Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

বেনাপোল পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থীর নাম প্রকাশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ২৩৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : যশোরের বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষ্যে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন। এসময় বেনাপোল পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে ৬জন প্রার্থী তাদের নাম প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে মেয়র প্রার্থী হিসাবে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ আনোয়ার আলী আনু, বেনাপোল পৌরসভার সদ্য সাবেক সংরক্ষিত সদস্য কামরুন নাহার আন্না, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আকবার আলী, যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন উজ্জ্বল। এছাড়া, বেনাপোল পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে শতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের নাম প্রকাশ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আলম সালমা, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, বেনাপোল পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুল, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অহিদুর রহমান অপু, তৌহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন রুবেল, প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, যশোরের বেনাপোলসহ দেশের আট পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৭ জুলাই। গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বেনাপোল ইউনিয়নের ১১টা গ্রামের অংশ নিয়ে বেনাপোল পৌরসভা গঠনের পর ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সেই নির্বাচনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ওই পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও আর নির্বাচন হয়নি। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার নির্বাচন ঠেকাতে এলাকা নিয়ে মামলার কারণে নির্বাচন আটকে যায়।  ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪২ এর সংশোধনক্রমে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন ২০২২ এর ধারা ৯ অনুযায়ী পৌর পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।


আরও খবর



ময়মনসিংহে মানবতাবিরোধী মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ:ময়মনসিংহে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরোয়ানা ভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী চরপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ডিবির ওসি ফারুক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি আরো জানান, আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারাধীন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী চরপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে এসআই কমল সরকারের নেতৃত্বে  সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স জেলার ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী চরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারাধীন মামলায় গ্রেফতারী ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ ছলিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তার বয়স ৯০। সে ঐ এলাকার মৃত নূর হোসেনের  ছেলে।,পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ছলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের বাংলা আশ্বিন মাসের ২৫ তারিখে (১২/১০/১৯৭১) দুপুর অনুমান ১২টার সময় কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ হোসাইন আহম্মদ (মৃত) এর নির্দেশে রাজাকার মোঃ ছলিমুদ্দিন সহ ১৫/১৬ জন সশস্ত্র রাজাকার ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী বাজারে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, আওয়ামীলীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ নুরুল হক ওরফে তারা মিয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করপ। এছাড়া  আওয়ামীলীগ সমর্থক নিরীহ হিন্দু ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র কর কে অপহরণ করে পাকিস্তান আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করে।। পরে আওয়ামীলীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ নুরুল হক ওরফে তারা মিয়াকে ধরে নিয়ে ময়মনসিংহ বড় মসজিদ রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী বিগত দুই বছরের বেশি সময় যাবৎ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে অবস্থান করছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরও খবর



মতিনের ক্ষমতা খর্ব আতাউরের পাকাপোক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপিকে) দুভাগে বিভক্ত করে দুজন সভাপতি ও দুজন সম্পাদক করে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের দীর্ঘ সময়ের একক ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে মনে করছেন ইউপির তৃনমুল নেতাকর্মীরা। অপরদিকে রাজনৈতিক রহস্যের কারনে বাধাইড় ইউনিয়ন (ইউপিকে) বিভক্ত না করেই চেয়ারম্যান আতাউর রহমান কে সভাপতি করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা হয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মী রা। গত শনিবার সকালে পাঁচন্দর ইউপির ও বিকেলে বাধাইড় ইউপির কমিটি ঘোষনা করা হয়। এছাড়া একই মঞ্চে কৃষক লীগ ও যুব মহিলালীগেরও কমিটি ঘোষনা করা হয় যা গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে মনে করছেন সিনিয়র এবং জেলার নেতারা। এদিকে যুবলীগের কমিটি মঞ্চে ঘোষণা না করে শনিবার রাতে এমপি ফারুক চৌধুরী বাস ভবনে পাচন্দর ইউনিয়নকে বিভক্ত করে যুবলীগের  কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।  পাচন্দর ইউনিয়ন (ইউপিকে) দুভাগে বিভক্ত করে উত্তর যুবলীগের সভাপতি করা হয় কামরুল ইসলাম কে, সম্পাদক করা হয় দুলাল হোসেনকে এবং দক্ষিণের সভাপতি করা হয় জিয়াউর রহমান কে ও সম্পাদক করা হয় শাহাবুল মাস্টারকে। এমন অলৌকিক কমিটি নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে, বিশেষ করে পাচন্দর ইউপি যুবলীগের কমিটি নিয়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে । সেই সাথে পাচন্দর ইউপি কে বিভক্ত ও বাধাইড় ইউপিকে বিভক্ত না করার কারনে নানা প্রশ্ন বিরাজ মান। 

জানা গেছে, গত ২ রা সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপির)  ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে, দ্বিতীয় অধিবেশনে পাচন্দর ইউনিয়ন কে দু ভাগে বিভক্ত করে কমিটি ঘোষনা করা হয়। উত্তর ও দক্ষিণ করে ভাগ করে কমিটি দেওয়া হয়েছে।  দক্ষিণের সভাপতি করা হয় চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন কে ও উত্তরের সভাপতি করা হয় আলহাজ ইসরাইল হোসেন কে।এদিকে বাঁধাইড় ইউপি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জুমারপাড়া স্কুল মাঠে।  সম্মেলনে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান কে সভাপতি করা হয়। কিন্তু বৃহত্তর বাঁধাইড় ইউপি হলেও রহস্য জনক কারনে বিভক্ত করেন নি এমপি। বাঁধাইড় ইউপি কে বিভক্ত না করে কমিটি দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে পাঁচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।পাঁচন্দর ইউপির বেশকিছু নেতারা বলেন,পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিভক্ত না করার জন্য চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এমপির একটাই কথা পাঁচন্দর ইউনিয়ন দুভাগে বিভক্ত করে কমিটি দিবেই। অতীতে তিনি একক সভাপতি ছিলেন, এখন দুভাগ হল। ক্ষমতা তো অবশ্যই খর্ব হয়েছে। কারন এক খাছাই দুই পাখি বেমানান। অথচ বাঁধাইড় ইউপি কে বিভক্ত না করে কমিটি দিলেন। চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেও অভিমত তৃনমুলের।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক একে সরকার সরকারি কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, বাঁধাইড় ইউনিয়ন ভৌগোলিক অবস্থা ভালো না এবং বসতিও কম মুলত একারনে  বিভক্ত করা হয়নি। আর পাঁচন্দর ইউপির ভৌগোলিক অবস্থাও ভালো এবং ঘন বসতি, ভোটার সংখ্যাও বেশি একারনেই বিভক্তি করে কমিটি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ডেমরায় নবাগত ওসির সাথে প্রেসক্লাবের সদস্যদের মতবিনিময়

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃডিএমপি ডেমরা থানার নবাগত ওসি জহিরুল ইসলামের সাথে ডেমরা প্রেসক্লাবের সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার  (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডেমরা প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সেলিম নিয়াজী। এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ সিদ্দিক মিয়া।

আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সোহরাওয়ার্দী, শামসুল আলম, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, নাজমুল হাসান,এ আর হানিফ, রেজাউল ইসলাম,রাজু আহমেদ প্রমুখ।



আরও খবর



নৈশভোজে যেসব খাবার দিয়ে ম্যাক্রোঁকে আপ্যায়ন করা হয়

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৈশভোজের শুরুটা হয় আমড়ার জুস দিয়ে। এছাড়াও আপ্যায়নে ছিল ইলিশ, কাচ্চি বিরিয়ানিসহ নানান আয়োজন।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ম্যাক্রোঁর সম্মানে এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজ শুরুর আগে চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

এই আয়োজনে অ্যাপিটাইজার হিসেবে ছিল পেঁয়াজু, সমুচার সঙ্গে স্মোকড ইলিশ, স্যুপ, ব্রেড অ্যান্ড বাটার।

মেইন কোর্সে ছিল খাসির মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানি, গরুর মাংসের শিক কাবাব, চিকেন কোরমা, রোস্টেড লবস্টার, টক অবার্গিন এবং ট্র্যাডিশনাল লুচি ব্রেড।

ডেজার্ট হিসেবে ছিল পাটিসাপটা পিঠা, মিষ্টি দই, রসগোল্লা ও বিভিন্ন ধরনের ফল। বেভারেজ হিসেবে ছিল তাজা ফলের জুস, আমড়ার জুস, চা, কফি ও কোমল পানীয়।

রোববার রাত ৮টায় ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এসময় ম্যাক্রোঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপতির যাত্রা।


আরও খবর



নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের শপথ ২৬ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ গ্রহণ করবেন। ওই দিন সকাল ১১ টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। 

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের  ১১ জানুয়ারি তারিখে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসাবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতি বিষয়ে এম.এস.এস. ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি এলএল.বি. ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকং-এ অনুষ্ঠিত 'ইন্টারন্যাশনাল ল'ইয়ারস কনফারেন্স'-এ অংশগ্রহণ করেন। গণচীনের প্রকিউরেটর জেনারেলের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেলের সফরসঙ্গী হিসেবে যান।

১৯৯৭ সালে চীনের বেইজিংসহ বেশ কিছু নগরী ভ্রমণ করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ (পাঁচ) বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমণ্ডি ল' কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম-পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলিজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড সৌদি আরব। 

তার একমাত্র ছেলে আহমেদ শাফকাত হাসান আইন বিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-এট-ল করার পর ইউনির্ভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এলএল.এম.ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত আছেন।


আরও খবর