Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

বাংলাদেশের প্রথম বাজেট কত, কে পেশ করেন?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ২০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পায় বাংলাদেশ, দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে । স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রথম জাতীয় বাজেট উপস্থাপিত হয় ১৯৭২ সালের ৩০ জুন। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নথি থেকে জানা যায়, দেশের প্রথম বাজেটের পরিমাণ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। স্বাধীনতার ৫১ বছর শেষে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার লক্ষ্যে সম্ভাব্য বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ ছাড়া তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এই নিয়ে পঞ্চমবার বাজেট উপস্থাপন করছেন।

তাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৩-৭৪ ও ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরের মোট তিনটি বাজেট পেশ করেন। সেসব বছরে বাজেটে বরাদ্দ ছিল যথাক্রমে ৭৮৬ কোটি টাকা, ৯৯৫ কোটি টাকা এবং ১ হাজার ৮৪ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা।


আরও খবর



কোটি শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:অনিশ্চয়তার মুখে কোটি কোটি শিশুর ভবিষ্যৎ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক শিশুকে স্কুল ছেড়ে কাজে নামতে হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান গিলবার্ট হুংবো। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে পৃথিবীজুড়ে যে আগ্রাসন চলছে তার শিকার হতে পারে শিশুরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে অনেক শিশু যৌন নিপীড়নের শিকারও হতে পারে। এই পরিস্থিতি সামলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

গিলবার্ট বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার খরচ এত বেড়ে গেছে যে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। আমরা যদি এখনই দ্রুত পদক্ষেপ না নেই, তাহলে এই সমস্যা আরও প্রকট হবে।

২০২০ সালে জাতিসংঘের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে শিশুশ্রমের শিকার ১৬ কোটি। হুংবো বলেন, এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আগামী ২০ বছরে এটি আরও বাড়বে।

খাবার ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে অন্য খাতে খরচ কমাচ্ছে পরিবার। পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে একবেলার খাবারও কমাতে হচ্ছে কোনো কোনো পরিবারকে। একটা সময় শুরু হচ্ছে শিশুশ্রম। মা-বাবা বাধ্য হয়ে সন্তানকে কাজে পাঠাচ্ছেন।

কেনিয়ার উপকূলীয় শহর মোমবাসার ১৪ বছরের এক মেয়ে শিশু বিবিসিকে জানায়, তার কাজে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তার মা তিন সন্তানের খাবার ও পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।

মেয়েটি জানায়, অর্থ উপার্জনের জন তার কাপড় পরিষ্কার করতে হচ্ছে, চুল কাটতে হচ্ছে। এমনকি যৌনকর্মেও সম্মতি জানাতে হচ্ছে।

এমন অবস্থায় তার স্কুলে যেতেও অনেক কষ্ট হয়। সে জানায়, মাঝে মাঝে তার এত ক্ষুধা লাগে যে খেতেও পারে না।তার মা বলেন, নিজের সন্তানকে এমন কিছু করতে বলা সহজ ছিল না। কিন্তু করোনা মহামারির সময় চাকরি হারানোয় তার কিছু করার ছিল না।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমার জন্য খুবই কষ্টের। আমি চাই আমার সন্তানরা অন্য বাচ্চাদের মতো স্কুলে যাক, ভালো একটা ভবিষ্যৎ গড়ুক। কিন্তু আমি পারছি না। আমার চাকরি নেই।’


আরও খবর



ভারত যাচ্ছে ৫ হাজার টন ইলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পূজার আগে পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড় দেওয়া হবে। এই রপ্তানির একটা বড় অংশ যাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এ ছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকায় ভারতীয় ও বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্যও পাঠানো হবে এসব ইলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পূজার আগে পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড় দেওয়া হবে। এই রপ্তানির একটা বড় অংশ যাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। 

গত কয়েক বছর ধরেই পূজার আগে পশ্চিমবঙ্গের ইলিশপ্রেমীদের মনে রেখে রপ্তানিতে ছাড় দিয়েছে বর্তমান সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

কিন্তু গতবারের থেকে বাংলাদেশে এবার ইলিশের উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। সাগরে প্রচুর ইলিশ মিললেও নদীতে তাদের ঝাঁকের দেখা সেভাবে মেলেনি। নদীতে মাছ না-মেলায় বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দামও এ বার অনেকটাই বেশি। এর পরও ইলিশ রপ্তানির এরকম সিদ্ধান্তে মন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমরা নিয়মিত রপ্তানি করি না। শুধু যেসব দেশের বাঙালি আমাদের মতো ইলিশ ভালোবাসেন, তাদের জন্য উৎসবের শুভেচ্ছা হিসেবে ইলিশ রপ্তানি করা হয়।

দেশে প্রতি বছরে ছয় লাখ টন ইলিশ উৎপাদিত হয় জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে দু’হাজার টন ইলিশ ধরা হয়ই। সেই হিসেবে এবার পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে।


আরও খবর



সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে পাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় সংসদে ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল’ ২০২৩ পাস হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে উত্থাপন করেন। ৫ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা বিল জাতীয় সংসদে পেশ করেন তিনি।

সংসদের কার্যপ্রণালীবিধি অনুযায়ী, অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। স্থায়ী কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে তাদের প্রতিবেদন সংসদে জমা দেয়।

এর আগে রোববার সাইবার নিরাপত্ত বিলের চূড়ান্ত রিপোর্ট সংসদে পেশ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গত রোববার কমিটির পক্ষে সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক রিপোর্টটি উত্থাপন করেন। বিলটিতে ৩২ ধারা বাদ দেয়াসহ ৪২ ও ২১ ধারায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বিলটির ৩৪ ধারায় কিছু শব্দগত পরিবর্তন ও মিথ্যা মামলাজনিত শাস্তির বিধানাবলী আনা হয়েছে। এখানে কমিটি পরিস্কার করে বলেছে, (১) যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জানিয়েও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে সেটি হবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন উক্ত ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সেই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কোনো ব্যক্তি যদি উপধারা (১) এর অধীন এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে উক্ত ধারায় বর্ণিত অপরাধের মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেই দণ্ডের পরিমাণ হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। (৩) কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপধারা (১) এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৩২ ধারা বাতিলসহ বেশ কিছু সংশোধনী এনে সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি। বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এছাড়া বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা বা’ এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে। বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল।

ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল। বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাব ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

উত্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য–উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করে, বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উক্ত তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করবার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করিতে পারিবে।

এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় ‘তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।


আরও খবর



অপরিষ্কার স্থানে পণ্য উৎপাদন, নিউ প্রিন্স বেকারিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: অপরিষ্কার স্থানে পণ্য উৎপাদন করায় মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত ‘নিউ প্রিন্স বেকারি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’কে’ জরিমানা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকা আদায় করা হয়।রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানা সংলগ্ন ওই বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ভেজালবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকার নেতৃত্বে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর এলাকায় অবস্থিত নিউ প্রিন্স বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয় এবং খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখলাম লেভেলবিহীন অবস্থায় তারা উৎপাদিত পণ্য প্যাকেটজাত করে রেখেছে। যার কোনো উৎপাদনের তারিখ নেই। যেসব কালার ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়েছে তার কোনোটাই ফুড গ্রেডেড না।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ডাস্টবিন ব্যবস্থাপনা নেই। অপরিষ্কার জায়গায় পণ্য উৎপাদন করছে। প্যাকেটের গায়ে কোনো আমদানিকারকের লেভেল নেই। এসব অপরাধে চার ধারায় ৮ লাখ টাকার জরিমানা হওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে প্রথমবার সতর্কতা হিসেবে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এরপর আগামী মাসে আমরা আবারও পরিদর্শনে এসে যদি পুনরায় একই অপরাধ পাই, তাহলে পুনরায় দ্বিগুণ জরিমানা আদায় সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেকারির মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বেকারির পরিবেশ খারাপ কিন্তু আমাদের পণ্য ভালো। হয়তো আমাদের পরিবেশটা একটু অপরিষ্কার, আমরা বেকারি পরিষ্কার করাচ্ছি। কারণ আমরা প্রতিদিনের পণ্য প্রতিদিন বিক্রি করে দিচ্ছি। আমাদের এখানে বাসি কোনো পণ্য নেই। কারখানা আরও পরিষ্কার ও ভালো করা দরকার। কিন্তু অর্থের অভাবে সেটা করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই কারখানা পরিষ্কার করি। কিন্তু কাজ করতে গেলে একটু তো অপরিষ্কার হবেই। আমাদের কর্মীরা সবকিছুই পরিষ্কার করে কিন্তু টাকার অভাবে চাইলেও অনেক কিছু পারি না। আমরা খুব সংকটে আছি। এই বেকারিতে আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না বরং লস হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যবসা তো না করেও পারছি না। কারণ মার্কেটে আমরা এখনও অনেক টাকা পাবো। এজন্যই চাইলেই ব্যবসা বন্ধ করতে পারছি না। তবে আমরা কোনো দুই নম্বর বা নকল পণ্য ব্যবহার করছি না।’


আরও খবর



ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে ন্যাটো প্রধানের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসন বন্ধের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।

কিয়েভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং এর মধ্যেই রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ সতর্ক করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত শেষ হবে না। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

জার্মানির ফাঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘বেশিরভাগ যুদ্ধ প্রথম শুরু হওয়ার সময় থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলে। সুতরাং আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এতে করে গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপে যুদ্ধ ফিরে আসে। তবে কিয়েভ গত বছরের জুনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে এবং দেশের দক্ষিণ ও পূর্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করে। যদিও পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনের অর্জন এখন পর্যন্ত খুবই সীমিত।

স্টলটেনবার্গ বলেন, আমরা সবাই দ্রুত শান্তি কামনা করছি। তবে একই সময়ে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে: যদি প্রেসিডেন্ট (ভলোদিমির) জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধ করা বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের দেশ (ইউক্রেন) আর থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিন এবং রাশিয়া তাদের অস্ত্র ফেলে দেয়, তাহলে আমরা শান্তি অর্জন করতে পারব।

এদিকে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে স্টলটেনবার্গ বলেন: ‘এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, ইউক্রেন শেষ পর্যন্ত ন্যাটোতে (সদস্য হিসেবে) থাকবে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত জোটের শীর্ষ সম্মেলনে কিয়েভ ‘ন্যাটোর কাছাকাছি চলে এসেছে’। তার ভাষায়, ‘যখন এই যুদ্ধ শেষ হবে, তখন আমাদের ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। অন্যথায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।


আরও খবর