Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির আন্দোলনে অর্ধেক পরাজয় হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যারা বলেছিল- ‘‘নয়াপল্টনে সমাবেশ করবোই।’’ আজ তারা গোলাপবাগে। তাহলে পরাজয় কার হলো? আমাদের না বিএনপির? আন্দোলনে অর্ধেক পরাজয় এখানেই হয়ে গেছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। কাতারের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে। লাঠি বা আগুন নিয়ে আসলে খেলা হবে। অনেক ছাড় দিয়েছি, আর ছেড়ে দেব না।

জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) থাকবে গোলাপবাগে, আমরা চলে যাচ্ছি সাভারে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাদের ঢাকা দিয়ে গেলাম। আমরা ক্ষমতায়। আমরা কেন, অশান্তি চাইব? আমরা কেন বিশৃঙ্খলা চাইব?

বিএনপির প্রতি অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। বিএনপির ক্ষমতায় আসার রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে যাবে।’

তিনি বলেন বিএনপি আজ বলে সরকার না কি ভয় পেয়ে গেছে। সরকার ভয় পেয়েছে? এখানে নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণের সভা, এদিকে নবাবপুর, সেদিকে গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম। বিশাল সমাবেশ মাত্র ঢাকা দক্ষিণ করেছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন সাংবাদিক বন্ধুরা সত্যটা তুলে ধরুন। কিছু কিছু মিডিয়া বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নেমেছে। তারা কারা, সময় মতো জবাব পাবে। কোনো কোনো মিডিয়া, রাতে ও সকালে দেখলে মনে হয় না এখানে আর কোনো দল আছে। বলেন (উপস্থিতদের উদ্দেশে) আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দল আছে?

ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি যারা আমাদের দেশে আছেন। বন্ধু দেশের প্রতিনিধিরা কারো পক্ষ নেবেন না। আমাদের ঘরের ভেতরে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমরা জানি কীভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হয়।


আরও খবর



প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরেও ভবন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে মাধ্যমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ৫৮ বছরেও সংস্কার না করায় প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করতে হচ্ছে। ৬টি ভবনের মধ্যে সবগুলো ভবনই ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় এখন জোরাতালি দিয়ে ক্লাশ পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিদ্যালয় ষুত্রে জানা গেছে, আমতলীর শিক্ষানুরাগী সাবেক এমএলএ মরহুম মফিজ উদ্দিন তালুকদার ১৯৬৫ সালে আমতলী শহরের প্রানকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে আমতলী এমইউ (মফিজ উদ্দিন) বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪২০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টির ৬টি ভবনের মধ্যে সবগুলো ভবনই ব্যবহার অযোগ্য। বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৬৬ সালে ৪ কক্ষের ১ তলা মূল ভবনটি নির্মান করা হয়। এই ভবনে রয়েছে ১টি হলরুম, প্রধান শিক্ষকের বসার কক্ষ, অফিস, শিক্ষক মিলনায়তন ও শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব।

ভবনটি নির্মানের পর কোন ধরনের সংস্কার না করায় বর্তমানে ভবনের ছাদে ফাটল ধরে অনেক জায়গা দিয়ে ধসে পরেছে। বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরায় মূল ভবনের ভিতরে কেউ বসতে পারে না। এই ভবনের একটি কক্ষে রয়েছে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব। পানি পরার কারনে বর্ষা মৌসুমে তা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। প্রধান শিক্ষক,অফিসকক্ষসহ সকল রুমের একই অবস্থা। ভবনের অধিকাংশা দরজা জানালা খুলে পরেছে। মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে ১৯৭২ সালে ২ কক্ষের একটি টিনসেডের ক্লাশ রুম নির্মান করা হয়। সংস্কারের অভাবে ৫ বছর পূর্বে সেটি তালাবদ্ধ করে রাখ হয়েছে। এর পাশেই রয়েছে দোতালা টিনসেডের ১টি বিজ্ঞানাগার ভবন। সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় এটিও বর্তমানে তালাবদ্ধ। ছাউনির টিন দিয়ে পানি পরায় বিজ্ঞানাগারের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে শিক্ষার্থীদের ক্লাশের জন্য রয়েছে ২টি ভবন। ১টি তিন কক্ষের আরেকটি দুই কক্ষের। পূর্ব পাশে রয়েছে দোতালা পাঁচ কক্ষের ১টি ভবন।

তিন কক্ষের ভবনটি ১৯৮৭ সালে নির্মান করা হয়। দুই কক্ষের ভবনটি নির্মান করা ২০০৪ সালে। পূর্ব পাশের দোতলা পাঁচ কক্ষের ভবনটি নির্মান করা ২০০২ সালে। নির্মানের পর ভবনগুলো সংস্কার না করায় সব ভবনগুলোই জরাজীর্ন এবং ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পরেছে। ভবন ৩টির দেয়াল এবং ছাদের পলেস্তারার খসে পরেছে। দরজা জানালা খুলে গেছে। ছাদে ফাটল ধরায় বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরে ফলে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত বসে ক্লাশ করতে পারে না। মেঝে গর্তহয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব পাশের দোতালা ৫ কক্ষের ভবনটিতে নির্মানের সময় নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় অতি অল্প সময়ে ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরে। ভবনটি অধিক নাজুক হওয়ায় ভয়ে কোন শিক্ষার্থীরা দোতালায় উঠতে চান না।বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে প্রধান শিক্ষক এবং নৈশ প্রহরীর জন্য দুটি টিন সেডের ঘর। এগুলোও সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে। বসবাসকারীরা নিজেদের টাকায় কোন রকম ঠিক করে বসবাস করলেও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায়।

বিদ্যালয়টি নারী শিক্ষার হলেও স্থাপনের পর থেকে নেই কোন সীমানা প্রচীর। বিদ্যালয়টি শহরের প্রধান সড়কের পাশে নির্মিত হওয়ায় এবং সড়ক থেকে দেখা যাওয়ার কারনে নারী শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় সংকোচ বোধ করছে। এছাড়া সীমানা প্রচীর না থাকায় অবাধে গরু ছাগল প্রবেশ করে মাঠ নষ্ট করছে। তাছাড়া সীমানা প্রচীর না থাকার কারনে রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়ের মাঠ বসে মাদকসেবীদের আড্ডা খানা।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নওশীন আক্তার ও ঝিনিয়া আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যায় ভবন অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন। ছাদ, দেয়াল ও পিলারের পলেস্তাররার খসে পড়েছে। বর্ষ মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাছলিমা আলম বলেন, আমারা ভয়ের মধ্যে দিয়ে ক্লাশ করি। বর্ষা কালে ছাদ চুয়ে পানি পরার কারনে ঠিকমত ক্লাশ করতে পারি না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম কবীর বলেন, বিদ্যালয়ের ৬টি ভবনের মধ্যে সবভবনগুলো এখন ব্যবহার অনুযযোগী হয়ে পরেছে। ছাদের, দেয়ালের এবং পিলারের পলেস্তারার খসে পরায় ভবনগুলো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করছে। এবিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষোর নিকট অনেকবার আবেদন করা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও শিক্ষাকর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সেলিম মাহমুদ বলেন, আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নতুন ভবন নির্মানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভবন সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ বাংলাদেশির

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মালয়েশিয়ার কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে,রোববার (৩ মার্চ) রাতে কেটিএম পুনকাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

সালেঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রিসকিউ ডিপার্টমেন্টের (জেপিবিএম) পরিচালক ওয়ান রাজালি ওয়ান ইসমায়েল জানান, আমাদেরকে রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বলেন, জরুরি ডাকের পর কাজাং স্টেশন থেকে পাঁচজন কর্মী নিয়ে একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

সোমবার এক বিবৃতিতে ইসমায়েল বলেন, নিহতদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়নি। তাদের রেলওয়ে ট্র্যাকের পাশে পাওয়া গেছে।’

ঘটনাটি তদন্তে স্থানীয় পুলিশ কাজ করছে বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

খবর  মালয় মেইলের


আরও খবর



হিলিতে দাম কমেছে পেঁয়াজ ও রসুনের,বেড়েছে আদার দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় রসুন ও পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৪০ থেকে ২০ টাকা। এদিকে দেশীয় আদা কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। রমজান মাসে আর পেঁয়াজ রসুনের দাম বাড়বে না বলে জানান পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ ) বাংলাহিলি বাজারের পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে,পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা। দুই দিন আগে দেশীয় রসুন ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেই রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশীয় আদা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন কিনতে আসা মহসিন আলী বলেন,দুই দিন আগে আমি রসুন কিনেছি ১৬০ টাকা কেজি দরে,আজ বুধবার রসুন কিনলাম ১২০ টাকা কেজি দরে। দেশীয় পেঁয়াজ কিনেছি ৯০ টাকা কেজি দরে,আজ খুচরা কিনলাম ৭০ টাকা কেজি দরে। দুইটি পণ্যের দাম কমায় আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুব ভালো হয়েছে। এখন একটু পেঁয়াজ রসুন কিনতে পারবো।

বাংলাহিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন,গত সোমবার (১১ মার্চ) পাইকারী বাজার থেকে প্রতিকেজি দেশীয় পেঁয়াজ ৮৭ টাকা দরে কিনে খুচরা ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আজ বুধবার (১৩ মার্চ ) সকালে সেই পেঁয়াজ ৬৭ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দেশীয় রসুন দুই দিন আগে পাইকারী বাজারে ১৫৯ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সেই রসুন আজ কেজিতে ৪০ টাকা কমে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর দুই আগেও দেশীয় আদা কেজিতে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায় আজ সেই আদা বিক্রি করছি ১৮০ টাকা কেজি দরে।


আরও খবর



বালিশ-কম্বল-খাবার দেওয়া হয়েছে জিম্মি ২৩ নাবিককে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিক ও ক্রুদের জাহাজের একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সবাইকে বালিশ-কম্বলও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহাজের এক ইলেকট্রিশিয়ানের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইলেকট্রিশিয়ানের ভাতিজা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিকেল ৪টার দিকে চাচাকে অনলাইনে দেখতে পাই। কিন্তু পরক্ষণেই অফলাইন হয়ে যায়। কিছুক্ষণ আগে সামান্য সময়ের জন্য তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সবাইকে বালিশ-কম্বল দিয়ে এক রুমে রাখা হয়েছে। খাবার দেওয়া হচ্ছে। চাচা জানিয়েছেন, জাহাজ লোড থাকায় খুব কম গতিতে এগোচ্ছে। উনারা কিছুক্ষণের মধ্যে ডাটা বন্ধ করে দেবেন। সোমালিয়ায় পৌছে গেলে হয়ত আর কথা বলা সম্ভব হবে না।

এর আগে বুধবার সকালে জিম্মি হওয়া নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজু তার পরিবারকে জানান, সেহরিতে তারা অল্প খাবার পেয়েছেন।

রাজুর বন্ধু ইমরান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রাজু আমাকে ভয়েস মেসেজে জানায়, জাহাজটি সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করেছে। আমরা ২৩ জন আটক আছি। আজ ভোররাতে আবার মেসেজ দিয়েছে, সেহরিতে সামান্য কিছু খাবার দিয়েছে। আমরা খুব ভয়ের মধ্যে আছি। আমাদের জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলবি। বেঁচে থাকলে দেখা হবে।

এদিকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’য় ২০ থেকে ২৫ দিনের মতো খাবার আছে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানি রয়েছে ২০০ টন। জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান এক অডিও বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের।

আতিকউল্লাহ খান বলেন, ‘প্রক্সিমেটলি ২০ থেকে ২৫ দিনের প্রোভিশন (রসদ) আছে স্যার। ২০০ মেট্রিক টন ফ্রেস ওয়াটার আছে। আমরা অলরেডি সবাইকে বলছি ফ্রেস ওয়াটার সেফলি ব্যবহার করতে। প্রোভিসনও (রসদ) আমরা ওভাবে হ্যান্ডেল করবো।

এমভি আবদুল্লাহ’র মতোই ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এস আর শিপিংয়ের আরেক জাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জিম্মি হন এমভি জাহান মনির ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীসহ মোট ২৬ জন। তাদের একজন নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস।

জলদস্যুদের হাতে প্রায় ১০০ দিন জিম্মি দশায় থাকা ইদ্রিস বলেন, ‌‌‌‘আমরা যখন জিম্মি ছিলাম তখন কোনো সমস্যা হয়নি। খাবার দেয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়ার সুযোগ দেন। তারা ইংরেজি ও আরবি ভাষায় কথা বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হয়নি।


আরও খবর



মেহেরপুরে সবজির চাহিদা মিটাচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে অধিকাংশ পরিবারের সবজির চাহিদা মিটাচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।কৃষি বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা এই পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সুফল পাচ্ছে কৃষাণ কৃষাণীরা। কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে থাকা পরিত্যাক্ত জায়গায় নির্মিত পুষ্টি বাগানগুলো এখন ভরে উঠেছে শীত ও গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন শাক সবজিতে। বাগানগুলোর বিষমুক্ত টাটকা সবজি দিয়ে উদ্যোক্তরা তাদের পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি প্রতিবেশিদের মাঝে বিতরণ করাসহ বিক্রি করে অনান্য হাট বাজার সারছেন অনেকে।

মেহেরপুর জেলার মাটি সবজি উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগি। সবজি উৎপাদনের জন্য যে ধরনের মাটি ও আবহাওয়া দরকার তার সবই আছে মেহেরপুরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা “দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা বাস্তবায়নে ও পারিবারিক পুষ্টির চাহীদা মেটাতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের বাড়ির আঙ্গিনার পড়ে থাকা পরিত্যাক্ত জায়গায় জেলার দুটি পৌরসভাসহ ১৮টি ইউনিয়নের ৮৭৬টি পরিবারে গড়ে উঠে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।

প্রথমদিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলেও এখন সরবরাহ করা হচ্ছে সব ধরনের বীজ সহ অনান্য সরঞ্জামাদি। ফলে বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে থাকা পরিত্যাক্ত জায়গায় নির্মিত পুষ্টি বাগানগুলো এখন ভরে উঠেছে বিভিন্ন সবজিতে। কিষাণ-কিষানীরা এখন তাদের বাগানের সবজি দিয়ে নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মিটিনোসহ প্রতিবেশিদের মাঝে বিতরণ ও বিক্রি করতে পেরে খুশি। বর্তমান বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পারিবারিক এই পুষ্টি বাগানই মিটাচ্ছে তাদের সবজির চাহিদা। ফলে দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।

সদর উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের পুষ্টি বাগান চাষী করিম জানান, কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাড়ির পাশে পরিত্যাক্ত যায়গায় কীটনাশক মুক্ত সবজি চাষ করেছেন। এই সবজি নিজেরা খান ও প্রতিবেশিদেরও দিয়ে থাকেন। বাজার থেকে আর সবজি কিনতে হয়না। আবার অনেক সময় বাজারে বিক্রিও করেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না”। এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। এই প্রকল্পে কৃষকরা সারা বছর ধরে নানা ধরনের সবজি পাবে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান থেকে। পরিত্যাক্ত প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনা যাতে এই পুষ্টি বাগান গড়ে উঠে তার জন্য কৃষি বিভাগ বিভিন্ন সহযোগীতার পাশপাশি পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।


আরও খবর