Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া

বিদ্যালয়ের ২৫ হাজার ইট কমিটি ও প্রধান শিক্ষককের পকেটে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩১০জন দেখেছেন

Image
রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:চর মজাফৎ সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হয় কুড়িগ্রাম জেলাধীন চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়ন নামকস্থানে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সবেমাত্র নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার অপকর্ম হলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও কমিটি মিলে প্রায় ২৫ হাজার ইট  বিভিন্নজনের নিকট বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

এখবরে এলাকাবাসীদের মাঝে খোপের সৃ‌ষ্টি হয়েছে।এবংকি প্রধান শিক্ষক ও কমিটির বিরুদ্ধে রৌমারী সাংবাদিকদের কাছে একপর্যায়ে অভিযোগ দায়ের  করেন ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী  । সাধারণ পাবলিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিনে যায়।সরেজমিনে  অষ্টমীর চর ইউনিয়নের চর মজাফৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি সাংবাদিকরা উপস্থিতি হন। 

সেখানে গিয়ে বিলিন হওয়ার পথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর দাড়িয়ে সাধারণ  পাবলিকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে জানা গেছে শিক্ষক এবং কমিটির যোগসাজশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫ হাজার ইট অবৈধভাবে বিক্রি করেছে দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

 জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে যেসব লোকের নিকট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারী স্কুলের ইট অবৈধভাবে বিক্রয় করেছেন প্রধান শিক্ষক ও কমিটির লোকজন।
  
ওইসব বাড়িতে সরাসরি গিয়ে স্কুলের ইট গুলো পাওয়া গেছে।
 জিনারা স্কুলের ইট ক্রয় করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ৭০০০ হাজার টাকা দরে কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের কাছ থেকে ক্রয় করার কথা শিকার করেছেন। 
তারা জানান আমাদের কাছে টাকা নিয়ে ইট দিয়েছেন। 

এবিষয় চর মজাফৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইট বিক্রয় করিনি এসবিষয় আমি জানিনা। 

তিনি আরও বলেন ইট বিক্রয়ের ঘটনাটি জানার পর বিক্রয়ের জন্য রেজুলেশন করে বিক্রি করতে চেয়েছি।পাশকাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমান।
তবে উপস্থিতি লোকজন প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমানের সামনাসামনি এলাকাবাসী
উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে দূর্নীতিবাজ শিক্ষক হিসেবে প্রমাণিত হয়।শুধু তাই নয় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে দুই বছর যাবৎ দায়িত্ব নিলেও দুইবছরে গড়ে একমাসও ক্লাশরুমে থাকেনি এই শিক্ষক। এলাকাবাসীদের অভিযোগের শেষ নেই। এদিকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি রৌমারী কলেজ পাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম তারসঙ্গে মোঠ ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া না গেলে অবশেষে তার বাড়ী পর্যন্ত খোজ নিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নদী গর্ভে বিলিন প্রায় ওখান থেকে অন্যত্রে স্থানান্তর করছেন এলাকাবাসীদের সহযোগিতায়। 

ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কমিটি সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর  মেরামত ও স্লিপের অর্থ দিয়ে থাকেন একটি টাকারও কাজ হয়নি বলেও অভিযোগ শতমানুষের। যার ফলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্তা না থাকায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। এলাকাবাসীরা সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি চোখ রাখুন সামনে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে আমার লেখাটা ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক শেয়ার কমেন্ট করে জানাবেন।

আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে বিআরটিসি বাস বন্ধের ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃভূলতা (গাউছিয়া)-কুড়িল বিশ্ব রোডে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে একটি মহল। রূপগঞ্জ ইউনিয়নের এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় সিএনজি চালক ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিআরটিসি'র যাত্রীবাহী গাড়ির চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের উপড় চড়াও হয়ে প্রতিনিয়ত লাঠি সোটা নিয়ে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করছে বলেও জানা গেছে। এই বিষয়ে বিআরটিসি বাসের চালক ভুক্তভোগী খাইরুল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মারধর ও প্রাননাশের অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভুলতা (গাউছিয়া) -কুড়িল বিশ্বরোড এই রুটে কিছু সংখ্যক বিআরটিসি বাস চালু করা হয়।সময় মতো সেবা ও কম খরচে যাত্রী পরিবহন করায় এ অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। পক্ষান্তরে স্থানীয় ফিটনেস বিহীন প্রাইভেট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন সিএনজি গাড়ির যাত্রী কমে যায়। এই কারণে সেই সকল চালকরা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। শুরু থেকেই তারা বিআরটিসি চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের প্রতি বৈরি মনোভাব পোষণ করে। তারা বিআরটিসি বাস বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। রুপগঞ্জের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে  ওই সকল ফিটনেসবিহীন গাড়ির চালকগনকে ও সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে প্রায় সময়েই সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন বিআরটিসি বাসের চালক হেলপার কর্মচারীদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চালককে মার ধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় এই সন্ত্রাসী  বাহিনী এতটাই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে বর্তমানে কোন চালক ওই রুটে বিআরটিসি'র বাস চালাতে চায় না। বিআরটিসি বাসের ভাড়া কম এবং সার্ভিস ভালো থাকায় যাত্রী সাধারণ এই গাড়িতে চড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন প্রাইভেট কার অবৈধ সিএনজি দ্বিগুণ তিন গুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করে। আবার এই সকল পরিবহন গুলো নিরাপদ নয়। ফিটনেস বিহীন যানবাহনে প্রায় ঘটে নানা দুর্ঘটনা, রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রী সাধারণ ঐসব গাড়িকে এড়িয়ে চলে। এই কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, "বিআরটিসি বাস চালককে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"

উল্লেখ থাকে যে, ভুলতা গাউছিয়া, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন এলাকার হাজার হাজার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে। তারা কম খরচে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও যাত্রী সাধারণ নিরাপদে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। তাই এই রুটে বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ সভায় যোগদান করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৮৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস প্রধান কার্যালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক বিশেষ সভায় অংশ গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়াণ বাজারে এই বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে এই সভা আয়োজন করা হয়। এসময় বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল আলম,পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গ্যাসের ব্যবহারে আমরা অনেক বড় বড় পরিকল্পনা নিয়েছি, ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে আমরা টেন্ডারে চলে যাব, ফলে তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগকে আমরা বলেছি একটি রোড ম্যাপ তৈরি করার জন্য। 

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



চাচির চল্লিশার আয়োজনকে ঘিরে রাতে সংঘর্ষে নিহত১ আহত অনেকে!

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image
জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া:কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে মৃত চাচির কুলখানিকে কেন্দ্র করে সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বজনদের হামলায় বকুল বিশ্বাস (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন ও আহত অনেকে সদর হাসপাতালে ভর্তি ।১৩ মে ২০২৪ইং সোমবার  রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত বকুল হাতিয়া গ্রামের মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় সাত/আট জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে নিহত বকুল বিশ্বাসের চাচি মারা যান। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। চাচির কুলখানি অন্য চাচাতো ভাইয়েরা বড় করে আয়োজন করে সমাজের লোকজনকে খাওয়ানোর দাবি তোলেন। এতে বকুল বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি। গত শনিবার বকুল বিশ্বাস তাদের সমাজের লোকজন নিয়ে চাচির কুলখানির কাজ শেষ করেন। এরই জের ধরে রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত বকুলের চাচাতো ভাই হামলায় আহত নিয়াজি খান জানান, গত বৃহস্পতিবার তার চাচি জাহানার খাতুন মারা যান। শনিবার কুলখানির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের রান্না ও দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে আরেক চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের বিরোধ বাধে। শিপন বিশ্বাস আমাদের জানায় তার সমাজের লোকজন নিয়ে কুলখানির অনুষ্ঠান করতে হবে। এতে আমরা অসম্মতি জানায়। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পরে নিহত বকুলসহ আমরা কয়েকজন নিজ বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় শিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ছয়জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকুল মারা যায়। শিপন বিশ্বাস নিজে নিহত বকুলের বুকে ফালা দিয়ে আঘাত করে বলেও দাবি করেন নিয়াজি খান। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান বকুল হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দ্বে স্বজনদের হামলায় বকুল নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বকুল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে প্রশাসনের ব্রিফিং অনুষ্টিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:৮ মে অনুষ্টিতব্য প্রথম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি,র মাটিরাঙ্গায়  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ করতে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গায় উপজেলায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং  অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী,র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।

এসময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিেম (বার),জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ কামরুল  আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মাঝে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)মো.মিজানুর রহমান,মাটিরাঙ্গা সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ,মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মুহাম্মদ হাসান, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর সহ ভোটগ্রহন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), বিশেষ অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ, ভোট নিশ্চিত করতে  প্রশাসন, ভোটার, প্রার্থী  সকল কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করার জন্য এবং খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা  পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা  পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত আছে।তাই ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে এবং নির্ভয়ে  নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান। 

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটারদের নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।ভোট কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম দেখা দিলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য আহবান জানান।

মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৩৬টি ভোটকেন্দ্রে ৩৬জন প্রিজাইডিং, ২শত ২৬ জন সহ-প্রিজাইডি এবং ৪শত ৫২পোলিং অফিসার ভোট গ্রহন করবেন। ১টি পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা  ৯০হাজার ৩শত ৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪৬হাজার ১শত২০জন।  মহিলা ভোটারের সংখ্যা  ৪৪হাজার ২শত ৬২জন। 

আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী ভোট কেন্দ্র স্থান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৬জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃরৌমারীতে প্রায় দুই যুগ ধরে ভোট কেন্দ্র পরিচালিত হয়ে আসা কেন্দ্রটি অনত্র স্থান্তরিত হওয়ায় এলাকাবাসি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলাধীন ৩ নং বন্দবেড় ইউনিয়নের বন্দবেড় গ্রামে। মানব বন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বন্দবেড় গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ্জ কদম আলী , বন্দবেড় ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু রেজাসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, বন্দবেড় গ্রামের নামে বন্দবেড় ইউনিয়নের সৃষ্টি হয়েছে দেশ স্বাধীনের পর হতে। যে গ্রামে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় প্রায় দুই যুগ ধরে ভোট কেন্দ্রে নিয়মিত ভোটের কার্যক্রম চলে আসছিল।

হটাৎ করে ৪/৫ দিন আগে রৌমারী উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানাযায়, বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোট সেন্টারটি কেটে বাঘমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। এমন সংবাদে বন্দবেড় গ্রামের শতশত মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

যার পরিপেক্ষিতে বন্দবেড়ের শতশত ভোটার প্রতিকারের জন্য দফায় দফায় মানব বন্ধন ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এলাকাবাসির প্রানের দাবী অবিলম্বে পূর্বের স্থানে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রটি বহাল করা হউক। তারা আরো বলেন, ভোট কেন্দ্রটি বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বহাল না রাখলে বন্দবেড়ের ২ হাজার ভোটার ভোট বর্জনের হুসিয়ারী প্রদান করেন। পরিশেষে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রটি বহালের  নিমিত্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন।

এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, যেহেতু ভোট কেন্দ্রটি বাঘমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরিপের মাধ্যমে স্থানন্তরিত করা হয়েছে, পূর্বের স্থানে বহাল করার আমার এখতিয়ারের বাইরে। এব্যাপারে ঢাকা নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেন।


আরও খবর