Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন ১৫ জন

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৭৫জন দেখেছেন

Image

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক: সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ পাচ্ছেন ১৫ জন। আজ বুধবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে বাংলা একাডেমি।

তারা হলেন কবিতায় ফারুক মাহমুদ ও তারিক সুজাত, কথাসাহিত্যে তাপস মজুমদার ও পারভেজ হোসেন, প্রবন্ধ/গবেষণায় মাসুদুজ্জামান, অনুবাদে আলম খোরশেদ, নাটকে মিলন কান্তি দে ও ফরিদ আহমদ দুলাল, শিশুসাহিত্যে ধ্রুব এষ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় মুহাম্মদ শামসুল হক, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সুভাষ সিংহ রায়, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশবিজ্ঞানে মোকারম হোসেন, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে ইকতিয়ার চৌধুরী এবং ফোকলোরে আবদুল খালেক ও মুহম্মদ আবদুল জলিল।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি-২০২২-এর সদস্যদের সম্মতিতে বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার তুলে দেবেন।


আরও খবর



গাংনীর রাধাগোবিন্দপুর ধলাতে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃমেহেরপুরের গাংনীর রাধাগোবিন্দপুর ধলাগ্রামে হেরিং বন্ড (এইবিবি) স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

শনিবার দুপুরে গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তীর যোগসাজগে ঠিকাদার ইসমাইল হোসেন রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের হাল মাঠের রাস্তায় হেরিং বন্ড করার সময় নিম্ন মানের ইট ও কাঁদাযুক্ত বালি দিয়ে রাস্তা করার অভিযোগে গ্রামের লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। এদিকে নিম্নমানের মালামাল অপসারন করে বিধি মোতাবেক কাজ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।

এদিকে স্থানীয় সমাজ সেবক খোরশেদ আলম খুশি মিয়া রাস্তায় নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার বন্ধের দাবি করলে ঠিকাদারের ক্যাডার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে পলাশ তাকে লাঞ্চিত করে। এসময় গ্রামবাসির সাথে ঠিকাদারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানা গেছে,দূর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তরের গ্রামীন মাটির রাস্তা সমূহ টেকসই করণ প্রকল্পের আওতায় (২য় পর্যায় প্রকল্প এইবিবি) গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামে দুটি মাঠের রাস্তা রয়েছে।

একটি রাস্তার ঠিকাদার মেহেরপুরের ইসমাইল হোসেন অপরটি সাবেক সংসদ সদস্য মো: সাহিদুজ্জামান খোকনের ভাতিজা তেরাইল গ্রামের রিটু।

ধলা মাঠের রাস্তাটি প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে লটারির মাধ্যমে কার্যাদেশ পায় মেহেরপুরের ঠিকাদার ইসমাইল হোসেন। কাজটির শুরুতে কাঁদাযুক্ত বালি নিম্নমানের ইট ও বিধি মোতাবেক কাজ না করার অভিযোগ উঠে। এনিয়ে ঠিকাদার সহ তার লোকজনের সাথে কয়েক দফায় গ্রামবাসির সাথে বাকবিতন্ডের ঘটনা ঘটে।

কাথুলী ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল বারী বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় এলাকাবাসি অভিযোগ তুললে ঠিকাদারের ক্যাডার বাহিনী খোরশেদ আলম খুশি নামের এক সমাজ সেবককে লাঞ্চিত করে। এঘটনায় ঠিকাদার ও তার ক্যডার বাহিনীর বিচার দাবি করেন তিনি।

ধলা গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, রাস্তায় ইট ও বালি নিম্নমানের ব্যবহার করা হচ্ছে। ঠিকাদারকে বললে চাঁদাবাজির মামলার হুমকি দিচ্ছে।

৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, সরকার ১ নং ইট ও উন্নত মানের বালি ও বিধি মোতাবে পানি ব্যবহার করতে নির্দেশনা দিলেও ঠিকাদার নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন বলেন,এই রাস্তার জন্য কৃষক থেকে শুরু করে এই অঞ্চলের মানুষ চরম দূর্ভোগে ছিলো। এলাকাবাসির প্রত্যাশা ছিলো সরকারী বিধি মোতাবেক কাজ হবে কিন্তু ক্ষমতার দাপটে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে।

সমাজ সেবক খোরশেদ আলম খুশি বলেন, সরকারী টাকা তসরুপাত হচ্ছে এটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছি। কি আর বলবো। এ বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান আমার নির্বাচনী এলাকা ৫ নং ওয়ার্ড রাধাগোবিন্দ পুর ধলাতে হেরিং বন্ডের কাজ চলছে এই কাজের ইট বালি মান খারাপ হওয়ায় স্থানীয় রা কাজটি বন্ধ করে দেয়।

পরে ঠিকাদারের সাথে একটু ঝামেরা তৈরী হয় তৎক্ষনাৎ খবর পেয়ে ছুটে যায়, এবং উপজেলা নির্বাহী স্যারের নির্দেশনায় কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে। কথা বলতে রাজি হননি ঠিকাদার ইসমাইল হোসেন।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তীর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি প্রথমে কেটে দেন পরে আবারো কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, নিম্নমারে সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

দূর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তরের গ্রামীন মাটির রাস্তা সমূহ টেকসই করণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, কোন ভাবেই নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা যাবেনা। সরকারী বিধি মোতাবেক কাজ করতে হবে। নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে বিল বন্ধ সহ এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারের বদনাম হয় এমন কাজ কোন ভাবেই করতে দেয়া হবেনা।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




মিরপুরে ফ্লাটের টাকা নিয়ে প্রতারনাঃ টাকা না দিয়ে মারধর

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজধানীর মিরপুরে জোর করে ফ্ল্যাট দখল ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বৃদ্ধ কামাল উদ্দিন ও তার  পরিবারের লোকজন ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বাসা নম্বর ৫ রোড  নম্বর১৮ ব্লক - সি সেকশন ১০ মিরপুরের এই বাড়িটি সাত তলার ৬ তলায় দুইটি ফ্ল্যাট দক্ষিণ পশ্চিম ফ্ল্যাটের আয়তন ৬৩৯.৫৫ বর্গফুট ও ষষ্ঠ তলার দক্ষিণ-পূর্ব ৬৯৯.০১ বর্গফুট যা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের হস্তান্তর অনুমতি ও সাব রেজিস্ট্রি বায়না  দলিল পত্রাদি অনুসারে মো. কামরুল ইসলাম পিতা মো. কামাল উদ্দিন থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক  অধ্যাপক আজিজুর রহমানের তিন সন্তান ভোগ দখল করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

অভিযোগকারী তথ্য অনুযায়ী জানা যায় শুধু ফ্ল্যাট দখল না এমনকি তার পরিবারের উপর প্রান নাশের হুমকি ও বেশ কয়েকবার অতর্কিত হামলা চালানো হয় । উক্ত ব্যাপারে মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় । মিরপুর মডেল থানায় এই বিষয়ে পর পর  দুটি জিডি করা হয়। ২০১৯ সালে ২৭ জুলাই জিডি নাম্বার ২৩০৮ । উল্লেখ আছে ফ্ল্যাট দুইটি বুঝিয়ে না দেওয়ায় ও প্রাণনাশের  হুমকি এবং 2022 সালে ১৬ মে  মিরপুর মডেল থানায় আরেকটি জিডিতে উল্লেখ আছে জিডি  নাম্বার ১০৭২ উক্ত ঘরের বৈদ্যুতিক লাইন খুলে আমেনা বেগমের রুমে  আর্থিং করায় এবং বাসায় কামাল উদ্দিন আসার পথে চার পাচ জন সন্ত্রাসী মিলে তাকে মেরে ফ্ল্যাট ছাড়া হুমকি দিয়ে তার পকেট থেকে এন্ড্রয়েড মোবাইল  ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।

এছাড়াও মো. কামাল উদ্দিন কে উক্ত বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলায় আটক করে সিভিল পুলিশের পরিচয়ে কিছু লোকজন নিয়ে প্রফেসরের বড় ছেলে মাহমুদ আরিফ রহমান অনেকক্ষণ আটকে রেখে জোরপূর্বক জাতীয় গৃহায়ণ হস্তান্তর অনুমতি পত্র ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বায়না দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগকারী মো. কামাল উদ্দিনের কাছে জানতে পারি আমার দুই সন্তানের এক সন্তান বাইরে দেশে থাকে ও ছোট ছেলে আমার সাথেই থাকতো হঠাৎ করে আমাদের বিল্ডিং এর ছাদে মাহমুদ আরিফের মামা মিজান ও চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাক আমার ছোট ছেলে শরীফ কে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে । আমার ছেলের চিৎকার শুনে আমরা ও আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করি ।

ছেলের জীবনের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেই । এই অবস্থায় আমি ও আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী রহমান আরিফ মাহমুদ , তারই ভাই রহমান রাজিব মাহমুদ ও বোন রিফাত আরা বেগম এবং উক্ত বিল্ডিং এ ভাড়া থাকা তাহাদের আত্মীয়  মিজান ও আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন সময় আমাদেরকে হুমকি ও মারধর করে এবং বলে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাও না হইলে তোমরা বুড়া-বুড়ি মারা যাবে। উক্ত ঘটনার ব্যাপারে আমাদের তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম মানিকের বরাবর দরখাস্ত করি । প্রায় চার / পাচ বছর যাবত তাকে বিভিন্ন সময় মৌখিকভাবেও বলি সে একের পর এক সময় এক এক জনকে ঘটনাটি দেখার জন্য দায়িত্ব দেয় ।

এখন পর্যন্ত কাউন্সিলরের কাছ থেকে কোন বিচার পায়নি। এছাড়াও ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর ,জাতীয় গৃহায়ণ চেয়ারম্যান বরাবর  লিখিত অভিযোগ করি ও অ্যাডভোকেট দ্বারা আমার সন্তান মো. কামরুল ইসলাম সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বায়না দলিল কৃত ও জাতীয় গৃহন কর্তৃপক্ষের  অনুমতিপ্রাপ্ত ফ্ল্যাট দুটির মালিক লিগেল নোটিশ পাঠায় মৃত অধ্যাপক মোঃ আজিজুর রহমানের অরিস দুইপুত্র ও এক কন্যা  সন্তান বরাবর উক্ত লিগালনোটিশের কোন জবাব দেইনি বলে জানা যায়। এছাড়াও জানা যায়, মো. কামাল উদ্দিন বিচারের দাবিতে কোর্টে মামলা করে উক্ত মামলায় রহমান আরিফ মাহমুদ কোর্টে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকাত দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি ঘটায়। তার কিছুদিন পরেই আবার  মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের উপর আবারো হামলা চালায় সন্ত্রাসী আরিফ গংরা।

মহম্মদ কামাল উদ্দিন এমত অবস্থায় বিচার না পাওয়ায় জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও  বাস্তব সংস্থায় একটি অভিযোগ করেন। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার মহাসচিব মোঃ নুরুল ইসলাম ঘটনা সত্যায়িত যাচাইয়ের জন্য সার্বিক পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মিলন ও পরিচালক মোঃ গোলাম রব্বানীকে উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই করে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ করে।

এই ঘটনার ব্যাপারে মানবাধিকারের পরিচালক মোঃ গোলাম রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদেরকে বলে আমরা সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করে উক্ত ঘটনাটি সরজমিনে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি মোঃ কামাল উদ্দিনের ও তার ছেলে মুহাম্মদ কামরুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা আছে মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের ফ্ল্যাট ২ টি জোর করে আটকে রাখা মৃত অধ্যাপক আজিজুর রহমানের ছেলে রহমান আরিফ মাহমুদ এর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তাহার আসার কথা থাকা সত্ত্বেও তার দেখা মেলেনি এমনকি তার ছোট ভাই রাজিব ও তার বোন কারো সাথে কোন দেখা মেলেনি আমরা আরো যাচাই করে দেখব। তাই উক্ত সন্ত্রাসী ঘটনার বিচারের দাবিতে ও বৃদ্ধ মোঃ কামাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রীর  জীবনেরনিরাপত্তার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদটি সংবাদ মাধ্যমের প্রচার করা হলো।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও বাড়ল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরকার আরও ৬ মাস বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে ।বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।গেল ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হয়। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না।

এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। সে সময় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দি হন তিনি। এরপর আরেক দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। দেশে করোনা শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন এবং প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর



রমজান উপলক্ষে কাফরুল থানা এলাকার মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে  কাফরুল থানা এলাকার ব্যাংক, বিপনি বিতান, শপিং মল সমূহে নিরাপত্তা, ভেজাল খাদ্য দব্য, দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ সহ সার্বিক নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
মঙ্গলবার সকালে ইব্রাহিমপুর সিটি পার্ক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ সংক্রান্ত   মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতি-উপ পুলিশ কমিশনার (মিরপুর জোন) মাসুক মিয়া -পিপিএম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি পুলিশ কমিশনার (মিরপুর জোন)হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম -পিপিএম সেবা, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পল্লবী ট্রাফিক  জোন) গোর্কি  চৌধুরী, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল পল্লবী জোন) মনিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের  সভাপতি  গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সহ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ব্যাংক বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বৃন্দ।

প্রধান অতিথি এডিসি মিরপুর জোন তার বক্তব্য বলেন রমযান মাসে মিরপুরবাসীর নিরাপত্তার জন্য মিরপুর ডিভিশিনের পক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলিতে সার্বক্ষণিক চেক পোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।ব্যাংক বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য মানি স্কর্ট এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শপিং মল, বিপনীবিতান গুলোতে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নিরাপদে  শপিং করতে পারে সে জন্য পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।এছাড়া সকল মার্কেট, বিপনী বিতানের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সক্রিয় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সকল কাঁচা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মুল্য তালিকা প্রদর্শন করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।এছাড়াও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম ডিভিশন সমন্বয় করে কাজ করছে।

আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে,১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ই মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধু রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। মূলত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি। পরে ২৫ মার্চের কালরাতে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপর দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন আকাশে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। আর সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তিনি তার ভাষণের শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি...।’

এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম..., এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।

এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা।’

ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার একটি লেখায় বলেছেন, ‘সাত মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক চিন্তাধারার পরিচয় দিয়েছেন। রণকৌশলের দিক থেকে এই ভাষণ অসাধারণ। এই বক্তৃতা এখনো মানুষকে শিহরিত করে।

তিনি বলেন, এই বক্তৃতার আগে রাজনৈতিক কর্মী ও জনসাধারণ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করলে যে পাকিস্তানি সেনা শাসকরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাবে, সে বিষয়েও তিনি অবহিত ছিলেন।

আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু নিউজউইকের এক সাংবাদিককে বলেছিলেন ‘আমরাতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমাদের উপর নির্ভর করছে তারা বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ তার একটি লেখায় বলেন, বঙ্গবন্ধু তার চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৯ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চার দফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাকে বললেন জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাদের নেতা, আমি তাদের পরিচালিত করব, তারা আমাকে নয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লিখে।

তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়া এদিন বিকেল ৪ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে (তেজগাঁও) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। :বাসস


আরও খবর