আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃজেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডঃ মোঃ এমদাদ মোল্লার বিরোদ্ধে নানা অনিয়ম,দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিদ্যালয়ের পাঁচজন অভিভাবক সদস্য একলাছ মিয়া, মইন উদ্দিন,আব্দু মিয়া,আব্দুর রসিদ রূপালী রানী ও দাতা সদস্য ডাক্তার রোখন উদ্দিন ভূঞা মিলে গত ২২ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।সভাপতি এমদাদ মোল্লার বিরোদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন এলাকায় গেলে অভিযোগকারী ছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এডঃ নাসির উদ্দিন ভুইয়া,ইউপি সদস্য সামসু মিয়া,ইউপি সদস্য মোঃ জজ মিয়া,শহীদুল্লা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আর মুরুব্বিরা মিলে সভাপতি এমদাদ মোল্লার নানা অনিয়ম দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন মিডিয়ার সামনে।
তারা জানান এডঃ এমদাদ মোল্লা সভাপতি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতে ডুবে গেছে।তাদের দাখিল করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে এমদাদ মোল্লা সভাপতি হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্মিত প্রায় পঞ্চাশটি দোকানের বিপুল পরিমান ভাড়া,স্কুলের মালিকানা পুকুরের লীজের টাকা ও প্রায় দেড়হাজার ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে আদায় করা বেতনের টাকা অভিভাবক সদস্যের কাউকে কিছু না বলে নিজেই নিজের ইচ্ছেমত খরচ করে।
উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থাবর সম্পত্তি হিসেবেএকটি পুরাতন টিনসেট ঘর পরিচালনা কমিটির কাউকে কোন কিছু না বলে সভাপতি ব্যাক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ক্রেতার সাথে গোপনে হাতাত করে কম মুল্যে বিক্রি করে দেয়।বিদ্যালয়ের নামে দানকরা পুরাতন ভবন গুলোত বসবাসকারী শিক্ষকদেরকে কমিটির কাউকে কোন কিছু না বলে নিজের ইচ্ছে মত তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের বাসভবন থেকে বের করে দেয়।
ফলে শিক্ষকদের মনে ক্ষোভের অনলের সৃষ্টি হয়।ফল শ্রুতিতে বিগত এস,এস সি পরীক্ষার ফলাফলে মারাত্বক বির্পয দেখা দেয়।স্কুলের জায়গা জবর দখলকারী ব্যাক্তির বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তার সাথে গোপনে যোগযোগ রক্ষা করে সে ব্যাক্তিগত ভাবে লাভবান হচ্ছেন।বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মাঠে বাজার বসে।বাজারটি বিদ্যালয় চলার পূর্বেই বন্ধ হবার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।কিন্তু সভাপতি এ বিষয়ে কিছুই বলেননি।
তাছাড়াও আরো নানা অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরোদ্ধে।মুঠোফোনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডঃ মোঃ এমদাদ মোল্লার বিরোদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে,তার বিরোদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন সভাপতি এমদাদ মোল্লা।কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল হকের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সভাপতির বিরোদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে।
প্রধান শিক্ষক কৌশলে সকল প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।অভিযোগের তদন্তকারী নাসিরনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইযার সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সভাপতি এমদাদ মোল্লার বিরোদ্ধে অভিভাবক ও দাতা সদস্যের আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি এখনো দেখিনি।তবেআগামীকাল এ বিষয়ে নোটিশ পাঠাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব