Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আরাভ খানের বিষয়ে যা বললেন বেনজীর আহমেদ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও পুলিশের পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম আপন ওরফে আরাভ খানকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। আজ শনিবার বিকেলে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে বেনজীর আহমেদ লেখেন, ‘সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে ‘‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়’’ নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সঙ্গে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নেই।

সাবেক এ আইজিপি লেখেন, ‘আমি আমার ল এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কখনোই সখ্যতা নয়। আপনাদের অফুরান ভালোবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।’

এর আগে গত বুধবার দুবাইয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। তবে উদ্বোধনী মঞ্চে না উঠেই মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে চলে যান তিনি। একই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঞ্চ মাতান দেশের আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম, চিত্রনায়িকা দীঘিসহ অনেকে।

ওই জুয়েলার্সটির মালিক আরাভ খানের প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম। তিনি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার আসামি। দুবাই থেকে তাকে দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে চিঠিও দিয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ।

তবে গতকাল শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন আরাভ খান। তিনি বলেন, ‘আমি খুনের সঙ্গে জড়িত না। ওই দিন আমি ছিলাম না। মামলায় আমার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেটা যদি আমার অপরাধ হয়, আমি কথা বলেছি, গুমের সঙ্গে আমি জড়িত। সেই শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব।’

আরাভ খান বলেন, ‘২০১৮ সালে বনানীতে আমার অফিস ছিল। আপন বিল্ডার্স নামে আমার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ছিল। আমি সেদিন বাসায় ভাত খাচ্ছিলাম। আমার সহকারী খুনের বিষয়টি ফোনে জানায়। যিনি খুন হয়েছিলেন তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। সেটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। আমার অপরাধ ছিল আমি ওই অফিসের মালিক।’


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মাগুরার শালিখায় এক দারোগা পত্নীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শালিখায় রুনা খাতুন (৩৬) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বাজার রোড এলাকার কাজী গোলাম মোস্তফা টুকুর মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাগুরা সদর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শনিবার সকালে শালিখা থানা পুলিশ ভাড়াবাড়ির শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুনার লাশ উদ্ধার করে। লাশের  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রুনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত প্যাথেডিন নেওয়ার অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পেলেও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিহত রুনা খাতুনের স্বামী এসআই সাইফুল এবং তার সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও সন্তানদের কেউ মাকে হত্যা করতে পারে বলে দাবি করেছেন নিহত রুনার ভাই-বোন সহ বাবার বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে প্রবাসী তাহের উদ্দিনের দ্বিতল বাসায় স্ত্রী রুনা এবং দুই সন্তান রাতুল (২০), মহম্মদ আলি (১৫) ও রাতুলের স্ত্রী হৃদরি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি মাগুরা সদর থানা এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ছেলে রাতুল থানায় খবর দেয় তার মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লাশের অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় নিহতের ছেলে রাতুল, মহম্মদ আলি এবং রাতুলের স্ত্রী হৃদরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী এসআই সাইফুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে রুনার বড় বোন সারমিন সুলাতানা সীমা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে বোন বাবার বাড়ি থেকে কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছে। এর আগেও ৫-৭ কোটি টাকার জমি বিক্রি করে ছেলেদের দিয়েছে। তারপরও বোনকে তারা মেরে ফেলেছে।নিহতের ভাই কাজী মেহেদি হাসান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি। এর আগে অনেকদিনই এদের কারো সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। বোনের ছেলেরা মাদকাসক্ত। টাকা পয়সা ছাড়াও নানা কারণে ছেলেরা মায়ের উপর অত্যাচার করতো। এসব বিষয়ে বোন জামাই সাইফুলকে জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। শেষ পর্যন্ত তারা পরিকল্পিতভাবে বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে রাতের বেলা মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবেশি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলেও সেখানে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ দেখেন এবং কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে আসেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ পরিবারের সদস্য গৃহবধূ রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বামী এবং সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। 


আরও খবর



ঢাকার বায়ু ছুটির দিনেও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। বেলা ১১টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ১৮০। বায়ুর এ মান মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক আইকিউএয়ারের সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

আজ বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম আছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। এই শহরটির স্কোর ১৮৯। আর ১৮২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। দূষণে চতুর্থ স্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয়ের স্কোর ১৬৭।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সুন্দরগঞ্জে ইউনিয়ন ভুমিকর্মকর্তা ও ইউপি সদস্যর যোগসাজসে রাস্তার গাছকেটে বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃসুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ হতে ছাপরহাটী মণ্ডলের হাটপর্যন্ত পাকা রাস্তা সংলগ্ন উত্তর রাজিবপুর মৃত বকুল মেম্বারের ঘরের পার্শ্বে ২টি বড়গাছ রামজিবন ইউনিয়নের বাজারপাড়ার মৃত্যু হাতেম আলির ছেলে জামাল,মৃত্যু আপাজের ছেলে রাজা মিয়া,ওএকই এলাকার মৃত্যু মহির উদ্দিনের ছেলে আনারুলকে দিয়ে গত২৮ মার্চ রাতের আঁধারে কেটে ফেলে বকুল মেম্বারের স্ত্রী জামেনা।বিষয়টি এলাকা বাসির গাছকাটার ভিডিও ফুটেজ সহ এসিল্যাণ্ড বরাবর অভিযোগকরলে এসিল্যাণ্ডের হস্তক্ষেপে কাটাগাছ উদ্ধারততকরে ইউনিয়ন ভুমিকর্মকর্তার জিম্মায় রেখেদেন। 

এঘটনার কয়েকদিন পরে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ও স্হানিয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় জিম্মায় রাখা গাছ বাজারপাড়ার মৃত্যু আঃজব্বার আলীরছেলে আঃ জলিলের নিকট  বিক্রি করে ফেলে।এঘটনা জানার পরে গাছ বিক্রির বিষয়ে  জিজ্ঞাসা বাদ করাহলে কর্তনকারি/বিক্রয়কারি বলেন,,,, তিনি(জামানা)তহশিলদার জুয়েল ও ইউপি সদস্য শামিমের অনুমতি নিয়ে ব্যবসায়ির নিকট বিক্রি করেছেন।

এনিয়ে ইউপি সদস্য শামিমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে সে গাছবিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না, তহশিলদার জুয়েলের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে সে বলে কাটাগাছ তার জিম্মায় ছিল,বকুলমেম্বারের স্ত্রী তাকে না জানিয়েই গাছগুলো সরিয়ে নিয়ে ব্যাপারির নিকট বিক্রি করেছে।এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আপনি কি ভূমিকা রেখেছেন,,,, জানতে চাইলে গত ৯এপ্রিলে তিনি বলেন,,, আমি মামলা করব। কিন্ত  এরও ৬দিন অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত মামলা হয়নি।


আরও খবর



স্বাচ্ছন্দ নিরাপদ ঈদযাত্রা জনগণকে উপহার দিবো: হাইওয়ে এআইজিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ পুলিশ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে প্লান করে প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি বিগত ২-৩টা ঈদযাত্রা যেমন সুন্দর, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত হয়েছে, এবার তার চেয়ে আরেকটু ভাল ঈদযাত্রা করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবাই মিলে যেন এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘœ করতে পারি, সে প্রচেষ্টা আমাদের আছে। আশা করি এবার আমরা সুন্দর একটা স্বাচ্ছন্দ নিরাপদ যানজটমুক্ত ঈদযাত্রা জনগণকে উপহার দিবো।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় টকিং ড্রোনের কার্যক্রম উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজি মাহফুজুর রহমান, এডিশনাল ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান, গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার সীমা রানী, এডিশনাল পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান সাকিব, কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম, নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেনসহ আরো অনেকে।

এআইজিপি আরও বলেন, এক দেড় মাস আগে থেকে ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যতধরণের প্রতিবন্ধকতা থাকে। যেমন কোথাও মেরামতের প্রয়োজন হয়, কোথাও হাটবাজার বসে একধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সেগুলো আমরা সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছি। মেরামতের কাজও হয়েছে। কোথাও কোথাও নতুন রাস্তা, মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। সে সমস্ত জায়গাতে এমনভাবে রাখা হয়েছে, যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয়। এবারের ঈদযাত্রার জন্য সমম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা ওয়াচ টাওয়ার করেছি। পুলিশের সাথে বডি অন ক্যামেরা থাকবে। সেই সাথে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। যা কন্ট্রোলরোম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এবার ড্রোনের সংখ্যা ও তার মানও বাড়িয়েছি। এবারের ড্রোন দিয়ে কথা বলে ট্রাফিক নিদের্শনা দিতে পারবো। ফলে সহজেই যানজট রোধ করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অন্যবারের মতোই বাংলাদেশ পুলিশ, হাইওয়ে, জেলা, মেট্রোপলিটন পুলিশ সমন্বিত নিরাপত্তা মুলক একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এবারের ঈদযাত্রা যাতে ঘরমুখো মানুষ গন্তব্যে তাদের স্বজনের কাছে যেতে পারে। সে যাত্রা যেন নিরাপদ, স্বাছন্ন ও আনন্দদায়ক হয়, সেজন্য আমাদের সরকার সব সময় গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। সরকারী সকল সংস্থাগুলোর মধ্যে একটা সমন্বয় হয়। এরকম অনেকগুলো সমন্বয় মিটিংয়ের মাধ্যমে সড়ক সংশ্লিষ্ট সকলের তরফ থেকে মহাসড়কগুলোতে কোথায় কোথায় চ্যালেঞ্জ আছে? যানজট হতে পারে। সেগুলো আমরা চিহিৃত করে সেই যানজটের জায়গাগুলোতে সমস্যা সমাধান কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এআইজিপি।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনী আক্তারুজ্জামান ডলার’'কে ৩১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ১৯৯৩ সালে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দ্বে  যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন কোটা গ্রামের চাঞ্চল্যকর মতিয়ার রহমান তরফদার (৩০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুদীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক চরমপন্থী মাস্টারমাইন্ড খুনী  আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‍্যাব-৩ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‍্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং রাত ২ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯৯৩ সালের যশোর জেলার অভয়নগর থানায় চরমপন্থী  পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক প্রধান আসামি চরমপন্থী আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে রাজধানীর  ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মতিয়ার রহমান তরফদার ও গ্রেফতারকৃত আসামী আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার একই গ্রামের দুই পাড়ার বাসিন্দা ছিল। ডলার ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (সর্বহারা পার্টির) সক্রিয় সদস্য। ভিকটিম অভয়নগর এলাকার রাজঘাটে অবস্থিত কার্পেটিং জুট মিলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা এলাকার জনৈক তোযাম চেয়ারম্যানকে সর্বহারা পার্টির ডলার ও তার দোসররা হত্যা করে একটি বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। 

এই ছিনিয়ে নেওয়া বন্দুকটি আসামি আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার বস্তায় ভরে জনৈক ভ্যান চালক আসলামের ভ্যানে তেজপাতা আছে মর্মে এটি যশোরের নোয়াপাড়ায় নিয়ে যেতে বলে। ভ্যান চলার সময় মাঝে মাঝে ইটের ধাক্কায় খটখট আওয়াজ হওয়ায় ভ্যানচালক আসলাম পথিমধ্যে পায়রা বাজারে ভিকটিম মতিয়ার রহমানকে ঘটনাটি বলে। তখন সে বস্তা খুলে একটি বন্দুক পায় যার গায়ে কয়েকদিন আগে মৃত তোযাম চেয়ারম্যানের নাম সম্বলিত ছিল। 

তখন তৎকালীন চেয়ারম্যান আমিন সাহেবের মধ্যস্থতায় বন্দুকটি পায়রা বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে  হস্তান্তর করে। এলাকায় এই মর্মে খবর প্রকাশ পায় মৃত তোযাম চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় ডলারসহ চরমপন্থী  অন্য সদস্যরা জড়িত। এই ঘটনায় ডলার সহ তার চরমপন্থী দলের  অন্য সদস্যরা ভিকটিমকে শায়েস্তা করার পায়তারা করতে থাকে। ১৯৯৩ সালের দশম রমজানের ৩ মার্চ ১৯৯৩  খ্রিস্টাব্দে ডলার সহ ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র চরমপন্থী  পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দল ভিকটিমের ছোট ভাইকে রাইস মিলে বেঁধে রেখে ভিকটিমের পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। 

ভিকটিমকে ঘরের বেড়া কেটে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে এসে বাড়ির সামনেই রাত ১০ টা নাগাদ মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ২২ টি কোপ মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিকটিমের বাবার একটি বন্দুক ও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মূলত: চরমপন্থী  দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় উক্ত ভিকটিম নিহত হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় হত্যা মামলাটি রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পরপরই গ্রেফতারকৃত আসামি নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফেরারি জীবনযাপন করতে শুরু করে। 

এক পর্যায়ে নিজের নাম ঠিকানা ও পরিচয় গোপন রেখে মাহমুদুল হাসান নামে নতুন নাম ধারণ করে ও নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি সে পলাতক ছিল। যেহেতু আসামি দীর্ঘদিন যাবত ছদ্মবেশ ধারণ করে পালিয়ে ছিল, আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য পরিচালনা শেষে আদালত উক্ত মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০০  খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ আদালত ধৃত ডলারের বিরুদ্ধে উক্ত হত্যা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের যাবতীয়  প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত মর্মে রায় প্রদান করে। দুধর্ষ এই খুনী গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং ঢাকা মহানগরীর মানিকদী এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র‍্যাব-৩ এর হাতে আটক হয়।ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও খবর