মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদ (প্রযুক্তি ইউনিট) অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ/ ইনস্টিটিউটসমূহে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
অধিভুক্ত সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ) এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ/ইনস্টিটিউটসমূহে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার), শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কে এম হুমায়ুন কবীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বি.এসসি. ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম-এ এবছর বরাদ্দকৃত আসন ১৫২০ টি।
ভর্তি ইচ্ছুক প্রার্থীরা কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে অনলাইন-এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। ধাপগুলো হলো-
১. লগইন
* লগইন করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে—মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের রোল, শিক্ষা বোর্ড।
২. বিস্তারিত
* প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের ভাষা (যে ভাষায় পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী)
* বর্তমান ঠিকানা
* মুঠোফোন নম্বর, ই-মেইল (অবশ্যই ব্যক্তিগত)
* পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (ঐচ্ছিক) ও পেশা
* কোটা (বিস্তারিত ভর্তি নির্দেশনায়)
* যে বিভাগে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক।
৩. ছবি
* প্রস্থ ৩৬০-৫৪০ পিক্সেল
* উচ্চতা ৫৪০-৭২০ পিক্সেল
* সাইজ: ৩০-২০০ কেবি
* টাইপ: .jpg or .jpeg
৪. পাসওয়ার্ড
* টেলিটক, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের মুঠোফোন থেকে খুদে বার্তা (এসএমএস) করা যাবে।
* এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনকারীর ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
৫. ফি প্রদান
শেষে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ফি জমা দেওয়া যাবে। সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যাবে।
আবেদনকারীদের যোগ্যতা
ভর্তি-ইচ্ছুক আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের গ্রেডভিওিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে ৪র্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগাযোগ ন্যূনতম ৬.৫০ হতে হবে। তবে প্রার্থীর উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও গণিত বিষয় থাকতে হবে।
কত নম্বরের পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ (MCQ) পদ্ধতিতে হবে। ১২০ টি প্রশ্নের জন্য মোট ১২০ নম্বর থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১২০ এবং মাধ্যমিক বা সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ৮০ নম্বর।