Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ সৌদি যুবরাজের

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে বাংলাদেশ সফর করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সালমান।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) নয়া দিল্লিতে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা যুবরাজকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ সকালে নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। যুবরাজ সালমান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।

সালমান বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তার পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।

যুবরাজ সালমান পতেঙ্গা টার্মিনাল, পায়রা বন্দর এবং এসিইউডব্লিউএ পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে সৌদি বিনিয়োগকারীদের চলমান বিনিয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি তাদের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সৌদির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

সালমান ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে সৌদিকে সমর্থন করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা সৌদির বেশ কয়েকটি সামাজিক সংস্কার শুরু করা এবং সাম্প্রতিক সময়ে অসংখ্য কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করায় যুবরাজ সালমানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃনারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী পক্ষকাল উদযাপন ও উন্নয়ন অগ্রপথিক সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা পুষ্ট প্রকল্পটির উদযাপন করা হয়। শনিবার ২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন। তিনি বলেন,এখনো আমরা দেখি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে বসে সমাজের অনেক মানুষ চা খেতে দ্বিধাবোধ করে ‌। পিছিয়ে পড়া মানুষদের আজকের সমাজে কোন সম্মানজনক অবস্থান নেই। আসার কথা এই যে, এই অবস্থার আস্তে আস্তে পরিবর্তন ঘটছে এবং সেজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক বুড়োর মহাপরিচালক শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান গ্রেড-১)। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক ডক্টর মোঃ মোক্তার হোসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (গভর্নেন্স এন্ড রাইটস) লায়লা জেসমিন বানু, ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুসহাত জাবিন এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।

অনুষ্ঠানটিতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সক্রিয় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে দলিত ট্রান্স জেন্ডার ও হিজড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত প্রতিনিধিগণ অংশ নেন যারা উন্নয়নের অগ্রগতিক হিসেবে বিগত প্রায় তিন বছর ধরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতকরণে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রকল্প থেকে নানা প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেদের জীবনের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এবং কমিউনিটির অন্যান্যদের মাঝেও এই সকল তথ্য প্রচার করেছেন এমন ১৩ জন গুড উইল আম্বাসেডর কে অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সম্মাননা জানানো হয়। সেইসাথে বিভিন্ন পেশা যেমন সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন,চেইঞ্জ এজেন্ট,এডভোকেট সি নেটওয়ার্ক মেম্বার:কাউকে বাদ দিয়ে নয় (এলওনবি) কোয়ালিশন, স্থানীয় নেতা থেকে আশা ১৫ জন ব্যক্তিকেও প্রকল্পের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মানিত করা হয়।

সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক ডঃ মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি অনেক আন্তরিক এবং তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করছে। তিনি আরো বলেন সরকার হিজড়াদের উন্নয়নে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে এছাড়া ট্রান্স জেন্ডার ও হিজড়া সম্প্রদায় কে ওয়ান স্টপ সেবা প্রদানের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে সরকার।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের গভর্নেন্স এন্ড রাইটস উইংয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার লায়লা জেসমিন বানু তার বক্তব্যে বলেন, সবাই মূল্যায়িত হতে চায় এবং মূল্যায়ন পেলে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক বুড়োর মহাপরিচালক শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে কারণ হিসেবে তিনি বলেন আর কিছুদিন পরেই ক্যাশলেস ট্রানজেকশন শুরু হবে এবং এখন অধিকাংশ লেনদেন অনলাইনে হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন । স্মার্ট না হলে প্রযুক্তির এসব সুবিধা গ্রহণ করা কঠিন হবে ।এজন্য নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী এই সুন্দর আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সামাজিক বৈষম্য নিরসনে আমাদেরকে অনেক দূর যেতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সর্বোপরি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং আয়োজকদের প্রতি আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করেন।

উল্লেখ্য জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা সকল সমাজে বিদ্যমান একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা ।এবং অর্থনৈতিক অবস্থা, শ্রেণী সংস্কৃতি কিংবা অন্য যেকোনো বৈচিত্র নির্বিশেষে এর শিকার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। এ ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়া অনেক নারী ঘরে, সমাজে এবং কর্মস্থলে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন বা হয়েছেন। নারীর প্রতি সহিংসতা বাল্যবিবাহ যৌন হয়রানি ও নির্যাতন চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যর মতো জেন্ডার ভিত্তিক অসামতা গুলো নারীর ক্ষমতায়নকে বাধাগ্রস্থ করছে। সামাজিক,অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রেও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নারীদের কণ্ঠস্বর অত্যন্ত ক্ষীণ।

এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে 'পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও  বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ(ইএলএমসি)'প্রকল্পটি এবছর জেন্ডার সমতা ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক পরিবর্তন তড়ান্নিতকরণে অবদান রেখেছেন এমন বেশ কয়েকজন প্রকল্প অংশীজনকে অনুষ্ঠানে' চ্যাম্পিয়ন এবং গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

২০২১ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলমান এই প্রকল্পটি যৌথ ভাবে বাস্তবায়ন করছে ক্রিশ্চিয়ান এইড, নাগরিক উদ্যোগ, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং ব্লাস্ট। প্রকল্পটি দলিত সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি তাদেরকে সরকারি সেবা সমূহে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি স্থানীয় নাগরিক সংগঠন এবং কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠনসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে থাকে।

দলিত সম্প্রদায়, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থেকে আগত অতিথিরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।



আরও খবর



বিরামপুরে বস্তায় আদা চাষে সফল দেলোয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ইউটিউব দেখে বস্তায় আদা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন বিরামপুর পৌর শহরের শিমুলতলী গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন। নিজের পরিত্যক্ত জমিতে আদা চাষের সাফল্য অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ছুটে আসছেন তাঁর এই সাফল্য দেখতে।

আদা চাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রথমে ইউটিউবের মাধ্যমে বস্তায় আদা চাষের ভিডিও দেখি। পরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-সহকারির পরামর্শে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হউ। প্রথমে ছাই, জৈব সার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে বস্তায় রাখি। পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পার্শ্বেই পরিত্যক্ত জমিতে মাটি ভরে গাছের টবের মতো বানাই। এরপর প্রতি বস্তায় দুটি করে আদার চারা রোপণ করি। রোপণের মাত্র এক মাসের মাথায় গাছ বড় হতে শুরু করে। এরপর মাত্র তিন মাসের মধ্যে গাছগুলোর গোড়ায় আদা হতে শুরু করেছে। যা ইতোমধ্যেই অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে।

তিনি আারও বলেন, এভাবে আদা চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পতিত জমিতে সীমিত খরচ আর অল্প শ্রম। একেকটি বস্তায় প্রায় তিন কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যাবে। তাই এটি লাভজনক চাষ পদ্ধতি। আদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাঝেমধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাইরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। বস্তায় আদা চাষ দেখে স্থানীয় অনেকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ আদা চাষ দেখতে অনেকে আসেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ বলেন, সংবেদনশীল ফসল হওয়ায় আদা মূলত ছায়া ও দো-আঁশ জাতীয় মাটিতে আবাদ করতে হয়। বস্তায় দো-আঁশ মাটি ভর্তি করে আবাদ করলে দেখা যাচ্ছে এর ফলন ভাল হচ্ছে। মাটিতে একটি বীজ থেকে ২৫০ গ্রাম আর বস্তায় ১টি বীজ থেকে এক কেজি আদা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া পরিচর্যা খরচ নাই বললেই চলে। শুধু আদা নয় মসলা জাতীয় ফসল ও সবজি চাষে উৎপাদন ভাল হবে।


আরও খবর

পোরশায় কৃষদের মাঝে রবি শস্য বীজ বিতরণ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

গাংনীর ফুলকপি চাষীদের মাথায় হাত

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ পরামর্শ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :জলবায়ু বাস্তুচ্যুতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভবিষ্যত মানব সঙ্কটের মুখোমুখী হওয়া থেকে তাদের রক্ষায় মানব গতিশীলতার পাঁচটি বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া দরকার। বেশিরভাগ জলবায়ু স্থানচ্যুতি জাতীয় সীমানার মধ্যে এবং কিছু ভয়ানক পরিস্থিতিতে সীমান্তের ওপারে ঘটে। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে মানবিক সংকটে পরিণত না হয় সে জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সংহতি প্রয়োজন। এসময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি পরামর্শও দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর সদর দফতরে তিন দিনব্যাপী ১১৪তম অধিবেশনে ‘মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব: সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আহ্বান’ শীর্ষক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত বা আটকে পড়েছেন তাদের মৌলিক পরিষেবা, সামাজিক সুরক্ষা এবং জীবিকার বিকল্পগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকা দরকার। তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাবগুলোও একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা দরকার।

তিনি বলেন, এটি অনুমান করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তন ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২১৬ মিলিয়ন লোককে বাস্তুচ্যুত করতে পারে, এর মধ্যে ৪০ মিলিয়ন একক ভাবে দক্ষিণ এশিয়ার। বাংলাদেশে আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, ঘন ঘন বন্যা এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এই ধরনের স্থানচ্যুতি আমরা যা ভাবি তার চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘটছে বলে সতর্ক করেন তিনি ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এখন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করছে। এই লোকেদের মধ্যে কিছু লোক পাচার নেটওয়ার্কের শিকার হয়, যার সাথে সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। এই ধরনের মিশ্র অভিবাসন প্রবাহ জলবায়ু গতিশীলতার সমস্যাটিকে আরও বেশি সমস্যাযুক্ত করে তোলে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আন্তর্জাতিক আলোচ্যসূচিতে উচ্চ স্থান দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ বিষয়টির কার্যকর সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে আইওএম এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে একত্রে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত বোধ করছি যে অনেক ছোট দ্বীপের উন্নয়নশীল দেশগুলোও এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট যে কপ-২৮, জিএফএমডি, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম এটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে। আমার অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত ৪,৪০০ পরিবারকে নিরাপদ আবাসন প্রদানের জন্য আমরা কক্সবাজারে ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করছি।

তিনি আরও বলেন, এই বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পটি স্থানীয় মাছ ধরা, পর্যটন এবং বায়ু শক্তি কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে-

প্রথমত, আমাদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের অভিঘাত এবং ক্ষতির প্রসঙ্গে-নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার আলোকে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে।

তৃতীয়ত, অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসাবে দেখার জন্য আমাদের স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রস্তুত হতে হবে যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হবে।

চতুর্থত, জলবায়ু অভিবাসী, বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মান পর্যালোচনা করতে হবে।

এবং পঞ্চমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার উর্ধ্বে এটির জন্য একটি গঠনমূলক অবস্থান তৈরিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে আমাদের উন্নত গবেষণা ডেটা এবং প্রমাণের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা উচিত।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




"সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র"

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন (ফাইল ছবি)

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে নাবিক, রেল কর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিকশাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি ও ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের অনবদ্য বিজয়েও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও এতদঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তার জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী  আচরণ বিধিমালা বাস্তবায়নের লক্ষে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুভেচ্ছা ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড এবং তোরণ অপসারণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো.মেজবাহ উদ্দিন।

শনিবার (২ডিসেম্বর)  বিকালের দিকে  মাটিরাঙ্গা উপজেলার  জনসমাগম বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক দল ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুভেচ্ছা ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড এবং তোরণ অপসারণ করেন  নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো.মেজবাহ উদ্দিন।

এসময়, মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের সদস্যরা  সহায়তা করেন।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর  প্রধান নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সহিদুজ্জামান এর নির্দেশনায় সম্ভাব্য প্রার্থীগণের পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড, দেওয়াল লিখন, ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী প্রার্থীগণকে নিজ উদ্যোগে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে কিছু প্রার্থী অনুসরণ করলেও কতিপয় প্রার্থী নির্বাচনী আচরন বিধিমালা অনুসরণ করেন নি। 

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো.মেজবাহ উদ্দিন জানান, আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের নিবার্চনী প্রচার-প্রচারণা, শুভেচ্ছা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ছবি সম্মিলিত ব্যানার-ফেষ্টুন অপসারণে নিবার্চন কমিশনের নির্দেশনা রয়েছে। সে মোতাবেক মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার  ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ চলছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিধিমালা না মানলে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যাস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, নিবার্চনে প্রতিক বরাদ্দের পর প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের প্রচার প্রচারণার জন্য নিয়ম অনুযায়ী ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ব্যবহার করতে পারবেন।


আরও খবর