Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দেশেই থাকবে জাপানি দুই শিশু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই শিশুকে নিয়ে আপাতত বিদেশে যেতে পারবেন না জাপানি মা নাকানো এরিকো। এই সময়ের মধ্যে যে যেখানে যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ বিষয়ে করা আপিল ঢাকা জেলা জজ আদালতকে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

জাপানি মায়ের কাছেই থাকবে ২ শিশু

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

জাপানি মায়ের ২ আবেদন খারিজ

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ ও জাপানি মা নাকানো এরিকোর দুই শিশুকে জাপানি মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন আদালত।


আরও খবর



এলাকার উন্নয়নে আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি: এমপি হাফিজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরবাসীর বহু কাঙ্খিত দির্ঘ ২০ বছরপর পৌর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩ মার্চ) পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জাতীয় সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও -৩ ও সভাপতি সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এলাকার উন্নয়নে আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মেয়র আগামি ৫বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মূখ্য ভ’মিকা পালন করে যাচ্ছেন। আপনারা প্রকল্প তৈরি করেন আমি পাল্লামেন্টে কথা বলে বাস্তবায়ন করবো।

গেস্ট অব অনার,সাবেক এমপি ও সহ-সভাপতি জেলাআ'লীগ সেলিনা জাহান লিটা।বিশেষ অতিথি ইউএনও রকিবুল হাসান, এএসপি সার্কেল রেজাউল হক,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সভাপতি উপজেলা আ'লীগ সইদুল হক, সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ, ওসি সোহেল রানা, জাতীয় পাটি যুগ্ন আহবায়ক আবু তাহের, পৌর আ'লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সভাপতি বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশন রবিউল ইসলাম সবুজ, সাবেক মেয়র মোখলেছুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি,প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির কাউন্সিল মতিউর রহমান মতি প্রমুখ।  

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সেফালি বেগম, সাবেক মেয়র আলমগীর সরকার,জাপা আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম,অধ্যাক্ষ মহাদেব বসাক, ইসহাক আলী,মহিলা কাউন্সিল হালিমা আক্তার ডলি,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম,বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ কাউন্সিলর বৃন্দ,দলের রাজনৈতিক সামাজিক ব্যাক্তি বর্গ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা  করেন অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক। 

আরও খবর



দক্ষ ও স্মার্ট পার্বত্য চট্রগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জেলা প্রশাসকদের প্রতি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,বিশেষ প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে একটু ভিন্ন। একসময় পশ্চাদপদ জনপদ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য  চট্টগ্রামে দুই যুগেরও বেশি সময় চলমান ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত নিরসনে ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। পার্বত্য অবহেলিত অঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করার জন্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এখন দক্ষ ও স্মার্ট পার্বত্য চট্রগ্রাম গড়ে তোলার কাজে সকলকে নিবেদিত হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা পার্বত্যবাসীরা ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

বুধবার (৬মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর চতুর্থ দিনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এমন মন্তব্য করেন।

অধিবেশন শেষে মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে একীভূত করে সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে পার্বত্য দুর্গম এলাকায় জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড পৌঁছানো সম্ভব নয়, সে সমস্ত এলাকায় সরকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার সোলার প্যানেল স্থাপন করে আড়াই লাখ দুর্গম পার্বত্য মানুষের কাছে বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এছাড়া খুব শিগগিরই আরও ১ লাখ সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে ৫ লাখ দুর্গম মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে এ সরকার।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পানির সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের বনায়নকে ফিরিয়ে আনতে উজার হওয়া বনগুলোতে নতুন করে গাছপালা লাগানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ইতোমধ্যে ভূমি কমিশন আইন করা হয়েছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ভূমি কমিশনের প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে। এখন বিধির কাজ চলছে। বিধি হয়ে গেলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

অধিবেশন সভাপতিত্ব ও পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



রমজানে যেসব স্থানে মিলবে সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ ও মাংস

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে আসন্ন রমজান মাসে সে লক্ষ্যে মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা চালু করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯ দশমিক ১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রয় করা হবে।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভ্রাম্যমাণ বাজারে সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ, মাংস বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হয়েছেন আব্দুর রহমান।

জানানো হয় অনুষ্ঠানে, প্রতি গাড়িতে থাকবে ২০০ লিটার দুধ, ডিম ৪ হাজার পিস, গরুর মাংস ১০০ কেজি, খাসির মাংস ১০ কেজি। এছাড়া রাজধানীর ৮টি জায়গায় মাছ বিক্রি করা হবে। প্রতি গাড়িতে ৩০০ কেজি করে থাকবে। প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে। এছাড়া স্থায়ী বাজারসহ আরো ৫টি স্থানে মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো- নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালসী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) কাকরাইল।

স্থায়ী বাজার: মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর এবং কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।

জানানো হয়, প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রয়ের জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল ৯টার মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিপন্ন শুরু হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সার্বক্ষণিক কার্যক্রমটি তদারকি এবং মনিটরিং করার জন্য মাঠে থাকবে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।


আরও খবর



বাগেরহাটে মুদি দোকানের অর্ধ কোটি টাকার পণ্য আগুনে পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের সিএন্ডবি বাজারে আগুনে পুড়ে একটি মুদি দোকানের অর্ধ কোটি টাকার মালামাল ছাই হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) ভোরে সদর উপজেলার সিএন্ডবি বাজারের তারেক কাজীর মুদি দোকানে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস প্রায় আধাঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে দোকানের প্রায় অর্ধকোটি টাকার পন্য পুড়ে যায়। তবে ইটের পুরু দেওয়াল ও সাটার থাকায় আগুন অন্য কোথাও ছড়াতে পারেনি।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক তারেক কাজী বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ অতিরিক্ত পন্য মজুদ করেছিলাম। সব কিছু নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক দেনা রয়েছে। কিভাবে পরিশোধ করব বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক শাহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি শর্ট সার্টিকের মাধ্যমেই আগুনের সূত্রপাত। ওই ব্যবসায়ীর অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। তবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় অন্য কোথাও ছড়াতে পারেনি।


আরও খবর



দুর্যোগ সহনশীল ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতি বছরের মতো দেশব্যাপী ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়ব, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ব’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেকসই ও সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় এলাকার জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুর্যোগ মোকাবিলার উন্নত টেলিযোগাযোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জাতির পিতা ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন, যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে। আমরা মুজিব কিল্লাকে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করে মানব ও প্রাণিসম্পদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই আশ্রয়স্থল করেছি।

একইভাবে পুরুষের সঙ্গে নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ কারণে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, নতুন বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং দুর্যোগের প্রস্তুতি ও উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেকোনো দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা পরিসংখ্যানগত তথ্য বিশ্লেষণ করলে উপলব্ধি করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ লাখ জন, ১৯৯১ সালের সাইক্লোনে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার জন, ২০০৭ সালের সাইক্লোন সিডরে তিন হাজার ৬৬৩ জন, ২০০৮ সালের সাইক্লোন আইলায় ১৯০ জন, ২০১৬ সালের সাইক্লোন রুয়ানুতে ২৭ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন বুলবুলে ২৪ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন ফণিতে আটজন, ২০২০ সালের সাইক্লোন আম্ফানে আটজন, ২০২১ সালের সাইক্লোন ইয়াসে সাতজন, ২০২২ সালের সাইক্লোন সিত্রাংয়ে একজন এবং ২০২৩ সালের সাইক্লোন মোখায় মৃতের সংখ্যা শূন্য।

বাংলাদেশের এই ক্রমোন্নয়ন ‘সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ এর শর্ত শতভাগ অর্জন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিপুলভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।


আরও খবর