
ডেল্টা রূপকে পরাস্ত করে করোনা ভাইরাসের নয়া ধরন ওমিক্রন যেন বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় অতিসংক্রামক এই ধরনটি প্রথম শনাক্ত হওয়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যেই এটি ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ৫৩টি দেশে। বিবিসির তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে সংক্রমণ। ফলে আবারও লকডাউনসহ নানামুখী কঠোর বিধিনিষেধে ফিরছে ওই অঞ্চলের দেশগুলো। ওমিক্রন সংক্রমণের এই ঢেউ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেও। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বলছে, গত এক সপ্তাহে তাদের ওখানে নতুন শনাক্তদের ৭৩.২ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্ববাসীকে ওমিক্রন ঝড়ের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছে।
ডব্লিউএইচওর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ গত মঙ্গলবার ভিয়েনায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউরোপ, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার ৫৩টি দেশে ওমিক্রনের কেস শনাক্ত করা হয়েছে। এটি ডেনমার্ক, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশকিছু অঞ্চলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। বলা যায়Ñ করোনার আরও একটি ঝড় আসছে। ওমিক্রন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং চিকিৎসাব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলবে। এই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা।
শুধু ইউরোপ নয়, দক্ষিণ এশিয়াতেও করোনা মহামারীর তৃতীয় তরঙ্গের হুমকি তৈরি করেছে ওমিক্রন। এমনিতেই চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনার ডেল্টা ধরনের প্রভাবে রেকর্ড সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখেছিল দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ। ফলে আবার ওমিক্রন ঢেউ আছড়ে পড়লে দেশগুলোর স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। ইতোমধ্যে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে ২১৩ জন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লি ও মহারাষ্ট্রেই রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।