Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

বাংলাদেশে এডিবির সহযোগিতা প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। গত ৫০ বছরে আমাদের উন্নয়নে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে। আর গত এক দশকে বাংলাদেশে এডিবির সহযোগিতা প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুম হলে আয়োজিত বাংলাদেশ ও এডিবির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এডিবির পোর্টফোলিওতে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক। গত এক দশকে বাংলাদেশে এডিবির সহযোগিতা প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।   

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে এডিবি সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এরই মধ্যে বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখিয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্প আমরা করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরব, মর্যাদা ও যোগ্যতার প্রতীক। এর মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ পারে।

এডিবির উদার সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



কমতেই আছে ধানের দাম লোকসানে কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে সিন্ডিকেটে দিনের দিন ধানের দাম ব্যাপকহারে কমতেই আছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও রহস্য জনক কারনে কমছে ধানের দাম। প্রতি কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ টাকা বা এক মন ধানের দাম ৭৫০ টাকা, আবার ২ কেজি করে ঢলন, মনে ৭ টাকা করে খাজনা আদায়। এতে করে কৃষকরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে উঠছেনা খরচ, বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে নিজস্ব জমিতে ১৫০০-২০০০ টাকা লোকসান। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিপনন বিভাগ একেবারেই নিরব।উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক মিজান জানান, আলু উত্তোলন করে ২২ বিঘা জমিতে ৭৬ জাতের ধান রোপন করেছিলাম। এর মধ্যে ২০ বিঘা জমি টেন্ডারে আর ২ বিঘা নিজের। প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়ায় হয়েছে। এক বস্তা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৪৫০ টাকায়। বিঘায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।  টেন্ডারের এক বিঘা জমি রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ। আর বিঘায় ১৮ মন করে ফলন হলে মনে ৭৫০ টাকা দাম হলে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা আসে। উর্ধ্বে বিঘায় ২০ মন হলে ১৫ হাজার টাকা হয়।একই এলাকার কৃষক মশিউর জানান, কোন জিনিসের দাম কমছে না। ধানের দাম কমলেও চালের দাম তো কমছেনা। আলু তোলার পর ৩২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে ২০ বিঘা কাটা মাড়াই হয়েছে, এক বস্তায় ২ মন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ী হাজী সেলিম জানান, গত সোমবার ও রবিবারে প্রতি বস্তা ধান কিনেছি ১৪৫০ টাকায়। কিন্তু মঙ্গলবারে দাম কমে নেমেছে প্রকার ভেদে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা করে। কিন্তু চালের বাজর কমেনি।কৃষক চিমনা গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, আলুর জমিতে যারাই ধান করেছেন তাদেরকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রচন্ড খরতাপ তারপরও কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে খাদ্য ঘাটতি মিটাচ্ছেন। সে অনুযায়ী কৃষকের পরিশ্রমের কোন মূল্য নেই। প্রতি দিন কমছে ধানের দাম, অথচ চালের দাম কমছে না। চাষের জন্য সার কীটনশকের দাম বাড়তি। আমি টেন্ডারে ৪৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ১৭ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়াই করেছি। এক বস্তায় ২ মন ধান গত পাঁচ দিন আগে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। গত সোমবারে ১৫৫০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করে মঙ্গলবারে বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ ও ২০০ টাকা করে কমে গেল। কোন কারন ছাড়ায় মিলার ও আড়তদারদের মহা সিন্ডিকেটেই কমছে দাম। কারা এই সিন্ডিকেট করছে,প্রতি নিয়ত বাজার মনিটরিং করলে সিন্ডিকেট ধরতে পারত। কৃষি দপ্তরের বিপনন বিভাগও নিরব। কিন্তু তাদেরকে প্রতি দিন বাজার ধর কেন কমছে, কি কারনে বাড়ছে সে রিপোর্ট দিতে হয়। তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ঘরে থেকে ইচ্ছেমত রিপোর্ট দিচ্ছেন। যদি হাট বাজারে এসে কৃষকের সাথে কথা বলত তাহলে সঠিক রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারত। এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস কোন রকমে মিলছে। তিনি আরো জানান, সাবেক মেম্বার পলাশের ১৫ বিঘা, সাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ৩৫ বিঘা, মাজহারুলের ২০ বিঘা ও নোনাপুকুর গ্রামের কাদেরের ৫০ বিঘা, সাবেক মেম্বার বনকেশর গ্রামের জয়নালের ২০ বিঘা ধান কাটা মড়াই করে লোকসান হয়েছে, এদের  দু চার বিঘা জমি নিজের, বাকি সব টেন্ডারে। আর রফিকুল নামের কৃষকের ২০ বিঘা নিজস্ব জমি।

স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মাদ বলেন, প্রতিদিন ধানের দাম কমছে। ধানের দাম নিয়ে মহা সিন্ডিকেট চলছে। আবার সরকারি ভাবে ৩০ টাকা কেজি ধরে ধান সংগ্রহ করছেন। কিন্তু প্রচুর হয়রানির জন্য গুদামে ধান দিতে চায় না কৃষকরা। এসিন্ডিকেট দূর করতে না পারলে কৃষকদের পথে বসতে হবে। কারন আলু তোলার পর ধান চাষ হয় সেচ নির্ভরে। সেখানেও অরাজকতা, বিঘায় নানা অজুহাতে নিম্মে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত  সেচ হার আদায় করা হয়। আর মটরে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। অথচ সেচ কার্ডের মাধ্যমে হলে নির্ধারিত হারের অর্ধেকের কম খরচ হবে। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যাথা নেই।সম্প্রতি বাজার মনিটরিং বিষয়ে সভা করেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ওয়াদুদ হোসেন, ধানের দাম কেন কমছে কারা সিন্ডিকেট করছে তাদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটরিং কমিটিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এমন নির্দেশনার পরও বাজার মনিটরিং কমিটির দেখা মিলছেনা বলেও কৃষকদের অহরহ অভিযোগ।

আরও খবর



শরীয়তপুরের বুুড়িরহাট রাধা মাধব মন্দির পরিদর্শন করলেন ইউএনও

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:দীর্ঘদিন যাবৎ শরীয়তপুর সদর উপজেলার বুড়িরহাট বাজারস্থ রাধা মাধব মন্দিরের সম্পত্তি রক্ষা ও উদ্ধারের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিভিন্ন আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করে আসছে। এনিয়ে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি'র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। গত ২৪ মে শুনানি হয়। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার বিকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ওই মন্দির পরিদর্শন করেন। এসময় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়, বাজার কমিটি এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। তবে অভিযুক্ত মানিক ব্যানার্জী উপস্থিত ছিলেন না। এসময় ইউএনও উপস্থিত সকলের সাথে মতবিনিময় করেন এবং পুরো মন্দির এলাকা পরিদর্শন করে সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অসীম কুমার দে,  সাধারন সম্পাদক রাম কৃষ্ণ দেবনাথ, রুদ্রকর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. সিরাজুল ইসলাম, বুড়িরহাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মজিবুর রহমান খোকন, বর্তমান মেম্বার মহব্বত খান মাসুদ সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নানান শ্রেণী পেশার মানুষে অংশ্রগ্রহণ করেন।
তাদের দাবি, মন্দিরে সম্পত্তি উদ্ধার এবং অভিযুক্ত মানিক ব্যানার্জীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি।

আরও খবর



বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল কেন্দ্র বিন্দু হওয়া উচিত দুই দেশের আরও উন্নয়ন।

গতকাল রোববার চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি।’ বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

চীনের মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাইটেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ করেছে এবং তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে।

চীনের উপমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তবে এবার বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেখেছেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে সান ওয়েইডং বলেন, তিনি পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় নির্মিত আরও পাঁচটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কোভিড মহামারি চলাকালীন দেশে ফিরে এসেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে মহামারির পরে সে দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসাডর-এটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।

চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং দুই দিনের সরকারি সফরে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা এসেছেন।

বাসস,


আরও খবর



টিএম পরিবারে ঐশীর অন্যরকম হলুদ সন্ধ্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অন্যরকম পারিবারিক আবহে অনুষ্ঠিত হলো জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ঐশীর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। অন্যরকম এ জন্য যে, নিজের পরিবারের বাইরে ঐশীর আছে সংগীতশিল্পীদের নিয়ে আরও একটি পরিবার। এক ঝাঁক সংগীতশিল্পীর অংশগ্রহণে সেই টিএম পরিবারের আয়োজনেই ৩১ মে অনুষ্ঠিত হল অন্যরকম এক হলুদ সন্ধা।

সদ্য প্রয়াত ঐশীর বাবার একটি চিঠি দিয়ে শুরু হয় হলুদ সন্ধ্যার আয়োজন। সে চিঠি শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঐশী। তবে মেঘ কাটতে দেরী হয়নি, লুইপার মজার উপস্থাপনায় মঞ্চে এসে হাজির হন লুঙ্গি পারভেজ (সংগীতশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ)। একে একে মজার সব পারফরমেন্সে মঞ্চে আসেন আনিকা, লুইপা, তূর্য, নাবিলা, সজল,পূজা, নাদিয়া ডোরা, নিলয় প্রমুখ। মজার মজার গানে ঐশীর সতীর্থ সংগীতশিল্পীরাই হয়ে ওঠেন ড্যান্সার। নাচে অংশ নেন ঐশী ও তার হবু বর জিলানিও। নৈশভোজের পর মঞ্চে গিটার হাতে তুলে নেন কৌশিক হোসেন তাপস। তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে একে একে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। গান করেন ঐশীও।

ঐশী বলেন, “আমার বাবা মায়ের পরে কৌশিক হোসেন তাপস ভাইয়া মুন্নী ভাবি আমাকে সন্তানের মতো করে সংগীতজীবনে বড় করে তুলেছেন। তাদের ঘিরে আমাদের সংগীতশিল্পীদের যে বলয় তাই আমাদের টিএম পরিবার। গায়ে হলুদের এমন আনন্দঘন মুহূর্ত উপহার দেয়ায় টিএম পরিবার ও গানবাংলাকে অনেক ধন্যবাদ। গায়ে হলুদের আয়োজনে উপস্থিত থেকে ঐশী-জিলানিকে আশীর্বাদ জানিয়েছেন বরের বাবা-মা, ঐশীর মা নাসিমা মান্নান, টিএম পরিবারের দুই মধ্যমনি কৌশিক হোসেন তাপস-ফারজানা মুন্নী, ব্যান্ড লিজেন্ড হামিন আহমেদসহ দুই পরিবারের অনেকেই।

আড়াই বছরের পরিচয় ও বন্ধুত্বের পর গত দুই এপ্রিল আংটি বদল হয় ঐশী ও জিলানির। সংগীতশিল্পী পরিচয়ের বাইরে ঐশী এখন চিকিৎসক। অন্যদিকে জিলানি পড়াশোনা শেষ করে যুক্ত হয়েছেন একটি ঔষধ কোম্পানিতে। পাশাপাশি অভিনয় ও মডেলিংও করেন তিনি।



আরও খবর

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ফেরদৌস

বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩




ডেমরায় বাল্কহেড ড্রেজারে সন্ত্রাসী হামলা পাইপ ভাঙচুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৭১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব সংবাদদাতাঃরাজধানীর ডেমরায় পাওনা টাকা চাওয়ায় বাল্কহেড ড্রেজারে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কর্মচারীকে হত্যা চেষ্টা ও পাইপ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাল্কহেড ড্রেজারের মালিক আনিসুর রহমান ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার  অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর হোসেন রিপন(৪৬) পিতা-ছাদেক আলী মাতব্বর,সাং-৭৪/১ মাদারটেক (চৌরাস্তা) থানা সবুজবাগ,ঢাকা। রাজ্জাক হোসেন (৪৬) পিতা-মোশারফ,সাং-ভাইগদিয়া মাতব্বর বাড়ি, ওমর ফারুক (৩৮) পিতা-আকবর আলী মেম্বার,সাং- নন্দীপাড়া ব্যাংক কলোনি, মোশাররফ হোসেন (৫৫) পিতা-মৃত রুফ মিয়া সহ অঞ্জাত আরো ১০/১২ জন।

ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান (পিপিএম) ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান দৈনিক সকালের সময়কে জানান, মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে আমার বালু ভরাটের টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল, পাওনা টাকা চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে উল্টা-পাল্টা কথা বলতে থাকে,এর জের ধরে গত ২১ মে রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ডেমরা থানা এলাকার আমুলিয়াস্থ নুন্না ভিটা খেলার মাঠে বালুভরাটের সময়  আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, আমি নিষেধ করলে তারা সকলে মিলে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের ৪টি রাবারের পাইপ কেটে আনুমানিক তিনলক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে গত ২৪ মে সকাল সাড়ে পাঁচটায় ডেমরা থানা এলাকার মেন্দিপুরস্থ ম্যাক্সিম গ্রুপের প্রধান ইয়ার্ডের দক্ষিণ পাশে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের কাজ করাকালীন সময়ে ১,২,৩,৪ নং বিবাদী ও তাদের সহযোগী ১০/১২জন অঞ্জাত লোক এসে ১৬ টি লোহার পাইপ ভাঙচুর করে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করে।এ সময় ১ নং বিবাদী আকবর হোসেন রিপনের হাতে থাকা ধারালো রাম-দা দিয়ে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের ষ্টাফ মিজান(৩৮) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে সে সরে যায় এতে রাম-দায়ের আঘাত লেগে তার পিঠে জখম হয়।২ নং বিবাদী রাজ্জাক হোসেন ষ্টাফ মিজান এর প্যান্টের ডান পকেটে  থাকা মেশিনের তেল খরচের ৭৩০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ সময় তারা মিজান কে এলো পাতারিভাবে মারপিট করে নীলাফুলা জখম করে। তার ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

তিনি আরো জানান,অভিযুক্ত আকবর হোসেন রিপন সবুজবাগ থানার এজাহারভুক্ত মামলার আসামি সে গত ২০১৮ সালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে হাজত বাস করে জামিনে মুক্ত হয়।এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর  রহমান (পিপিএম) বলেন,এ ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।



আরও খবর