Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। মাত্র সূচনা করেছি আমরা, খেলা এখনো শুরু করিনি। বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সবই ভুয়া।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা শহীদ শেখ রাসেল পার্কের সামনে শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল লাল কার্ড দেখাতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরল। সরকার পতন, ৫৪ দল, ২৭ ও ১০ দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, সাত দিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যর্থ।


ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে উপনির্বাচনে আজকের ভোট অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি ঘোমটা পরা রাজনীতি, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভয় পায়নি, উল্টো বিএনপি নিজেরাই ভয় পেয়েছে। বিএনপি ষড়যন্ত্রমূলক সমাবেশ প্রতিরোধ নয়, সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে যাবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, মিজবাউর রহমান ভূইয়া রতন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর



রেলপথে ৩ মাস ৫ দিনে ১৫৮ দুর্ঘটনায় ঝরেছে ৮৫ প্রাণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক:রেলক্রসিংয়ে গেট কিপার না থাকায় ফেনীর ফাজিলপুর রেলক্রসিংয়ে বালুভর্তি ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গত ৩ মাস ৫ দিনে ছোট-বড় ১৫৮ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪৪ জন এবং নিহত ৮৫ জন। এরমধ্যে অধিকাংশ দুর্ঘটনাই ঘটেছে গেট কিপারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বলে জানিয়েছেন সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা। সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায় ও জিয়াউর রহমান জিয়ার তত্ত্বাবধায়নে ২৪ টি জাতীয় দৈনিক, ১৮ টি ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যম, ২২ টি নিউজ পোর্টাল এবং সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর বিভিন্ন শাখার স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যর ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রেলক্রসিংয়ে গেট কিপার না থাকা, দায়িত্বে অবহেলা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশিল না হওয়ায় ১২২ টি রেলক্রসিং দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১৭ জন, নিহত হয়েছেন ৬১ জন; ছাদ থেকে/ট্রেনে কাটা পরে বা ধাক্কার ৩৬ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৭ জন এবং নিহত হয়েছেন ২৪ জন। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়- সারা দেশে তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথে থাকা তিন হাজার ৩৯৮টি ক্রসিংয়ের মধ্যে দুর্নীতি-দায়িত্বে অবহেলার দুযোগে অবৈধ ১ হাজার ৩৬১টিতেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, নির্মিত হচ্ছে মৃত্যু ফাঁদ। রেলক্রসিংয়ের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ অবৈধ আর তাঁর সাথে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে-৩৩টি ক্রসিং কে বা কারা ব্যবহার করছে, তা কেউ জানে না। এছাড়া বৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর মধ্যে ৬৩২টিতে গেটকিপার নেই। অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোয় যেমন গেটকিপার নেই, নেই কোনো সুরক্ষা সরঞ্জামও। আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত করার লক্ষে ২০০৭ সাল থেকে সচেতনতা- গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবা করে আসা সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর রেলক্রসিং বিষয়ক এই প্রতিবেদনে ১ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই দুর্ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেল মন্ত্রী, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়।  

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ এবং আহতদের সরকারি অর্থায়নে চিকিৎসার দাবি জানানোর পাশাপাশি সেভ দ্য রোড ৭ টি প্রস্তাব দিয়েছে ১. অবৈধ ক্রসিংগুলোর সমস্যা অনতিবিলম্বে সমাধান করা ২. দুর্নীতিবাজ রেল কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় ৩. সরকারি লেজুড়ভিত্তিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নামে নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম বন্ধ করে রেলকে গণমূখি বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আত্ম নিয়োগ করা ৪. যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ রেলওয়েকে বেসরকারি খাত থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্রিয় তত্বাবধায়নে পরিচালনার সুপরিকল্পিত উদ্যেগ গ্রহণ করা ৫. সচিব-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সকল রকম আরাম-আয়েশী সুযোগ-সুবিধা বাতিল করে সারাদেশে রেলওয়ের উন্নয়নে নিবেদিত রাখা ৬. সেবার মান উন্নয়নে রেলওয়ে পুলিশ-সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং সারাদেশের সকল স্থানে কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা ৭. প্রতি ৩ কিলোমিটারে পর্যবেক্ষণ করার জন্য রেলওয়ে পুলিশ-এর বিশেষ বুথ স্থাপন করা।

আরও খবর



নাবিকদের মুক্তির পর গ্রেপ্তার ৮ জলদস্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণে যুক্ত ৮ জলদস্যুকে আটক করেছে সোমালিয়ার পুলিশ। জাহাজটিকে মুক্তি দিয়ে উপকূলে যাওয়ার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য পান্টল্যান্ডের পুলিশ তাদের আটক করে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম  গারোই

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। রোববার দুপুরে মুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রামের এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিমের কাছে একটি বার্তা আসে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের কাছ থেকে। বার্তায় বলা হয়, জিম্মি জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা দুবাইয়ের পথে রওনা হয়েছে।

গারোইয়ের এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার পরপরই ৮ জলদস্যুকে আটক করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

পান্টল্যান্ডের একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ৮ জনই এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি মুক্ত করা হলে জলদস্যুদের অন্য গ্রুপগুলো উৎসাহিত হতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৩জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:"পরিচ্ছন্ন- সবুজ বাসযোগ্য ধরণী থেকে আমার অঙ্গীকার" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংস্থা "ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ কর্তৃক তীব্র গরমে রাস্তায় চলাচল করা পথচারী এবং কর্মজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা শরবত এবং সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বাজার স্টেশন চত্বরে ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের আয়োজনে পথচারী ও কর্মজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা শরবত এবং সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো.আশিক আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ প্যানেল মেয়র -  মো.নুরুল হক, ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ এর স্থায়ী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.সাইফুল ইসলাম তালুকদার।

অনুষ্ঠানের  প্রধান অতিথি  সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা তিনি বলেন - ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ বরাবরই জনকল্যাণকর কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। আমি অতীতেও দেখেছি এই সংগঠনটি মানুষের কল্যাণে যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে এমন আরো কয়েকটি সংগঠন যদি সিরাজগঞ্জে থাকতো তবে সিরাজগঞ্জের চেহারা পাল্টে যেত। আমি বিশ্বাস করি ক্লিন সিরাজগঞ্জ একদিন তাদের কাজের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত লাভ করবে এবং সিরাজগঞ্জবাসীর মধ্য মনে হয়ে থাকবে। আমি তাদের সকল জনকল্যাণকর কাজের সমর্থন দিয়ে এসেছি ভবিষ্যতেও দেব। 
বিশেষ অতিথির ১ প্যানেল মেয়র নুরুল হক বলেন - ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ সত্যিকার অর্থে একটি পরিবেশবাদী এবং মানবিক সংগঠন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্নেহের আশিক তার স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী নিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীর জন্য যে পরিমাণ কাজ করে যাচ্ছে সত্যি তা প্রশংসার দাবিদার। ক্লিন সিরাজগঞ্জের প্রতিটি কাজ সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পরিবেশের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই সংগঠনটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি এবং প্রত্যাশা রাখি অতীতে ন্যায় বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আরো জনকল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীকে একটি বাসযোগ্য সিরাজগঞ্জ উপহার দেবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আশিক আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন - আমরা পরিবেশবাদী সংগঠন হলেও সামাজিক এবং মানবিক কাজ কখনোই পিছিয়ে থাকি না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছরই এই ধরনের তীব্র গরমের সম্মুখীন হই আমরা। এবং এই গরম থেকে পথচারীদের স্বস্তি দিতে প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজন করে থাকি। আজকে আমরা ১০০০ থেকে ১২০০ লোকের মধ্যে এই শরবত এবং সুপ্রিয় পানি বিতরণ করবো। এবং আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আরও খবর



সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন,সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়বে আর খোলা তেলের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা কমবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বা‌ড়ি‌য়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৮১৮ টাকা।

আর প্রতি লিটার বোতলজাত পাম অয়েলের দাম ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম জানিয়েছেন, সয়াবিন তেলের নতুন দাম মিলগেট (পাইকারি বিক্রেতারা যে দামে কিনবেন) থেকে এখনই কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ১৫ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার পর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

১৫ ফেব্রুয়ারি ভ‌্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে আগের দামে তেল বিক্রির উদ্যোগ নেয় মালিকরা। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ নিয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে দু‌’দিন ধ‌রে দফায় দফায় বৈঠক শেষে নতুন দাম নির্ধারিত হলো।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সয়াবিন তেলের নতুন দামের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।


আরও খবর



পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।

এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।


আরও খবর