Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আকাশ কুমার ভৌমিক একজন মানবিক সফল কাউন্সিলর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৭১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃযে মানুষের অন্তর জুড়ে কেবল মানুষের ভালোবাসা বিদ্যমান, যার শব্দ মালায় ধ্বনিত হয় দুঃখি মানুষের আর্তনাদ তিনিই মানবদরদী প্রকৃত মানুষ। এমনি একজন সফল জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, মানবতাবাদী জনপ্রিয় মানুষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক।

তিনি জীবনের স্বণার্লী দিন গুলো নিস্বার্থভাবে অতিবাহিত করেছেন মানুষের জন্য। তিনি তার জীবনের দীর্ঘসময় ডিএসসিসি ৫৯ নং ওয়ার্ডের একজন সেবক ও সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবায় অতিবাহিত করেছেন। বাকি জীবনটাও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান এই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করা কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক । 

মানবিক এই জনপ্রতিনিধি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সেই সূত্রেই মানুষের কাছে থেকে মানুষের সেবা করাকেই তার জীবনের মূল কাজে পরিণত করেছেন। দুঃস্থ অসহায় মানুষের কাছে থেকে অনুভব করেন তিনি তাদের কষ্টের আর্তি। জনকল্যাণ মূলক কাজের ভেতর তিনি ভুলে যান নিজের ব্যাক্তি জীবনের কথা। নানা দুর্যোগের সময় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাহায্য করেন। সৃষ্টিশীল যে কোন কাজকে জীবনের অন্যতম ব্রত মনে করেন তিনি। 

অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েও তিনি আয়েশি জীবন যাপন না করে  বেছে নিয়েছেন তার ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার আতুর ঘরকে। তিনি মনে করেন তার ওয়ার্ডের জনগণই তার পরিবারের মানুষ। তার ওয়ার্ডের মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হয়েছেন দিনরাত।

সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি তার নিজস্ব অর্থায়নে রেকর্ড পরিমান উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন তার এলাকায়। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৫৯ নং ওয়ার্ডের স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, রাস্তা ঘাট, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতি, ক্রীড়া অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন তাঁরই প্রচেষ্ঠার ফল। তাঁর জীবনের সকল সফলতার মুলে রয়েছে তাঁর বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য্যর সাথে এগিয়ে চলা, সিদ্ধান্তে অবিচলতা, প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার অতুলনীয় শক্তি ও সাহস, জনগণের সঠিক মূল্যায়নের ক্ষমতা, অসীম সাহসীকতা, মানবিকতা ও আত্মপ্রত্যয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন। অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে তিনি একজন সৃজনশীল কর্মীবান্ধব দক্ষ সংগঠক। 

একজন পরিক্ষিত, নিঃস্বার্থবান, ত্যাগী, কর্মপরায়ণ, স্পষ্টবাদী, ব্যাক্তিগত জীবনের একজন সাহসী মানুষ হিসেবে পরিচিত ও সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র, শোষণ মুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি তার নিজস্ব অর্থায়নে তার এলাকায় করেছেন অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। 

কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক  সম্পর্কে এলাকার মানুষ বলেন, ‘কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক  একজন সফল ও আদর্শবান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে ইতিমধ্যে প্রমাণিত করেছেন এই ওয়ার্ডে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখন তিনি নিজেই। তিনি যে পরিমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এই মেয়াদে করেছে তা বিগত কোন জনপ্রতিনিধি তার ধারেকাছেও করতে পারে নাই। শুধু তাই নয় তিনি এলাকায় মাদক নির্মূলে দৃশ্যমান সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষা বিস্তারে নিয়েছেন বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ। রাস্তা-ঘাট অবকাঠামো উন্নয়ন, নালা-নর্দমা সম্প্রসারণ করে জলবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন।



 


আরও খবর



চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন: ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে,চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এস আলম সুগার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ।

সোমবার (৪ মার্চ) রাতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আনোয়ার পাশা এ কমিটি গঠন করেছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার বিকেলের দিকে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক এলাকার এ সুগার মিলে আগুন লাগে। মধ্যরাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর দল।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বলেন, রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট। পরে যোগ দেয় নৌবাহিনীর একটি দলও। রাত নয়টার দিকে যুক্ত হয় সেনাবাহিনীর একটি দল।

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের ঘটনা, এমনটা ধারণা চিনিকলটির কর্মকর্তাদের। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও চিনিকলের কর্মকর্তারা সূত্রে জানা গেছে, চিনিকলটিতে আমদানি করা অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনি রাখা ছিল।


আরও খবর



ঢাকা শহরে চারদিকে এলিভেটেড ইনার সার্কুলার রোড নির্মাণে অংশীজনের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃঢাকা শহরে চারদিকে এলিভেটেড ইনার সার্কুলার রোড নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার জন্য অংশীজনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ৬ মার্চ সকাল ১১ টায় ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে। ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবু'র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সংরক্ষিত নারী আসনের ৬৭,৬৮,৬৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার হিমেল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত আলী, অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন (হাইওয়ে) প্রকৌশলী মধুসূদন দাস, ড. সুদেশ কাউল,পেরেজ মানানেট ডি ক্যাবানেস কার্লোস সহ সরকারি কর্মকর্তাগণ।


আরও খবর



দুর্যোগ সহনশীল ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতি বছরের মতো দেশব্যাপী ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়ব, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ব’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেকসই ও সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় এলাকার জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুর্যোগ মোকাবিলার উন্নত টেলিযোগাযোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জাতির পিতা ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন, যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে। আমরা মুজিব কিল্লাকে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করে মানব ও প্রাণিসম্পদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই আশ্রয়স্থল করেছি।

একইভাবে পুরুষের সঙ্গে নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ কারণে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, নতুন বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং দুর্যোগের প্রস্তুতি ও উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেকোনো দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা পরিসংখ্যানগত তথ্য বিশ্লেষণ করলে উপলব্ধি করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ লাখ জন, ১৯৯১ সালের সাইক্লোনে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার জন, ২০০৭ সালের সাইক্লোন সিডরে তিন হাজার ৬৬৩ জন, ২০০৮ সালের সাইক্লোন আইলায় ১৯০ জন, ২০১৬ সালের সাইক্লোন রুয়ানুতে ২৭ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন বুলবুলে ২৪ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন ফণিতে আটজন, ২০২০ সালের সাইক্লোন আম্ফানে আটজন, ২০২১ সালের সাইক্লোন ইয়াসে সাতজন, ২০২২ সালের সাইক্লোন সিত্রাংয়ে একজন এবং ২০২৩ সালের সাইক্লোন মোখায় মৃতের সংখ্যা শূন্য।

বাংলাদেশের এই ক্রমোন্নয়ন ‘সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ এর শর্ত শতভাগ অর্জন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিপুলভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।


আরও খবর



সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, গোজামিলে ড্রেনেজ গাংনী কাথুলী সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। গাংনীর কাথুলী থেকে মেহেরপুর শহর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ইট-খোয়া ওঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ১৮ গ্রামের মানুষসহ পন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট যানবাহন। সকল কর্মকা-ে পড়ছে ভাটা। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ৯ কোটি ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সড়ক সংস্কার ও বাজার এলাকায় পয়নিস্কানের জন্য ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ৬৪ লক্ষ টাকা। যার কার্যাদেশ পান ঢাকার আবেদ মনসুর কনষ্টাকশন। কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কুষ্টিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম। কাজ শেষ হবার কথা চলতি বছরের মে মাসে।

স্থানীয়রা জানান, কায়েমকাটা মোড়ে থেকে দুটি সড়ক দু’দিকে গেছে। একটি সড়ক শোলমারি, শোভরাজপুর, তেরঘরিয়া গ্রামের দিকে গেছে। অন্যাটি কাথুলী ইউনিয়নের সহগলপুর, হাটপাড়া, গাড়াবাড়িয়া, কাথুলী বাজারে গিয়ে ঠেকেছে। এই সড়কটি দির্ঘ ১২ বছর ধরে খানাখন্দে ভরে থাকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বছরে একবার করে খানাখন্দগুলো ভরাট করে চলে যায়। কিন্তু নতুন করে কার্পেটিং করার অভাবে পুনরায় নতুন নতুন খানা খন্দ সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের।

গত ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে ওই সড়কের খানাখন্দ ভরাট করেছে সওজ। শুরু হয়েছে ড্রেন নির্মাণ কাজ। কাথুলী সড়কের কুলবাড়িয়া(যে অংশটি সদর উপজেলাধীন) ও হাটপাড়া বাজার এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই ড্রেন নির্মাণ নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, যেখানে ড্রেন নির্মাণ করা জরুরী সেখানে না করে অন্যস্থানে ড্রেন করছে।

কাথুলী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর জিনারুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কের গাড়াবাড়িয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকার সামনে সব চেয়ে বেশি পানি জমে। ওই সময়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসিকে। মাঝে মাঝে যানবাহন উল্টে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেখানে ড্রেন করা গুরুত্বপূর্ণ সেখানে না করে উচু স্থানে ড্রেন করছে। যা সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসবে না।

গাড়াবাড়িয়ার কম্পিউটার দোকানি আলি হোসেন জানান, গত একযুগেও সড়কটিতে মানুষ আরামে চলাচল করতে পারেনি। বেশিরভাগ স্থানে খানাখন্দ। এবারে নতুন করে আরো একটি ঝামেলা তৈরি করেছে তারা।যেখানে ড্রেনের দরকার সেখানে না করে উচু যায়গায় ড্রেন নির্মাণ করছে। আগামী বর্ষায় এই সড়কদিয়ে মানুষ কেন কোন পরিববহনও চলাচল করতে পারবে না। একই অভিযোগ কাথুলী গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত হোসেনের। তিনি আরো জানান, এই সড়কে কোন কাজের ঠিক নেই। এমনিতে কয়েকস্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলার কারণে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। তার উপর উঁচু স্থানে ড্রেন নির্মাণ।

কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, কাথুলী সড়কে যেখানে ড্রেন নির্মাণের জন্য এলাকাবাসি দির্ঘ দিন থেকে দাবি জানাচ্ছিল। সেই জলাবদ্ধ স্থানে সড়ক বিভাগ ড্রেন নির্মাণ না করে একটি উচু স্থানে ড্রেনটি নির্মাণ করছেন। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছেন এসব কর্মকর্তারা। কয়েকদফা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পরও তারা সেখানেই ড্রেনটি নির্মাণ করছে।জানতে চাইলে আবেদ মুনসুর কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম জানান, কাজ চলমান রয়েছে।

সড়কের উপরিভাগ তুলে ফেলে নতুন করে কার্পেটিং করা হবে। সওজের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। কোন কোন স্থানে ড্রেন হবে তা আগে থেকে সওজ কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে রেখেছে। এখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন গাফলতি নেই।

কোন অনিয়ম হয়নি মর্মে দাবি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী (এসডি) মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, ড্রেন হওয়ার কথা বাজার এলাকায়। সওজ সব সময় তদারকি করে কাথুলী সড়কের তিন স্থানে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। এর আগে সওজ কয়েকদফা এলাকায় ড্রেন নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করেছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি।


আরও খবর



বেইলি রোড ট্র্যাজেডি, দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে  ।

রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড পরবর্তী পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযানে যাচ্ছে না। অন্য ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে পুলিশ যাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কার কি গাফিলতি আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে ১টি সংস্থাকে সব দেখভালের দায়িত্ব দেয়া যায় কিনা সেটা দেখা হবে।

তিনি বলেন, সবারই প্রশ্ন এই অগ্নিকাণ্ডের দায় কার? যে কারণে যার যার দায়িত্ব, তা পালন করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কেন অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল, তার কারণ বের করতে অনুসন্ধান হচ্ছে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজউকের কোন জায়গায় তদারকির অভাব ছিল, সেটা তারা দেখছেন। হোটেল-রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তাও দেখা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাফিলতি ছিল কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কাজ হচ্ছে হুঁশিয়ার করে দেওয়া। কারওয়ান বাজারের একটি ভবনকে পাঁচ বছর ধরে বলা হচ্ছে যে ঝুঁকিপূর্ণ। আবার গাউছিয়া মার্কেটে আগুন ধরলে কাকে দোষ দেবেন? ফায়ার সার্ভিস কিন্তু বলে দিয়েছে এটা ঝুঁকিপূর্ণ।


আরও খবর