Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

আসায় বুক বেধেছে বিলকুমারীর কৃষকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৫৫জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: সপ্তাহের মধ্যেই কাটা পড়বে রাজশাহীর তানোরের বিলকুমারী বিলের আগাম জাতের বোরো ধান, শীষে সোনালী আকার ধারন করেছে। আবহাওয়া প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত অনুকুলে।  কৃষি দপ্তরের সঠিক পরামর্শে ও তদারকিতে রোগেরও আক্রমন নেয়। বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখছেন কৃষকরা। যুগযুগ ধরে বিলের জমিতে আগাম জাতের বোরো ধানের চাষাবাদ হয়ে আসছে। অনেক কৃষকের সারা বছরের জীবিকার একমাত্র  অবলম্বন বিলের জমিতে বোরো ধান। ধানপাকা খরতাপ শুরু হয়েছে। বিল জুড়েই সোনালী সবুজ শীষের চমৎকার দৃশ্য। অল্পদিনের মধ্যেই রক্ত ঘামের পরিশ্রমের ধান উঠানে আসবে। আসায় বুক বেধেছেন বিল পাড়ের কৃষক কৃষানীরা।

জানা গেছে, উপজেলার চান্দুড়িয়া ব্রীজ ঘাট থেকে তানোর পৌর এলাকা হয়ে কামারগাঁ ইউপির বা উপজেলার শেষপ্রান্ত মালশিরা পর্যন্ত বিল কুমারী বিলের অংশ ধরা হয়। যুগযুগ ধরে বিলের জমিতে বোরো  চাষ হয়ে থাকে। বিলের মুল অংশ পৌর সদর গুবিরপাড়া, শীতলীপাড়া, কুঠিপাড়ার নিচ অংশকে ধরা হয়। মাত্র ১৫ বিঘা জলাশয় রয়েছে। তাছাড়া বাকি এরিয়া ধানী জমিতে রুপান্তর। মাঝ দিয়ে সরু খাল রয়েছে কয়েকভাগে। এখাল বিলের নিচুঁ জমিতে সেচের ভরসা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মালশিরা, মাড়িয়া, জমসেদপুর মাদারিপুর, মির্জাপুর,ভবানীপুর, বাতাসপুর, পারিশো দূর্গাপুর, শ্রীখন্ডা, দমদমা, মজুমদারপাড়া, কামারগাঁ, মহাদেবপুর, হাতিশাইল ও তানোর পৌর এলাকার তালন্দ, সুমাসপুর, হরিদেবপুর, গোকুল, চাপড়া, ধানতৈড়, গুবিরপাড়া, সিন্দুকাই, হিন্দুপাড়া, কুঠিপাড়া, তানোরপাড়া, গোল্লাপাড়া, আমশো, জিওল, চাদপুর, বুরুজ, হাবিবনগর, কালিগঞ্জ, মাসিন্দা, চান্দুড়িয়া ইউপির, শিবনা দমদমা, চান্দুড়িয়া, কলমা ইউপির কুযিশহর, চন্দনকোঠা এলাকার নিচে বিলকুমারী বিলের জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হবে ধান কাটা মাড়ায়।

এদিকে বিলের নিচুঁ জমি খাস, সেই খাস জমিতে ভূমুহীন কৃষকরা অল্প খরচে চাষ করে বছরের  জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।ভূমিহীন গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক জানান, প্রায় এক বিঘার বেশি জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। খরচ খুব একটা হয় না। ধানের চেহারা ভালোই আছে। ঈদের দুএকদিন পর কাটা পড়বে। বিঘায় ২০ মন করে ফলন হয়। তবে বৃষ্টি হলে পাওয়া যায় না। শুধু আমি না অনেক দরিদ্র ভূমিহীনরা নিচের জমি রোপন করেন। এবার আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকুলে আছে। 

কৃষক সাহেব জানান, ঈদের আগে কাটা হবে। বিলের জমিতে ফলন বাম্পার হয়। পাঁচ বিঘা জমির ধান পাক ধরেছে। ধান পাকা খরতাপ শুরু হয়েছে। এরকম আবহাওয়া থাকলে সুষ্ঠ ভাবে দান ঘরে উঠবে। ফলনও ভালো পাব ও দামও ভালো আছে। তিনি আরো জানান, সব জমিতে ধান পাক ধরেছে, ঈদের আগে থেকেই কাটা শুরু হবে। আর যদি বৈশাখী ঝড় বৃষ্টিপাত হয় তাহলে মোড়কের শেষ থাকবে না। শীতলীপাড়া গুবিরপাড়ার নিচে সব জমি কমবেশি একই সাথে কাটা পড়বে।কৃষক বকুল জানান, শীতলীপাড়ার নিচে প্রায় এক বিঘা জমির ধানে পাক ধরেছে। ঈদের আগে শ্ররমিক পেলে কাটা হবে, নচেৎ ঈদের পরদিন থেকেই কাটতে হবে।

কামারগাঁ ইউপির কৃষকরা জানান, আনরা সবার আগে ধান রোপন করি। দু চারদিনের মধ্যে কাটা শুরু হবে। কারন সামান্য বৃষ্টি হলে ইউপির জমিগুলো আগে ঢুবে যায়। এজন্য সবাই আগেই রোপন করে এবং আগেই কাটা মাড়ায় শুরু হয়।ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ জানান, ধান গাছে প্রচুর শীষ এসেছে, চেহেরাও ভালো আছে। দুচার দিনের মধ্যে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করবেন। বিলের জমিতে ফলন ভালো হয়,দামও ভালো। আবহাওয়া এরকম থাকলে বাম্পার ফলন ও লাভ করতে পারবে। আর যদি ঝড় বৃষ্টি হয় তাহলে মোড়কের শেষ থাকবে না। কারন সার কীটনাশকের দাম বেশি, এজন্য যেকোন বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে।

তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক জানান, ধান পাকা রোদ বা খরতাপ চলছে। এমব আবহাওয়া চলতে থাকলে সুষ্ঠু ভাবে কৃষকরা তাদের কষ্টের সোনালী ফসল ধান ঘরে তুলতে পারবে। পৌর এলাকার কৃষকদের বছরের খাবারের ভরসা বিলের জমি। এজমি থেকে য়ে পরিমান ধান পায় সেটা বছরের খাবার হয়। বিশেষ করে কুঠিপাড়া,শীতলীপাড়া, হিন্দুপাড়া ও গুবিরপাড়া গ্রামের অনেক ভূমিহীনরা বিলের নিচুঁ জমি রোপন করে থাকেন। সেই রোপনকৃত জমি থেকে যে পরিমান ধান পায় সেটা বছরের খাবার ও খড় দিয়ে জালানি এবং গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। আবহাওয়ার ভালো থাকবে বলে তো সবাই মনে করছেন। তবে বৈশাখের ঝড় বৃষ্টি নিয়ে তো একটা শংকা সবারও আছে।
  
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, উপজেলার চান্দুড়িয়া ব্রীজ ঘাট থেকে কামারগাঁ ইউপির মালশিরা গ্রাম বা চৌবাড়িয়া ব্রীজ পর্য়ন্ত ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। নিয়োমিত মাঠে থেকে কাজ করা হয়েছে। একাধিক মাঠ দিবস পালন করার কারনে ধানে রোগবালা নেই। আবহাওয়া অনুকুলে আছে। কয়েকদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। ফলন ভালো হবে এবং দামও ভালো আছে। এবারে উপজেলায় ১৩৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। 

আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি’র ফলাফল হস্তান্তর

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) সকাল ১০টায় ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

বেলা ১১টায় ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে। শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।

যেভাবে জানা যাবে ফল

ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) অ্যান্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এজন্য ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC  লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha  ১২৩৪৫৬ ২০২৪, লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হয় ১২ মার্চ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন বা দুই মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী, ১২ মে’র মধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশ করার কথা। ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

এর মধ্যে ৯টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পরীক্ষা দেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। কোভিড মহামারীতে এসএসসি পরীক্ষার সূচি এলোমেলো হয়ে পড়েছিল। চলতি বছর অনেকটা আগের ধারাবাহিকতায় ফেরে এই পাবলিক পরীক্ষা।


আরও খবর



ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল প্রাইম ব্যাংক পিএলসি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরীর হাতে অনুমোদনের এ চিঠি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিআরপিডি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক আশরাফুল আলম। এছাড়াও প্রাইম ব্যাংকের চিফ ব্যাংকান্স্যুরেন্স অফিসার মিয়া মোহাম্মদ রবিউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকাস্যুরেন্স মূলত ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব, যেখানে ব্যাংক কর্পোরেট এজেন্ট হিসেবে বীমা কোম্পানীর পণ্যগুলো তাদের নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রয় করবে। গ্রাহকদের বিস্তর পরিসরে বিভিন্ন সেবা সরবরাহ এবং সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে প্রাইম ব্যাংক।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে প্রাইম ব্যাংক ব্যাংকান্স্যুরেন্স সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্রাহকদের ইন্স্যুরেন্সের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



বাংলাদেশ ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ রানের জয় পেয়েছে । টাইগাররা এর মধ্য দিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। তাওহীদ হৃদয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন এবং ৩ উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের দাপটে পাত্তাই পায়নি সিকান্দার রাজার দল। শেষ দিকে জয়ের আশা জাগালেও ৯ রানে হারে তারা।

রান তাড়ায় মাঠে নেমে ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ৪ উইকেটে ৬৫ রান। মোটামুটি কঠিন লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকা সফরকারীরা তখন অনেকটাই চাপে।

এক পর্যায়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাড়ায় ৮ উইকেটে ৯১ রান। এরপর আকরাম ও মাসাকাদজা টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। চতুর্থ ওভারে বাজেভাবে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। পরের ওভারেই সিকান্দারের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।

তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তানজিদ তামিম। তিনিও বিদায় নেন ২১ রানের ইনিংস খেলে। এরপর জাকের আলী ও হৃদয়ের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

হৃদয় বোল্ড হন ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। একই ওভারে মুজারাবানি শিকার করেন ৪৪ রান করা জাকেরকেও। শেষ দিকে মাহমুদউল্লা রিয়াদ ও রিশাদের ব্যাটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ গড়ে টাইগার শিবির।


আরও খবর



নাসিরনগরে কালবৈশাখীর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ বাড়ি, বিদ্যুৎহীন অনেক গ্রাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় কালবৈশাখীর তান্ডবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে পল্লী বিদ্যুতের পাঁচটি খুঁটি ও বেশ কিছু ট্রান্সমিটার। চার শতাধিক সংযোগ লাইন ও দুই শতাধিক মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক গাছ সঞ্চালন লাইনের ওপর পড়ায় বিদ্যুতের এ বিপর্যয় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে উপজেলায় প্রায় ৪০টির মতো বসতঘর, দোকানপাট ও হাঁস-মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার ১৩০টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন।

কালবৈশাখী ঝড়টি রোববার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে থেমে থেমে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। বিশেষ করে উপজেলা সদর ইউনিয়ন, নাসিরপুর, দাতমন্ডল, ধনকুড়া,  কুলিকুন্ডা ও মন্নরপুর এলাকায় বেশি আঘাত হেনেছে।এসব গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ঝড়ে টিনসেড ঘরের চালা প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে উড়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি গ্রামের গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে। কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি শতবর্ষী কৃষ্ণচুড়া গাছের গোড়া ওপড়ে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে সদরে ৯টি, কুলিকুন্ডা ৩টি, দাতমন্ডল ১০টি, নাসিরপুর ৫টি, ধনকুড়া ৪টি  মন্নরপুর গ্রামে ৮-১০টি ও বুড়িশ্বর গ্রামে ৩টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ঘাট এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেবি লাইনের ৫টি খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের তারসহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। অনেক গাছ বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার অপসারণের কাজ শুরু করেছে।নাসিরপুর গ্রামের মনা ঘোসাই বলেন, আমার পাকের ও গরুর দুটি ঘরের টিনের ঘরনপড়ে গেছে।আশুরাইল গ্রামের সুমন রাজা জানায়,ঝড়র আশুরাইল নদীর পারের কাউছার ও মজনু মিয়ার দুটি ঘর পড়ে গেছে।

নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ঝড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক জায়গায় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশকিছু খুঁটি ও মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জেলা অফিসে যোগাযোগের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খুঁটি মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবারহের চেষ্টা করা হলেও সে লাইনটি কাজ করছে না। ফলে রাত থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বিরামপুরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুরে  ১১টার দিকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালিত ।

রবিবার (১২মে) সকাল ১১টার দিকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সভা কক্ষে ডাঃ শাহারিয়ার পারভেজ এর সঞ্চালনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রসুল রাখি এর সভাপতিত্বে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ এর আলোচনা সভার বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মুরাদ হোসেন,কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, বিরামপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, যুগ্ম- আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেজবাউল হক,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, সিনিয়র নার্স মোর্শেদা বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বাদশা,আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

আরও খবর