Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

আইএমএফ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিল বাংলাদেশকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অনুমোদন দিয়েছে। আইএমএফের বোর্ড সভায় ঋণ অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

ঋণ অনুমোদনের প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এই ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা।

তিনি বলেন, 'অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তোবা এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো দুর্বল। তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছ।


অর্থমন্ত্রী এর আগে গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে ঋণ পাচ্ছি। বাংলাদেশের জন্য মোট ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে।

ঋণে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি দল গত বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর ঢাকা সফর করেন। এরপর আইএমএফের ডিএমডি আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন।

২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭টি কিস্তিতে এই অর্থ বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া, ৪৪৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া হবে। অবশিষ্ট পরিমাণ ৬৫৯ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার ৬টি সমান কিস্তিতে দেওয়া হবে।


আরও খবর



রমজানে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে যা বললেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো শঙ্কা দেখছি না বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ভারত থেকে ডিজেল আসার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি সংকট কাটাতে চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন। আগামী ১৮ মার্চ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলে ডিজেলের ঘাটতি পূরণ হবে। এতে জ্বালানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে উত্তরের ১৬ জেলার মানুষ। যে ডিজেল আসবে তার মান ভালো।

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসের ১৮ তারিখ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তেল আনার এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সরবরাহ শুরু হলে দীর্ঘদিনের জ্বালানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে উত্তরাঞ্চলের মানুষ।

জানা গেছে, ভারতের শিলিগুড়ি নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) ও বাংলাদেশ মেঘনা পেট্রোলিয়ম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনে বছরে ভারত থেকে আসবে ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল। এছাড়া এ পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল আমদানিতে ব্যারেল প্রতি ৫ দশমিক ৫০ ডলার খরচ হবে। আগে চট্টগ্রাম-খুলনা বন্দর থেকে সড়কপথে তেল আনতে প্রতি ব্যারেলে ব্যয় হতো প্রায় ১১ ডলার।


আরও খবর



ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন শাকিব খান

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে চার ঘণ্টা অবস্থান করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক শাকিব খান। আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি সেখানে যান। আর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শাকিব খান বলেন, ‘গতকাল রাতে ভুয়া-প্রতারক নামধারী প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে আমি গুলশান থানায় গিয়েছিলাম। আপনার জানেন, আপনারও গিয়েছিলেন সেখানে। অনেক চেষ্টার পর আমি ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি। কিন্তু গতকাল ওসি সাহেব আমার মামলাটা নিলেন না। তিনি বললেন, “আপনি যেখানের খুশি গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন যে, আমি আপনার মামলাটা নিলাম না।” আমি সেখান থেকে বেড়িয়ে আসলাম।

ওই প্রযোজক সম্পর্কে নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘এই বাটপার-প্রতারক রহমত উল্লাহ শুধু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেনি, এই দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই দেশের লাখো মানুষ যারা আমাকে ভালোবাসে, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমার মনে হয়, এই রহমত উল্লাহ একা ছিল না। এই রহমত উল্লাহর পেছনে অনেক লোক জড়িত। না হলে এই রহমত উল্লাহর মতো এমন ভুয়া প্রযোজক নামধারী বাটপার, ভুয়া প্রযোজক সেজে আমার নামে বিচার চেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এ কারণে আমি ভুয়া প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। প্রযোজক নামধারী এ প্রতারক যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সেই কারণে আইনি ব্যবস্থা নিতে এখানে এসেছি।

ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের থেকে আশ্বাস পেয়েছেন জানিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘ডিবির মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমার সকল অ্যাভিডেন্স দেখেছেন। আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন। প্রতারণ রহমত উল্লাহর সকল অ্যাভিডেন্স দেখেছেন। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, অতিদ্রুত এই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে এই প্রতারণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। আমি ডিবি অফিসে লিখিত মামলা করেছি। তারা আমার মামলা আমলে নিয়ে দ্রুত একটি ব্যবস্থা নেবেন।

শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহনারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন রহমত উল্লাহ নামের সহপ্রযোজক। এই অভিযোগ তোলার পর তার নামে মামলা করতে গতকাল গুলশান থানায় যান শাকিব খান। থানায় মামলা না নেওয়ায় সেই প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আজ ডিবি কার্যালয়ে আসেন এই সুপারস্টার।


আরও খবর



মাথায় হাত তানোরের আলু চাষিদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর, তানোরগত মৌসুমে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে লাভের আশায় আলু রোপন করেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা। কিন্তু সেই আশায় পড়েছে হতাশার মেঘ। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। যদিও বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোয়া। তাহলে কৃষকের কঠোর পরিশ্রম অধিক খরচের এবং ঝুকিপূর্ণ আলুর বাজার কেন এত কম এমন হাজারো প্রশ্ন চাষীদের। কারা এই সিন্ডিকেট করে কৃষকদের পথে বসাতে মরিয়া,কে নিয়ন্ত্রণ করছে বাজার, কারা দাম কমাচ্ছে বাড়াচ্ছে এধরনের প্রশ্নের কোন উত্তর খুজে পাচ্ছেনা কৃষকরা।


অথচ আগাম আলু ১৮-১৯ টাকা কেজি দরে জমি থেকই বিক্রি করেছেন কৃষকরা। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, কীটনাশক সারের সিন্ডিকেটের শেষ নেই। বিশেষ করে রোপনের সময় দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে পটাশ সার। এতে করে যে কোন বছরের তুলনায় বিঘায় ১৫-১৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, সেচের খরচও বাড়তি। অথচ আলু ১১ টাকা ৫০ পয়সা, ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। নেই বহিরাগত আলু কেনা ব্যবসায়ীরা। ফলে চরম হতাশায় ভুগছেন আলু চাষিরা, দাম কম থাকায় কপালে জমেছে চিন্তার ভাজ

আলু চাষি লুৎফর জানান, প্রতিবার ৯০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। গত মৌসুমে আগাম বিক্রির জন্য লোকসান কম হয়েছিল    লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে এবারও ৭৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলু তোলা শুরু হয়েছে। সবকিছুর বাড়তি দাম। প্রতি বিঘায় ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং লোকসান হবে বিঘায় ১৪-১৫ হাজার টাকা করে


চান্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ গ্রামের গোলাম রাব্বানী জানান  গত মৌসুমে  ১২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে লাখ টাকা লোকসান হয়। এবারো একই পরিমান জমিতে লাভের আসায় আলু চাষ করি, বাজারে যে দাম  তাতে ২০-২৫  লাখ টাকা  লোকসান গুনতে হবে। তিনি পাচন্দর ইউপির বিনোদপুর মাঠে আলু চাষ করেছেন। আলু উত্তোলন চলছে। কীটনাশক সার সেচের অতিরিক্ত খরচ। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম দ্বিগুণ হলেও আলুর বাজারে চরম ধস। 


মাহবুর রহমান মিঠু নামের আরেক চাষি জানান গতবার ১৩৫  বিঘা জমিতে লোকসান হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। সেই লোকসান নিয়ে লাভের আসায় পুনরায় একই পরিমান জমিতে চাষ করি। কিন্তু এবার খরচের টাকাও উঠবেনা। তিনি পাচন্দর ইউপির কচুয়া মাঠে আলু চাষ করেছেন এবং উত্তোলন চলছে পাচন্দর ইউপির চিমনা গ্রামের কৃষক  শাপিউল জানান  গতবার বিঘা জমিতে আলু করে  লাখ টাকা লোকসান হয়। লাভের আসায় বিঘা জমিতে আলু চাষ করে খরচের টাকাও উঠছে না


একই গ্রামের ওমর জানান গতবার ২০ বিঘা জমিতে প্রচুর  লোকসান হয়েছিল। এবার কমিয়ে ১০ বিঘা জমিতে চাষ করে পুরোটায় লোকসান হবে মনে হচ্ছে।একাধিক আলু চাষিরা জানান, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হিমাগার মালিক সমিতি। তারা ইচ্ছেমত দাম নির্ধারন করে। তাদের সিন্ডিকেটের কারনে পথে বসতে হচ্ছে আমাদের। 


প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অথচ আলুর দাম নাই। তিনমাস কঠোর পরিশ্রম করার পর আলু উঠে। লাভের জন্য চাষ করা হয়। একমাস আগে আলুর বাজার ছিল ১৮-১৯ টাকা কেজি। সেই বাজার কমে ১১-১২ টাকা কেজিতে নেমেছে। আলু রোপনের সময় দ্বিগুন দামে সার কীটনাশক কিনতে হয়েছে। যেখানে বিঘা জমিতে খরচ হত ৪০-৪৫ হাজার টাকা, আর এবার ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।


সার কীটনাশকের বাড়তি দামের কারনে পর্যাপ্ত দিত না পারায় বিঘায় ১২-১৪ বস্তা ফলন কম হচ্ছে। আলুর বাড়তি দাম হলে কৃষি দপ্তরের বিপনণ বিভাগ হৈচৈ ফেলে দেয়। এখন দাম কম চাষিরা পথে বসছে আর তারা নিরবতা পালন করছে। এক কথায় কৃষক মরল কি বাচল সেটা কারো আসে যায় না। অথচ এই কৃষকরাই দেশে খাদ্য ঘাটতি ফেলতে দেয়নি। আর এদের নিয়েই মহা সিন্ডিকেট। কে শুনে কার কথা। আবার গভীর নলকূপ অপারেটরদের তো আছেই সেচ নিয়ে কারসাজি। বিদ্যুতের দাম বাড়তি বলে বিঘায় ১৫০০-২০০০ টাকা সেচ হার নিচ্ছে। যেখানে বিঘায় উর্ধ্বে ৪০০ টাকার বেশি সেচ হার লাগবেনা। এখানেও বেপরোয়া নৈরাজ্য


গাগরন্দ গ্রামের আলু চাষি মুসলেম জানান, গতবার ৩০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে লাখ ৭০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এবারও ৩০ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। কয়েকদিন পর তোলা শুরু করব। বর্তমান বাজার অনুযায়ি ৩০ বিঘাতে লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান হবে। এভাবে লোকসান হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হিমাগার মালিক সমিতি। তাদের কাছে কৃষি বিপণন বিভাগ জিম্মি হয়ে আছে। তারাই যেটা করবে সেটাই সঠিক। তবে বিবিন্ন ভাবে খোজ নেওয়া হচ্ছে কোন অবস্থাতেই দাম বাড়বেনা, কিন্তু কমার সম্ভবনাই বেশি। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবারে উপজেলায় ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা দেশের তৃতীয়। নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য রোগবালা কম ছিল। দাম তো নির্ধারন করা কৃষি অফিসের কাজ না। এজন্য বিপণন বিভাগ রয়েছে। তবে বাজারে যে দাম আছে হিমাগারে রাখলে পরে দাম পাবে বলে মনে করেন তিনি



আরও খবর



মিলন মেলার নামে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ক্ষুব্ধ তানোর বাসী

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহী তানোরে মাধ্যমিক নিম্ম মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বন্ধ করে শিক্ষক কর্মচারী মিলন মেলার নামে এমপি সভা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকাল থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। একযোগে উপজেলার সকল শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে রাজনৈতিক সভা করছেন এমপি ফারুক চৌধূরী বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন। এতে করে শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে এমপির বিরুদ্ধেও উঠেছে সমালোচনা, সেই সাথে রাজনৈতিক ভাবে শিক্ষক কর্মচারীরাই কি আগামী ভোটে এমপির মুল কর্মী হিসেবে মাঠে থাকবেন এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। কারন গত ১৮ মার্চ শনিবার উপজেলার সকল কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মিলন মেলায় আসা বেশকিছু শিক্ষকরা জানান, আমাদের বলা হয়েছে মিলন মেলা হবে, এবং শিক্ষার মান ও শিক্ষকদেরও কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু কোন শিক্ষককে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। নতুন কারিকুলামে পাঠদান হবে, সেই বই বা নির্দেশনা পায়নি। এসব বিষয়সহ শিক্ষকরা আরো কিছুই বিষয়ে কথা বলত, কিন্তু কাউকে কোন কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাহলে কিজন্য শিক্ষক মিলন মেলা বলা হল। পুরোটাই এমপি সভা হয়েছে, তিনি প্রায় ২ ঘন্টা সময় ধরে বক্তব্য দিয়েছেন। আগামীতে জাতীয় নির্বাচন নিজের পক্ষে রাখতেই সভা। যাকে বলে শিক্ষকদের টাকায় এমপির ব্যক্তিগত সভা।

সভায় না আসা আরেক শিক্ষক জানান, এক সাথে সকল স্কুল মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে এভাবে সভা করে শিক্ষার মান বাড়বে কিভাবে। মিলন মেলায় যাও আর নাই যাও চাঁদার টাকা দিতে হয়েছে। বেআইনি ভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শিক্ষকদের যেতে বাধ্য করা হয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে বিভিন্ন দল ও মতের শিক্ষক রয়েছে, তারা কি সবাই এমপির পক্ষে থাকবেন। আর মিলন মেলা হোক কিন্তু পাঠদান ব্যাহত করে করার এখতিয়ার নেই।

জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক নিম্ম মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী কল্যান সমিতির আয়োজনে চান্দুড়িয়া নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। মাধ্যমিক সমিতির সভাপতি চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ ওমর ফারুক চৌধূরী। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন স্কুল সমিতির সম্পাদক আকচা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন, মাদ্রাসা সমিতির সভাপতি সরনজাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার সিরাজুল ইসলাম, সম্পাদক গোকুল দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হামিদ।

উপজেলায় ৬৭ টি মাধ্যমিক ও ২৮ টি মাদ্রাসা বন্ধ করে হয় মিলন মেলা। সভাপতি জিল্লুর রহমান জানান, প্রতি বছর হয় এবারো হয়েছে, নিউজ হলে হবে। মাদ্রাসা সমিতির সিরাজুল ইসলাম জানান, এসব বিষয়ে আমার কিছুই বলার নাই। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অডিট আইন) নাদিয়া মাহমুদ জানান, সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোন আইন নেই। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শশক (রাজশাহী বিভাগ)  শহীদ লতিফ জানান, একযোগে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কোন মিলন মেলা করার সুযোগ নাই। তদন্তে প্রমান হলে কঠোর ব্যবস্থা।

উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেনও একই ধরনের কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর আব্দুল খালেক সরকার জানান, বছরে একদিন প্রধান শিক্ষকরা ছুটি দিতে পারেন। কিন্তু একসাথে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মিলন মেলা বা সভা করার কোন আইন বা বিধান নেই।আমি ঢাকাতে আছি বিস্তারিত খোজ খবর নিয়ে এমন হয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

আরও খবর



নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে প্রশাসন ও বিজেবি'র অভিযানে ১০৯টি গরু জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ২৩জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু সীমান্তে  উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি'র যৌথ  অভিযানে ১০৯টি চোরাই গরু জব্দ করা হয়েছে।গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলা সদরের কম্বনিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২১টি অবৈধ বার্মিজ গরু জব্দ করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন,১১ বিজিবি ও নাইক্ষ্যংছড়ি পুলিশের সমন্বয়ে গড়া ট্রাক্সফোর্স।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,ট্রাস্কফোর্সের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা।

এর আগে ২টি অভিযানে ৮৮ টি বার্মিজ গরু জব্দ করে ট্রাস্কফোর্স।অভিযানের বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ রেজাউল করিম জনান, সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থান রয়েছে।বিশেষ করে গরু চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে রাত দিন অভিযান চলছে। আর হাতে নাতে যাকে পাওয়া যাবে তার বিরুদ্বে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


আরও খবর