট। মৃত্যঞ্জয়ের করা ৪৯তম ওভারে চার-ছক্কায় ১৪ রান তুলে নেন মার্ক অ্যাডায়ার। হাসান মাহমুদের করা শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল। তবে শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে আইরিশ স্বপ্নের মৃত্যু ঘটান হাসান।

এর আগে, প্রথম ইনিংসে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪ রান করে বিদায় নেন রনি। তবে রনি ফিরলেও রানের গতি দারুণভাবে বজায় রেখেছিলেন ব্যাট করছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬৭ রানের মাথায় ফেরেন শান্তও। দৃষ্টিনন্দন সব বাউন্ডারিতে ৩২ বলে ৩৫ করেন তিনি। দলীয় ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে স্লিপে শান্তর ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবর্নি। এরপর চারে নামা লিটন দাসকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে দলীয় ১৩৭ রানে লিটনের বিদায়ে ভাঙে ৭০ রানের জুটি।

৩৯ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৫ রান করে ফেরেন লিটন। লিটনের বিদায়ে মাঠে নামেন আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া তাওহীদ হৃদয়। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৫৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন তিনি। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে পতন হয় তামিমের। ১৮৬ রানের মাথায় জর্জ ডকরেলের করা ৩৪তম ওভারের তৃতীয় বলে লিডিং এজ হয়ে ক্যাচ উঠিয়ে দেন তামিম। সহজ ক্যাচ লুফে নিতে কোনো ভুল করেননি ক্রেগ ইয়ং। যাওয়ার আগে ৮২ বলে ৬টি চারে ৬৯ রান করেন তামিম। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ৫৬তম ওয়ানডে ফিফটি। ৯ ম্যাচ পর ফিফটি পেয়েছেন তিনি। তবে এই ম্যাচেও শুরুতে তাকে ফেরানোর সুযোগ ছিল। জশ লিটলের বলে দ্বিতীয় স্লিপে তার সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি অ্যান্ড্রু বলবার্নি।

তামিমের বিদায়ের পর মিরাজকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন মুশফিক। ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনশ রানের দিকে। তবে ছন্দপতন শুরু হয় ২৬১ রানের মাথায় মুশফিক অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লে। ৫ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন মুশফিক। চার রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৭ রান করা মিরাজও বিদায় নেন। এরপর ২৭১ রানের মাথায় হাসান, ২৭৩ রানে মোস্তাফিজ ও ২৭৪ রানে ফেরেন মৃত্যুঞ্জয়। শেষ ৪ উইকেটের তিনটিই দখল করেন মার্ক অ্যাডায়ার। ম্যাচে তার শিকার ৪ উইকেট। দুইটি করে উইকেট নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও জর্জ ডকরেল।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলোর একমাত্র ভরসা বাশেঁর সাকোঁ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ পূর্বে ভারত পশ্চিমে ব্রক্ষপুত্রর নদ দ্বারা বিছিন্নজনপদে বসবাস করছেন রৌমারী ও রাজিবপুরের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। এরমধ্যে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চল ছিলো কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলাটিতে হানাদার বাহিনির হায়নাররা প্রবেশ করতে পারেননি। ততকালিন যুদ্ধর সময় রৌমারী সিজি জামান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামক স্থানে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণে অংগ্রহণ করেছিলেন। রৌমারী সিজি জামান মাঠ প্রাঙ্গনে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এমন খবরের পাকিস্থানী হায়নাররা রৌমারী উপজেলায় প্রবেশ করার সাহস পাচ্ছিলনা। ফলে রৌমারী উপজেলাটি ৭১ সালের যুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চল হিসেবে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রশিক্ষনের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জানতেন। এই মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলো এখন পর্যন্ত অসহায় শুধু যাতয়াতের উন্নয়ন না হওয়ার কারনে। উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা আলগারচর , লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বংশির ভিটা,বাগান বাড়ী, চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বিকরিবিল, খেওয়ার চর, বকবান্দা,নামা পাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নিজের তৈয়ারী করা বাঁেশর সাকোঁ। মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলোর ভাগ্যের পরির্বতন কেন হচ্ছেনা জানতে চায় বিছিন্ন এলাকার মানুষ। রাস্তাবিহিন বিছিন্নজনপদের মানুষ গুলোর অভিযোগ আর আর্থনাত কেউ যেন আমলে নিচ্ছেনা এমন অভিযোগ অনেকের। ততসময় রৌমারীর সকলস্থরের জনসাধারনরা মুক্তিযোদ্ধাদের সকলপ্রকারের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আজ স্বাধীন বাংলাদেশ নামে সারাবিশ্বে পরিচিত লাভ করেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাসের বানি দিয়ে ভোটের সময় ভোট নেয়,ভোট নেয়া শেষ হলে আর খবর রাখেনা এটি হচ্ছে বাস্তব চিত্র। ১০টি গ্রামে রয়েছে কয়েকহাজার হেক্টর জমি ওই জমির ফসল গুলোও ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত যোগাযোগ ব্যবস্তা না থাকায়। হাজার হাজার একর জমির ফসল বাশেঁর সাকোঁর উপর ভর করে বহন করতে হচ্ছে ক্ষেতের ফসল। যোগাযোগ ব্যবস্তা ভালো থাকলে একবিঘা জমির ফসল আনতে খরচা হতো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। আর যোগাযোগের ব্যবস্তা না থাকায় বিছিন্নজনপদে একবিঘা জমির ফসল মাথায় করে বাড়ী পর্যন্ত বহন করতে খরচা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। একারনে এঅঞ্চলের মানুষ গুলো দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরেও আলোর মুখ দেখতে পারেননি বলেও অভিযোগ এলাকাবাসিদের। বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন বলেন এই জিঞ্জিরাম নদিতে একটি ব্রীজের দাবীতে দীর্ঘ ৫০টি অতিবাহিত হলেও ব্রীজটি না পাওয়ার বেদনা থেকেই গেলো আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা র, সুদৃষ্টি কামনা করছি। স্কুল শিক্ষার্থী রুবি আক্তার বলেন আমরা স্কুলে যাই যাইতে আসতে অনেক সময় বইসহ ব্রীজ ভাঙ্গে পানিতে পইরা যাই সেদিন আর স্কুলে যাওয়া হয়না, আমি সরকারের কাছে একটি ব্রীজ চাই। নবম ¤্রনেীর স্কুল ছাত্র রফিকুল ইসলাম ব=জানায় প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে এই বাশেঁর সাকোঁর উপর দিয়ে যাতয়াত করতে হয় প্রায়ই সমস্যায় পরতে হয় সরকার যদি এখানে একটি টেকসই ব্রীজ করে দিতেন তাহলে এই এলাকার উন্নয়ন হতো। এমন আবেগের অভিযোগ অনেকের রয়েছে শুধু একটি ব্রীজের দাবীতে ৫২টি বছর এমনিভাবেই পেরিয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত ভাগ্যে জোটেনি এই এলাকার জন্য একটি টেকসই ব্রীজ। উপজেলার চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা জিঞ্জিরাম নদের উপর একটি ব্রীজের দাবীতে ৫২টি বছর চরম দূর্ভোগে ১০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ এবিষয়,কুড়িগ্রাম জেলা প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা ব্রীজের খুবই প্রয়োজন এটি আমার মাথায় আছে। তবে বর্তমান কোন প্রকল্প নেই নতুন বাজেট আসছে প্রকল্প আসলেই ওখানে ব্রীজ করা হবে এমন আশ্বাস দিয়েছে জেলাএলইজিডির প্রকৌশলী


আরও খবর