Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বাউফলে চাচার হাতে ভাতিজা খুন হওয়ার ঘটনায় মামলা করায় বাদীকে হুমকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৪৭জন দেখেছেন

পটুয়াখালীর বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচার হাতে ভাতিজা আল-আমিন মৃধা (৩৫) খুন হওয়ার ঘটনায় মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে আসামী পক্ষ।  এঘটনায় শামীম মৃধা বাদী  হয়ে বাউফল থানায়  একটি মামলা দায়ের করে। প্রতিপক্ষ ক্ষেপ্ত হয়ে মামলার বাদী ও বাদীর লোকজনকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধবপুর গ্রামের হাতেম মৃধার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আল-আমিন একই গ্রামের মো. শানু মৃধার ছেলে।

 ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আল-আমিন মিলঘর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে হাতেম মৃধার বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার গতিরোধ করে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইসহ কয়েকজন যুবক। পরে তারা আল-আমিনকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে আল-আমিন এর চিৎকারে স্থানীয়রা, এগিয়ে এসে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে এই ঘটনায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষ এই হত্যাকারীদের বিচার চায়

 আল-আমিন এর পরিবারের দাবি, জমিজমা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে একই বাড়ির চাচা মোতালেব মৃধা ও চাচাতো ভাই মো. জাফরের নেতৃত্বে আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মাটিরাঙ্গায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে প্রশাসনের ব্রিফিং অনুষ্টিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:৮ মে অনুষ্টিতব্য প্রথম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি,র মাটিরাঙ্গায়  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ করতে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গায় উপজেলায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং  অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী,র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।

এসময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিেম (বার),জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ কামরুল  আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মাঝে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)মো.মিজানুর রহমান,মাটিরাঙ্গা সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ,মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মুহাম্মদ হাসান, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর সহ ভোটগ্রহন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), বিশেষ অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ, ভোট নিশ্চিত করতে  প্রশাসন, ভোটার, প্রার্থী  সকল কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করার জন্য এবং খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা  পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা  পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত আছে।তাই ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে এবং নির্ভয়ে  নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান। 

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটারদের নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।ভোট কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম দেখা দিলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য আহবান জানান।

মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৩৬টি ভোটকেন্দ্রে ৩৬জন প্রিজাইডিং, ২শত ২৬ জন সহ-প্রিজাইডি এবং ৪শত ৫২পোলিং অফিসার ভোট গ্রহন করবেন। ১টি পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা  ৯০হাজার ৩শত ৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪৬হাজার ১শত২০জন।  মহিলা ভোটারের সংখ্যা  ৪৪হাজার ২শত ৬২জন। 

আরও খবর



রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৯১জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ষ্টাফ কোয়াটার এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।ঢাকা দক্ষিন সিটি টাউন ফেডারেশনের সভাপতি ও এলাকাবাসীর অত্যন্ত পছন্দের মানুষ হিসেবে করো বোন,কারো ভাবি,কারো মেয়ে হয়ে সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মেহনতী মানুষের মাঝে এান খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন ইতোপুর্বে।চলতি দাবদাহ শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করে চলেছেন রাশিদা আক্তার শান্তা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৬৭,৬৮,৬৯ নম্বর ওয়ার্ডকে ডিজিটাল হিসাবে গড়তে চান রাশিদা আক্তার শান্তা।নাগরিকের অধিকার সর্বোচ্চ বজায় রাখতে চান তিনি।নারীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বহু নারীকে কর্মসংস্থান ব্যবস্হা করেছেন রাশিদা আক্তার শান্তা।তিনি অসহায় গরীব মেয়েদের নিজের অর্থ সহোযোগিতা করেছেন। 

নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চান । নারী ও বৃদ্ধদের জন্য ব্যায়ামাগার নির্মাণ করতে চান সংরক্ষিত নারী আসনের এ প্রার্থী। এলাকার যানজট সমস্যা নিরসন করার অঙ্গীকার করেন তিনি।রাশিদা আক্তার শান্তা বলেন, ওয়ার্ডের মাঠগুলোকে শুধু খেলাধুলা করার জন্য উপযোগী করে দেব। মেয়েদের খেলার সুযোগ তৈরি করব। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেয়েদের মাঠে খেলার ব্যবস্থা করে দেব। এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিরাপত্তা বাড়াব। মাদক নির্মূল করার চেষ্টা করব,আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সুখে দুঃখে সার্বক্ষণিক মানুষের পাশে থাকব। এলাকার অবহেলিত নারীদের উন্নয়নে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি।আমি যেন আরও বেশি করে জনগণের সেবা করতে পারি এজন্যই জনগণের অনুরোধে এবার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


আরও খবর



মসজিদ সংস্কারের অভাবে অন্যের গোডাউনে নামাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক গ্রামে গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবে বন্ধ মসজিদ সংস্কার কাজ। বছরখানে ধরে পাশে অন্যের গোডাউনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন পরিস্থিতিতে বিনা ভাড়ায় গোডাউন দিয়ে এক দম্পতি ও অর্থ অনুদান দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ।সরেজমিনে ঘুরে ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব শুয়াপুর গ্রাম। উপজেলার একেবারে শেষ প্রান্তের শেষ গ্রাম এটি। এক সময় এ গ্রামে জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। নদী ভাঙ্গনে কবলে পড়ে বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছেন।

বর্তমান এ গ্রামে প্রায় সাত শতাধিক জনসংখ্যা। এখানে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ হতদরিদ্র। গত আড়াই যুগেরও আগে জীবিত থাকাবস্থায় ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মাতাব্বর মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপর গ্রামের সবাই মিলে মাটি তোলে সেখানে বরাব (শুয়াপুর) জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়। কোন রকমে ছাপড়া তোলে মসজিদের কাযক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছিল।

যুগের সাথে তাল মিলিতে গিয়ে উন্নয়নের লক্ষে ওই মসজিদটি ভাঙ্গা হয়। এরপর পাশে ছাপড়া দিয়ে বছর দুয়েক আগে কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করে আসছিলেন। কিন্তু সেটাও অনুপযোগী হয়ে পড়লে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। গত এক বছর ধরে পাশের একটি গোডাউনে মসজিদের কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এর জন্য ভাড়া না নেয়ায় রিপন রহমান ও নাজমা বেগম নামে এক দম্পতি ওই গ্রামে প্রশংসিত হয়েছেন। মসজিদের পাঁচ তলা ভবনের ফাইন্ডেশন দিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে শুধু নিচ তলার পিলার দাঁড়িয়ে আছে। দুই বছর ধরে অর্থাভাবে ওই মসজিদের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। আর সংস্কারের অভাবে নিরুপায় হয়েই পাশের ওই গোডাউনে মসজিদ কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন খবর পান আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ। এরপর তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই মসজিদে মোটা অংকের অর্থ অনুদান দেন। এছাড়াও ওই মসজিদের সংস্কার শুরু হলে নিজের তহবিল থেকে আরো অনুদানের আশ^াস দেন তিনি। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ। অপর দিকে খুব তাড়াতাড়ি মসজিদের সংস্কার কাজ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি। তবে মসজিদ উন্নয়নে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ। ওই গোডাউনের মালিক দম্পতি নাজমা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর আগে মানিকগঞ্জ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করি। এরও আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। টাকার অভাবে মসজিদের সংস্কার বন্ধ ও নামাজের উপযুক্ত স্থান না থাকায় আমাদের গোডাউন ব্যবহার করতে দিয়েছি। এর জন্য ভাড়া দিতে চাইলেও আমরা নেয়নি। তবে যতদিন মসজিদের কাজ না হবে, ততদিন এটা ব্যবহার করবে। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, বরং আমরাও অনেক খুশি।

বিনা ভাড়ায় ওই গোডাউনে কার্যক্রম ও নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান,আগে এই পুরো গ্রাম প্রায় খালি ছিল। নদী ভাঙ্গণের শিকার হয়ে আসতে আসতে এখানে মানুষ ভরে গেছে। আর এসব মানুষের কথা ভেবে আমার বাবা জমি ওয়াকফ করে দিলে সবাই মিলে এই মসজিদ নির্মাণ করে। মসজিদের কিছু কাজ করার পর টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কিছু অনুদান পেয়েছি, গ্রামের সবাই সহযোগী করছে। এজন্য খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করবো। তবে সকলেও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম জানান, ওই মসজিদের এমন অবস্থার কথা আগে জানা ছিল না। তবে আবেদন করলে ওই মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেই সাথে দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দু’বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক তহিদুল ইসলাম আসামী জাহিদুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের উত্তর উজিলপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ভুক্তভোগী রেবা খাতুন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী সুবাদে আসামী জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হকের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জাহিদুল হক রেবাকে ৫০ 'হাজার টাকায় জর্ডানে ভাল চাকুরীতে প্রেরণের প্রস্তাব দেয়। সরল বিশ্বাস রেবা খাতুন জাহিদুলের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। পরে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর রেবা খাতুনকে জর্ডানে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যান। ০৪ দিন পর রেবাকে রেখে জাহিদুল চলে যায়। পরে রেবা খাতুন টাকা ফেরত চাইলে জাহিদুল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেবার ভাবি গাজু খাতুন আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যার নাম্বার ২৯/২০১৪।

মামলাটি মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই দুলু মিয়া ও এসআই ফারুক হোসেন তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় সরকারী কৌশলী ছিলেন একে এম আছাদুজ্জামান।


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের সকল থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনা এবং অস্ত্র-গোলাবারুদের নিরাপত্তা জোরদার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পুলিশ সদরদপ্তরের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, সারা দেশের সকল থানায় কমপক্ষে তিনটি সেইন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া থানা কিংবা পুলিশের যেকোনো স্থাপনা হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে তার নির্দেশনা পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সকল ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, সম্প্রতি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা বান্দরবানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন এড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বান্দরবানে অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সকল ইউনিটে অ্যালার্ম প্যারেডের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের মতো ঢাকা মহানগর পুলিশ থানা ও স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে গত ২৩ এপ্রিল একটি সার্কুলার জারি করেছে।

এতে বলা হয়, প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে ৩টি স্থায়ী সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। তবে বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। রাতে ডাবল সেন্ট্রি ডিউটি মোতায়েন করতে হবে।

অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশের ছুটি বা অন্যত্র দায়িত্বে না রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখা। বাইরের কারও দেওয়া খাবার না খাওয়া। অস্ত্রাগার সুরক্ষিত রাখা। রাতে নির্দিষ্ট সময় পর থানায় বাইরের কেউ প্রবেশ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে চেকিং এবং সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশ করতে দেওয়া।


আরও খবর