Logo
আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বাগেরহাটে হরিণের মাংসসহ দুই যুবক আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের রামপালে হরিণের মাংসসহ শওকত সরদার (৩৭ও শেখ হেকমত আলী (৩৯নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে রামপাল উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের গিলাতলা বাজার সংলগ্ন ব্যাংকের মোড় থেকে এদের আটক করা হয়। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ কেজি হরিণের মাংস ও তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।


আটককৃতরা হলেন, মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা গ্রামের হাসান সরদারের ছেলে শওকত সরদার  এবং রামপাল উপজেলার ব্রী চাকশ্রী এলাকার শেখ আশরাফ আলীর ছেলে শেখ হেকমত আলী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম।


তিনি বলেন, সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণের মাংস বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছিল এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ কেজি মাংস জব্দ করা হয়েছে। মামলা দায়ের পূর্বক আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মাংস ধ্বংস করা হয়েছে।


আরও খবর



সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত থারমান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী থারমান শানমুগারাতনাম। ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ থারমান সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক দল পিপলস অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সাবেক নেতা।

গতকাল শুক্রবার সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। এক যুগের বেশি সময় পর প্রেসিডেন্ট পদে এই দেশে নির্বাচন হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের নির্বাচন কমিশন শুক্রবার রাতে জানিয়েছে, ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ৬৬ বছর বয়সী রাজনীতিক ও অর্থনীতিবিদ থারমান শানমুগারাতনাম জয়ী হয়েছেন। থারমান সিঙ্গাপুরের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা তান মেং দুই বলেন, ‘আমি থারমান শানমুগারাতনামকে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী ঘোষণা করছি।’

সিঙ্গাপুরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুবের স্থলাভিষিক্ত হবেন থারমান। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে হালিমা ইয়াকুব ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি সিঙ্গাপুরের অষ্টম ও প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট পদ অনেকটা আলংকারিক। প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে নগররাষ্ট্রটির পুঞ্জীভূত আর্থিক রিজার্ভ দেখভাল করেন, সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত অনুমোদন করেন। তবে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বেশ কঠিন কিছু শর্ত রয়েছে। সংবিধান মতে, প্রেসিডেন্ট হচ্ছে নির্দলীয় একটি পদ।

এই নগররাষ্ট্রের সরকার পরিচালিত হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। বতমানে পিএপির নেতা লি সিয়েন লুং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী। এই দল ১৯৫৯ সাল থেকে টানা সিঙ্গাপুরের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে।

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে থারমান শানমুগারাতনামের সঙ্গে আরও দুজন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তারা হলেন দেশটির সার্বভৌম সম্পদ তহবিল জিআইসির সাবেক বিনিয়োগ কর্মকর্তা এনজি কোক সং (৭৫) এবং বিমাপ্রতিষ্ঠান এটিইউসি ইনকামের সাবেক প্রধান নির্বাহী তান কিন লিয়ান (৭৫)। জিআইসি সিঙ্গাপুরের বৈদেশিক রিজার্ভের ব্যবস্থাপনা করে থাকে।


আরও খবর



তানোরে বিলের বাঁধের রাস্তা নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরের সীমান্ত ঘেষা বিলের বাঁধের রাস্তা নির্মানে একেবারেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কার্পেটিং করার পায়তারা করছেন এমপি আয়েনের ভাই ঘাসিগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু ও ভূলু নামের ব্যক্তি বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। শুধু তাই না গত মাসে বৃষ্টি কাঁদা পানির মধ্যে নামমাত্র ইট বালু দিয়ে রেখেছিলেন। কাঁদার ভিতরেই য়ত সামান্য বালু ও খোয়া দিয়ে রোলার করে রাখা হয়েছে। কিন্ত প্রাইম বোড ও  কার্পেটিং করার আগেই পুরো রাস্তা দেবে গেছে, অনেক জায়গা ভেঙ্গেও গেছে। কার্পেটিংয়ের আগেই যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে পিচ দেওয়ার সাথে সাথেই উঠে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে করে সরকারে কোটি টাকা জলে পড়া ছাড়া কিছুই দেখছেন না স্থানীয় ঠিকাদারেরা। ফলে রাস্তাটি সরেজমিনে তদন্ত করলেই ভয়াবহ অনিয়ম ধরা পড়বে। কিন্তু এমপি আয়েনের ভাই কিনে করছেন এজন্য কেউ দেখতেও আসেনা।ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিল কুমারী বিলের মোহনপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এমপি আয়েনের জলসা ঘর খ্যাত বাঁধে চলছে  নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০০ মিটার রাস্তার কাজ। এর আগে গত বছরে ওই রাস্তার নিচ থেকে মাটি কেটে উঁচু করা হয়। মাটি দিয়ে উঁচু করার সময় বাঁধের শতশত ছোটবড় গাছ কেটে মরুপ্রান্তর করে ফেলা হয়েছে বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। নিম্নমানের কাজের জন্য টিকসই নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবে এমপি ও কিনে কাজ করা ঘাষিগ্রাম ইউনিয়ন (ইউপির)  চেয়ারম্যান বাবলুর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছেন না। ফলে রাস্তার কাজ নিয়ে জেলা কর্মকর্তাদের সরেজমিনে তদন্ত করার জোর দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। নচেৎ ধাপ্পাবাজির কাজ করে যাবেন চেয়ারম্যান বলেও স্থানীয় দের অহরহ অভিযোগ। সরেজমিনে দেখা যায়, বিলকুমারী বিলের ব্রীজ ও পূর্ব দিকের সংযোগ সড়ক বা তুলসী খেত মোড় থেকে দক্ষিণে ২৫০০ মিটার রাস্তার কাজ চলছে। মোড়ে নিম্নমানের খোয়া খাম্বা মারা আছে। কোন ধরনের বালু ছাড়াই মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। দুপারে এজিং করা হলেও কাঁদা মাটি দিয়েই ভরাট করছেন মিস্ত্রিরা। তারা জানান আমাদেরকে চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু যে ভাবে কাজ করতে বলেছেন সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। এজিংয়ে বালু খোয়া কেন দিচ্ছেন না জানতে চাইলে তারা জানান আমরা কিছুই বলতে পারব না।

জানা গেছে, বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে রাস্তার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয় মোহনপুর এলজিইডি অফিস থেকে। দরপত্রে মাটির রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ পান শহরের রায়হান নামের ঠিকাদার। তিনি বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। কিন্তু লোকসানের জন্য তিনি কাজটি করেননি বলে নিশ্চিত করেন মোহনপুর এলজিইডি অফিস।  সম্প্রতি রাস্তার কাজ কিনে করছেন এমপির বড় ভাই ঘাষিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  আজহারুল ইসলাম বাবলু ও তাদের সহচর ভুলু।মোহনপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাদরুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। উপসহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরের কাজ। যে সময় দরপত্র আহবান করা হয়েছিল তারপরেই নির্মান সামগ্রীর দাম ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। কাজটি পান শহরের ঠিকাদার রায়হান। কিন্তু লোকসান হবে এজন্য সে কাজ করেননি। আমাদের ও এমপির অনুরোধে চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু কাজটি করছেন। ২০২১-২২ অর্থ বছরের কাজ এখন কিভাবে ও কাঁদা পানির মধ্যে কার্পেটিংয়ের জন্য ডাবলু বিএম ও এজিং করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তার কাজটি করা মানেই লোকসান। কিন্তু দরপত্র আহবান করা হয়েছে কাজ করতেই হবে। সবার অনুরোধে কাজটি হচ্ছে।  ২৫০০ মিটার রাস্তার বিপরীতে বরাদ্দ ৯৪ লাখ টাকা। যদি কার্পেটিংয়ের আগে দেবে, বসে ও ভেঙ্গে যায় তাহলে কার্পেটিং করতে দেওয়া হবেনা। কিন্তু রাস্তার কাজের সময় অফিসের কোন লোকজন থাকেনা। 

সুত্র মতে, এক অর্থ বছরের কাজ আরেক অর্থ বছরে করার নিয়ম নেই। কারন জুন ফাইনালে সকল কাজের হিসেব দিতে হয়। যদি কোন কাজ না হয়ে থাকে তাহলে সে বরাদ্দ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। এখানে সে নিয়ম অমান্য করেছেন মোহনপুর এলজিইডি।স্থানীয় ঠিকাদারেরা জানান, মোহনপুরে অনেক জনবহুল ভাঙ্গাচোরা পাকা ও মটির রাস্তা আছে অনেক। সেগুলো  না করে এমপি আয়েন তার ব্যক্তিগত স্বার্থে বর্ষা মৌসুমে তার জলসা ঘরের বাঁধের রাস্তা করছেন। এরাস্তায় তেমন একটা যানবাহন চলাচল করেনা। শুধু বোরো মৌসুমেে সামান্য পরিমান যান চলে। এর আগে তুলসী খেত থেকে মেলান্দ পর্যন্ত পাকা রাস্তা করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় অসংখ্য ফাটল ও ভেঙ্গে একাকার।এছাড়াও তুলসী খেত মোড় থেকে গোয়ালপাড়া রাস্তার ধার ভেঙ্গে ঝুকিতে পড়ে আছে। কার্পেটিং রাস্তা করতে হলে আগে হেয়ারিং বন্ড বা এইচবিবি করে রাখতে হয় কয়েক বছর, তারপর হয় কার্পেটিং। এসব রাস্তা করা মানে সরকারের টাকা পানিতে ফেলা। গতবার মাটি দিয়ে উঁচু করা হল, সেই মাটির উপর করা হচ্ছে কার্পেটিং । এর চেয়ে বড় ধোকাবাজি আর কি হতে পারে।রাস্তায় কার্পেটিংয়ের আগেই বসে একাকার।তাহলে পিচ দিলে কি অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এমপিরা সর্বময় ক্ষমতার মালিক, তার ব্যক্তিসার্থের রাস্তা এজন্য কর্তাবাবুদের কোন মাথা ব্যাথা নাই। কারন বাঁধের শতশত গাছ কাটা হয়েছে নির্বিচারে। অপ্রয়োজনীয় রাস্তায় কোটি টাকা জলে পড়া ছাড়া কিছুই না।

ঘাষিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলুর ব্যক্তিগত ০১৭১১-০১৩৮৮৪ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।তবে তার পার্টনার ভূলু জানান, রাস্তার কাজটি পেয়েছিল শহরের ঠিকাদার রায়হান। সে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করলে ৮ লাখ টাকা লোকসান হবে, এজন্য সে কাজ করেননি। এমপি ও এলজিইডির অনুরোধে চেয়ারম্যান ও আমি কাজটি করছি।

প্রসঙ্গত, রাস্তাটি নিয়ে আমাদের রাজশাহী পত্রিকা সহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে খবর প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। 

আরও খবর

তানোরে যানজটে নাকাল জনজীবন

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পত্নীতলায় অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আমদানী করা নিম্নমানের গমের ভুসিতে বাজার সয়লাব

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃআমদানি করা নিম্নমানের গমের ভুসি অবাধে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা পূরণের সক্ষমতা থাকার পরও ভুসি আমদানি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় উৎপাদকরা। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৫০ শতাংশ আটা-ময়দার মিল। উৎপাদন বন্ধ থাকলে সংকট দেখা দেওয়ার পাশাপাশি দাম বাড়বে আটা-ময়দার। পশুর জন্য হুমকি ভেজাল গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে নামি কোম্পানির মোড়কে। নিরাপদ পশুখাদ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভুসির আমদানি শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে বছরে গমের ভুসির চাহিদা ২১ লাখ ৯০ হাজার টন। সারা দেশে ছোট-বড় ১ হাজার ১০০-এর বেশি আটা-ময়দার মিলে উৎপাদন হয় ২২

লাখ ৫০  হাজার মেট্রিক টন। চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হলেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে গমের ভুসি আমদানি করা হচ্ছে। এতে দেশি কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ ভুসি অবিক্রীত থাকায় আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। একই সমস্যায় ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে মোট আটা-ময়দার মিলের প্রায় অর্ধেকই। পশু-প্রাণীর জন্য হুমকি ভেজাল গো-খাদ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে গমের ভুসি আমদানি শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ আটা-ময়দা মিল মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন মৃধা বলেন, আমদানিকৃত ভুসি খুবই নিম্নমানের। তাই এসব ভুসি কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের মিল মালিকদের উৎপাদিত ভুসি বিক্রি হচ্ছে না। গমের ভুসি আমদানিতে আটা-ময়দা আমদানির সমান শুল্ক আরোপ করা হলে আমরা টিকে থাকতে পারব।

বর্তমানে আটা-ময়দার আমদানি শুল্ক ৩৮ শতাংশ হলেও গমের ভুসি আমদানির শুল্ক মাত্র ৫ শতাংশ। আবার খামারিরা সরাসরি আমদানি করতে পারছেন কোনো শুল্ক ছাড়াই। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেশে নিম্নমানের ভুসি আমদানি ও নামি কোম্পানির মোড়কে (ব্যাগ) বাজারজাত করছে। এতে দেশি কোম্পানিগুলোর সুনাম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নিম্নমানের গমের ভুসি বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। ভেজাল গো-খাদ্য বিক্রি বন্ধের পাশাপাশি নিরাপদ গমের ভুসি বাজারজাত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপপরিচালক ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা ভেজাল গো-খাদ্যের (ভুসি) বিষয়ে কঠোর অবস্থানে। বিশেষ করে আমদানিকৃত ভুসিতে ভেজাল পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পশুর জন্য ক্ষতিকর এসব ভুসি আমদানিতে আমাদের নজরদারি রয়েছে। ভেজাল গমের ভুসি না কেনার জন্য খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, এক বছরের ব্যবধানে ভুসি আমদানি বেড়েছে ৮৮ শতাংশের বেশি। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩ মেট্রিক টন গমের ভুসি আমদানি করা হয়েছে। ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে আমদানি করা হয়েছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৬ মেট্রিক টন। চলমান ডলার সংকটে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি আমদানি ব্যাহত হলেও ভুসি আমদানি বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরুরি পণ্যে এলসি উন্মুক্ত রাখার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। গত বছরের ৬ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানি আমদানির এলসি খোলা নিশ্চিত করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে একটি চক্র দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করতে নিম্নমানের গমের ভুসি আমদানি করছেন।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা ফুডের বিভাগীয় প্রধান (বিক্রয় ও বিতরণ) রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশের যে ভুসির চাহিদা আছে তার চেয়ে বেশি ভুসি দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। সাধারণত গম থেকে ৩০ শতাংশ ভুসি উৎপাদন হয়। কারখানাগুলোতে উৎপাদিত ভুসি সর্বোচ্চ ৪-৫ দিনের বেশি মজুদ করে রাখা যায় না। মজুদ ভুসি বিক্রি করতে না পারলে নতুন করে উৎপাদনে যেতে পারে না কারখানাগুলো। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে বাজারে আটা-ময়দার সরবরাহ সংকট তৈরি হয়ে দাম বেড়ে যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের ভুসিতে বাজার সয়লাব। তাদের নিতে হয় না কোনো বিএসটিআই সনদ, লাগে না কোনো মান পরীক্ষা। এসব নিম্নমানের ভুসির কারণে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় কোম্পানিগুলো। প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়ছে। দেশের আটা-ময়দার মিলগুলোতে পর্যাপ্ত থাকার পরও ভুসি আমদানির ফলে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।’ রেদোয়ানুর রহমান আরও বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত আটা-ময়দায় ৩৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ রয়েছে, কিন্তু এর উপজাত (বাই প্রোডাক্ট) ভুসিতে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ আছে। যদিও পশুখাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বিনা শুল্কে ভুসি আমদানি করতে পারছে। এসব নিম্নমানের ভুসি দেশের নামিদামি কোম্পানির বস্তা নকল করে বাজারজাত করছে। এতে মানসম্পন্ন পশুখাদ্য পাচ্ছেন না খামারিরা। জানতে চাইলে এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের ইনস্টিটিউশন সেলসের মহাব্যবস্থাপক অবন্তি কুমার সরকার বলেন, নিম্নমানের আমদানিকৃত ভুসিতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের উৎপাদিত ভুসি বিক্রি করতে পারছি না। আমদানিকৃত ভুসি দেশে নামিদামি কোম্পানিগুলোর  মোড়কে (ব্যাগ) মানুষকে ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করছে। এতে আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অনেক মিল বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদেরটাও বন্ধের পথে। ভুসি বিক্রি করতে না পারায় আটা-ময়াদার উৎপাদন বন্ধ রাখা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে আটা-ময়দার দাম আরও বেড়ে যাবে।

আমদানিকৃত নিম্নমানের গমের ভুসি দেশের নামিদামি কোম্পানির মোড়কে (ব্যাগ) বিক্রি করে দেশি কোম্পানিগুলোর সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে। চলতি বছরের ৬ মার্চ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বসুন্ধরা ভুসির মোড়কে (ব্যাগ) ভেজাল ভুসি বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ বস্তা ভেজাল গমের ভুসি জব্দ করা হয়।


আরও খবর



বজ্রপাত প্রতিরোধে কলারোয়ায় ৫০০০হাজার তালের চারা রোপন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:বজ্রপাত মোকাবেলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষার লক্ষ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাটুলিয়া গ্রাম সহ মাঠের বিভিন্ন সড়কের পাশে ৫০০০ টি তালের চারা রোপন করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব এ তালের চারাগুলো একদিকে যেমন বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে ভূমিকা রাখবে ঠিক তেমনিভাবে সড়কের পাশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। গত ১মাস ধরে এ তালের চারা রোপন করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পাটুলিয়া গ্রামের মৃত রমজান গাজীর ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কৃষক সিদ্দিক গাজী। তিনি তালের চারা রোপনের বিষয়ে বলেন-তার এলাকায় ধান সহ বিভিন্ন ফসলের জমি অনেক বেশি। এখন তো প্রায় সময় বৃষ্টি হচ্ছে। বজ্রপাতও বেশি। তিনি এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে বজ্রপাত মোকাবেলায় তার নিজ গ্রাম পাটুলিয়াসহ ঝিকরগাছার বাবু ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে তালের চারা রোপন করেছেন। তিনি আরো বলেন-এই গাছ বড় হলে ফলসহ গাছ কখনো তার নিজের বলে দাবী করবেন না। পাটুলিয়া গ্রামের নুর ইসলাম ও নুরুজ্জামান বলেন-তারা ৩শত টাকায় জোন হিসাবে এই তালের চারা রোপনের কাজ করছেন। তারা আরো বলেন-সিদ্দিক ভাই এক জন বড় মনের মানুষ। শুধুমাত্র এলাকাবাসীকে বজ্রপাত থেকে রক্ষা করতে নিজের ব্যক্তিগত টাকা খরচ করে তালের চারা রোপন করেছেন। এই তালের চারা রোপন করে তিনি এলাকায় মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন। উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সাইদ আলী গাজী বলেন-আমার ইউনিয়নে যে একজন গাছ প্রেমিক মানুষ আছে জানতাম না। তিনি এলাকায় বজ্রপাত রক্ষায় তালের চারা রোপন করে চেয়ারম্যানি দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে বলেন-সিদ্দিক গাজী একজন ভাল মানুষ তাকে সাধুবাদ জানাই এলাকায় বজ্রপাত নিয়ন্ত্রনে তালের চারা রোপন করায়। উপজেলা কৃষি অফিসার সুভ্রাংশু শেখর দাস বলেন, তাল গাছ যুগ যুগ ধরে বজ্রপাত রোধে অবদান রেখে আসছে। যে অঞ্চলে তাল গাছ বেশি সে অঞ্চলে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যাও ততকম। কৃষক সিদ্দিক সাহেব এলাকায় তালের চারা রোপন করে  মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাকে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষকে সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



‘সকল দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়’

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন


আরও খবর