Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালো বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জয়পুরহাটে নাশকতা ও হত্যা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৬১ নেতাকর্মী কারাগারে এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ -এ ‘সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান’ স্বীকৃতি পেল আইফার্মার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সোমবার সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী মেহেরপুরবাসীর যে তিন ফিচারের জন্য অনন্য ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো

আমি কখনও তানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ চাইনি: এস আই টুটুল

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:তানিয়া আহমেদের পর এবার বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন এস আই টুটুল। জানালেন, তিনি কখনও বিবাহবিচ্ছেদ চাননি। তানিয়া তার সঙ্গে থাকতে চাইছিলেন না।

দেশের একটি গণমাধ্যমকে টুটুল বলেন, ‘এটা সত্যি যে তানিয়ার সঙ্গে আমি কখনও বিবাহবিচ্ছেদটা চাইনি। আমার নিজের উদ্যোগেও আমি বিচ্ছেদ করিনি বরং তানিয়াই বিচ্ছেদ চেয়েছিল বারবার। কেন চেয়েছিল, সত্যটা সে নিজেই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে। সে তো বলেছে সে সত্যটা বলে দেওয়াই পছন্দ করে, তাই এই বিষয়টা তার কাছে জানতে চাইলে ভালো হবে। তানিয়াই আমাকে বলেছিল, সে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে চায়, সংসারের কোনো বাধ্যবাধকতা সে আর একেবারেই চায় না। সে বলেছিল, যখন যেখানে খুশি বেরিয়ে যাবে। কোথায় যাচ্ছে, কখন ফিরবে—এসব কোনো কিছুই আমি জানতেও চাইতে পারব না ইত্যাদি। একসময় সে চলাফেরাও শুরু করেছিল সেরকমভাবেই। এ ছাড়া আমার সঙ্গে তার ব্যবহার-আচার এবং অনেক কিছুই, যা আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই বিচ্ছেদে আমিও একসময় রাজি হয়েছিলাম।

বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার দিকে কে এগোল? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের সব প্রক্রিয়া তানিয়া নিজেই তার ছোট ভাই এবং ভাবির মাধ্যমে করিয়েছিল। অথচ সবাই জানল, আমিই নাকি তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছি। আমার মাধ্যমে ডিভোর্স–প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এ ব্যাপারে মানুষ আমাকে ভুল বুঝেছেন।

টুটুল জানান, দীর্ঘ ৪–৫ বছর সেপারেশন থাকার পর আমেরিকায় যাওয়ার প্রায় দেড় বছর আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পেপারে স্বাক্ষর করেন।

এদিকে খবর চাউর হয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রে শারমিন সিরাজ নামের এক নারীকে বিয়ে করেছেন টুটুল। এটা ভুল তথ্য বলে জানালেন এ গায়ক। টুটুলের কথায়, ‘তানিয়ার সঙ্গে আমার বিবাহবিচ্ছেদের যখন এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে, সেই সময়ে আমি একজন সিঙ্গেল মানুষ হিসেবে জীবন কাটাচ্ছিলাম। তখন একটা অনুষ্ঠানের কাজে নিউইয়র্কে আসি। সেখানে একজনের সঙ্গে দেখা হয়, পরে সখ্য হয়, একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাদের বিয়ের কথাও হয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার হয়তো হুকুম হয়নি তা–ই, কখনও কোনোভাবেই আমাদের বিয়ে হয়নি। আমাদের সম্পর্কটা পরিচয়, সখ্য বা প্রেম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে কারও ভুলেই হয়ত চারদিকে আমাদের বিয়ে নিয়ে এই ভুল তথ্যটি ছড়িয়ে পড়েছিল। এটা নিয়ে কেউ কেউ লিখেছেন, আমি তানিয়ার কাছে বাচ্চাদের ফেলে রেখে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি এবং যুক্তরাষ্ট্রে এসে নতুন সংসার পেতেছি। এ নিয়ে কত যে মিথ্যা রং চড়িয়ে সবার কাছে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে, তার সংখ্যা আমার জানা নেই।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তানিয়া জানিয়েছিলেন, যেদিন তিনি বুঝতে পারেন টুটুল তার সঙ্গে থাকনে চান না; সেদিন তাকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দিয়েছেন।


আরও খবর



গাফিলতীতে রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়ক এখন মরন ফাদঁ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের কুড়িগ্রামের রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কের দুপাশে যেভাবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সামনেই ঈদ।নারীর টানে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগী করতে আসছেন ঘরমুখী যাত্রীরা। এসময় মহাসড়কের যে মরণ ফাদ দেখলেই যেন ভয় লাগে। ২০১৮/১৯ অর্থবছরের পূর্ণমেরামত এখন পর্যন্ত সর্ম্পূণ করতে পারেনি রৌমারী ঢাকা রোডের নির্মান কাজ।

২০১৮/২০১৯ ইং সালে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলাসহ এই অবহেলিত অঞ্চলটিকে সচল করতে রৌমারী হইতে জামালপুরের নন্দীর বাজার পর্যন্ত রাস্থাটি দুৃই লাইনে উন্নতি করার লক্ষে ৩শত ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার দেওয়া হয়। এতে ৪ টি প্যাকেজ করা হয়েছে যাতে দূরত্ব নির্মান কাজ শেষ হয়। জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকারের যে পরিকল্পনা ৫ বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি রোডের কাজ। রৌমারী উপজেলার শালুর মোর হইতে রাজিবপুর উপজেলার শেষ পর্যন্ত এখানে দুটি প্যাকেজ করা হয়েছে। যার দূর্গ ৩২ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। ঢাকা সংযোগে একই বরাদ্দে সর্বমোট ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা দু লাইনে উন্নতি করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩২ কোটি টাকা। ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানে ৩৩২ কোটি টাকার কাজে ৪ টি প্যাকেজ করা হয়। এরমধ্যে জামানপুর জেলা সংলগ্ন কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার সুইজগেইট এলাকা হইতে রৌমারী উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের শালুর মোর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটা নির্মানে ১৫০ কোটি টাকা সড়ক উন্নয়নে টেন্ডার দেয় (সওজ) ১৮/১৯ অর্থবছরে। দুটি প্যাকেজের ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম, ও রানা কির্ন্ডাস কাজে গড়িমসি করায় বৃষ্টির পানির ¯্রােতে সড়কের দু সাইটে অনেক অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দূর্বল হয়ে পড়েছে সড়কের জীবন। সামনে ঈদ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেটের দায়ে চাকুরী করছেন। বিভিন্ন কর্মে যারা নিয়জিত রয়েছেন তারা কিন্ত ছুটির পথ চেয়ে অপেক্ষা করছে কখন ছুটি পাবো আর পারিবারের সাথে ঈদ আনন্দটা ভাগাভাগি করবেন এনিয়েই ঈদের একয়দিন ব্যস্তসময় পার করছেন ঘরমূখী মানূষ গুলো। এদিকে ঘরমুখী যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌছাতে অসাবধানতায় অনেক দূঘর্টনার শিকার হয় এটি আমরা সবাই জানি। রৌমারী টু ঢাকা সড়কের যেঅবস্থা অনেকেই বলছেন দূরর্ত্ব গামী গাড়ির ড্রাইভাররা ঈদ আসলে যেভাবে গাড়ী ড্ধসঢ়;্রাইভ করে এনিয়ে আস্কায় রয়েছেন সচেতন মহলরা। গর্তের ধরন ৪ থেকে শুরু করে ১০ ফিট পর্যন্ত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এতে পরো গাড়ীটাই এসব গর্তে লুকিয়ে রাখা যাবে।এবিষয় কুড়িগ্রাম সড়কজনপদের (সওজ) প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান বিষয়টি শুনেছি ইদের আগেই গর্ত গুলো ভরাট করা হবে পাশাপাশি রাজিবপুরের শেষ মাথা হইতে ফিনিশিং কাজ শুরু হয়েছে। এবিষয় ঠিকাদারের কাউকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



তাহসান-মিথিলা বিচ্ছেদের পর ফের ‘একসঙ্গে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি: ২০০৭ সালে বিয়ের করেন শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আচমকা  বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ। তারপর দুজন দুদিকে। তবে সন্তানের কারণে দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এখনও অটুট।

অবশ্য বছর দুয়েক আগে একটি ই-কমার্স সাইটের লাইভ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। তবে কখনও পর্দা ভাগাভাগি করতে দেখা যায়নি। তবে তাহসান মিথিলা ভক্তদের জন্য সুখবর হল- সাত পর্বের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। ‘বাজি’ শিরোনামে এটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’ খ্যাত নির্মাতা আরিফুর রহমান।

জানা গেছে, ওয়েব সিরিজটির কিছু ধাপের শুটিং হয়ে গেছে। একটি ফোরস্টার মানের হোটেলে মাস দুয়েক আগে হয়েছে শুটিং। তাহসান মিথিলা ছাড়াও সিরিজে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয়শিল্পী। সিরিজটিতে তাহসান অভিনয় করছেন একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে। আর মিথিলাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের চরিত্রে।


আরও খবর



আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কৃত আরাফাতের নেতৃত্বে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার উপর হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সলঙ্গা থানার পাঁচলিয়া হাটের ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আরাফাত গং। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গা থানা আওয়ামিলীগের বহিষ্কৃত নেতা আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগসুত্রে জানা যায় ১৪৩১ বঙ্গাব্দের পাঁচলিয়া হাটের সরকারি নিয়মে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা পায় আব্দুল মান্নান, জাকের, হাফিজুল, ফিরোজুল, আলতাব ও জহর আলী গং। কিন্তু আরাফাত গং বিভিন্ন সময় ৫ লাখ চাদা দাবী করে ক্ষমতা খাটিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও মারপিট করে প্রকৃত ইজারাদারদের ইজারা বুঝে নিতে দিচ্ছেনা। এমনকি ১৬ এপ্রিল সকাল ৮ টায় ইজারাকৃত টাকা উঠাতে গেলে আরাফাত গং ইজারাদারদের মারধর করে ইজারার টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

এরই প্রেক্ষিতে ১৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে প্রকৃত ইজারাদারদের প্রতিনিধি মৃত আইনাল হকের ছেলে হাফিজুল রহমানকে (৩৭) কুপিয়ে আহত করেছে আরাফাত গং। হাফিজুল সলঙ্গা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। 

এ বিষয়ে হাফিজুল অভিযোগ করে বলেন, দুপুর সারে ৩টার দিকে চকমনহারপুর নদী থেকে গোসল করে আসার পথে আরাফাতে নেতৃত্বে মৃত সেরাজুল ইসলামের ছেলে মনারুল ইসলাম, আব্দুল রশিদের (চোলবার) ছেলে মো: সোহেল রানা ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে মনসুর আলী সহ অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জন হাফিজুলের উপর দেশীয় অস্র দিয়ে আঘাত করে। একসময় হাফিজলকে মৃত ভেবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয়রা হাফিজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন। 

এ বিষয়ে সলঙ্গা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমরান হাসান লিংকনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি।আর সলঙ্গা থানা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভুর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি সব জানি। 

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন রহমান বলেন, জেলা আওয়ামিলীগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে হাফিজুল রহমান বলেন আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

আরও খবর



আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইন শৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোন কথা নেই কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংএর বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থ বছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়, সকল গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মুল স্রোতধারার সাথে আমাদের এক হয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। 

পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। 

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ বছর পর সাজেকের রাস্তাঘাট হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এতো তরিৎ গতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরী করা চারর্টিখানি কথা না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এই রাস্তা আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনের পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী  বীর_বাহাদুর_উশৈসিং_এমপি’র সভাপতিত্বে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি  দীপংকর তালুকদার এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি  মোঃ মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের এমপি  শেখ আফিল উদ্দিন,  সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এমপি  জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান  সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক  শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সচিব  অমলেন্দু সিংহ (যুগ্ন সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান  হারুন-অর_রশিদ (যুগ্ন সচিব), তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সিইও বৃন্দ, আঞ্চলিক পরিষেদের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত উপসচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেই সাথে দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দু’বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক তহিদুল ইসলাম আসামী জাহিদুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের উত্তর উজিলপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ভুক্তভোগী রেবা খাতুন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী সুবাদে আসামী জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হকের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জাহিদুল হক রেবাকে ৫০ 'হাজার টাকায় জর্ডানে ভাল চাকুরীতে প্রেরণের প্রস্তাব দেয়। সরল বিশ্বাস রেবা খাতুন জাহিদুলের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। পরে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর রেবা খাতুনকে জর্ডানে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যান। ০৪ দিন পর রেবাকে রেখে জাহিদুল চলে যায়। পরে রেবা খাতুন টাকা ফেরত চাইলে জাহিদুল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেবার ভাবি গাজু খাতুন আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যার নাম্বার ২৯/২০১৪।

মামলাটি মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই দুলু মিয়া ও এসআই ফারুক হোসেন তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় সরকারী কৌশলী ছিলেন একে এম আছাদুজ্জামান।


আরও খবর