Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে মুরগির দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে মুরগির দাম। বর্তমানে তা কেজিতে রেকর্ড ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রায় ১৫০ টাকা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে গত শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর গতকাল সোমবার বেড়ে দাঁড়ায় ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা পর্যন্ত।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারজুড়ে দাম কমতে শুরু করেছে মুরগির। মার্চের মাঝামাঝি কলকাতার বেশ কিছু বাজারে মুরগির কাটা মাংসের দাম কেজিতে ২৬০-২৭০ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) ছিল। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যেটির উত্তর থেকে দক্ষিণের জেলাগুলোতে এই দাম নিম্নমুখী।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন-এর তথ্যে বলা হয়েছে, গত ৭ দিনে কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা কমেছে পোল্ট্রি মুরগির মাংস। বর্তমানে কলকাতায় গোটা মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৩০-১৩৮ টাকা, কাটা মাংস ২১০-২১৫ টাকা কেজি। হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোটা মুরগির মাংস প্রতি কেজিতে ১২২-১২৮ টাকা, কাটা মুরগি ২০৫-২১০ টাকা কেজি।

গতকাল সোমবার থেকে রাজ্যটির পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে গোটা মুরগির মাংস প্রতি কেজিতে ১১৬-১২৩ টাকা আর কাটা ১৯৫-২০০ টাকা কেজি। বাঁকুড়া আর পুরুলিয়ায় গোটা মুরগির দাম কেজিতে ১১২-১১৯ টাকা আর কাটা মাংসের দর ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি।

অন্যদিকে দেশটির বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেওয়া আজকের তথ্যানুযায়ী, আজ মঙ্গলবার কর্ণাটক রাজ্যে চামড়াসহ প্রতি কেজি মুরগির মাংস ভারতীয় মুদ্রায় ১৯০ টাকা। অন্যদিকে দিল্লিতে গোটা মুরগির দাম ১৩০ টাকা। আসামে দাম ১৬০ টাকা। বিহার রাজ্যেও গোটা মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৩০ টাকা। গুজরাটেও একই দামে কেজি প্রতি গোটা মুরগি পাওয়া যাচ্ছে আজ।


আরও খবর



আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি উইমেন্স হ্যান্ডবলের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

আজাদ হোসেনঃ 

আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি উইমেন্স হ্যান্ডবলের অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগে শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। 


পল্টনের শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে বুধবার (১৭ মে) ভারতকে ৪৬-৪৩ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।  শুরু থেকে ভারতের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়তে থাকে স্বাগতিকরা। দুই দলের প্রথমার্ধ শেষ হয় ২০-২০ সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য করে কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নেয় মেয়েরা। 


দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ বার জালের দেখা পান মার্ফি; এছাড়া রুনা লায়লা ১৪টি ও তাহারা আক্তার তানিয়া ১০টি, দীপা রানী ৫টি গোল করেন। নেপালকে ৪৬-৮ গোলে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু করেছিল মেয়েরা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে জিতেছিল ৫৫-৯ ব্যবধানে। রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে ৪৩-৩৩ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। টানা তিন জয়ে ফাইনালের মঞ্চে আসা শক্তিশালী ভারত প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ ডালিয়া আক্তার বলেছিলেন, ফাইনালে চমক উপহার দেওয়ার লক্ষ্য। তা পূরণ হওয়ার উচ্ছ্বাস তার চোখে-মুখে।


তিনি বলেন, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলেছিলাম চমক দেখাবে আমার দল। সেটাই করে দেখিয়েছে তারা। মেয়েদের এমন পারফরম্যান্সে আমি অনেক খুশি। আমি আমার খেলোয়াড়ী জীবনে কখনও ভারতকে হারাতে পারিনি, কিন্তু প্রথমবার কোচ হয়ে সেই অর্জনে নাম লেখাতে পেরেছি। ভারতকে যে কোনো খেলায় হারানো কঠিন। হ্যান্ডবলে তো আরো কঠিন। সেই কঠিন কাজ আমার মেয়েরা করে দেখিয়েছে।


তিনি আরও বলেন, ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে গতকাল দলের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করেছি। রাউন্ড রবিন লিগে ভারতের কাছে হেরেছিলাম। সেখানে যে ভুলগুলো মেয়েরা করেছিল; আজ সে ভুলগুলো কম করেছে। সব মিলে আমি দারুণ খুশি।


প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে অবশ্য পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে হওয়া ফাইনালে ৪৮-১৭ গোলে হেরে যায় মেয়েরা।



আরও খবর



মার্কিন নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্ক থাকার পরামর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

কূটনৈতিক প্রতিবেদক:বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সতকর্তা জারি করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। ঢাকাসহ সারাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছে তারা। গতকাল রবিবার বিকালে মার্কিন দূতাবাস ‘ডেমোনস্ট্রেশন অ্যালার্ট’ শিরোনামে হালনাগাদ ভ্রমণ সতর্কবার্তায় এ পরামর্শ দিয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের জন্য জারি করা ওই সতর্কবার্তা ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্য শহরগুলোর জন্যও প্রযোজ্য হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির

আগে বা ওই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সমাবেশ এবং অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সমাবেশ এবং বিক্ষোভের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে পারে এবং এগুলোর গতি তীব্রতর হতে পারে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের আগাম সতর্কতা মেনে চলা উচিত।

মার্কিন দূতাবাসের ওই বার্তায় বলা হয়, নাগরিকদের মনে রাখা উচিত, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ যে কোনো সময় সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে, এগুলো মুহূর্তের মধ্যে সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকদের বড় সমাবেশ ও বিক্ষোভের স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যে কোনো বড় সমাবেশের আশপাশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করতে হবে। স্থানীয় ঘটনাসহ আশপাশের পরিবেশ পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতন থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন নজরে রাখতে হবে।


আরও খবর



বালু চড়ে ঘোড়ার গাড়ীর একমাত্র ভরসা!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:-গাইবান্ধার বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বালুচরের পথে ঘোড়ার গাড়িতে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সম্প্রতি তোলা গাইবান্ধার বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বালুচরের পথে ঘোড়ার গাড়িতে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। ধু ধু মরুপথে মানুষের চলার বাহন উট। উটের আরেক নাম এ কারণে মরুভূমির জাহাজ। গাইবান্ধায় মরুভূমি না থাকলেও আছে মরুপ্রায় বিস্তীর্ণ বালুচর, কিন্তু উট নেই। উট নেই তো কী! উটের বদলে আছে শত শত ঘোড়া। গাইবান্ধার দৃশ্যপটে তারা দিয়েছে ভিন্ন এক রঙের পোঁচ।

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট। সেখানে না চলে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশাভ্যান, অটোরিকশার মতো বাহন; সেখানে না যায় হাঁটা। অতএব চড়ে বসো ঘোড়ার গাড়িতে। উট যদি হয় মরুভূমির জাহাজ, এই বালুচরের জাহাজ না হয় ঘোড়া।

বালাসী ঘাট গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত অঞ্চলে বর্ষামুখর ছয়টি মাস চলে নৌকা। বাকি ছয় মাস প্রায় শুষ্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত জেগে উঠেছে বালুচর,বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া পর্যন্ত। সেই বালুচর পাড়ি দিতে ঘোড়াই ত্রাণকর্তা! বালুচরের দুস্তর পারাবার ঘোড়াই যদি পার করিয়ে দেয়, বাহাদুরাবাদ ঘাটে যেতে বাকি পথ আর এমনকি! লঞ্চ বা শ্যালো ইঞ্জিনে চলা নৌকা তো আছেই। সেখান থেকে ময়মনসিংহ হয়ে কম সময়ে গাইবান্ধার মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করছেন।

প্রতিদিন হাজারো মানুষ ঘোড়ার গাড়িতে করেই পাড়ি দিচ্ছেন এই পথ। শুধু এখানেই নয়, আর সব চরেও যাবতীয় মালপত্র আনা-নেওয়ায় ঘোড়াই ভরসা। চরাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘোড়ার গাড়িতে চড়ছেন মর্যাদা বাড়ানোর জন্য নয়, এ ছাড়া যে চলাচলেরই কোনো বন্দোবস্ত নেই।

ঘোড়াই তাই এই বালুচরের প্রাণ। শুধু সহযোগিতার নয়, উপার্জনেরও। যাঁরা একসময় দিনমজুরের কাজ করতেন, এখন তাঁদের হাতে কাজ নেই। ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে আয় রোজগার করছেন তাঁরা। বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া পর্যন্ত ঘোড়ার গাড়িতে জনপ্রতি ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বাগুরিয়া-বাহাদুরাবাদ নৌকাভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা এখন শতাধিক। চরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান, পাট, গম, ভুট্টা, কাউনসহ বিচিত্র কৃষিপণ্য পরিবহন করে ঘোড়া টিকিয়ে রেখেছে গরিব মানুষের অর্থনীতি। ঘোড়ার কাজের শেষ নেই। জমি চাষাবাদেও রাখছে ভূমিকা। এলাকার মানুষ শখের বশেও ঘোড়া লালন-পালন করছেন।

বালাসী ঘাটে গেলেই চোখে পড়বে সারি সারি ঘোড়ার গাড়ি। কেউ গাড়িতে উঠছেন, কেউ নামছেন, গলা ছেড়ে হাঁক দিচ্ছেন ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা। এক ব্যস্ত চিত্র। কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি ঠেলাগাড়িতে ট্রাকের চাকা লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে গাড়ি। গাড়ির ওপর তোশক বিছানো। তাতে চাদর পাতা। কায়দা একেবারে জমিদারি। সেখানে আয়েশ করে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

যাত্রীরা জানালেন, বিনোদনকেন্দ্রগুলোয় যাওয়ার সময় মানুষ শখ করেই চড়ে বসেন ঘোড়ায় চালানো টমটমে। সহজে বালুচর পাড়ি দেওয়া যায়, মনে জেগে ওঠে ফুরফুরে অনুভূতি। আর একাকী যাঁরা ঘোড়ার গাড়িতে ঘোরাঘুরি করতে ওঠেন, তাঁদের আনন্দের তো সীমা নেই।

গাইবান্ধা থেকে নৌকায় বালাসী
বাহাদুরাবাদ রুট হয়ে ঢাকা যেতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। সড়কপথে ৯ ও রেলপথে ১০ ঘণ্টা। এই রুটের কয়েক কিলোমিটার চরে ঘোড়ার গাড়ির জনপ্রিয়তা আকাশে তুলে দিয়েছে। গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১৪টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। এসব ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি কেবল উপায় নয়, উপভোগও।

ইয়াসিন আলী (৪৫) বাগুরিয়া গ্রামের কোচোয়ান। ঘোড়ার গাড়িতে যাত্রী টেনে ভালোই চলছে সংসার। তিনি বললেন, ‘বালুচরোত অ্যাকনা ভ্যান-অটোরিকশা চলে না। তাই ঘোড়ার গাড়ি বানাচি।’ একজন যাত্রী তুললে তিনি পান ৫০ টাকা। এভাবে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা তাঁর রোজকার আয়। ঘোড়া তাঁর সংসারে দিয়েছে স্বস্তি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, এই জেলায় ঘোড়ার সংখ্যা প্রায় ৫০০। একেকটা ঘোড়ার দাম ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীচা-পাঁচপীর এলাকায় বসে ঘোড়ার হাট। রোজগারের পাশাপাশি মানুষের মিলনেরও সেটা আরেক আনন্দময় উপলক্ষ।

ঘোড়া যেন এ অঞ্চলে ঘোষণা করছে মানুষের সঙ্গে প্রাণিকুলের হাজার 
 বছরের বন্ধুত্বের কথা।

আরও খবর



লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো আবাদে এবার ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

আবু মোতালেব হোসেন (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীতে সোনালী ধানে ছেয়ে গেছে চারিদিক। মাঠের পর মাঠ শুধুই ধান আর ধান। জেলার ছয় উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বোরো আবাদ। সেই সঙ্গে ফলন হয়েছে বাম্পার। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি স্থানীয় কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানায়, জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮১ হাজার ৭০০ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৭১০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮০

মেট্রিক টন। তবে বেশি জমি আবাদ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অর্জিত জমির মধ্যে সদরে ২৩ হাজার ৭০২ হেক্টর, সৈয়দপুরে সাত হাজার ৭০০ হেক্টর, ডোমারে ১৩ হাজার ২১৫ হেক্টর, ডিমলায় ১১ হাজার ২৬০ হেক্টর, জলঢাকায় ১৪ হাজার ৬৬৮ হেক্টর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১১ হাজার ১৬৫ হেক্টর বোরোর আবাদ হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানায়, এবার বোরো মৌসুমে সরকার কতৃক প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা । সে হিসাবে প্রতি মণ ধানের মূল্য হয় এক হাজার ২০০ টাকা। এদিকে, সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের বোরো চাষি আশরাফ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক (দুই বিঘা পাঁচ শতাংশ) জমিতে ব্রি ধান-২৮ ও ৫৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। বীজতলা, জমি চাষ, রোপণ, স্যার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক বাবদ খরচ হয়েছে ২৮ হাজার ৩১২ টাকা।

জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন ৪১ মণ। প্রতিমন এক হাজার ২০০ টাকা হিসাবে মূল্য দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ২০০ টাকা। এতে খরচ বাদে লাভ হয়েছে ২১ হাজার টাকা। একই গ্রামের কৃষক আইয়ব আলী বলেন, ‘এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে আরও বেশি ফলন হতো। লাভের পরিমাণটা আরও বাড়তো। সরকার বাজার দর এ রকম দিলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে বোরো আবাদ করবো।’ সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, ‘এবার বোরোর তাক লাগানো ফলন হয়েছে। তিন বিঘায় আমার খরচ হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। আর ধান পেয়েছি ৫৪ মন। প্রতিমন এক হাজার ৩০০ টাকা করে বিক্রি করে টাকা পেয়েছি ৭০ হাজার ২০০ টাকা। এতে আমার লাভ হয়েছে ৩৪ হাজার ২০০ টাকা। তিনি বলেন, বাজার দর এরকম থাকলে আগামীতে বোরোর আবাদ বাড়াবো। শুধু আশরাফ আলী, আইয়ব আলী, আবু কালাম নন বোরোর বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি জেলার কৃষকরা।’

জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বালারপুকুর গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার সেচের সুবিধা পেয়ে চার বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছি। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে ইরি আবাদে কিছু ধারদেনা করেছি। তাই কাঁচা ধান বিক্রি করে (সরকারী রেট) খুব একটা লাভ করতে পারিনি। অর্ধেকেরও বেশী জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছি। বাকি ধান তিন চারদিনের মধ্যে কেটে ঘরে তুলা যাবে। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ জানান, ‘এবার সদরে ২৩ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনে কৃষক বেজায় খুশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেড়ে যাওয়ায় আবাদ বেশী হয়েছে। আশা করি, আবহাওয়া ও বাজার দর অনুকুলে থাকলে কৃষকরা এবার লাভবান হবে।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর জমি বেশী আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। এখন পর্যন্ত শতকরা ২০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। আশা করছি, বাজারে ভাল দাম পেলে বিক্রি করে লাভবান হবেন তারা।


আরও খবর



জয়পুরহাটে অটোরিকশা চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটে চুরি হওয়া ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করে তারা। রোববার রাতে  ঢাকার জিরানী বাজার এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজ   থেকে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার কালাই উপজেলার বেগুনগ্রামের মৃত আফাজ ফকিরের ছেলে আব্দুস সামাদ ফকির (৫৬), তার ছেলে মাহফুজার রহমান সাদ্দাম (২৮), একই উপজেলার মাদারপুর গ্রামের ফারাজ উদ্দিন পোদ্দারের ছেলে আল আমিন পোদ্দার (২২) এবং দেওগ্রাম দক্ষিণ পাড়ার মৃত মোজাম্মেল ফকিরের ছেলে আঞ্জুমান (২৭)।

ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, গ্রেফতারকৃতরা জয়পুরহাট জেলাসহ নওগাঁ,বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অটোরিকশা চুরি করতো।  গত ২৫ এপ্রিল রাতে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় চোর চক্রের সদস্যরা যাত্রী বেশে উঠেন। এ সময় চোর চক্রের সদস্যরা  ভাড়ার বাবদ চালককে একটি পাঁচশত টাকার নোট দেন। খুচরা টাকা না থাকায় চালক পাঁচশত টাকার নোট ভাঙ্গাতে পাশে একটি দোকানে যান। এ সময় তারা অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যান।

ওসি আরও জানান, ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তের পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার রাতে ঢাকায় একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে ওই চারজন চোরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই গ্যারেজ থেকে চুরি যাওয়া অটোরিকশা ও উদ্ধার করা হয় ।

আরও খবর