Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আত্রাইয়ে পুকুর পাড়ে পড়ে ছিলো এক যুবকের লাশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৩৭জন দেখেছেন

Image
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সিংসাড়া গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে সোহাগ (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

নিহত সোহাগ উপজেলার সিংসাড়া গ্রামের দিদার বক্স সাখিদারের ছেলে।
 
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহাগ গত রবিবার রাতের খাবার খেয়ে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে যায়। পরে কোন এক সময় কে বা কারা তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে তার লাশ বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরের পাড়ে ফেলে রাখে। 

সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন পুকুর পাড়ে লাশ দেখে হৈচৈ শুরু করে দেয়। পরে দেখা যায় এটি সোহাগের লাশ। সংবাদ পেয়ে আত্রাই থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্ররণ করেন। সংবাদ পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গাজিউর রহমান।  

এ ব্যাপারে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তারেকুর রহমান সরকার বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। এ ব্যাপার আত্রাই থানায় মামলা দায়রর প্রস্তুতি চলছে। এর রহস্য উদঘাটনে আমরা ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। 




আরও খবর



ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে চেয়ারম্যান সমর্থককে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃবরগুনা জেলার আমতলীতে ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরন গাজী (৫০) কে ছুরিকাঘাতে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকার হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মেতাহার মৃধার সমর্থক মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার এমন অভিযোগ করেন।  পুলিশ নিহত হিরন গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের পুর্ব মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অনিল সাজ্জাল বাড়ীর সামনে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। 

জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের টাকা বিতরন করছেন । বুধবার রাত ১১ টার দিকে আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৪০-৪৫ জন পুর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ সময় মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে টাকা দিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নয়ন মৃধার সমর্থকরা। এক পর্যায় আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৬-৭ জন তাকে ছুিরকাঘাত করে। ওই ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক হিরনের সহযোগী মিলন সরদার, ও দেলোয়ার সরদারসহ ১০/১২ জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার রুহল আমিন ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে আবুল সরদারের ছেলে কাদের সরদার ও তার লোকজন হিরনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থকরা গ্রামে টাকা বিতরন করতেছিল। এতে মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন মৃধার সমর্থক শহীদ মালাকার, ইউসুফ মাতুব্বর ও কাদের সরদারসহ ৬/৭ জনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও তারা ধাওয়া করেছে। 

নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, মোর কিছুই রইলো না। ওরা মোর স্বামীরে মাইর‌্যা হালাইছে। মুই এ্যাইয়ার বিচার চাই।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার নেতৃত্বে তার ভাই পান্নু মৃধা ও  আজাদসহ ৪০-৫০ জন গ্রামে ঢুকে টাকা বিতরন করছিল। ওই সময় আমার লোকজন ঘোড়া ঘোড়া বলে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সমর্থক হিরন গাজীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গতকাল আমার ব্যবসার কাজে বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিলাম। মোতাহার মৃধা ও তার লোকজন দিয়েই হিরনকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে আনার পুর্বেই ছুরিকাঘাতে আহত হিরন নামের একজন মারা গেছে। 

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভোটারদের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হিরন গাজী নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



আগাম জামিন অনির্দিষ্টকালের জন্য দেওয়া উচিত নয়: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ। রমনা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিন প্রশ্নে এক আদেশে এমন অভিমত দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

গত ৬ মার্চ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চের ওই আদেশ শনিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, এই সব রায়ের নীতি অনুসারে ব্যক্তি/ব্যক্তিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত বিবাদীদের আগাম জামিন দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল বিভাগের রায়ের নীতি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাঝেমধ্যে যথাযথ তদন্তের স্বার্থে কোনো মামলার প্রতিবেদন দিতে বেশি সময় নিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে, অভিযুক্ত পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত আগাম জামিনের সুবিধা উপভোগ করার অধিকারী নয়।

আপিল বিভাগের আগের দেওয়া কয়েকটি রায়ের রেফারেন্স দিয়ে এসব কথা বলেন আদালত। ‘রাষ্ট্র বনাম মো. কবির বিশ্বাস’, ‘রাষ্ট্র বনাম অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান এবং অন্যান্য, ‘রাষ্ট্র বনাম আবদুল ওয়াহাদ শাহ চৌধুরী’ মামলার রায় এ আদেশে উদ্বৃত করা হয়।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারণ দাবীতে ১৪ কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নৈতিক স্খলন, অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অদক্ষতার অভিযোগ এনে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর প্রতি অনাস্থা ও অপসারাণের দাবীতে একাট্টা হয়েছেন প্যানেল মেয়র সহ পরিষদের ১৪ কাউন্সিলর। তারা গত ২৩ মার্চ স্হানীয় সরকার,  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা সহ ৩১ মার্চ শহরের ওয়াবদা মোড়ে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী তুলে ধরে পৌরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। 

এর আগে গত ২০ মার্চ  রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরেও একই আবেদন করেছেন কাউন্সিলররা। স্ব স্ব কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা।বেলা ১২ টায় শহরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেনের অফিসে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন  করেন। এতে তিনি নিজে সভাপতিত্ব করে বক্তব্য রাখেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি,২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই বেহায়াপনা চালচলন করতে থাকে।২০২৩ সালে তার আপত্তিকর ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর চলতি বছরেও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় তার।পৌরসভার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও ২৫ ভাগ উন্নয়ন করেন নাই তিনি। নামে বেনামে তিনি প্রতিমানে ১৫ জনের বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে চলেছেন।
মেয়রের এহেন কর্মকাণ্ডে তার পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং স্হানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়রের সকল অশ্লীল কর্মকান্ড, ভিডিও ও দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে অপসারণ দাবী করেন তারা।  

অন্যান্য কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-২ ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন পারভীন, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর আলম।

আরও খবর



মাগুরায় ৪৬৪ টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় ৪৬৪ টি ঈদগাহে শান্তিপূর্ণভাবে  পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরায় প্রধান ঈদের জামাত সকাল ৮ টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুলসহ শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। মাগুরা পিটিআই জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত জামাতে নামাজ আদায় করেন মাগুরা ১ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর। এছাড়া মাগুরা মডেল মসজিদে, পৌর গোরস্থান মসজিদ, জজকোর্ট মসজিদ, মাগুরা পুলিশ লাইনস প্যারেড গ্রাউন্ডে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা,  পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য এবং এলাকাবাসী এ জামাতে নামাজ আদায় করেন। এছাড়া জেলা জজ কোর্ট মসজিদ,সরকারি কলেজ জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী ব্যাপারী পাড়া জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী গোরস্থান ঈদগাহ ময়দান, মুন্সীপাড়া ঈদগাহ ময়দানসহ জেলার শ্রীপুর, মহম্মদপুর, শালিখা উপজেলাসহ সর্বত্র  ঈদের জামাত অনু্ষ্ঠিত হয়। জেলায় মোট ৪৬৪ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মাগুরা

সদর উপজেলায় ২২৮ টি, শ্রীপুর উপজেলায় ৮২ টি, মহম্মদপুর উপজেলায় ১১২ টি এবং শালিখা উপজেলায় ৪২ টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  এদিকে বৃষ্টি হতে পারে এ আশংকায়  জেলার ৭৩০ টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার ৩শ'  মসজিদ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। মাগুরার  পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা জানান, জেলার সর্বত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য  মাগুরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।


আরও খবর



হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:কুমিল্লার হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। নিহত মায়ের নাম রায়জনের নেছা (৬৭)।বুধবার বিকেলে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন তার ছোট ভাই ঘাতক আবুল হোসেনকে (৪৫) আসামী করে হোমনা থানায় মামলা করেছেন। ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাতক ছেলে আবুল হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। গত চার বছর আগে সেখানে জেল খেটে বাড়ি চলে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পরে তার মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন স্বজনরা। দেখা দেয় পারিবারিক অশান্তি। এর ফলে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা তাকে ছেড়ে চলে যান।তাদের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী পুত্র-কন্যাহারা আবুল হোসেন তখন থেকেই তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতেন। পারিবাবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার রাতে খাবার খাওয়ার সময় মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মায়ের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন। সকালে ওই বৃদ্ধার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় প্রতিবেশী লোকজন ডাকাডাকি করেন। এতে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে তার মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঘাতক ছেলে আবুল হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর সেখানে জেল খেটে চার বছর আগে দেশে চলে আসেন। এর পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর ফলে তার স্ত্রী- সন্তানরাও তাকে ছেড়ে অনত্র চলে যায়। এরপর থেকে তিনি তার মার সঙ্গেই থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে খাবার খেতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি ও তর্কবিতর্ক হয়। পরে রাতের যেকোনো এক সময় পারিবারিরক কলহের জেরেই ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাকে হত্যা করেন।মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বড় ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ছেলে আবুল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর

কেএনএফের ৯ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪