Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আজ আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন বিএনপি নেতা আমান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২৭১জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করবেন।

আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রোববার আমানউল্লাহ আমান আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এরপর জামিন চেয়ে আবেদন করা হবে।

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে ৭ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে ২৮১ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায় প্রকাশ করেন। রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

তারও আগে ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন। ওইদিন দুদকের অন্য একটি মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। পরে গত ৩০ মে হাইকোর্ট এ রায় দেন।

অন্যদিকে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে মামলার পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। পুনঃশুনানি শেষে গত ৩০ মে টুকুর সাজা বহাল রাখেন আদালত। পরে আপিল বিভাগের এ রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে টুকু আবেদন করলে সর্বোচ্চ আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়।


আরও খবর



রেলপথে ৩ মাস ৫ দিনে ১৫৮ দুর্ঘটনায় ঝরেছে ৮৫ প্রাণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১১০জন দেখেছেন

Image
খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক:রেলক্রসিংয়ে গেট কিপার না থাকায় ফেনীর ফাজিলপুর রেলক্রসিংয়ে বালুভর্তি ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গত ৩ মাস ৫ দিনে ছোট-বড় ১৫৮ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪৪ জন এবং নিহত ৮৫ জন। এরমধ্যে অধিকাংশ দুর্ঘটনাই ঘটেছে গেট কিপারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বলে জানিয়েছেন সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা। সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায় ও জিয়াউর রহমান জিয়ার তত্ত্বাবধায়নে ২৪ টি জাতীয় দৈনিক, ১৮ টি ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যম, ২২ টি নিউজ পোর্টাল এবং সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর বিভিন্ন শাখার স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যর ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রেলক্রসিংয়ে গেট কিপার না থাকা, দায়িত্বে অবহেলা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশিল না হওয়ায় ১২২ টি রেলক্রসিং দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১৭ জন, নিহত হয়েছেন ৬১ জন; ছাদ থেকে/ট্রেনে কাটা পরে বা ধাক্কার ৩৬ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৭ জন এবং নিহত হয়েছেন ২৪ জন। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়- সারা দেশে তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথে থাকা তিন হাজার ৩৯৮টি ক্রসিংয়ের মধ্যে দুর্নীতি-দায়িত্বে অবহেলার দুযোগে অবৈধ ১ হাজার ৩৬১টিতেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, নির্মিত হচ্ছে মৃত্যু ফাঁদ। রেলক্রসিংয়ের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ অবৈধ আর তাঁর সাথে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে-৩৩টি ক্রসিং কে বা কারা ব্যবহার করছে, তা কেউ জানে না। এছাড়া বৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর মধ্যে ৬৩২টিতে গেটকিপার নেই। অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোয় যেমন গেটকিপার নেই, নেই কোনো সুরক্ষা সরঞ্জামও। আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত করার লক্ষে ২০০৭ সাল থেকে সচেতনতা- গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবা করে আসা সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর রেলক্রসিং বিষয়ক এই প্রতিবেদনে ১ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই দুর্ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেল মন্ত্রী, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়।  

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ এবং আহতদের সরকারি অর্থায়নে চিকিৎসার দাবি জানানোর পাশাপাশি সেভ দ্য রোড ৭ টি প্রস্তাব দিয়েছে ১. অবৈধ ক্রসিংগুলোর সমস্যা অনতিবিলম্বে সমাধান করা ২. দুর্নীতিবাজ রেল কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় ৩. সরকারি লেজুড়ভিত্তিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নামে নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম বন্ধ করে রেলকে গণমূখি বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আত্ম নিয়োগ করা ৪. যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ রেলওয়েকে বেসরকারি খাত থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্রিয় তত্বাবধায়নে পরিচালনার সুপরিকল্পিত উদ্যেগ গ্রহণ করা ৫. সচিব-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সকল রকম আরাম-আয়েশী সুযোগ-সুবিধা বাতিল করে সারাদেশে রেলওয়ের উন্নয়নে নিবেদিত রাখা ৬. সেবার মান উন্নয়নে রেলওয়ে পুলিশ-সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং সারাদেশের সকল স্থানে কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা ৭. প্রতি ৩ কিলোমিটারে পর্যবেক্ষণ করার জন্য রেলওয়ে পুলিশ-এর বিশেষ বুথ স্থাপন করা।

আরও খবর

ড. ইউনূস জামিন পেলেন

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




টাঙ্গাইলের মধুপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরাগ্রামে জোরপূর্বক ছাপড়া ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বকুলের ছেলে রিপন জানান, তাদের পৈত্রিক জমি জোরপূর্বক পুন্ডুরা গ্রামের মৃত তসর শেখের ছেলে আফছার, আফছারের ছেলে শাকিল, সাকিব, হাবেজ আলীর ছেলে লালন, এলাহী, সিদ্দিকের ছেলে হানু, ইয়াদ আলীর ছেলে ছাত্তার মেকার,মৃত আফজালের ছেলে পলাশ, হাবেজের মেয়ে  কালাগেদী, দুখীনী সহ ১৫/২০ জন মিলে পুন্ডুরা গ্রামের মৃত বকুলের ছেলে রিপনদের পৈতৃক জমি জোরপূর্বক ছাপড়া ঘর তুলে বেদখল দেয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা তাদের ছাপড়া ঘর সড়াতে বললে তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে এবং আমার বকুল তলা মোড়ে মনোহরী দোকানের সাটার কুপাইয়া ক্ষতি করে। এব্যাপারে মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগী রিপন।


আরও খবর



ফকিরহাটে কৃষকের ঘরে তৈরি হচ্ছে জৈবসার সহায়তা পেলে গড়ে উঠবে বৃহৎপরিষরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ফটিক ব্যানার্জী ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে টেকসই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় তৈরি হচ্ছে জৈবসার। কৃষকের উৎপাদিত ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচোসারের গুনগত মান আনেক ভালো বলে দ্বাবী করেন স্থানিয় চষিরা।

টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের কৃষক অঞ্জন ব্যানার্জী বলেন, এসএসিপি প্রকল্পে দেওয়া ট্রেনিং ও জৈবসার উৎপাদনের সরঞ্চাম নিয়ে কোঁচো সার উৎপাদন করা হয়। চলতি মৌশুমে ধান ক্ষেতে জৈব সার ব্যবহার করে ফলন হয়েছে তুলনামুল অনেক ভালো। এছাড়াও বিভিন্ন খামারিদের কাছ থেকে প্রায় ২শ মন জৈবসার সংগ্রহ করে প্রক্রিয়া জাতকরনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বাড়ি থেকে অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন। চাহিদা থাকার পরেও সরকারি ভাবে অনুমতি ও সহায়তা অভাবে তিনি এটি বৃহৎ পরিষরে করতে পারছেন না বলে জানা।

পান চাষি নিজাম মোড়ল বলেন, আগে পান চাষে রাষায়নিক সার ব্যবহার করে লাভের মুখ দেখতে পাইনি। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পানের লতা ও পাতা নষ্ট হয়ে যেত। কৃষি বিভাগের পরার্মশ্যে অঞ্জন ব্যানার্জীর তৈরি কৃত জৈবসার ব্যবহার করে অভাবনিয় লাভ হয়েছে। সবজি ও মৎস্য চাষি আনোয়ার মোড়ল বলেন, সবজি ও মাছ চাষে এ সার ব্যবহার করে আমিসহ অনেকেই লাভবান হয়েছি।

আরোব আলী, সঞ্জয় চক্রবর্তীসহ জৈবসার উৎপাদন কারি একাধিক ব্যক্তি বলেন, কৃষি বিভাগের দেওয়া জৈবসার উৎপাদনের সরঞ্চাম ও ট্রেনিং আমাদের চাষাবাদে অভাবনিয় পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের এআইপি সম্মাননা প্রাপ্ত ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জৈবসার মাটির প্রাণ সঞ্চার করছে। জলবায়ু পরিবর্তনে মারত্মক প্রভাব ফেলে কৃত্রিম সার। এবিষয়নি মাথায় রেখে আমরা জৈবসার উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু করেছি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রায় দুই দশক আগের থেকে। যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুকরনিয় উদাহরন ও পারস্পরিক শিখনের মাধ্যমে উপস্থাপন করছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহারে প্রশিক্ষন ও উদ্ভুদ্ধ করনে আমরা কাজ করছি। জৈবসার উৎপাদন তার মধ্যে একটি। যার ব্যবহারে ফসল উৎপাদনে অভাবনিয় সফলতা পাচ্ছেন কৃষক। 


আরও খবর



পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ! বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চলের বন সংরক্ষণের জন্য জরিপ করা প্রয়োজন। বৃক্ষ নিধন রোধ ও এর সংরক্ষণ করা না হলে পার্বত্য অঞ্চলের অপার সৌন্দর্য্য একদিন রূপকথায় পরিণত হবে।  

গতকাল খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পর্যটন মোটেল অডিটোরিয়ামে দ্বিতীয় জাতীয় বৃক্ষ ও বন জরিপ-২০২৪ অবহিতকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পানির প্রবাহ ও লেয়ার যেভাবে কমে যাচ্ছে তাতে করে এমন এক সময় আসবে যেদিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির ভীষণ ঘাটতি দেখা দিবে। তিনি বলেন, চেঙ্গী নদী, মাতামুহুরী ও মনু নদী একসময় পানির প্রচুর প্রবাহ ছিল। কিন্তু এখন পানির শূন্যতা দেখা দিয়েছে। নদীর নাব্যতা ও গভীরতা নেই বললেই চলে। নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বেড়েছে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। নব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ও দৃষ্টিভঙ্গি জনস্বার্থে চলমান থাকবেই। নাগরিক হিসেবে পরিবেশের সৌন্দর্য্য রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দায়িত্ববোধের অবহেলা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে ডোবা-নালা ভরাট করে যাতে বাড়ি ঘর বা ফসলী জমি না গড়া হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। আগামির প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বন সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা জোনগুলোর ব্যবহার যাতে সঠিক ও অক্ষুন্ন থাকে সেদিকে সকলের সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে। বনাঞ্চলের বৃক্ষ, বন ও বনজ সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং বনাঞ্চলে কি কি প্রাণি রয়েছে তা নির্ণয় ও সংরক্ষণের প্রয়োজনে বন জরিপের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। একটি দেশের জন্য ২৫ ভাগ বন থাকা প্রয়োজন। সে জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারলাম কি না তা জানার জন্যও বন জরিপের গুরুত্ব অপরিসীম বলে জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

অবহিতকরণ সভায় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় পরামর্শক ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা প্রজেক্টরের সাহায্যে বাংলাদেশসহ পার্বত্য অঞ্চলে জোনিং পদ্ধতিতে বৃক্ষ ও বন সংরক্ষণের চিত্র তুলে ধরেন। 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নিলোৎপল খীসা-এর সভাপতিত্বে  খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম(বার)  খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা সাহেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



নাসিরনগর ঈদের দিনে মারামারি মামলার তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২২৭জন দেখেছেন

Image

জানা গেছে গত ঈদ উল ফিতরের দিনে জায়গা জমির বিষয় নিয়ে রফিক ও আমিন মিয়ার লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে।সংঘর্ষে আমিন মিয়ার পক্ষের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।

সংঘর্ষের সময় রফিক মিয়ার পক্ষের লোকজন মিলে আমিন মিয়ার পক্ষের  হাজী মন্নান মিয়ার পক্ষের মুতাকাব্বির মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।মুতাকাব্বির মিয়া বর্তমানে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

ওই ঘটনায় আমিন মিয়া বাদী হয়ে ১৭ জন  অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

মামলার পর নাসিরনগর থানার চৌকশ পুলিশ অফিসার এস আই রূপন নাথ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে মারামারির মুলহোতা রফিক, ফারুক ও ইয়াকু্বকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রূপননাথ বলেন,এটা একটা জগন্যতম ঘটনা।তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

- খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর