Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আপিল বিভাগে প্রবেশে, ফেব্রুয়ারি থেকে ডিজিটাল পাস লাগবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিজিটাল পাস সংগ্রহ করতে হবে বিচারপ্রার্থীদের। এ পাস সংগ্রহ করেই তারা বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে আপিল বিভাগের এজলাস ও এজলাস সংলগ্ন স্থানে কোনো বিচারপ্রার্থী প্রবেশ পাস প্রদর্শন ব্যতীত প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবেন না।

এতে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকাঠামো ক্রমাগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে প্রবেশ পাস ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে আগ্রহী বিচারপ্রার্থী সংযুক্ত ব্যবহার বিধি অনুসরণপূর্বক স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাবটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রবেশের তারিখ ও মামলা নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে আপিল বিভাগের ডিজিটাল পাস সংগ্রহ করতে পারবেন।

‘উক্ত প্রবেশ পাস ডিজিটাল অথবা প্রিন্ট কপি ব্যবহার করে আপিল বিভাগের এজলাসে প্রবেশ করতে পারবেন। এ আদেশ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে’, বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




একটি শহীদ মিনার চায় শমসেরনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের শমসেরনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর।১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজও নির্মিত হয়নি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার। বিভিন্ন জাতীয় দিবস গুলোতে কাঠের তৈরি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এই বিদ্যালয়ে এর প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এস.এ সৌরভ জানান বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান অত্যন্ত ভালো,এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক বেশি, আশেপাশে কোথাও শহীদ মিনার নেই, জাতীয় দিবস গুলোতে কাঠের তৈরি শহীদ মিনারের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়,তাই এই বিদ্যালয়ের একটি শহীদ মিনার খুব প্রয়োজন, আমি জোর দাবি জানাচ্ছি এই বিদ্যালয়ের একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ মন্ডল জানান আমাদের বিদ্যালয়ে কোন ফান্ড না থাকার কারণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।ইতিপূর্বে ফুলবাড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়েছিলাম। তারপরেও এখন অবধি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণের কোন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে নাই উপজেলা প্রশাসন। সরে জমিনে গিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় বিদ্যালয়ের অনেক জায়গা রয়েছে, একটি শহীদ মিনার নির্মাণ হলে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মোঃ আল কামাহ তমাল এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত দরখাস্ত পেলে বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা হবে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে স্বর্ণ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ এক ছিনতাইকারি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে স্বর্ন ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ আড়াই লাখ টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় শেখ তাজুল ইসলাম শাহিন (৪৫) নামের এক ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যাবহৃত নম্বরবিহীন বাজাজ-প্লাটিনা নামের একটি  মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। রবিবার (০৩ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এর আগে শনিবার (০২ মার্চ) রাতে উপজেলার খাউলিয়া এলাকা থেকে শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ছিনতাই হওয়া স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেপ্তার শেখ তাজুল ইসলাম শাহিন উপজেলার খাউলিয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদের ছেলে। সে স্থানীয় চৌধুরী এন্ড খান সিকে ইটভাটার মার্কেটিং ম্যানেজার পদে চাকুরি করেন। ২০১৬ সালে ৫ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. আবু হানিফকে (৩৮) হত্যা করে পুড়িয়ে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা মামলারও চার্জশিটভূক্ত আসামি তিনি।

মোরেলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মিঠুন খান বলেন, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হলে, তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত। গ্রেপ্তার আসামীর  ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে, সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করেছে আদালত। এছাড়া স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টার দিকে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার সেরেস্তাদারবাড়ি এলাকা থেকে নিলয় জুয়েলার্সের মালিক মিলন কর্মকারকে ছিনতাইকারীরা মারপিট করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ ব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। ঘটনার পর থেকে ১৬০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ দুই লক্ষ টাকা খোয়া যাওয়ার কথা উল্লেখ করলেও, ঘটনার  ৪ দিন পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ৮০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই হয়েছে দাবি করে মামলা দায়ের করেন নিলয় জুয়েলার্সের মালিক মিলন কর্মকার।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার কর হয়। গ্রেপ্তারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। তারপরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলা ও গণহত্যা শুরু করে।

এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।

ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তা জনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, ‘এই-ই হয়তো আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।’

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন একটি ভূখন্ডের, যার নাম বাংলাদেশ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এ উপলক্ষে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

এদিন সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দিবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এইচএসবিসি’র আয়োজনে ‘ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস ১শ’ কিশোরীকে স্বীকৃতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ফুলার রোড মিলনায়তনে সম্প্রতি এজ (ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস এডুকেশন) প্রোগ্রাম সম্পন্নকারীদের নিয়ে একটি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এজ প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করা ১শ’ জন কিশোরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, এমপি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান, বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স এবং স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডিনেট সহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে আশঙ্কাজনকভাবে লিঙ্গ-অসমতার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে এসব জনগোষ্ঠীর মেয়েরা নানান বাধার শিকার হচ্ছেন; ইংরেজি বা ডিজিটাল স্বাক্ষরতার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অপ্রতুল সুযোগ পাচ্ছেন তারা। শিক্ষাখাতে লিঙ্গবৈষম্যের এই বিষয়টিকে চিহ্নিত করে ব্রিটিশ কাউন্সিল বিভিন্ন অংশীদারের সহযোগিতায় ১২ বছর ধরে বাংলাদেশে এজ প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে আসছে।

এইচএসবিসি এবং স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডিনেটের সহযোগিতায় এজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২৬’শ চল্লিশ জন কিশোরীর কাছে পৌঁছায় ব্রিটিশ কাউন্সিল। গত দুই বছরে ২২০ জন পিয়ার গ্রুপ লিডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যারা ১১০টি গার্লস ক্লাবের ২,৪২০ জন কিশোরী মেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

এজ প্রোগ্রাম শেষ করা কিশোরীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, এমপি বলেন, “আপনাদের আত্মবিশ্বাস আমাকে উদ্দীপিত করেছে; আমি আপনাদের জন্য গর্বিত। আমার পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা আপনাদের শিকড় ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে ভুলে যাবেন না।” প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে এজের মতো কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এইচএসবিসি -কে ধন্যবাদ জানান।

এ বিষয়ে বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সকল মেয়েদের জন্য ১২ বছরের মানসম্মত শিক্ষা, শিক্ষায় অর্থায়ন এবং মৌলিক শিক্ষাগ্রহণ অর্থাৎ দক্ষতার উন্নয়নে বিনিয়োগের ওপর বর্তমানে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করছে ব্রিটিশ হাই কমিশন। বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অংশ এই এজ প্রোগ্রাম; একইসাথে, এটি মেয়েদের শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী সরকারি ও

বেসরকারি খাতগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চমৎকার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে।” বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেন “এইচএসবিসি’র সাথে সফল অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২৬’শ চল্লিশ জন কিশোরীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আন্তর্জাতিক সহযোগী, সরকার ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের সাথে

কাজ করার আরও অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং এই প্রোগ্রামগুলোকে আরও টেকসই ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যেআমরা এ ধরনের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে আগ্রহী।” এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, “আজকের বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল যুগে

আমরা মেয়েদের ইংরেজি দক্ষতা, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, সামাজিক সচেতনতা ও উদ্যোগ গ্রহণের সক্ষমতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চাই। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা শিক্ষার পরিবর্তনশীল সক্ষমতার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। ফলে, আমরা মেয়েদের ক্ষমতায়ন ও তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্যের পথকে সুগম করতে এ ধরনের প্রোগ্রামে আরও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

অনুষ্ঠানে ২শ’ বিশ জন পিয়ার গ্রুপ লিডারের (পিজিএল) মধ্যে ঢাকাভিত্তিক ১শ’ জন এজ ক্লাবের সদস্য সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। বাকি ১শ’ বিশ জন পিজিএল ও ২৪’শ বিশ ক্লাব সদস্যকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।


আরও খবর



হাত-পা ও মুখ বেঁধে খতনা দেওয়ায় মৃত্যু হয় শিশু শিহাবের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:খতনা কীভাবে দেয় শিখতে কিশোরের কৌতূহলের বলি হয়েছে তিন বছর বয়সী শিহাব শেখ। বিকেলে বাড়ির উঠানে খেলছিল শিহাব। তাকে একা পেয়ে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে যায় কিশোর হামিম শেখ (১৭)। এরপর শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে খতনা দেওয়ার চেষ্টা করে হামিম। এতে শিশুটির পুরুষাঙ্গ কাটা পড়ে। ব্যথায় শিশু হামিম অচেতন হয়ে পড়ে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করলে জবানবন্দিতে এসব কথা জানায় ঘাতক হামিম শেখ। এরপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম হামিম শেখ কে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নিহত শিশু শিহাব শেখের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারীতে। উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে সে। একই এলাকার রমজান শেখের ছেলে ঘাতক হামিম শেখ।  

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। এদিন সন্ধ্যায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিহাবকে না পেয়ে রাতে মাইকিং করেন স্থানীয়রা। রাতে হামিমের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। ওই রাতেই পুলিশ হামিমকে আটক করে। এ ঘটনায় শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে হামিমকে আসামি করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যার কারণ সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার ওসি তদন্ত মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে কিশোর হামিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হামিমের মধ্যে সুন্নতে খতনা দেওয়ার কৌতূহল ছিল। এজন্য সে শিহাবকে বেছে নেয়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরে নিয়ে যায় হামিম। শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি কাঁচি দিয়ে খতনা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এক পর্যায়ে শিশু শিহাব অচেতন হয়ে পড়লে তাকে শৌচাগারের পাশে রেখে দেয়। সেখানেই শিহাবের মৃত্যু হয় এবং হামিম বাড়ির বাইরে ঘুরতে থাকে।

পুলিশ পরিদর্শক আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে শিশু শিহাবের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হামিমকে আদালত কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪