Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। লিঙ্গ সমতার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা; তাদের কাজের প্রশংসা এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে থাকে নানা আয়োজন।

এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল : ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’। যার বাংলা দাঁড়ায়- ‘লিঙ্গ সমতার জন্য উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি’।

বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অধিকার রক্ষা, ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। গত ৫০ বছরে বাঙালি নারীরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। তবে এ অর্জন কারও একক চেষ্টায় বা একদিনে হয়নি। এটা সামগ্রিক অর্জন এবং অনেক ভঙ্গুর পথ অতিক্রম করে, নানা বাধা পেরিয়ে নারীরা আজ এই অবস্থানে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষ্যে বেলা আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নারী  আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর জাতীয় মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্ক শহরের একটি পোশাক কারখানায় ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের দাবিতে আন্দোলন করেন নারী শ্রমিকরা। কিন্তু ওই আন্দোলনে পুলিশ নির্যাতন চালায় এবং অনেককে গ্রেপ্তারও করে। ১৯০৮ সালের একই দিনে নিউইয়র্কে পোশাক শ্রমিক ইউনিয়নের নারীরা আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। চলে ১৪ দিন ধরে। এতে প্রায় ২০ হাজার নারী শ্রমিক অংশ নেন। তারা কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম এবং শিশুশ্রম বন্ধের দাবি জানান।

১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় সে সময়কার সোশ্যালিস্ট পার্টি প্রথম জাতীয় পর্যায়ে নারী দিবস পালন করে। ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মান সমাজতাত্ত্বিক ক্লারা জেটকিন নারীর ভোটাধিকার এবং নারী দিবস পালনের দাবি জানান। পরে তার উদ্যোগেই ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়। তাতে অংশ নেয় জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্কের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। ১৯১৩ সালে রাশিয়ার নারীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার নারী দিবস পালন করেন। এর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সেই ঐতিহাসিক ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশেও ১৯৭৫ সাল থেকে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উদযাপন হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে চীন, কিউবা, ভিয়েতনাম, উগান্ডা, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ ১৫টি দেশে প্রতি বছর ৮ মার্চ সরকারি ছুটি থাকে। এই দিনে নারী অধিকার, লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হয়। পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকারের লড়াইকে শক্তিশালী করাও দিবসটি উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য। নারী দিবসের রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে- বেগুনি ও সাদা। রঙ দুটি সুবিচার ও মর্যাদার প্রতীক, যা দৃঢ়ভাবে নারীর ক্ষমতায়নকেই নির্দেশ করে।


আরও খবর



মাগুরায় অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিল যুবলীগ নেতা কর্মীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: মাগুরা সদর উপজরলার বগিয়া ইউনিয়নের কৃষক আকলু মোল্লা, অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। এদিকে মাঠে পেকে গেছে ধান। যে ধান  দিয়ে চলবে তার পরিবারের সারা বছরের খাবার। এদিকে সংকেত জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর,  আকাশে মেঘের ঘনঘটা কখন যেনো আছড়ে পড়বে ঝড় বা শিলাবৃষ্টি, কিভাবে ফসল উঠাবে ঘরে তাই নিয়ে যখন দিশেহারা কৃষক আকলু মোল্যার অসহায় স্ত্রী রিভা বেগম। এ বিপদ মুহুর্তে তিনি জানতে পারেন মাগুরা জেলা  যুবলীগ কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিচ্ছে। যুবলীগের সহযোগিতা পেতে শরণাপন্ন হয় বগিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মো. রেজাউল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আলীর কাছে।

তারা সঙ্গে সঙ্গে জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. ফজলুর রহমান কে বিষয়টি জানালে তিনি জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আলী আহমেদ আহাদ, আশরাফ খান, সাকিব হাসান তুহিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে  ভোর থেকেই জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতাকর্মীবৃন্দ কৃষক আকলু মোল্লার ধান কেটে দিবেন। যে কথা সেই কাজ রবিবার সকাল থেকেই লেগে যান ধান কাটতে। তার ধান কাটা শেষ হতেই  আরেক কৃষক মনিরুজ্জামান তার সমস্যার কথা জানালে তার ধানও কেটে দেয় মাগুরা জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। তারা ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌছে দেন। জেলা যুবলীগের আহবায়ক জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা কেন্দ্রীয় যুবলীগের কর্মসুচির অংশ হিসেবে সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের আহবানে এবং  মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য এড সাইফুজ্জামান শিখরের অনুপ্রেরনায় জেলা যুবলীগ ছাত্রলীগ কৃষক লীগ ধান কাটতে ব্যস্ত। কৃষক লীগের সভাপতি মইনুল ইসলাম পলাশ জেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুর রহমান যুগ্ম আহবায়ক আলী আহম্মদ আহাদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ খান মাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতা কর্মীরা জেলার সর্বত্র অসহায় কৃষকদের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে  বলে জানান নেতারা


আরও খবর



সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন দৌড়ে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন এগিয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে জনগণ এবার মনেপ্রাণে চাইছেন একজন সৎ, মেধাবী ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি। জনগণের প্রত্যাশাকে বুঝবে। চাওয়া এবং পাওয়ার মাঝে মেলবন্ধন ঘটাবে। তালা-কলারোয়া আসনে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তার নিজ নির্বাচনী এলাকায়। জনমুখী নানা ইতিবাচক কর্মকান্ড আর সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা কলারোয়া উপজেলার সাবেক সফল চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়ার একমাত্র তরুণ নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরোজ আহম্মেদ স্বপন। তিনি উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন।

বর্তমানে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি। ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন জানান, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও দেশরতœ শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং সারাজীবন মানুষের কল্যাণে ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের আশা-আকাক্সক্ষা, অভাব অভিযোগের কথা শুনেছি। সাধ্যমতো তাদের সেবা করেছি। নিয়মিত উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরছি। এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে তালা-কলারোয়ার দুই উপজেলাকে উন্নত যুগোপযোগী ও মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের সেবক হিসেবে যথাযথ কাজ করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার কর্মী হিসেবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন তালা-কলারোয়ার-১ আসনে নৌকার মনোনয়নে গণসংযোগে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। বর্তমানে তিনি ছাড়া আর কাউকে এ আসনে মাঠে গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছেন না। রাত-দিন তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দুই উপজেলার মাঠে ঘাটে নির্বাচনী গণসংযোগ করে চলেছেন। তালা-কলারোয়ার দুই উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একমাত্র ঠিকানা ও আশা-ভরসা ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। তিনি এবার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।


আরও খবর



জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার আইন (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯) অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

মনোয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোনো ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণখেলাপি বলে গণ্য হবেন।

এর আগে গত ৮ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আসাদুজ্জামান মনির, ওয়ায়েস আল হারুনী, নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন ফাইল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী নকীব সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৭ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর হয়।

তার আগে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার রাতে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভর্তি করা হয়।

এরই মধ্যে হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে হাসপাতালে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) দীর্ঘ সময় যাবৎ বিভিন্ন অসুস্থতা, বিশেষ করে ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে আজ অবধি সপ্তমবারের মতো এই হাসপাতালে আবার এসেছেন। আজ মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে উনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরও বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে উনার আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যেগুলো বাসায় করা সম্ভব না, সেসমস্ত পরীক্ষা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে। পরীক্ষার পরবর্তীতে মেডিকেল বোর্ড সকল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে উনার সার্বিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেবেন।

তিনি বলেন, ‘গত কিছু দিন ধরে উনার লিভারে জটিলতা ছিল, কিডনির জলিনতা আছে, হার্টের জটিলতা ছিল। সর্বপরি, লিভারের জটিলতার জন্য বিদেশে যেতে মেডিকেল বোর্ড ও এই হাসপাতাল পরামর্শ দিয়েছিল। কেন যেতে পারেনি, তা আপনারাও জানেন, দেশবাসীও জানে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উনার বিষয়ে সবশেষ আর কী চিকিৎসার সুযোগ আছে বাংলাদেশে, সেটির ব্যবস্থা করার জন্যই আজ এখানে ভর্তি করা হয়েছে। উনার অবস্থা যাতে আরও খারাপের দিকে না যায়, সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি ধারণা... চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ডে আলোচনা করে পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে সদ্ধান্ত দেবেন। সেই অনুযায়ী উনার চিকিৎসা চলবে।

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এর মধ্যে উনাকে পরীক্ষাও করেছেন। চিকিৎসাও শুরু করেছে আলহামদুলিল্লাহ। আপনারা দোয়া করবেন উনার জন্য এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই, যাতে উনি প্রতিকূলতার মাঝেও চিকিৎসা যেটুকু পাওয়া যায়, সেই চিকিৎসা নিয়ে যাতে সুস্থ হতে পারেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। এটি নিয়ে বিএনপির চিন্তার কারণ আছে। তারা নির্বাচনের আগে বা পরে নৃশংসতা চালাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ভিসা নীতি অনুযায়ী ভোটে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এটি কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়।

গতকাল বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে, বুধবার রাতে বাংলাদেশের জন্য আলাদাভাবে ভিসা নীতি ঘোষণা করে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যবস্থা সম্বলিত নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতির আওতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হবে। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটানোর জন্য দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

লাদেশের মুক্ত, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বচনে যারা অন্তরায় হবে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রেষ্ট্রিকশান প্রদান করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।


আরও খবর