Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস: শীর্ষক আলোচনা সভা #KTV #ktvbangla

প্রকাশিত:রবিবার ২২ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২০৪জন দেখেছেন

বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত যুদ্ধ নয় শান্তি শীর্ষক আলোচনা সভা, মানবাধিকার কর্মীদের শপথ পাঠ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিযেশন অডিটরিয়ামে ২১ অক্টোবর শনিবার বিকেলে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল মজুমদারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব নিজামুল হক নাসিম।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সকালের সময়ের সম্পাদক নুর হাকিম, এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট শাহরিফ হোসেন, সোনালী ব্যাংকের এসিস্টেন ম্যানেজার বিশ্বম্ভর কুমার নাথ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম, সাচকো ট্রেডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুর নুর দুলাল। 

বক্তারা এসময় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সুশাসনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের মানবাধকার পরিস্থিতি অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো, সরকার এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।এসময় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে নুর হাকিম বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান গুলা সুন্দর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিজামুল হোক নাসিম জানান, ফিলিস্তিন পরিস্থিতি মানবাধিকার অবনতির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ, যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে তারাই আজকে হত্যা খুন ও জবর দখলের সাথে জড়িত, এসময় তিনি দেশের বর্তমান মানবাধিকার নিয়েও সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। 

এসময় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়


আরও খবর



রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়।

মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের থেকে ২৫২ পিস ইয়াবা, ২৩.৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ৩২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (১ মে) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর



আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে দেয়া হবে না: গোদাগাড়ীতে কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃকৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ফলন কম হওয়ায় আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কৃষক যেন সঠিক মূল্য পান। আম নিয়ে কোন সিন্ডিকেট হতে দেব না।শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ১২টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমবাগান পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুস শহীদ বলেন, ভারত, চীন, রাশিয়া ও বেলারুশ রাজশাহীর আম নিতে আগ্রহী। দ্রুতই চীনের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আমরা বেশি পরিমাণ আম রপ্তানির চেষ্টা করছি। তাই এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন ওয়েবস্টের ও কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জু-উন নাহার চৌধুরী। এর আগে কৃষিমন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলে ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন। বাগানটিতে বিশ্ব ব্যাংক, বেসরকারি সংস্থার ডাসকো, কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেড ও সিনজেনটার সহযোগিতায় উন্নত প্রযুক্তিতে আম চাষ করা হচ্ছে। এ ছাড়া গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে ধান চাষও পরিদর্শন করেন। এরপর সোনাদীঘি এলাকায় নার্সারিতে উন্নত প্রযুক্তিতে চারা উৎপাদন পদ্ধতি দেখেন। এ সময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



রূপগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম সংক্রান্ত অবহিতকরণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রুপগঞ্জ নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধিঃনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম সংক্রান্ত অবহিতকরণ এবং কিশোর গ্যাং, মাদক নির্মূল ও ইউনিয়ন আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মুড়াপাড়া নামা  বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল এর সভাপতিত্বে ,সভায়  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) নারায়নগঞ্জ ,জনাব হামিদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার গ সারকেল হাবিবুর রহমান, রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ, দীপক চন্দ্র সাহা, ও মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাস, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ মোমেন, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। 

এ সময় বক্তারা , সর্বজনীন পেনশন সেবায় সকলকে উৎসাহিত করে আগামীর ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করতে 

সরকারের এই উদ্যোগকে গ্রহণ করে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। এবং কিশোর গ্যাং মাদক নির্মল রোধে জনগণকে সচেতন হতে বলেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গাংনী; এক সফল জননী নুরজাহান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃপঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখার সময় পরিবারের চাপে মাত্র ১২ বছর বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল নুরজাহান খাতুনকে। বিয়ের পর আর বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার। লেখাপড়া শিখতে না পারার কষ্ট বুকে নিয়ে শপথ করেছিলেন ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। আর সেটাই হয়েছে। নুরজাহান খাতুনের ১০ সন্তান আজ উচ্চ শিক্ষিত ও সকলেই কর্মরত। 

অশিতীপর সংগ্রামী এই মায়ের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামে। তিনি মরহুম কোবাদ আলী শেখের স্ত্রী।

জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নুরজাহান খাতুনের স্বামী কোবাদ আলী মারা যান। ১০ ছেলেমেয়ে নিয়ে তখন কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেও তিনি ভেঙে পড়িনি। স্বামীর রেখে যাওয়া অল্প কিছু অর্থ দিয়ে প্রথমে বাড়িতেই কয়েকটি ছাগল পালন শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে হাঁস-মুরগি ও গরুর খামার করেন তিনি। জীবনের সাথে সংগ্রাম করেই ১০ সন্তানকেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। সবাই এখন চাকরিজীবী।

নুরজাহান খাতুনের বড় ছেলে আনিসুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, মেজো ছেলে আনছারুল হক ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের পরিদর্শক, তৃতীয় ছেলে এসএম আইনুল হক বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও বর্তমানে সুইডেনে নাগরিকত্ব অর্জন করে সেখানকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, চতুর্থ ছেলে মাসুদুজ্জামান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, পঞ্চম মেয়ে নাছিমা খাতুন গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। 

এছাড়াও ষষ্ঠ ছেলে শাহাজাহান আলী গাংনী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে সিনিয়র অডিটর, সপ্তম ছেলে আলমগীর হোসেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত, অষ্টম মেয়ে নাজমা খাতুন মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত, নবম ছেলে জিল্লুর রহমান বেসরকারি প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। কনিষ্ঠ মেয়ে তাসলিমা আক্তার বিসিএস নন ক্যাডারে কুষ্টিয়া ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন।

‘সফল জননী’ হিসেবে নুরজাহান খাতুন গাংনী উপজেলা পর্যায় ও মেহেরপুর জেলা পর্যায় থেকে স্বীকৃতি সরুপ ২০২৩ সালে পেয়েছেন জয়িতা ও রতœগর্ভা পুরস্কার।

নুরজাহান খাতুন জানান, জীবনের সব ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পেয়েছেন। ছেলেমেয়েদের সফলতায় তিনি গর্বিত। তিনি আরো জানান, জীবনে অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে এবং সমাজের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে সন্তানদেরকে সব সময় পরামর্শ দেন। কঠিন সময়ে ভেঙে না পড়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোনো কাজে সদিচ্ছা, সততা, স্বচ্ছতা ও চেষ্টা থাকলে মানুষ সফল হবেই। কারো ওপর নির্ভর না করে নিজের জীবন নিজেকেই গোছাতে হবে। সফল হওয়ার পেছনে এটাই হচ্ছে মূলমন্ত্র’।

প্রতিবেশিরা জানান, স্বামী মারা যাবার পর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দিনপাত করেছেন তবুও সন্তানদেরকে পড়ালেখা থেকে বিরত রাখেন নি। নিজেই জিবন সংগ্রাম করেছেন আর সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলার চেষ্টায় তিনি সফল। তার সন্তানরাও অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের। সকলকে এমন মায়ের মত হবার আহবান জানান প্রতিবেশিরা।

তার মেয়ে গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাছিমা খাতুন বলেন, আমার মা খুব ভালো মানুষ। তিনি সব বাধা পেরিয়ে একজন সফল নারী। আমার বাবা মারা যাবার পর পরিবারে হাল ধরার মতো কেউ ছিল না। মা একাই ১০ ভাইবোনকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছেন। বাবা যখন মারা যান আমরা কেউ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউ কলেজে, কেউ মাধ্যমিক নয়তো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি। আমাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে গিয়ে গ্রামের মানুষের কাছেও তাকে শুনতে হয়েছে নানা ধরনের কটু কথা। তারপরেও তিনি থেমে যাননি। সবকিছু উপেক্ষা করে আমাদের মানুষ করেছেন।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েলি বাহিনী আবারও অসহায় ফিলিস্তিনিদের উপরে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এতে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক  প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন।

গাজা অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও স্কুলসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪,২৫০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।


আরও খবর