Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বেনজীর আহমেদ মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিলেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সাবেক পুলিশের মহাপদির্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ হাইকোর্ট মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন।মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই দিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, অপরাধী এবং আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০এপ্রিল) বেলা ৩ টার সময় কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার সামনে কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুস্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি আল আসাদ রেমন, সাধারন সম্পাদক শেখ শুভিন আক্তার, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহাবুব হোসেন মিলন, সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম তৌফিকুল কবির তুহিন, অর্থ সম্পাদক তৌফিক আহম্মেদ শাওন , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, সদস্য হাবিবা, নীম, নজরুল ও আরিফ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কুষ্টিয়া সদরের বটতৈল আনসার ক্যাম্প মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রহমানের (পুলিশ) মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের বাড়ীর সামনে তার মেসার্স ফাহিম ট্রেডার্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানে গত ৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারটার সময় হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এলাকার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী। এদিন থানায় অভিযোগ দিলেও তা নিতে বিলম্ব করেন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। মামলা নং-১৮ , তাং-১১/০৪/২০২৪ইং । এরই মধ্যে উল্টো হামলাকারীদের অভিযোগ এজাহার নিয়ে পুলিশ তার হীন মানুষিকতার পরিচয় দেন । নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে লুটপাট ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অপরাধী ও আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানে পুলিশের প্রতি আহবান জানান। নতুবা আগামীতে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ আরো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।

আরও খবর



মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে কৃষি খাতে বিপর্যয়ের অশনি সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

মেহেরপুর মূলতঃ কৃষি ভিত্তিক এলাকা। এখানকার মাঠে ধানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠের নানা ধরণের ফসল। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান। এছাড়াও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর ধান, ৫ হাজার ৪৪১ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম, ৭১৫ হেক্টর লিচু, ১৬৫ হেক্টর কাঁঠাল ও ৬ হেক্টর জাম বাগান রয়েছে। অপরদিকে পাটসহ অন্যান্য ফসল বপন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ক্ষেতের ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

গাংনীর মানিকদিয়া মাঠের ধানচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি শ্রমিক লাগছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। যে ক্ষেতে এক ঘন্টায় সেচ করাজ শেষ হয় ওই জমিতে লাগছে অন্ততঃ তিন ঘন্টা।

এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে সব ধরনের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধানচাষি সহড়াবাড়িয়ার শামসুল ইসলাম জানান, তিনি খামারের মাঠে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। বর্তমানে মাঠে রয়েছে বোরো ধান। প্রতিটি জমিতেই ধানে ফুল রয়েছে। কিছু ধান দুগ্ধ আর কিছু ক্ষীর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে হিটস্ট্রোক দেখা দিতে পারে। বোরো ধান পর্যাপ্ত পানি না পেলে চিটা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার চার বিঘা জমিতে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। আম ও লিচুসহ অন্য ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়ছে। ফলনেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সবজি চাষি সাহারবাটির আকরামুল জানান, বর্তমানে মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ সবজিতে এমনিতেই সেচের পানি দিতে হয়। খরচও বেশি।

কিন্তু চলমান তাপদাহে জমিতে সেচ দেয়ার পরও কোন পানি থাকছে না। রাতে সেচ দিলে সকালে পানি শুকিয়ে যায়। আবারো সেচ না দিলে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে আড়ত পর্যন্ত নিতে সবজি শুকিয়ে কমে যায়। শ্রমিকও লাগছে বেশি।আম বাগান মালিক কাষ্টদহ গ্রামের শরিফুল জানান, গেল বছর গরমে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দেরিতে মুকুল আসে। এখন আমের গুটি রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর গরমে গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। তার হিসেবে বাগানের ৩০/৩৫ ভাগ গাছের গুটি ঝরে পড়েছে। গুটি ঝরা ঠেকাতে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এবার অনেক বেশি লোকসান গুনতে হবে।

আম ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম জানান, গেল বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। ঝরে পড়ে ছাড়াও পোকার আক্রমণ ছিল। গেল বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এবার কেনা বাগান বেশি পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু দেরীতে মুকুল আসে। সেগুলো ঠিক রাখতে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে গাছের সিংহভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে গাছে আর আম থাকবে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল ৫ দিন ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি, ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও ২০ এপ্রিল ৪২.৪ ডিগ্রি, ১৯ এপ্রিল ৪১.৫ ডিগ্রি, ১৮ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি, ১৭ এপ্রিল ৪০.৮ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রচ- গরমের সাথে চলছে গরম বাতাস। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় হিট অ্যালার্ট জারী করে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে। ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজির জমিতে আগামী এক সপ্তাহে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।


আরও খবর



গুইমারা রিজিয়ন এর উদ্যােগে অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা সেনা রিজিয়ন এর উদ্যােগে অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় সকালের দিকে গুইমারা সেনা রিজিয়ন, এর শহীদ লেঃ মুশফিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- উদযাপন উপলক্ষ্যে গুইমারা রিজিয়ন এর আওতায় ৪৫০টি দু:স্থ,অসহায় হতদরিদ্র  পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল উপকার ভোগীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলেদেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল  বলেন, আর্তমানবতা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং যেকোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সকলের জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য ও প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে। পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পূর্বের ন্যায় সকলের পাশে থেকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।

 এ সময় গুইমারা রিজিয়নের অন্যান্য সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৮০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর ও স্কুল পরিদর্শন করেন রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) তরফদার আক্তার জামীল।বৃহস্পতিবার পরিদর্শণকালে তিনি আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফলজ বৃক্ষ রোপন করেন।

বৃক্ষরোপন শেষে শিক্ষক ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে আপনারা বেশি বেশি করে দেশীয় প্রজাতির বরই, জাম, আমরা, জলপাই, কামরাঙ্গার গাছ লাগাবেন। কেনোনা ওইসব গাছে ফল ধরলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাতে ঢিল ছুরে,দৌড়ে গিয়ে হুমরি খেয়ে ফল কুরায়। এতে তাদের মধ্যে এক ধরনের উৎফুল্লতা বিরাজ করে। সেইসাথে ভিটামিন সি এর অভাব দুর হবার পাশাপাশি তাদের মাঝে হৃদ্দতার বন্ধন বেড়ে যায়। এছাড়া তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার , উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত শেখ রাসেল শিশু পার্ক পরিদর্শণ করেন এবং সেখানে বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষের চারা রোপন করেন। পরিদর্শণকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার সরকার, আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে দুই কমিটি, বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জয়দেবপুরে দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেনের ধাক্কার ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, আবগোমটি স্টেশনের মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

দুর্ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেলওয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিতে সিওপিএস মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আঞ্চলিক কমিটি করা হয়েছে। আর রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন) সৌমিক শাওন কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উল্লেখ করে জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এর কিছু সময় পর একইভাবে একতা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এখন এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বাকি লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।

তিনি জানান, সকালে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী ছিল না। সে কারণে হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে। কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) চার জন আহত হয়েছে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জয়রাজ হোসেন জানিয়েছেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় শরীফ মাহমুদ, সবুজ হাসান, হাবিবুর রহমান নামে তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে মহানগরের কাজীপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন ধাক্কা দেয়। এ সময় মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হন। এর পর থেকে লাইন বন্ধ হয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।


আরও খবর