Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম
লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে নিহত ৩৩ রানা প্লাজা ধস: সাক্ষ্যগ্রহণেই পার ১১ বছর এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ দেহ ব্যবসা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি ! সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার বেনজীর আহমেদ মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিলেন বাংলাদেশ-কাতারের ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই তৃষ্ণার্ত মানুষের জন্য খাবার পানি সরবরাহ করছেন কাফরুল থানা পুলিশ

বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৬ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে ভোট শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সব কয়টি আসনে ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার, সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার এডুকেশন যথেষ্ট করা হচ্ছে। সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’

এই ছয়টি আসনের ভোট নিয়ে উৎসব-আমেজ না থাকলেও প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই। নিরুত্তাপ ভোটে সবার নজর কেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। এই আসন থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ উকিল সাত্তারকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছে।

এদিকে এ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, শুক্রবার রাত থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদকে কোনো বাহিনী তুলে নেয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।

আজকের উপনির্বাচনে অনেকের নজর কেড়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আলোচিত এই ‘অভিনেতা’ বগুড়া-৬ (সদর) ও ৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) দুটি আসনেই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথমে রিটার্নিং অফিসার ও পরে নির্বাচন কমিশন তার দুটি আসনের প্রার্থিতা বাতিল করলেও উচ্চ আদালতের আদেশে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এই ৬টি আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৬৭টি। ভোটকক্ষ ৫ হাজার ৮৯৮টি। মোট ভোটার ২২ লাখ ৫৪ হাজার ২১৭ জন। ৬টি আসনে মোট ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আসনগুলো হলো- বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এবং ৩।


আরও খবর



ফুলবাড়ী উপজেলার সমশের নগরে বালু তোলায় বাঁধা দেওয়ায় কৃষককে মারপিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বুজরুক শমসের নগর গ্রামস্থ ছোট যমুনা নদী সংলগ্ন কৃষক আজিজুল ইসলাম (৪০) এর জমির ধার থেকে বালু উত্তোলন কারীদেরকে বাঁধা দিতে গেলে সমশের নগর গ্রামের মৃত জয়বার আলীর পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন কৃষক আজিজুল ইসলামকে বেদম মারপিট করেন।

ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির বুজরুক শমসের নগর গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র মোঃ আজিজুল ইসলাম (৪০) এর গত ২৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবনগর ইউপির শমসেরনগর গ্রামের মৃত জয়বার আলীর পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন (৩৫), মোঃ ফয়জুল ইসলাম (৩৯), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৭), তারা গত ২৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে সকাল ৯ ঘটিকার সময় শমসের নগর গ্রামস্থ ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। নদীর পাড় সংলগ্ন মোঃ আজিজুল ইসলামের আবাদি জমি রয়েছে, সেই জমি বালু তোলার কারণে ভেঙ্গে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে আবাদি জমি পর্যায়ক্রমে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বালু তোলার কারণে। সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষক মোঃ আজিজুল ইসলাম তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে উল্লেখ্য ব্যক্তিরা আজিজুল ইসলামকে একা পেয়ে বেদম মারপিট করেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কৃষক আজিজুল ইসলাম ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক কৃষক আজিজুল ইসলাম ফুলবাড়ী থানায় ০৩ (তিন) জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তারা আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিবনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছামেদুল ইসলাম (মাস্টার) এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শ্মশান ঘাটের পার্শ্বে ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে সেখানে আমার ট্রলি চলছে। তবে আমার ট্রলির ড্রাইভার বালু উত্তোলন করছে কিনা বলতে পারব না। সরকারি কাজে বালুর প্রয়োজন হওয়ায় সেখান থেকে প্রশাসনকে বলে কিছু বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কৃষক আজিজুল ইসলামকে কারা মারপিট করেছে আমি বলতে পারব না। এদিকে কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, শ্মশান ঘাটি যমুনা নদী সংলগ্ন পাড়ের ধাঁরে আমার আবাদি জমি রয়েছে। সেই জমি ভেঙ্গে পড়ছে, আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারপিট করে। আমার স্ত্রী ও আমার পিতা সেখানে গেলে তাদেরকেও বালু উত্তোলনকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দেন। আমি ন্যায় বিচারের আশায় থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।


আরও খবর



খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলার সকল ইউনিটের ইনচার্জদের নিয়ে জেলা পুলিশের এপ্রিল মাসের কীট প্যারেড, মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ( ২২ এপ্রিল)  জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে কীট প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে মার্চ মাসের আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।কীট প্যারেড পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) ফোর্সদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা ও কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিকট থেকে পুলিশ লাইন্সের আবাসন, রেশন, পরিবহন, ডিউটি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যাসহ তাদের নিকট হতে সমস্যা সমূহের সমাধানের বিষয়ে সকলের ব্যক্তিগত মতামত সমূহ শুনেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি সকল অফিসার ও ফোর্সকে পুলিশের অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা, সদাচরণ, পেশাদারিত্ব এবং আইন ও বিধি মেনে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। জেলার অভ্যন্তরীণ আভিযানিক ও দাপ্তরিক  বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের ০৫ জন পুলিশ অফিসারকে সার্বিক মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে মার্চ মাসের জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে অত্র মাসের কল্যাণ সভায় সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান এর মাধ্যমে পুরষ্কৃত করা হয়।

পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন-শ্রেষ্ঠ সার্কেল- মাটিরাঙ্গা সার্কেল,সহকারী পুলিশ সুপার  আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ, , শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ –মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) – মাটিরাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. শরীফ, শ্রেষ্ঠ এসআই –মাটিরাঙ্গা থানার এস আই মো. মাসুদ আলম পাটোয়ারী, শ্রেষ্ঠ এএসআই -মাটিরাঙ্গা থানার এএসআই শাহ নেওয়াজ (পিপিএম),।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) অপরাধ সভায় জেলার সকল অফিসার ইনচার্জদের উদ্দেশ্য মাদক ও চোরাচালান এর বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে তৎপরতার সহিত পুলিশিং কার্যক্রম করার নির্দেশ দেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে প্রকৃত জড়িত আসামীদের গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত বা চোরাইকৃত সম্পত্তির দ্রুততম সময়ে উদ্ধারের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন।কোন ঘটনায় নিরীহ কোন ব্যাক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখার জন্য সকল সার্কেল অফিসার, সকল অফিসার ইনচার্জ ও সকল ফাঁড়ী ইনচার্জদের  নির্দেশ প্রধান করেন।

আরও খবর



ঈদ উদযাপনে পুলিশের ১৮ পরামর্শ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে ১৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

পরামর্শগুলো হলো-

যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রাখুন।

চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দিবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করবেন না।

রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে জেব্রা ক্রসিং অথবা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ নেই সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হউন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে কিংবা লড়ু ৎরফরহম করবেন না। এতে জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

অপরিচিত কোন ব্যক্তির নিকট থেকে খাবার খাবেন না।

বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ

অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে না দেওয়া। চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দেওয়া। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো যাবে না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করা যাবে না।

বাস চালকদের প্রতি অনুরোধ

ওভার স্পিডে গাড়ি চালাবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং করবেন না। ক্লান্তি বা অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সাথে রাখুন।

আঞ্চলিক সড়ক/মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলুন।

লঞ্চ/ স্টিমার/ স্পিডবোটের যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌযানে উঠবেন না। নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

যাত্রাপথে ঝড় দেখা দিলে এদিক ওদিক ছোটাছুটি না করে নিজের জায়গায় অবস্থান করুন। স্পিডবোটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।

লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোট মালিকদের প্রতি অনুরোধ

নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ও ড্রাইভার দ্বারা নৌযান পরিচালনা করুন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌযানের চলাচল বন্ধ রাখুন। নৌযানের মাস্টার ব্রিজে যাত্রী সাধারণের অবাধ চলাচল বন্ধ করার জন্য দু’পাশ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন। লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া রাখুন।

লঞ্চ/ স্টিমার/ স্পিডবোট চালকদের প্রতি অনুরোধ

আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ত্যাগ করুন। ডেকের উপর যাত্রীদের বসার স্থানে মালামাল পরিবহন থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত সংখ্যক বয়া/ লাইফ জ্যাকেট নৌযানে রাখুন।

যাত্রাপথে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন বা তীরে ভিড়িয়ে রাখুন। নৌযানে মোবাইল ফোন ও রেডিও রাখুন এবং নিয়মিত আবহাওয়ার বুলেটিন শুনুন।প্রয়োজনে আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন।

বৈধ কাগজপত্র বিহীন নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকুন।

সকল ফায়ার পাম্প ও অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতির সঠিকতা নিশ্চিত করুন। দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান সনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযানসমূহে ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সম্বলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন।

ট্রেন যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

ট্রেনের ছাদে, বাফারে, পাদানিতে ও ইঞ্জিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণের সময় পাথর নিক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণকালে মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন। বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। যে কোন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পুলিশকে অবহিত করুন। জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করুন।

প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে ০১৩২০০০১২৯৯, হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৮২৫৯৮, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৭৭৫৯৮, নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৬৯৫৯৮, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ০১৭৭৭৭২০১৯৯ নম্বরে এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে যোগাযোগ করুন।


আরও খবর



সভাপতি ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঅর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো: ফেরদৌস আলমকে সভাপতি এবং 

পুলিশের (পিবিআই) অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে কলাপাড়া উপজেলা সমিতি ঢাকার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২০২৬ সালের জন্য ৫১ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

৩০ মার্চ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে সমিতির প্রধান পৃষ্টপোষক পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং

 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী 

মোঃ মহিববুর রহমান এ কমিটি ঘোষনা করেন এবং প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহীদুর রহমান সিআইপি সহ এ কমিটি অনুমোদন করেন।


কমিটির অন্যরা হলেন:সহ-সভাপতিঃ

গাজী মো. মনিরুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, শাহ মো.আলমগীর, আসাদুজ্জামান সোহেল, গাজী মিজানুর রহমান,

মো. আব্দুর রব, 

মো. রেজাউল করিম বাবলা, 

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ


গনেশ চন্দ্র হাওলাদার,

 মো. শহীদুল ইসলাম খান, মো. শহীদুল ইসলাম,

 মো. নুরুজ্জামান, 

এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন,


 অর্থ সম্পাদকঃ

 মো. ছিদ্দিকুর রহমান, 

সহ অর্থ সম্পাদক 

মো. আমিনুর রহমান রুবেল,  


দপ্তর সম্পাদকঃ 

ইঞ্জি. সাইফুল্লাহ আল মামুন, 

মো. মেহেদী হাসান, 

তরিকুল ইসলাম, 


শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদকঃ

সাইফুল ইসলাম শাহীন, 


মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকাঃ


নীলিমা বিশ্বাস, 

নিগার সুলতানা লাইজু, মুক্তা ব্যাপারী,

 

সমাজকল্যাণ সম্পাদকঃ হাবীবুর রহমান বাবুল,


প্রচার সম্পাদকঃ

বদরুল আলম নাবিল, 

সহ প্রচার সম্পাদক

মো. মহিবুল্লাহ মুহিব, 


আইন ও মানবাধিকার সম্পাদকঃ

 মো. এরশাদুল কায়সার,


সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ

 মো. জাহিদ ইসলাম, 


যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকঃ

 মো. কামরুজ্জামান, 


স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদকঃ গাজী মোহাম্মদ নাঈম,


 তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষনা সম্পাদকঃ

এস, এম, মাকসুদুল ইসলাম,


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ 

মো. অহিদুল ইসলাম, 


ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ

 মো. হেলালুর রহমান,


সাংগঠনিক সম্পাদকঃ


নূরে আলম আজাদ, 

মো. আল আমিন, 

মো. মনিরুজ্জামান (মারুফ),

মো. হান্নান হোসেন তালুকদার,


নির্বাহী সদস্যঃ


এ্যাডভোকেট আবুল কালাম, 

রাফসান মাহমুদ কাজল, মোসাঃ আফিফা বেগম লাইলী,

 মেহেদী হাসান রুম্মান, 

মো. রোকনুজ্জামান পান্নু, জাকির হোসেন (মোল্লা), জোবায়ের শাকিল, 

মো. কামাল হোসেন, জাকির হোসেন, 

করিম আকন, 

গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মো. মনিরুল ইসলাম (ব্যাংকার), 

মো. মনিরুল ইসলাম (শিক্ষক) এবং

 তৌসিফুর রহমান নিপুন।


অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কুয়াকাটায় আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর করার বিষয়ে সরকার বিবেচনা করছে বলে জানান এবং কলাপাড়াকে জেলা করার বিষয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানান, সমিতির সকল সদস্যকে এব্যাপরে তার পরিকল্পনামতো কাজ করার আহ্বান জানান। সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহীদুর রহমান সিআইপি তার বক্তব্যে কলাপাড়ার যে কোনো উন্নয়নে গত ত্রিশ বছরের ন্যায় ভবিষ্যতেও সব সময় সহায়তা করার কথা বলেন এবং সমিতির স্থায়ী অফিস করার জন্য পনের লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পিএসসির আইন উপদেষ্টা সিনিয়র জেলা জজ খাদেমুল কায়েস, সিনিয়র জেলা জজ মঞ্জুরুল হোসাইন, আইনজীবি ও ঢাকা জজ কোর্টের অতিরিক্ত প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকার্তা মিজানুর রহমান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর খন্দকার আবুল কালাম প্রমুখ। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় ঢাকাস্থ পটুয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। দোয়া মাহফিল ও ইফতারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।


আরও খবর



পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।

এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।


আরও খবর