Logo
আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম কেন বেড়েছে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। আর বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাস দৈনন্দিন জীবনে একান্ত অপরিহার্য দুটি উপাদান। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, কৃষি, পর্যটন সব কিছুই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। সার্বিকভাবে দেশকে সচল রাখতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা নেওয়ার পাশাপাশি বাস্তবায়ন করেছে। ফলে বিগত ১৪ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা পাঁচগুণেরও বেশি বেড়েছে এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৬০৯ কিলোওয়াট-ঘণ্টায় উন্নীত হয়েছে। গ্যাসের উৎপাদনও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০০৮ সালে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৮ সালে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে। বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমদানিকৃত তরল গ্যাসের ব্যবহার, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়া, নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয় দামের মধ্যে সমন্বয়, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমানের সমন্বয়ের কারণে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়ে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১১-১২ অর্থবছরে বিদ্যুতে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী সব জ্বালানির দামে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। জ্বালানি সংশ্লিষ্ট ব্যয় যেমন বিমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান সমন্বয় করায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি দামও অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি বাবদ দিতে হচ্ছিল।

তিনি বলেন, ‘চলমান কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটানো, শিল্পখাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং রপ্তানিমুখী বিভিন্ন কলকারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানিপূর্বক বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে হবে। এই কারণে সরকার অন্যান্য ভোক্তা শ্রেণিকে অপরিবর্তিত রেখে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব খাতে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।’


আরও খবর



সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন সব প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি।

২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সেই সব শহীদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না, নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর একুশ দফা, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারাদেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্য রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। —চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’—যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেস মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তবচিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নির্জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তার প্রাণাধিক প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। শূন্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনঃস্থাপন ও উন্নয়ন করেন এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আরেক কালরাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ২৫ মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশীলব, মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের মহান সংসদে বসিয়ে ও তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র পতাকা তুলে দিয়ে বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুল্যুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ’ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে ‘শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক’ ঘোষণা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৫ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটেন জেনোসাইড’ -শীর্ষক গ্রন্থে তৎকালীন ঢাকাস্থ আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড-এর স্টেট ডিপার্টমেন্টে লেখা নিয়মিত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিচালিত বর্বরতম গণহত্যার ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। বিশ্বের যেকোন স্থানে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি; ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image
আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বুধবার (২৭ মার্চ ) উপজেলা পরিষদ চত্তরে খরিপ-১ পাট ও উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার সহায়তা প্রদানে কৃষি প্রণোদনার উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে কৃষি প্রণোদনার উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইসচেয়ারম্যান শেফালি বেগম, জাতীয় পাটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ন আহবায়ক আবু তাহের, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, আনোয়ারুল ইসলাম, সম্পাদক মোঃ বিপ্লবসহ কৃষকরা। 

উল্লেখ্য, এ উপজেলায় ৩৪ শত  পাট ও উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কষৃকের মাঝে বিনামুল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।

আরও খবর



নাসিরনগরে বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৩০ মার্চ ২০২৪ রোজ শনিবা বিকেল পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত আপন বেগম (৩৫) বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর (হাজী বাড়ির) মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে হঠাৎ করে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকে  এলাকায় বজ্রপাত সহ বৃষ্টি শুরু হয়।বৃষ্টির মধ্যেই আপন বেগম বাড়ির পাশে ফসলি জমির মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন।স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক আপন বেগমকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত  চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কালিয়াকৈরে শিলাবৃষ্টিতে তছনছ গ্রামগুলো পরিদর্শন করলেন ডিসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি;গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে তছনছ হওয়া সেই গ্রামের পর গ্রাম পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। সোমবার সকালে তিনি এসব গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর-ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন।

এসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ আলম সরকার, বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবজাল হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন।

শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ পরিদর্শন কালে তিনি বাড়ির মালিক এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের কথা ব্যক্ত করেন এবং তা যাতে সুষ্ঠুভাবে বন্টিন হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন ডিসি।


আরও খবর



আবার আগুন! অল্পের জন্য রক্ষা পেল অর্ধশতাধিক মানুষ, সর্বস্ব পুড়ে অঙ্গার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু ও নারীসহ ১৬জন নিহতের পর আবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা! ওই আগুনের হাত থেকে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পেল প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। তবে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাদের সর্বস্ব পুড়ে অঙ্গার। সোমবার রাতে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ উত্তরপাড়া এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটে। ওই সময় শিশু, নারী ও পুরুষের শরীরে আগুন লেগে ৩৬ জন দগ্ধ হন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২৩ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ শিশু ও নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকীরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকলেও মৃত্যুর শঙ্কা যেন কাটছেই না। নিহতদের পরিবারের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শুধু দগ্ধদের পরিবারই নয়, আগুন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী। এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ উত্তরপাড়া এলাকার ফুটবল খেলার মাঠের পাশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জনি মিয়া ও সোহেল মিয়া নামে দুই ব্যক্তির দুটি কলোনি ভাড়া নিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের লোকজন বসবাস করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো তারা রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে জনি মিয়ার ভাড়াটে শওকত হোসেনের ঝুটের গোডাউনে হঠাৎ আগুন জ¦লে উঠে। মুহুর্তের মধ্যে পাশের জনি ও সোহেলের দুটি টিনশেড কলোনিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রচন্ড তাপে তারা ঘুম থেকে জেগে আগুন দেখে আতকে উঠেন। তাড়াহুড়ো করে কোনো রকমে বাইরে বেড়িয়ে প্রাণ রক্ষা করেন তারা। পরে আগুন নেভাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ও কোনাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে পুড়ে গেছে ১টি ঝুটের গোডাউন, দুটি কলোনির ৩৮টি কক্ষ ও কক্ষের ভেতরে থাকা টাকা, টেলিভিশন, ফ্রিজ, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল। গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুটি কলোনির ৩৮টি কক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের সর্বস্ব পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। এখন তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তবে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসহ স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ওই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রজত বিশ^াস, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল আলম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে এক হাজার টাকা ও ৩টি করে কম্বল বিতরণ করা হয়।

এক কলোনির মালিক জনি মিয়া জানান, কলোনির বাইরে ওই ঝুটের গোডাউন। এর আশপাশে প্রায় মাদক সেবীরা নেশা করে। হয়তো ওই নেশাখোরদের অবশিষ্ট বিড়ির আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে আগুনে পুড়ে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে প্রাথমিকভাবে কিছু নগদ টাকা ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঈদের আগে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর