Logo
আজঃ রবিবার ১১ জুন ২০২৩
শিরোনাম

আজ রাতে ১ মিনিট অন্ধকার থাকবে দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুন ২০২৩ | ২৬৬জন দেখেছেন

Image

বাসস: আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল।

এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১০টা ৩০মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাঙালীর স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সে আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’

পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তার কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।’

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় : ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।


আরও খবর



রূপগঞ্জের ইছাপুরা ব্রীজ-দুর্গামন্দির সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু ( নারাযণগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ

রূপগঞ্জের ইছাপুরা ব্রীজ-দুর্গামন্দির সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ৬ জুন মঙ্গলবার রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ ছালাউদ্দিন ভুইয়া এ সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী এস এম সাব্বির হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ মোমেন।


রূপগঞ্জ ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, জাকিয়া সুলতানা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার হোসেন, রোমান মোল্লা, আক্তার হোসেন, কাউছার আহম্মেদ, মোমেন মোল্লা, ওমর ফারুক, বাচ্চু মৃধা, দীপক চন্দ্র সাহা, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল প্রধান।


রূপগঞ্জ ইউনিয়ন মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার, ইছাপুরা শ্রী গোপাল গিরিধারি মন্দিরের সভাপতি সংগ্রাম চন্দ্র রায় রানা ও যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।৪২২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩দশমিক ৭ মিটার প্রস্থ্যে এ সড়ক ইউনিব্লকে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা। আগামী এক মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা কবে, জানা গেল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক ;ভারতের মাটিতে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অুনষ্ঠিত হবে। অবশেষে এই আসরটির সূচি প্রকাশের সময় জানা গেল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল চলকালীন ঘোষণা করা হবে সূচি। এমনটি জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ। খবর জিও নিউজের।

আগামী ৭-১২ জুন লন্ডনের ওভালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলবে। জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল চলাকালীন একটি সংবাদিক সম্মেলনে আইসিসি ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্ধারণ করবে। টুর্নামেন্টের সম্পূর্ণ সময়সূচীও প্রকাশ করা হবে।’

আগামী সপ্তাহে বিসিসিআই আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও নারী প্রিমিয়ার লিগের জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। জয় শাহ বলেন, ‘যতদূর আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ভেন্যু সম্পর্কিত বিষয়, প্রতিটি ভেন্যুর জন্য প্রতিটি অফিস-বেয়ারারের ওপর দায়িত্ব বর্তাবে। আমরা টুর্নামেন্টের ভেন্যু হিসেবে সমস্ত মেট্রো সিটির কথা ভাবছি।’

এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অচলাবস্থার কারণে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের সময়সূচী নিয়ে টালবাহানা চলছে। তবে জয় শাহ দাবি করেছেন, এক সপ্তাহ পরে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) একটি জরুরি বৈঠকের পরে, সেই বিষয়ে ঘোষণা করা হবে।


আরও খবর



ট্রাম্পের রসিকতা বাইডেনের পড়ে যাওয়া নিয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে বিমান বাহিনী একাডেমির একটি অনুষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার মঞ্চে পড়ে যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই নিয়ে রসিকতা করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পকে বাইডেনের হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়া নিয়ে অবহিত করা হয়। সেইসময় ট্রাম্প আইওয়া অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে তিনি তার সমর্থকদের বলেছেন, বিমান বাহিনীর স্নাতক ক্যাডেট যারা এ ঘটনা দেখেছেন তাদের জন্য এটি প্রেরণামূলক হতে পারে না।

সাবেক মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি আশা করি তিনি আঘাত পাননি, আমি আশা করি তিনি আহত হন নি... আপনারা সেটি চান না।

এ ছাড়া ট্রাম্পের সমর্থকরাও বাইডেনের পড়ে যাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজা করছেন। তবে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে বাইডেনের পড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে নেতিবাচক কোনো কথা বলেননি। তিনি বলেছেন, আমি আশা করি, জো বাইডেন দ্রুত সেরে উঠবেন।

মঞ্চে পড়ে যান বাইডেন

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীর ৯২১ জন ক্যাডেটের সবার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রায়দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে হাত মেলান। হোয়াইট হাউজের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ‘ভালো আছেন’।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বেন লাবোল্ট লিখেছেন, তিনি যখন করমর্দন করছিলেন তখন মঞ্চে একটি ছোট বালির ব্যাগ ছিল। এ ছাড়া হোয়াইট হাউজে ফিরে হাসিমুখে প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, বালির ব্যাগে আমার পা আটকে গিয়েছিল।

এর আগে হোয়াইট হাউজের প্রেস টিম থেকে জানানো হয়, বাইডেন যখন তার আসনে ফেরত যাচ্ছিলেন তখন ছোট কালো একটি বালুর ব্যাগে তার পা আটকে যায়। মঞ্চে টেলিপ্রম্পটারের জন্য বালু ভর্তি ছোট দুটো ব্যাগ রাখা হয়েছিল। উঠে দাঁড়ানোর পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন আঙুল দিয়ে বালু ভর্তি সে ব্যাগটি দেখিয়ে দেন।

প্রেসিডেন্টের ভাষণের জন্য যে টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করা হয় সেটি যাতে পড়ে না যায় সেজন্য বালু ভর্তি ছোট ব্যাগ ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর



১৩৩ কেন্দ্রে এগিয়ে জায়েদা খাতুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ। এখন চলছে গণনা। বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা ১০৫ টি কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন এগিয়ে রয়েছেন।

৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টিতে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৮০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৫ ভোট।

এর আগে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কোনো প্রকার অনিয়ম ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট শেষ হয়। সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। দুই একটি কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়।

সকালে ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ভোট দেওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ! সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। আমি আশাবাদী।

এদিকে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে টঙ্গীর দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন আজমত উল্লা খান। তিনি বলেছেন, ‘জয়ের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।

এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬৯৯৪ জন।


আরও খবর



নবীনগরে সংঘাত রুখতে দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ২৩৬জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা, নুরজাহানপুর, গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্র টেটা- বল্লম উদ্ধার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল রোববার (২৮ মে) দুপুর ১টায় দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার ও নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সিরাজুল ইসলাম, নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইফুদ্দিন আনোয়ারের দিকনির্দেশনায় এসআই ইহসানুল হাসান সংগীয় এসআই আল আমিন, এসআই  মহিউদ্দিন পাটোয়ীরী, এসআই বাছির, এএসআই  জহিরুল ইসলাম, এএসআই মকবুল এবং সংগীয় ফোর্স সহ উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা, নুরজাহানপুর, গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করিয়া ২১টি তিন কাইট্টা, ২০ টি চল,৩০টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা লক্ষ্যে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নবীনগর থানা পুলিশ ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর