Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশের ২ নারী এশিয়ার সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায়

প্রকাশিত:সোমবার ১২ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৭২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রতিবছরের মতো এবারও এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী এশিয়ান সায়েন্টিস্ট। এবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন দুই বাংলাদেশি নারী বিজ্ঞানী।

তালিকায় স্থান পাওয়া দুই বাংলাদেশি নারী বিজ্ঞানী হলেন-বাংলাদেশের চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) পরিচালক ও বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী।

২০১৬ সাল থেকে গবেষণায় অনবদ্য অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে এশিয়ান সায়েন্টিস্ট। এবার অষ্টমবারের মতো তালিকা প্রকাশ করল প্রতিষ্ঠানটি।

সেঁজুতি সাহা বাংলাদেশের অন্যতম একজন নারী বিজ্ঞানী। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত একটি রোগ, যে ভাইরাসের মাধ্যমে জ্বর হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। এই তথ্যের প্রমাণ ছিল না আগে। সেঁজুতি সাহার দলের সদস্যরা তা প্রমাণ করে রোগটির চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী ২০২২ সালে ওডব্লিওএসডি-এলজাইভার ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছিলেন। দেশের জলপথে প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তিনি।


আরও খবর



ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী বাসন্তী পূজা উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, আরতী প্রতিযোগিতা, প্রসাদ বিতরণ ও বৌ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা হরতকীতলা শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা মন্দির কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার বৌ মেলার মধ্যদিয়ে দিবসটি সমাপ্ত করা হয়। বৌশাখের বসন্ত ঋতু তিথি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার মন্দিরে ভগবত গীতাপাঠ, তুলশি আরতি ও মঙ্গলঘাট স্থাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা আমিনুল ইসলাম রিমুন। এ সময় কমিটির সভাপতি দুলাল চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক সৈরভ অধিকারী, পরিচালক শৈলেন্দ্রনাথ রায়, ইউপি সদস্য আর্শিনী কুমার, জোসনা রানী, সাবেক সদস্য শংকর চন্দ্র রায়, জয় প্রসাদ, হিরম্ব কুমার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উক্ত মন্দিরে বিভিন্ন এলাকার থেকে আগত হাজারো ভক্তবৃন্দের ঢল নামে। মন্দির প্রাঙ্গণ যেনো হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। পূজা পাঠ ও অর্চনা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং আরতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শেষের দিনে বৌ মেলার মধ্য দিয়ে দিবসটি সমাপ্তি ঘটে। মেলায় শতশত মুখরোচড় খাবারের দোকান পরশা সাজিয়ে দোকানীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি বিগত শত বছর যাবত তারা পালন করছে বলে কমিটির পরিচালনক শৈলেন্দ্র নাথ জানান।


আরও খবর



জয়পুরহাটে ট্রাক্টর - সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ২ আহত ৪

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে ট্রাক্টর -সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন ধানকাটা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । রবিবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট - আক্কেলপুর সড়কের দাদড়া এলাকায়  এ দূর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- ধানকাটা শ্রমিক পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের জীতেন বর্মন (৪০)। বড় মানিক গ্রামের ইদ্রিস আলী। 

আহতরা হলেন -  পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের মৃত উতিন মন্ডলের ছেলে  সুনীল বর্মন (৪৫) একই গ্রামের আসির উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল (৪৩)তোনসেনের ছেলে  আজিজুল ইসলাম (৪৫) 
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  হুমায়ুন কবির জানান, কয়েকজন শ্রমিক নওগাঁর রানীনগরে ধানকাটা শেষ করে সিএনজি করে  নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় দাদড়া এলাকায় দ্রুত গামী একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু'জন ধানকাটা শ্রমিক মারা যান । এ ঘটনায় আহত হন ৪ জন। তাদের ফায়ারসার্ভিস সদস্যরা  উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও খবর



মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলায় ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শালিক ও আনারস মার্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৬জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান মাগুরা;মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন জমে উঠেছে।৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রচন্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে তারা ছুঁটছেন গ্রাম-গ্রামান্তরে, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসব প্রার্থীগণ ভোট প্রার্থণা করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা উঠোন বৈঠকসহ প্রচার প্রচারনায় কাজ করে যাচ্ছেন।তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে এই  উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। গত ২ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান (আনারস) কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভোটের মাঠে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম হান্নান হেলিকপ্টার মার্কা নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন বেশ আগে থেকেই। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন।জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবিরুজ্জামান কবির শালিক মার্কা নিয়ে নিয়ে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন। নির্বাচনে  উপজেলায়  নতুন হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।  তারপক্ষে স্থানীয় অনেক দাপুটে লোক কাজ করছেন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. বেবী নাজনীন কাপ-পিরিচ মার্কা নিয়ে ভোটের মাঠে ব্যাপক সময় দিচ্ছেন। উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও চেয়ারম্যান নির্বাচনে কতটা সাফল্য আনতে পারবেন তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফী দোয়াত কলম দীঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর সাদিক ঘোড়া এবং যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমান তৈমুর মোটর সাইকেল মার্কা নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ভোট প্রার্থণা করছেন। গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন চেয়ারম্যান পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম তারা এবং শেখ ফরিদুজ্জামান। 

বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ৭ প্রার্থী।নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নাওয়া-খাওয়া, ঘুম ও প্রচন্ড খরা উপেক্ষা করে প্রার্থীরা ছুঁটছেন হাট-বাজারে, চায়ের দোকানে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, ভোটারদের ঘরে ঘরে।এরই মধ্যে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা উপজেলা। দুপুর দুইটা বাজতেই শুরু হয়ে যাচ্ছে মাইকে প্রচারণা। নানান ধরনের সুরে, প্রার্থীদের প্রতীক ও নামে বানানো হয়েছে গান। সেই গান বাজিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে এই উপজেলায় মোট ৮ টি ইউনিয়ন রয়েছে।ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার।
এলাকার ভোটারদের অভিমতে দুই প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াইটা হবে আশা করা যাচ্ছে। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো: কবিরজ্জামান কবির  শালিক পাখি মার্কা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আব্দুল মান্নান আনারস মার্কা
তাদের পক্ষে ব্যপক জনমত দেখা যাচ্ছে।

আরও খবর



মাগুরায় তীব্র তাপদাহ নিয়ন্ত্রনে হোটেলে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা শীতল করছে পরিবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে  এক হোটেল ব্যাবসায়ীর কৃত্রিম পানির ফোয়ারা এলাকায় সাড়া ফেলেছে।  জেলা শহরের রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে তার হোটেলে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা সৃষ্টি করে হোটেল টিকে শীতল করে মানুষের মাঝে  আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হোটেলের টিনের চালায় ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করে হোটেল ঘরের টিনসহ সর্বত্র শীতল পরিবেশ তৈরি করে খাবার হোটেলের ব্যবসা করছে রবিউল ইসলাম। মাগুরায় প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন যেখানে অতিষ্ট এবং বর্তমানে মাগুরায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে সেখানে ওয়াটার কুলিং সিস্টেমের কারণে রবিউলের হোটেলের ভিতরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।

তীব্র গরমে যেখানে জনজীবন অতিষ্ট সেখানে প্রাকৃতিক শীতল পরিবেশ পেয়ে রবিউলের হোটেলে খাবারের জন্য আসা মানুষের ভীড় বাড়ছে দিনদিন।  বৃষ্টিহীন দিনে টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম আওয়াজ, এসি নেই, তবুও এই গ্রীষ্ম মৌসুমে হোটেলের ভিতর শীতল পরিবেশ। ঢেউটিন বেয়ে ঝরছে বৃষ্টির মত পানি। আর এমন নির্মল ঠান্ডা পরিবেশে বসে খাবার খাচ্ছেন ক্রেতারা। তারা এখানে এসে আনন্দিত।

হোটেল মালিক রবিউল ইসলাম জানায়, ২৫ হাজার টাকা ব্যায়ে নিমার্ণ করেছেন এই কৃত্তিম বৃষ্টি। তীব্র গরমে কাস্টমাররা ঠিকমতো আসতো না দোকানে। তাই বৃষ্টির চিন্তা মাথায় রেখে এমন ভাবনা আসে মাথায়। এখন নিয়মিতই আসেন কাস্টমার।

দোকানে খাবার খেতে এসে লোকজন জানায়, তারা হোটেলের ভিতরে শীতল পরিবেশ পেয়ে আরামে খাবার খেতে পারছেন। বাইরের গরম অসহ্য। কোথাও বসে খাবার খাওয়ার ঠান্ডা পরিবেশ পাচ্ছিলেন না তারা। তাই রবিউলের দোকানে এসে এমন চিত্র দেখে তারা হোটেলে বসেই একটু শান্তিতে খাবার খেতে পারছেন।

হোটেলের টিনের চালে দেখা যায় কয়েকটি গার্ডেনিং ফোয়ারা। সেখান থেকে পানি বের হয়ে টিনের চাল বেয়ে পানি পড়ছে নিচে। এতে চালের টিন ভিজে ঠান্ডা হচ্ছে রুমের ভিতরে। পাশাপাশি রুমের ভিতরে রয়েছে ফ্যান। এতে গরম ভাব সহজেই দূর হচ্ছে রুম থেকে। দোকানের উপরে টিনে দিয়ে বৃষ্টির মত পানি পড়তে দেখে পথচারীরাও মুগ্ধ হয়ে দেখছে এই দৃশ্য। হোটেলে খাবার খেতে আসা ক্রেতাদের অনেক ভিড়ও হচ্ছে। রবিউলের হোটেলে এমন ব্যাতিক্রমী উদ্দ্যোগ ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে শহরজুড়ে।


আরও খবর



সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সব দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব। স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাগুলো হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর। টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।


আরও খবর