Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বাড়ি-ঘর নির্মাণে বাঁধা জমির মালিক কে মারপিট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে অন্যের পুকুর পাড়ে জোরপূর্বক বাড়ি-ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার কারনে মালিক শওকত আলীকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় মালিক শওকত আলী বাদি হয়ে বুরুজ গ্রামের রাজুকে প্রধান করে ৬ জনের নামে উল্লেখ   করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তানোর পৌর এলাকার বুরুজ গ্রামে সম্প্রতি ঘটে এমন ঘটনাটি। বাড়ি নির্মাণের আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে পুকুর পাড়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করেন ওই গ্রামের কালাম আলীসহ কয়েকজন। এঘটনায়ও থানায় অভিযোগ করেন শওকত। ফলে ঘটনাগুলো নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে মনে করছেন গ্রামবাসী।

অভিযোগে উল্লেখ, বুরুজ মৌজার অন্তর্গত আরএস ৯২ নম্বর খতিয়ানের মালিক বদর আলী সরকার দিং। তাহার মৃত্যুর পর শওকতের পিতা মালিক হন। তিনি মারা যাওয়ার পর ছেলে শওকত আলী জমির মালিক হন। ৪৯৬ নম্বর আরএস দাগে পুকুর ও পাড় মিলে ৮২ শতাংশ জমি রয়েছে। শওকত আলী জানান, পুকুরটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করার কারনে আবর্জনা পড়ে এক প্রকার ভরাট হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি পুকুর সংস্কার করতে লাগলে পাড়ে বসবাসরত রাজু ও তার বাপ চাচারা বাঁধা দেন এবং তাদের নিজের জায়গা দাবি করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে এবং আমাকে উদ্ধার করতে মা আসলে তাকেও পেটায়। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি। 

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের দক্ষিণ, পূর্ব দিকে ব্যক্তিগত ভাবে প্রটেকশন ওয়াল দেয়া আছে  এবং উত্তর দিকে পৌরসভা থেকে ওয়াল দেয়া হয়েছে । পুকুরের কিছু অংশ পুন খনন করা আছে, মাঝে গালা পড়ে রয়েছে। চারদিকে বসবাস কারীরা আবর্জনা ফেলে রেখেছে। গ্রামের প্রবীন কিছু ব্যক্তিরা জানান, আগে পুকুরের পানি দিয়ে রান্নাবাড়ার কাজ সহ যাবতীয় কাজ করা হত। আর এখন আবর্জনা ও মলের জন্য কোন কাজ করা যায় না। পুকুর টি পুন খনন করা হলে মাছ চাষও হবে এবং যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ সারা যাবে। সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে পুকুর টি পুন খনন করা।

অভিযুক্তরা বলেন, পুকুর পুন খনন করতে বাঁধা নেই। আমরা বলেছি পুকুর পুন খনন করে পাড় বাঁধার জন্য। কিন্তু শওকত পাড় না বেধে মাটি বিক্রির জন্য বসতবাড়ি হুমকিতে ফেলছে। মারপিট হয়নি, ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে। আমরাও অভিযোগ করেছে তদন্ত হলেই কার অপরাধ বুঝতে পারবে সবাই। 

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



মসজিদ সংস্কারের অভাবে অন্যের গোডাউনে নামাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক গ্রামে গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবে বন্ধ মসজিদ সংস্কার কাজ। বছরখানে ধরে পাশে অন্যের গোডাউনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন পরিস্থিতিতে বিনা ভাড়ায় গোডাউন দিয়ে এক দম্পতি ও অর্থ অনুদান দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ।সরেজমিনে ঘুরে ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব শুয়াপুর গ্রাম। উপজেলার একেবারে শেষ প্রান্তের শেষ গ্রাম এটি। এক সময় এ গ্রামে জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। নদী ভাঙ্গনে কবলে পড়ে বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছেন।

বর্তমান এ গ্রামে প্রায় সাত শতাধিক জনসংখ্যা। এখানে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ হতদরিদ্র। গত আড়াই যুগেরও আগে জীবিত থাকাবস্থায় ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মাতাব্বর মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপর গ্রামের সবাই মিলে মাটি তোলে সেখানে বরাব (শুয়াপুর) জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়। কোন রকমে ছাপড়া তোলে মসজিদের কাযক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছিল।

যুগের সাথে তাল মিলিতে গিয়ে উন্নয়নের লক্ষে ওই মসজিদটি ভাঙ্গা হয়। এরপর পাশে ছাপড়া দিয়ে বছর দুয়েক আগে কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করে আসছিলেন। কিন্তু সেটাও অনুপযোগী হয়ে পড়লে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। গত এক বছর ধরে পাশের একটি গোডাউনে মসজিদের কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এর জন্য ভাড়া না নেয়ায় রিপন রহমান ও নাজমা বেগম নামে এক দম্পতি ওই গ্রামে প্রশংসিত হয়েছেন। মসজিদের পাঁচ তলা ভবনের ফাইন্ডেশন দিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে শুধু নিচ তলার পিলার দাঁড়িয়ে আছে। দুই বছর ধরে অর্থাভাবে ওই মসজিদের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। আর সংস্কারের অভাবে নিরুপায় হয়েই পাশের ওই গোডাউনে মসজিদ কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন খবর পান আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ। এরপর তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই মসজিদে মোটা অংকের অর্থ অনুদান দেন। এছাড়াও ওই মসজিদের সংস্কার শুরু হলে নিজের তহবিল থেকে আরো অনুদানের আশ^াস দেন তিনি। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ। অপর দিকে খুব তাড়াতাড়ি মসজিদের সংস্কার কাজ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি। তবে মসজিদ উন্নয়নে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ। ওই গোডাউনের মালিক দম্পতি নাজমা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর আগে মানিকগঞ্জ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করি। এরও আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। টাকার অভাবে মসজিদের সংস্কার বন্ধ ও নামাজের উপযুক্ত স্থান না থাকায় আমাদের গোডাউন ব্যবহার করতে দিয়েছি। এর জন্য ভাড়া দিতে চাইলেও আমরা নেয়নি। তবে যতদিন মসজিদের কাজ না হবে, ততদিন এটা ব্যবহার করবে। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, বরং আমরাও অনেক খুশি।

বিনা ভাড়ায় ওই গোডাউনে কার্যক্রম ও নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান,আগে এই পুরো গ্রাম প্রায় খালি ছিল। নদী ভাঙ্গণের শিকার হয়ে আসতে আসতে এখানে মানুষ ভরে গেছে। আর এসব মানুষের কথা ভেবে আমার বাবা জমি ওয়াকফ করে দিলে সবাই মিলে এই মসজিদ নির্মাণ করে। মসজিদের কিছু কাজ করার পর টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কিছু অনুদান পেয়েছি, গ্রামের সবাই সহযোগী করছে। এজন্য খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করবো। তবে সকলেও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম জানান, ওই মসজিদের এমন অবস্থার কথা আগে জানা ছিল না। তবে আবেদন করলে ওই মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইন শৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোন কথা নেই কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংএর বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থ বছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়, সকল গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মুল স্রোতধারার সাথে আমাদের এক হয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। 

পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। 

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ বছর পর সাজেকের রাস্তাঘাট হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এতো তরিৎ গতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরী করা চারর্টিখানি কথা না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এই রাস্তা আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনের পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী  বীর_বাহাদুর_উশৈসিং_এমপি’র সভাপতিত্বে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি  দীপংকর তালুকদার এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি  মোঃ মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের এমপি  শেখ আফিল উদ্দিন,  সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এমপি  জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান  সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক  শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সচিব  অমলেন্দু সিংহ (যুগ্ন সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান  হারুন-অর_রশিদ (যুগ্ন সচিব), তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সিইও বৃন্দ, আঞ্চলিক পরিষেদের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত উপসচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৪জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্দর অভ্যন্তরের সকল ধরনের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার সকাল ১০ টায় বিষয়টি বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সুইট।

তিনি জানান মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারী ছুটি থাকায় হিলি কাস্টমসের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরফলে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম চালু হবে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল ইসলাম বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১২জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত হয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষ্যে প্রার্থীগণের সাথে মতবিনিময় সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কুষ্টিয়া মো: এহেতেশাম রেজা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কুষ্টিয়া, জেলা নির্বাচন অফিসার, কুষ্টিয়া, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিগণসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। উল্লেখ্য ৮ মে সারাদিন নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দ পেলেন যারা , চেয়ারম্যান পদে মোঃ আতাউর রহমান আতা (আনারস), মোঃ আবু আহাদ আল মামুন (মোটর সাইকেল), ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু তৈয়ব বাদশা (পালকি), মোঃ জাকির হোসেন (টিয়া পাখী), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত।

আরও খবর



সৈয়দপুরে অপরিপক্ব লিচু ও আম বিক্রি, স্বাস্থ্যঝুকির শঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর শহরে অপরিপক্ব লিচু ও মিসরি ভোগ আম উঠতে শুরু করেছে। দেখতে আধপাকা মনে হলেও  জম্মের টক। একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা আর এক কেজি মিসরি ভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। স্বাস্হ্য  ঝুকি জানার পরেও অপরিপক্ক ওইসব লিচু আর আম কিনছেন  অসচেতন ক্রেতারা। যা খেয়ে পেটের পিরায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।প্রচন্ড গরমে অপরিপক্ক এসব ফল কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে ব্যাবসায়িরা বলছেন, মৌসুমের নতুন ফল খাওয়ার সবারই আগ্রহ থাকে,এরফলে দামও পাওয়া যায় ভালো। একারনে,গ্রামের যেসব বাগানে লিচু হলকা লাল হয়েছে,সেগুলো বাগান মালিকদের বেশি দাম দিয়ে সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। 

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু হলো উত্তরবঙ্গের সুস্বাদু লিচু। এই লিচু পরিপক্ব হতে এখনো ২০/২৫ দিন বাকি। আর মিসরি ভোগ আম সুস্বাদু হয় বদরগন্জের খাগরাবন ও রাজশাহীর। তেমনি হাড়ি ভাংগা আমের জন্য বিখ্যাত রংপুর। এসব আম পরিপক্ব হয়ে পাকতে এখনো ২০/২৫ দিন সময় লাগবে।বাজারে যেসব লিচু ও আম বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির কোনটাই পরিপক্ব নয়। আইন প্রয়োগ কারি সংস্হার উচিত অভিযান চালায়ে মোটা অংকের জরিমানা করা। 
সৈয়দপুর ১০০ বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, অপরিপক্ক যে কোন ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সহ মারাত্মক ভাবে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তিনি অপরিপক্ক কোন ফলই বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়িদের অনুরোধ জানান। 

দুলাল নামের এক আড়তদার বলেন, সৈয়দপুর শহরের সব আড়তদারদের বদনাম করে ছেড়েছেন গিয়াস নামের এক ফল আড়তদার। তিনি বলেন, যেখানে কৃষি অধিদপ্তর, ও ডাক্তার বলছেন অপরিপক্ক ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে, সেখানে তিনি তাদের কথার তোয়াক্কা না করে, অতিরিক্ত লাভের আশায় অপরিপক্ক লিচু ও মিসরি ভোগ আম বিক্রি করে চলেছেন। এসব ব্যবসায়ির মোটা অংকের জরিমানা সহ জেল দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাদেক পাগলা নামের এক ক্রেতা বলেন,বছরের প্রথম ফল তো তাই কিনলাম। বিক্রেতা বললেন ফল গুলো মিষ্টি হবে, এখন দেখছি জম্মের টক।

ফল বিক্রেতা গিয়াস জানান, লাভের আশায় আম ও লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। তিনি বলেন সব মাছই ময়লা খায় শুধু নাম হয় নাড়িয়া মাছের। অনেকের আড়তেই অপরিপক্ক ফল আছে এবং তারা দাপটের সাথেই তা বিক্রি করছেন। কিন্তু তাদের প্রশাসন সহ কেউই কিছু বলেন না। অভিযান যদি চালাতেই হয়, তাহলে সকল অবৈধ ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়ার দাবী করেন তিনি। 

আরও খবর