Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে মিরাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৪৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: গত এক বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ ঘোষণা করেছে আইসিসি। যেখানে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

একাদশে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুজন করে জায়গা পেয়েছেন। একজন করে আছেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ের। অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজম।

১৫ ম্যাচ খেলে ডানহাতি মিরাজ ২৮.২০ গড়ে ২৪টি উইকেট নিয়েছেন। তার সেরা বোলিং ২৯ রানে ৪ উইকেট। এছাড়া ৬৬ গড়ে ৩৩০ রান করেছেন। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরিটিও আসে গত বছর ভারতের বিপক্ষে। মিরাজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জেতে টাইগাররা।

বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, শাই হোপ, শ্রেয়াস আইয়ার, টম ল্যাথাম, সিকান্দার রাজা, মেহেদী হাসান মিরাজ, আলজারি জোসেফ, মোহাম্মদ সিরাজ, ট্রেন্ট বোল্ট ও অ্যাডাম জাম্পা।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে ঈদ ও বৈসাবি উপলক্ষ্যে মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,বিশেষ প্রতিনিধি:বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে পবিএ ঈদ উল-ফিতর ও বৈসাবি উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে পাহাড়ী- বাঙ্গালী দুঃস্থ নারী ও পুরুষের মাঝে শাড়ি, পাঞ্জাবী এবং পাহাড়ী ড্রেস বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল)  মাটিরাঙ্গা জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক মানবিক সহায়তা  কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় সকালের দিকে , মাটিরাঙ্গা  সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- ও বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা জোনের আওতায় ২০০জন  দু:স্থ,অসহায় হতদরিদ্র  পরিবারের মাঝে ঈদ ও বৈসাবি উপহার সামগ্রী বিতরণ ও পাঁচশতাধিক মানুষের মাঝে  স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, দন্ত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা সহ বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল উপকার ভোগীদের মাঝে ঈদ ও বৈসাবি উপহার সামগ্রী তুলেদেন।

এ সময় মাটিরাঙ্গা জোনের জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো.কামরুল হাসান পিএসসি
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম
সহ সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানবিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক হত-দরিদ্র পাহাড়ি-বাঙ্গালি পরিবারের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, পাহাড়ী ড্রেস বিতরণ, বিদ্যুৎ বিহীন ১০টি পরিবারকে সোলার প্যানেল, সুবিধা বঞ্চিত ৫টি পরিবারকে সেলাই মেশিন, ১০টি পরিবারের মাঝে ১০বান ডেউটিন, ৮ জন অসহায় ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নগদ আর্থিক অনুদান ও ২টি এতিমখানায় ১০টি ফ্যান রয়েছে। এছাড়াও অন্তত পাঁচশতাধিক জনসাধারণের মাঝে  বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল  বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের পাহাড়ি এবং বাঙ্গালীদের মাঝে অত্যন্ত সোহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সু-সসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও মাটিরাঙ্গা জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। আপনারা এই সু-সম্পর্ক বজায় রাখবেন এটাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। সর্বোপরি আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুরু থেকে বিভিন্ন মানবেতর চাহিদা পরিপূরণের মাধ্যমে মানুষের পাশে আছে। তেমনিভাবে মানুষের একমাত্র সঠিক আস্থাভাজন এবং গৌরবের প্রতীক হিসাবে সুদূর ভবিষতেও এই ধারা অব্যহত রাখবে।পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ঈদ-উল-ফিতর ও বৈসাবি,র শুভেচ্ছা জানান।

আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নিটারে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এ ২৫শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ রোজ সোমবার দুপুর ২ ঘটিকায় নিটারের কনফারেন্স রুমে ৫৪ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জুনাইবুর রশীদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার নুরুন্নবী, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মোহাম্মদ ফাতেহ আলী খান পান্নী, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ইন্দ্রজিৎ কুমার পাল, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং এর লেকচারার তানজিনা রিফাত টুম্পা সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত বিভাগীয় প্রধান, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও লেকচারার গন। নিটারের বিভিন্ন ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী ও নিটারের কর্মচারীদের উপস্থিতিতে  নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভাটির সূচনা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের লেকচারার তানজিনা রিফাত টুম্পার সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সূচনালগ্নে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ড এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে দেখানো হয় যেখানে কিনা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ২৫শে মার্চে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মমতার নির্মম ইতিহাস ও গনহত্যা পরবর্তী ঢাকার থমথমে চিত্র ফুটে উঠে। পরবর্তীতে ২৫শে মার্চের ভয়াল কালরাত্রিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট শহীদ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা এর উপর চালানো পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে দেখানো হয়।

আলোচকদের মধ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব ইঞ্জিনিয়ার নুরুন্নবী বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাওরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শহীদ হওয়া সকলের আত্নার মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য শুরু করেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাওরের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন।  ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি ২৫শে মার্চের ভয়াল কালরাত্রির কথা স্মৃতিচারণ করেন। অতঃপর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব মোহাম্মদ ফাতেহ আলী খান পান্নি ওনার বক্তব্যে বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলো শুধু উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সেগুলোকে নিজেদের মধ্যে লালন করে বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটানোর গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জনাব ড. মোহাম্মদ জুনাইবুর রশীদ উপস্থিত  সকলকে সালাম ও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন, বক্তব্যে তুলে ধরেন মোট জনসংখ্যার মধ্যে  পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা বেশি থাকা সত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য অধিকাংশ বাজেট বরাদ্দ দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টির কথা, সেনাবাহিনীর উচ্চপদগুলোতে নিয়োগে বৈষম্য,  ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করা সত্বেও ক্ষমতা হস্তান্তর না করা, ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ কলা ভবনে পতাকা উওোলন ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্ন থেকে বিজয় অর্জন করা পর্যন্ত বাঙালির আত্নত্যাগের সকল ঘটনাবলী ধাপে ধাপে তুলে ধরেন উপস্থিত শ্রোতাদের নিকট।

সর্বশেষে, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব ইন্দ্রজিৎ কুমার পাল তার সমাপনী বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু কর্ণারে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ কোষ (১০ খন্ড) বইটি রাখার জন্য অনুরোধ জানান। এভাবেই, স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আত্নত্যাগকারী সকল বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনার মধ্য দিয়ে আলোচনা সভাটির সমাপ্তি হয়।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জন সহ ৩ দিনে ৫জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জনসহ গত ৩দিনে ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোসহ পরিবারের নিকট হস্থান্তর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের তেরহাল গ্রামের হাঁসের ধান খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে নোয়াব আলী (৫৮) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ওইদিন রাতে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চুনাপাথর ভাংগে। তাদের সাথে রমিজের ছেলে সাইদুল ও জড়িত। ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে অবাধে কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে সোর্স আক্কল আলী। তার কথা মতো চাঁদা না দিলে ঘটে নানান বিপত্তি, চোরাকারবীদেরকে করা হয় হয়রানী।

এব্যাপারে মৃত রমিজের স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন-সোর্স আক্কল আলীর কথা মতো চাঁদা না দেওয়ার কারণে সে সন্ধ্যা ৭টায় টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে। আমার স্বামী তাদের প্রতিবাদ করার করণে আক্কল আলী ও এএসআই জিয়া লাটি পেটা করাসহ কিলঘুষি মারে। এঘটনায় রমিজ মিয়ার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সোর্স আক্কল আলী পুলিশ নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে পুলিশ ফাঁড়িতে চলে যায়। পরে রক্তাক্ত রমিজকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষনা করে।

এব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জিয়াউর রহমান সাংবাদিকদের জানান- রমিজ মিয়া একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। সে আমাদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। সে পালানোর পর আমরা তাকে আর ধরতে পারিনি। কিছু সময় খোঁজাখুজি করে আমরা চলে আসি। তাকে মারধর করার প্রশ্নই উঠে না। অন্যদিকে এদিন রাত ১০টায় জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামে মায়ের নামের জমির দখল নিয়ে ছোট ভাইয়ের ঘুষিতে আপন বড় ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ভাইয়ের নাম- হাফিজ উল্লাহ (৩০)। অপর দিকে সন্ধ্যায় পাশের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মালেক নূর (৪৫) ও আব্দুন নূর (৪০) বজ্রপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেন। তারা হাওরে ধান মাড়াই করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।

জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার, দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন পৃথক ঘটনায় ৫জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



ফরিদপুরে নিহতদের পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ টাকা, আহতরা ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফরিদপুরে নিহতদের স্বজনদের পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসক। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের তিন লাখ এবং মরদেহ দাফনের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

তিনি বলেন, সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরতলীর কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনা নিহতদের স্বজনদের ৫ লাখ, আহতদের ৩ লাখ এবং মরদেহ দাফনের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

এর আগে সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মাগুরা যাচ্ছিল। পথে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা পিকআপভ্যানের সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিকআপভ্যানটি। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপভ্যানের চালকসহ ১৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন দুজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুল আলম।

তিনি বলেন, পিকআপভ্যানটি ভাড়া করে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। পথে মাগুরাগামী বাসের সঙ্গে ওই পিকআপভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



মেহেরপুরে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী(মেহেরপুর:মেহেরপুরে লিচু বাগানগুলোতে মুকুলের সমারোহ। চারদিকে মুকুলের মিষ্টি মৌ মৌ গন্ধ। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে লিচুর মুকুল। গাছের প্রতিটি ডাল থেকে মুকুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে গুণ গুনিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ছুটছে মৌমাছিরা। লিচু চাষিরা যেমন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাছের পরিচর্যায়। অন্যদিকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহে শ্রম ব্যয় করছে দিনরাত। মধু সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন মৌচাষিরা। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন সুস্বাদু মধু।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুরে লিচুবাগানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হওয়ার মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও। মার্চ মাসের শুরু থেকে মধু সংগ্রহ করার ধুম পড়ে। দূর থেকে আসা মৌচাষিরা বিভিন্ন স্থানীয় বাগান মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মৌ চাষ শুরু করে। একটি বাগানে মধু সংগ্রহ করার কাজে ২-৩ জন শ্রমিক কাজ করে। দেখা যায়, লিচুর উৎপাদন বাড়াতে বাগানে বাগানে চাষিরা মৌমাছির ’মৌ বাক্স’ বসিয়েছে। পাশেই নিজেদের তৈরি ছোট কুঁড়েঘর থাকে বাক্সের তদারকি করছে মৌ চাষিরা।

লিচু গাছের নিচে সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন কাঠের তৈরি বাক্সগুলো। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছির ঝাঁক বসছে লিচুর মুকুলে। মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল নিজ নিজ বক্সে মৌচাকে মধু এনে জমা করছে। ৭-৮ দিন পর পর প্রতিটি বাক্স থেকে চাষিরা মধু সংগ্রহ করছেন। লিচুর বাগান থেকে সংগ্রহ করা মধু যেমন খাঁটি তেমনই সুস্বাদু। মানের দিক থেকে ভাল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছর দেশের নানান প্রান্ত থেকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করতে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগানে আসে। এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।

মধু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, মধু চাষিরা এখানে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আমরা বাজারে যে মধু কিনি, সেগুলোয় কেমিক্যাল বা ভেজাল থাকে। তবে এখানকার মধু খাঁটি। এক মাস সময় নিয়ে দিনাজপুর থেকে এখানে এসেছেন মৌ চাষি রনি হাসান ও তার দল। রনি হাসান দীর্ঘ ১৪ বছর এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, বছরে ৬ মাস আমাদের কাজ হয়। আমরা মাসে ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করতে পারি।

মৌ চাষি রনি হাসান আরো বলেন, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আরো বেশিও সংগ্রহ করা যায়। এখানে ১৫০টি বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্সে ৪টি-১৬টি ফ্রেম আছে। প্রতিটি ফ্রেম থেকে ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত মধু আমরা সংগ্রহ করে থাকি। ইতোমধ্যে আমরা ২’শ ৯০ কেজি মধু সংগ্রহ করেছি। আরও ২শ কেজি মধু সংগ্রহের সম্ভবনা রয়েছে। এখানে সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আবার অন্যত্র মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে প্রতি কেজি মধু ৬শ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। মধু সংগ্রহ করা শেষ হয়ে গেলে তারা সাথে করে মৌমাছিদের নিয়ে যায় বলে জানান মৌ চাষিরা। প্রতিটি বাক্সে একটি রানী মৌমাছি, একটি পুরুষ মৌমাছিসহ অসংখ্য এপিচ জাতের কর্মী মৌমাছি রয়েছে। কর্মী মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে লিচুর মুকুলে ছুটে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে।কৃষিবিদ শফিউল ইসলাম বলেন, মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলের পরাগায়ণ ঘটানোর মাধ্যমে লিচুর ফলন ভাল হয়।

ফলে যে গাছে মৌমাছির বেশি আগমন ঘটে সে গাছে লিচুর যেমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে, তেমনই মৌ চাষিরা বেশি মধু সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪