Logo
আজঃ শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্তরীণ অবস্থায় রয়েছেন; মিথ্যায় মামলায় সাজা দিয়ে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে নির্বাসিত হয়ে আছেন। আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা দিয়েছে এই আওয়ামী লীগাররা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা সেদিনও (১৯৭২-৭৫ সাল) ক্ষমতায় ছিল। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে সেদিনও বাকশাল করেছিল। তারা আবারও ভিন্ন মোড়কে একদলীয় বাকশাল করতে চায়। কিন্তু কথায় বলে না, মানুষ ভাবে এক; হয়ে যায় আরেক। কয়েকদিন আগেও কত লাফালাফি, কী লাফালাফি এখন লাফালাফি কমে এসেছে। সুর নিচে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে- সংঘাত চাই না (ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে)। আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে সমাধান করতে হবে। আমরা তো বাধা দিচ্ছি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সেদিনও আমাদের সমস্ত জেলার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জেলায় কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে আমাদের নিপুণকে আহত করা হয়েছে। কত চক্রান্ত আমাদের খোকন-শিরীনের নামে নরসিংদীতে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। নিজেরা হত্যা করে ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেতাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গায়েবি মামলা, কিছুই ঘটবে না- একটা মামলা হয়ে গেল। কিছু নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বাকি অজ্ঞাত হিসেবে এই মামলা দেওয়া  হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে এই লড়াই করছি। এই লড়াই এখন একটি চূড়ান্ত পর্যায় এসেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১০টি দাবি দিয়েছি। তার প্রথম দফা হচ্ছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দেশের মানুষ তোমাকে ক্ষমতায় রেখে দেশের মানুষ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তা মনে করে না- এটাই বাস্তবতা। এই সংসদ যে সংসদে তুমি সংবিধান পরিবর্তন করেছ, সংবিধানকে বিভিন্ন কাঁটাছেড়া করে পরিবর্তন করে যে সংসদ রেখেছ, সেই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

দলের প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন,‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের সবচেয়ে বড় শপথ হবে, যে কোনো মূল্যে আমাদের জীবনের মূল্যে হলেও এই ভয়াবহ ভোটচোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বাঁচাতে হলে, বাস্তবায়িত করতে হলে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রীকে মুক্ত করতে হলে, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও সফল, সৈনিক হিসেবেও সফল। আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা শহীদ জিয়াকে ভয় পায়। তাই তার সম্পর্কে অবান্তর কথা ছড়ানো হচ্ছে। দেশকে চলমান সংকট থেকে মুক্ত করতে শহীদ জিয়ার আদর্শিত সৈনিকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির লজ্জিত হবার কোনো ইতিহাস নেই, গৌরব করার মতো ইতিহাস আছে। আমরা সামরিক শাসন জারি করি নাই, গণতন্ত্র হত্যা করিনি। এ আওয়ামী লীগ ১/১১-এর অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। বিএনপিকর্মী হিসেবে বলতে পারি বিএনপি শুধু স্বাধীনতা ঘোষকের দল নয়, গণতন্ত্র রক্ষাকারী দল। বিএনপির শাসনামলেই জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পেয়েছিল। জিয়াউর রহমানকে আজ শ্রদ্ধা করা উচিত।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব কি চিন্তা করছে তা সবাই জানেন। আমেরিকায় গণতন্ত্র সম্মেলনে পৃথিবীর ১০৭ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানালেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমেরিকার ভিসানীতি তো আগেই ছিল, তবে কেন বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি করতে হলো? কারণ, দেশের গণতন্ত্র আজ ভূলণ্ঠিত তা আজ বিশ্ব অবগত।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অত্যাচারের ইতিহাস আজ নতুন নয়। এর আগেও তারা গণতন্ত্র কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অবাধ লুটপাটের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে যে গণতন্ত্র ও বাক্‌স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, তা ভূলণ্ঠিত করেছে এই আওয়ামী লীগ।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির একটি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির একটি। জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম এবং ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম জিডিপির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে।  

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর এবং সামরিক সরকারের পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ মন্দার কবলে পড়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ‘৯৬ সালে সরকার গঠন করে। সুচিন্তিত এবং পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সব উন্নয়নের কাজ থমকে যায়। 

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমরা দেশকে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে দেশ গঠনের কাজে মনোনিবেশ করি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের ধারাবাহিকতা এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনীতি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার৷ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সব খাত উন্মুক্ত; বিনিয়োগের প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে, যাতে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ তাদের দেশে নিয়ে যেতে পারে৷ হাইটেকপার্কগুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে পরিবহন সুবিধায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে৷

তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ থেকে আবাসন; সবক্ষেত্রেই মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে৷ আমদানি-রপ্তানি গতিশীল করতে বন্দরগুলোও উন্নয়ন করা হচ্ছে৷

ভৌগলিক দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তিনশ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থল এ কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা ২০৩০ সালে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বাজারকে পেছনে ফেলে তৃতীয় বড় বাজার হবে বাংলাদেশ বলেও জানান৷


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া বাবদ জনগণের ব্যয় ১০৪৯২৭ কোটি টাকা’

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া বাবদ জনগণের ১০৪৯২৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ এ তথ্য দেন। সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান প্রশ্নটি করেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, ৮২টি ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার বা আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৭০টিকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে। এছাড়া ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে।এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লি.। এ কেন্দ্রকে গত সাড়ে ১৪ বছরে সাত হাজার ৪৫৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে।

অন্য আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির মধ্যে আছে- মেঘনা পাওয়ার (৫ হাজার ৪৭৫ কোটি ১২ লাখ টাকা), রুরাল পাওয়ার (৪ হাজার ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা), সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার (৩ হাজার ৬৪৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা), সেমক্রপ এনডব্লিউপিসি (২ হাজার ৮২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা), এপিআর এনার্জি (দুই হাজার ৭৮৮ কোটি ৪ লাখ টাকা), সিম্মিট বিবিয়ানা পাওয়ার (২ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩ লাখ টাকা), হরিপুর পাওয়ার (দুই হাজার ৫৫৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা) , ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লি. কে দুই হাজার ৩৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ও বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট-১ লি.-কে এক হাজার ৮৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।

গত তিন মেয়াদে ৩২টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে (রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) ভাড়া বাবদ ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৬৮৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস ৫টি ইউনিটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ছয় হাজার ৪১১ কোটি ২২ লাখ টাকা পেয়েছে। এছাড়া অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস (১৪৫ মে. ও) দুই হাজার ৩৪১ কোটি ২৮ লাখ, কেপিসিএল (ইউনিট-২) এক হাজার ৯২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস (৮৫ মে. ও)  এক হাজার ৫৫৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ডাচ বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস একহাজার ৫৩০ কোটি ৯ লাখ টাকা, অ্যাক্রন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস এক হাজার ৪৮৪ কোটি ৩০ লাখ, অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস (৯৫ মে. ও) এক হাজার ৪৩৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা, দেশ এনার্জি সিদ্ধিরগঞ্জ এক হাজার ৩৯১ কোটি ২১ লাখ, ম্যাক্স পাওয়ার এক হাজার ৩০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও পাওয়ার প্যাক মুতিয়ারা কেরানীগঞ্জ ১ হাজার ২৯১ কোটি ৬১ লাখ টাকা পেয়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ হাজার ১৯৫ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎপাদিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি (অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার) কূপ খননের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চতকল্পে আবাসিক শ্রেণির গ্রাহক পর্যায়ে ৪ লাখ ৩৪ হাজার গ্যাস প্রি-পেইড মিটার এবং শিল্প ও সিএনজি শ্রেণির গ্রাহক পর্যায়ে ৩ হাজার ২৩৯টি ইভিসি মিটার স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব আবাসিক গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল হতে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ২১টি অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে ৬টি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬টি গ্যাস ক্ষেত্র হচ্ছে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ, জকিগঞ্জ ও ইলিশা।

বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নিট লোকসান দুই হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ডেকসোর নিট লোকসান ২২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, একই অর্থ বছরের ৯ মাসে ডিপিডিসির কর পরবর্তী লোকসান ৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। 

কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী ভারত হতে ছয়টি চুক্তির মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পদোন্নতি পেলেন পুলিশের ২৮ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) থেকে পদোন্নতি পেয়ে পরিদর্শক হলেন ২৮ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, এসআই (নিরস্ত্র) থেকে পদোন্নতি পেয়ে পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হয়েছেন ১৫ জন, এসআই (সশস্ত্র) থেকে পদোন্নতি পেয়ে পরিদর্শক (সশস্ত্র) হয়েছেন ১১ জন এবং পুলিশ সার্জেন্ট থেকে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) হয়েছেন দুইজন। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে মোট ২৮ কর্মকর্তা পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

প্রজ্ঞাপনগুলো দেখতে নিচের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করুন 

প্রজ্ঞাপন-১

প্রজ্ঞাপন-২

প্রজ্ঞাপন-৩ 


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নবীনগরে ৫০টি গৃহহীন পরিবার, চাবিসহ বুঝে পেলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া  প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের হুরুয়া দক্ষিণ পাড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতাধীন নির্মিত ঘরগুলো চাবিসহ বুঝে পেলো ৫০ গৃহহীন পরিবার। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে লটারীর মাধ্যমে নিরপেক্ষ থেকে চাবীসহ তালিকাভুক্ত ৫০টি পরিবারকে ঘরগুলো বুঝিয়ে দেন জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি। ঘর বুঝে পেয়ে বেশ উচ্ছাসিত ছিলো ঘর পাওয়া প্রতিটি হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন, ইউপি সদস্য মোঃ খোরশেদ আলম ও মোঃ মামুন মিয়া, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি রফিকুল ইমলাম মাঈনু সরকার, সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক বাদল সরকার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক অমিত সরকার সহ আরো অনেকে।জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি জানান।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী হুরুয়া দক্ষিণ পাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতাধীন ভূমিহীন ৫০টি পরিবারের জন্য ঘরগুলো নির্মাণ কাজ অনেক আগেই শেষ করা হয়েছে। আজকে ভূমিহীন ৫০টি পরিবারের মাঝে আমরা লটারীর মাধ্যমে নিরপেক্ষ থেকে প্রত্যেকের ঘরগুলো চাবীসহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গৃহহীন ও ভূমিহীন হতদরিদ্র মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতাধীন সারাদেশে ঘর নির্মাণ করে দেওয়াই এসময় তিনি জিনদপুর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এসময় ঘর পাওয়া হতদরিদ্র পরিবারগুলোর সদস্যরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জমিসহ ঘর দিছেন। সন্তানদের নিয়ে পরের জমিতে আর আমাদের থাকতে হবে না। এখন আমরা আর ভূমিহীন বা গৃহহীন না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।উল্লেখ্য, সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবার ২ শতাংশ জমিসহ ২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি আধাপাকা ঘরে থাকছে একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। এছাড়াও রয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। ঘরের পাশে সবজি চাষসহ আয়বর্ধক নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও রয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আরও ১৪ দিনের রিমান্ডে ইমরান খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রিমান্ড আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে আস্থা ভোটহারানোর পর থেকে রাজনৈতিক সঙ্কটের কেন্দ্রে রয়েছেন ৭০ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা। গত মাসে একটি পৃথক দুর্নীতির মামলায় তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয় তাকে।

আগস্টের শেষ দিকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলায় তার সাজা স্থগিত করা হয়। তবে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি মামলায় তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন। সর্বশেষ নির্দেশ অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারা রিমান্ডে থাকবেন তিনি।

এর আগে ৩০ আগস্ট ইমরান খানকে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বিশেষ আদালত। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের (সাইফার) মামলাতেই তার রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

তার আগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেন আদালত। হাইকোর্ট মুক্তির নির্দেশ দিলেও কিছুক্ষণ পরই সরকারি গোপন নথি মামলায় বিশেষ আদালত জানায়, ইমরানকে যেন অ্যাটোক কারাগারেই আটক রাখা

হয়।ইমরানকে এখন যে গোপন তারবার্তা ফাঁসের মামলায় আটক আছেন, সেটির সূত্রপাত হয়েছিল গত বছরের এপ্রিলে। সে মাসে তিনি অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন দুই মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা। তারা পাক দূতকে হুমকি দিয়েছিলেন, ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে না সরালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। আর সেই গোপন বৈঠকের বিষয়টিরই একটি নথি ইমরান খান একটি জনসভায় প্রকাশ্যে দেখিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি সরকারি গোপন নথি ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

যদিও ইমরান খানের দাবি, তিনি সজ্ঞানে সেটি প্রকাশ করেননি। তার আইনজীবীরা বলছেন, সেসময় ইমরান খানের হাতে কেউ কাগজটি তুলে দিয়েছিলেন এবং সেটি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ইমরানের ওই কাগজ প্রদর্শনের কথা ছিল না।


আরও খবর

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করলো ভারত

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হিজাব না পরলে ইরানে ১০ বছরের জেল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩