Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশি ৬৯৬৭ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ছয় হাজার ৯৬৭ জন হজযাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে জানানো হয়, হজযাত্রার প্রথম দিন রোববার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৬৭ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২৪৮৯ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৪৪৭৮ জন সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

চলতি বছর গত ২১ মে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। হজে যাওয়ার শেষ ফ্লাইট ২২ জুন। অন্যদিকে, হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড প্রি-হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। আগামী ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে। সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে।

হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ প্রায় ৫ হাজার কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




মঙ্গল শোভাযাত্রা তিমির বিনাশের প্রত্যয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলা ১৪৩১ সনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ স্লোগানের এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। এর পর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসসি মোড় হয়ে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে পৌনে ১০টার দিকে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা নববর্ষ বরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম।

এ বছর বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমিরহননের গান’ কবিতা থেকে নেওয়া।

এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে ছিল ময়ূর, হাতি, গন্ধগোকুল, টেপা পুতুল, মাছ, রাজা-রানির মুখোশ। শোভাযাত্রায় আরও ছিল মা ও শিশু এবং বাঘের মুখোশ।

শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

ঢাক-ঢোলের বাদ্যের তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ-উল্লাস মাতিয়ে রেখেছিল পুরো শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছল নারীদের মাথায় শোভা পায় নানান রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি।

শোভাযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা। শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ, র‌্যাবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।

পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। কারণ, চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়। নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয় রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা ও কেন্দ্রীয় রাস্তা।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি মূলক সভা হয়েছে।২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন।

এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম ও হাফিজুল ইসলাম, ওসি জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, আত্রাই প্রেস ক্লাব সভাপতি তপন কুমার সরকার, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি উত্তাল মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম, নাজিম উদ্দিন মন্ডল, খবিরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় সারাদেশের ন্যায় বাঙালীর ঐতিহ্য বজায় রেখে সকাল আটটায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, লাঠি খেলা, বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার কৃষ্টি-কালচার সমৃদ্ধ বৈশাখী মেলার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ব্যাংকার, এনজিও, আইনশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও নাসকতা বিষয়ে সভা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



নিটারে আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন মিলনায়তনে গত পহেলা এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ বাদ আছর নিটার কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ও নিটার আবাসিক হলে অবস্থানরত  শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল হতেই দলে দলে ধর্মপ্রাণ  শিক্ষার্থীরা ইফতার মাহফিলে যোগদান করার উদ্দেশ্যে নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন মিলনায়তনে  জড়ো হতে থাকে। উপস্থিত সকলে আসন গ্রহণ করলে নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সকলের উদ্দেশ্যে ইফতারের গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। এছাড়া ইফতার মাহফিলের সকল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে আয়োজকরা নিরলসভাবে সবকিছুর আয়োজন করে। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর সুশৃঙ্খল অংশগ্রহনে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইফতার কর্মসূচির সূচনা হয় ও মোনাজাত শেষে ছাত্র-শিক্ষক সকলে একসাথে বসে সম্মিলিতভাবে ইফতার গ্রহন করে এবং নিটার লেডিস হোস্টেলে অবস্থানরত মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথকস্থানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উক্ত ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এধরনের ইফতার মাহফিল কর্মসূচির আয়োজনে তারা আনন্দিত এবং এরকম আয়োজন পরস্পরের সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধের ও ভালোবাসার বিকাশ ঘটায়। সকলে একসাথে এক স্থানে বসে ইফতার করেছি এরচেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে!  এরকম আয়োজন নিয়মিত করা প্রয়োজন বলে তারা অভিমত জানিয়েছে।

এভাবেই প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল কর্মসূচি সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে সমাপ্ত হয়।


আরও খবর



যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়,তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো: রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলছেন, ১৮ কোটি দেশের মানুষ আমরা একবারও দূর্বল নই। সরকার দূর্বল হতে পারে, আমরা দূর্বল নই। আমাদের যে আত্নশক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে জনগণের লড়াই করার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সবকিছু নিয়েই আমাদের উপর যারা খবরদারী করে আমাদের যারা কৃতদাস বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বো। সরকার কোন অবস্থাতেই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। 

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় দুঃস্হদের মাঝে এক ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মোতালেব হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে তার উত্তরার  ফায়দাবাদের বাসভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা আর নেই। বাংলাদেশের শাসক কে? এটাও আজ আমরা ঠিক বলতে পারি না। একজন শাসক রয়েছেন, তার কাজ হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা, বিরোধী দলেরবকোন কর্মসূচি হলেই তা বানচাল কটা এবং তিনি একজন অবৈধ শাসকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার প্রভু আছে, তারাই মূলত শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। কারন আমাদের দেশের লোকদের সীমান্ত হত্যা করছে, অথচ আমাদের দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বা সরকার তা প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিদিন ১ দিন ২ দিন পরপর হয় লালমনিরহাট, নওগা কিংবা য়শোর, ফেনী,কসবা এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এদের জীবনের কেন নিরাপত্তা নেই। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি বেআইনি কাজ করে চলাফেরা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের ব্যাবস্হা আছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার আছে, নেপালের সাথে বর্ডার আছে, আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, ভূটানের সাথে সীমান্ত আছে, অথচ আপনারা কখনও শুনছেন না যে, তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে তারা সংঘর্ষ করতে সাহস পায় না। কারন তাদের প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ শাসন করছে। তাদের বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, ওরা আমাদের পানি কেড়ে নিবে। ওরা একচেটিয়া বানিজ্য করবে। আমাদের কোন পন্য কিনবে না। বাংলাদেশে ওদের পন্যে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কারখানার মালিকরা, আমাদের যে তাত। কত সমৃদ্ধশালী ছিল তাত। সে তাত ধ্বংস করে ভারতের লুঙ্গি শাড়ী কিনতে হয়। তাদের সকল পন্য আমাদের কিনতে হয়। এটার থেকে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্যই তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো দেশকে আত্মনির্ভরশীল করছেন। জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন। আর শেখ হাসিনা প্রতি নিয়ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করার সকল যড়যন্ত্র তিনি করছেন। 

তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশ কেন অরক্ষিত? 
আজকে কেন বান্দরবানের সারাচি, রুমাসহ বিভিন্ন থানায় ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে কেন? আজকে অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আশ্রয় পায় কি করে? এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না। ঠিকই জানেন, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। কারন তারা নতজানু। ওদের কে যেমন তেমন করে বিদেশি প্রভুদের আশ্রয়েই তাদের থাকতে হয়। কারন ওদের কে ভোটে সরকার গঠন হয়নি। কারন তারা ভোটে সরকার গঠন করেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির  যে ডামী নির্বাচন সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ৯৭% মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের আত্নীয় স্বজনরাই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আর ভোট কেন্দ্র সারাদিন সাহারা মরুভূমির মতো শূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে তারা কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং  যারা আওয়ামী সমর্থক ছিলেন নির্বাচনে  তারাও ভোট দিতে যায় নাই। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন  থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান এক দফার আন্দোলন চলবে। 

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে পুরো রমজান মাস ধরে আমাদের উত্তর মহানগরীর ৭১ টি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং আজকে যে আমরা ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি, এটাও আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ। 

৫ শত অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শাড়ি লুঙ্গি  পেয়ে গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ সময় অসহায়রা বলেন  প্রতিবছরই ঈদ এলে বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ঈদ উপহার শাড়ি লুঙ্গি দেন, এতে আমরা খুব খুশি। 

এ সময় এম কফিলউদ্দিন বলেন, মানুষ আজ খুব অসহায় দিন যাপন করছেন। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন।  তাদের জন্য কিছু করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও খবর



নাসিরনগরে ধর্ষণের শিকার চার বছরের শিশু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নে  চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ মার্চ ২০২৪ রোজ  মঙ্গলবার বেলা অনুমান দুই ঘটিকার সময়।এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক বকুল মিয়া কে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মামলা করা হয়েছে। যার মামলা নং পি১৩২/২৪ তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৪।জানা গেছে, উপজেলার পূর্বভাগ উত্তরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া (১৯) প্রতিবেশী চার বছরের এক  শিশুটিকে  চকােলেটের লোভ দেখিয়ে একই গ্রামের হাবিব মিয়ার পরিত্যক্ত  ঘরে ডেকে নেয়।

সেখানে তাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত করে।  এতে শিশুটির চিৎকারে আশপাশের  লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায়  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।জানা গেছ ধর্ষণের শিকার শিশুটির ইনফেকশন দেখা দিয়েছে এবং সে খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।ভিকটিমের মা আসামী বকুল মিয়ার  অভিভাবকগণের নিকট বিচারপ্রার্থী হলে তারা বাদিনী ও তার লোকদের হুমকি ধামকি দিয়ে বিদায় করে দেয়।নিরূপায় হয়ে বাদিনী গত ৩১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও  শিশু নির্ষাতন দমন ট্রাইবুন্যালে-১ এ  মামলা দায়ের করে।বিজ্ঞ আদালত থানায় মামলাটি এফ আই আর  হিসেবে গন্য করার  জন্য ওসি নাসিরনগর থানাকর নির্দেশ প্রদান করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর