Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

বগুড়ার সেই বিচারককে প্রত্যাহার, বিচারিক ক্ষমতাও হারালেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় মেয়ের সহপাঠীদের অভিভাবকদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগের জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে বিচারিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচার শাখার ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে এক শিক্ষার্থীর মাকে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। এরপর বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। তারা ঘটনার সম্মানজনক বিচার দাবিতে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দুই দফা সড়ক অবরোধ এবং স্কুলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।

বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের বিদ্যালয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পালাক্রমে নিজেদের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে হয়। এটি এক্সট্রা কারিকুলামের অংশ। সোমবার অষ্টম শ্রেণির পাঠকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল একজন বিচারকের মেয়ের। সে রাজি না হলে তার সঙ্গে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন আপত্তিকর কথা লিখে পোস্ট দেয়। সেই পোস্টের নিচে তার সহপাঠীসহ অন্যরা বিচারকের মেয়েকে তীব্রভাবে আক্রমণ করে পাল্টা লিখতে শুরু করে। এর পরের দিন মঙ্গলবার মেয়েটির বিচারক মা শিক্ষকদের মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মেয়েকে নিয়ে অসম্মানজক কথা লেখার অভিযোগে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন।


আরও খবর



১৯ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১১২ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ১৯৬ কোটি (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে)।

আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পৌঁছেছে ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

আর বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯০ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, মে মাসের ১৩ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৩৫ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এ ছাড়া চলতি মাসের প্রথম পাঁচ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর ৬ থেকে ১২ মে পর্যন্ত দেশে ৫৬ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

এর আগে, গত এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সবকিছু ঠিক থাকলে আলোচ্য মাসে সেটা অতিক্রম করতে পারে।

চলতি অর্থবছরের মার্চে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। জানুয়ারিতে এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে বেশি এলেও ঈদের পরে কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আবারও বাড়বে প্রবাসী আয় আসার প্রবাহ।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত) ৯ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫২৯ কোটি ডলার।

২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


আরও খবর



কুমিল্লায় শিক্ষক হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,কুমিল্লা: কুমিল্লায় আলোচিত শিক্ষক হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। কুমিল্লা আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. নয়ন, কামাল, মিঠুন, জামাল, মো. ইলিয়াছ ও জাকির হোসেন। তারা কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পোচাইতলী গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জামাল, ইলিয়াস ও জাকির হোসেন। অন্যদিকে, নয়ন, কামাল ও মিঠুন পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জমি নিয়ে বিরোধে বারপাড়া সিটি স্কুলের শিক্ষক জাহিদুল আজমকে হত্যা করা হয়। তিনি শহরের বারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ জাহিদুলের বাবা এ কে এম ফারুক আজম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মোখা’ কেন, কীভাবে হলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। এজন্য দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের বিশেষ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, আগামী রোববার বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চকপিউ শহরের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ‘মোখা’। এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, ঘূর্ণিঝড়ের নাম মোখা কেন এবং এটি কীভাবে এল? 

‘মোখা’ নামের উৎস

ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (ডাব্লিউএমও/ইএসসিএপি) তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ইয়েমেন। দেশটির বিখ্যাত শহর মোখার নাম থেকেই রাখা হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম।

মোখা ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলে একটি বন্দর শহর। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এটাই ছিল ইয়েমেনের প্রধান বন্দর শহর। কফি বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল এই বন্দর। এখান থেকেই কফির উৎপাদন এবং সারা বিশ্বে সরবরাহের কাজ করা হয়। তাই এটির নামেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে কমিটি

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে আরব মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে- বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন।

ছবি: সংগৃহীত

ঝড়ের নাম ঠিক করার জন্যে প্রত্যেক দেশ কিছু নাম প্রস্তাব করে। প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোন-এর কাছে সেই নামগুলো পেশ করা হয় ও একটি তালিকা তৈরি হয়।

এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘মোখা’।

ঘূর্ণিঝড়ের নামের ওই তালিকা থেকেই এর আগের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল থাইল্যান্ডের দেওয়া ‘সিত্রাং’। এরপরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘বিপর্যয়’। এই নামটি বাংলাদেশের দেওয়া।

এর পরবর্তী পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে যথাক্রমে তেজ (ভারত), হামুন (ইরান), মিধিলি (মালদ্বীপ), মিগজাউম (মিয়ানমার), রিমাল (ওমান)।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের প্রচলন হয় ২০০০ সালে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের কারণ সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, একটি ঘূর্ণিঝড় এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ের মধ্যেই একই অঞ্চলে আরও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হলে সম্ভাব্য বিভ্রান্তি এড়ানো সহজ হয়।


আরও খবর



রুপগঞ্জে রহিমা ষ্টীল মিলে চুল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জন ই মারা গিয়েছেন।

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধঃনারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকার  রহিমা স্টিল মিলের চুল্লিতে বিস্ফোরণে দগ্ধ সাতজনই মারা গেছেন।সর্বশেষ আজ (১০ মে) সকাল ৯টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান দগ্ধ মো. ইব্রাহিমও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইব্রাহিমের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান তিনি। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইব্রাহিমের আত্মীয় মো. আল মামুন জানান,তার বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার গজালিয়া গ্রামে। ইব্রাহিমের বাবার নাম মোকলেসুর রহমান হাওলাদার। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে তিনি রুপগঞ্জের গাউছিয়া চুঙ্গিপাড়ায় থাকতেন।’উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে রুপগঞ্জের গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার ‘আরআইসিএল স্টিল মিলে’ লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়।

বিস্ফোরণে গলিত তরল লোহা শ্রমিকদের ওপর ছিটকে পড়লে গুরুতর দগ্ধ হন ৭ জন।হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান শংকর নামে একজন। আর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মারা যান ইলিয়াস।শুক্রবার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিয়ন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলমগীর, মধ্যরাতে মারা যান রাব্বি।আর শনিবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান জুয়েল।

ঘটনার দিন কারখানাটির সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ জানিয়েছিলেন, তারা কারখানায় ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। ভাট্টির আশপাশে ১৫-১৬ জন শ্রমিক ছিলেন।হঠাৎ করেই ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়ে গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা দগ্ধ হন।উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে দগ্ধদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



স্বর্ণের দাম কমল দেশের বাজারে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের বাজারে স্বর্ণের দা‌ম কমা‌নোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরি ভালো মানের স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা। নতুন দাম নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা।

আগামীকাল সোমবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর করা হবে। আজ রোববার এ তথ্য জানায় বাজুস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৯ মে থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়ে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৩২১ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ১১ এপ্রিল দাম কিছুটা কমানো হয়। তবে ২ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা করা হয়েছে।

এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের গয়নার দাম লাখ টাকা ছাড়ি যায়। কারণ, বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গয়না বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গয়না কিনতে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা গুনতে হয় ক্রেতাদের। দেশের বাজারে এটিই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।

রেকর্ড ওই দাম নির্ধারণের পর ১১ এপ্রিল সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমানো হয়। সেই সঙ্গে কমানো হয় অন্যান্য স্বর্ণের দামও। তবে পাঁচ দিনের মাথায় ১৬ এপ্রিল আবার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।

দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এখন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানোর ঘোষণা এলো।


আরও খবর