
নিজস্ব প্রতিবেদক ;‘খুলনা থেকে ভোরে আমি বাসে উঠি। শিবচরে বাস উল্টে যাওয়ার পর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরে দেখি স্থানীয় এক ভাই আমার পাশে।’ এভাবেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন খুলনা থেকে আবিদ শেখ। তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুরে জনতা ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
খুলনা থেকে আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে ছেড়ে আসে ইমাদ পরিবহনের বাসটি। বাসটি মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে ১৬ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওই বাসের আরেক যাত্রী মহারাজ খাঁ (৩০) বলেন, ‘চলতে চলতে দেখলাম হঠাৎ গাড়ি বামে মোড় নিছে। লোকজন চিৎকার শুরু করে। এরপর গাড়ি উল্টে গেলো। এরপর আমার আর মনে নাই। বাসটা যে কতবার উল্টাইছে নিজেও বলতে পারি না। এরপর বাস খাদে পড়ে যায়।’
মহারাজের সামনের সিটে ছিলেন আনোয়ারা। ছেলে সাজ্জাদকে নিয়ে আনোয়ারা বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে আসছিলেন। ভোর ৬টার দিকে মোল্লারহাট থেকে বাসে ওঠেন তিনি। দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কীভাবে কী হলো বলতে পারছি না। মুহূর্তেই বাস খাদে পড়ে যায়।’