Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

আগামীকাল কালিয়াকৈরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে যাচ্ছেন। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আনসার ভিডিপি একাডেমিসহ আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কালিয়াকৈর উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিস ও আনসার একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের আমন্ত্রণপত্র অনুযায়ী আগামীকাল সকাল ১০ ঘটিকায় সফিপুরে আনসার একাডেমিতে আগমন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন। ৪৪তম জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করবেন। কুচকাওয়াজ শেষে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী দক্ষতা এবং কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আনসার ভিডিপি সদস্যদের পুরস্কৃত করবেন। এছাড়া সংঘবদ্ধ মার্চ ও কুচকাওয়াজ সমাপ্তি, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। জাতীয় সমাবেশের কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে। এরই মধ্যে সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে আনসার সদস্যরা এ আনসার ভিডিপি একাডেমিতে সমবেত হয়েছেন। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

কালিয়াকৈর থানার তদন্ত ওসি সাব্বির রহমান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে আনসার একাডেমিসহ আশপাশের এলাকায় নিররাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরা সেখানে থাকবেন।


আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের তেঁতুলবাড়িয়া রাতিন ষ্টোরে চুরি: পাহারাদারের গা ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে রাতিন ষ্টোর ‘মুদি দোকানে’ এক চুরির ঘটনা ঘটেছে।দুই সপ্তাহেও চুরির রহস্য উদঘাটন হয়নি। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় আঃ ওয়াদুদ হাওলাদার বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। এতে ওই বাজার ব্যসায়ীদের মধ্যে দিনদিন আতংকে বাড়ছে।অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে গত (২৯ রমজান ৯ এপ্রিল) গভীর রাতে রাতিন ষ্টোরের ৪টি তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও মালামাল হাতিয়ে নেয় চোরের দল।

ফারুক মৃধা ও হাকিম মোল্লা নামের দুই জন ওই রাতে বাজারে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে, ওই রাতে স্থানীয় ভ্যান চালক দক্ষিণ সুতালড়ী গ্রামের বাচ্চু ফরাজী দেখতে পায় পাহারাদার হাকিম মোল্লা খালি গায়ে রাতিন ষ্টোরের সামনে দাড়িয়ে আছে। পরের দিন সকালে তিনি শুনতে পায় রাতিন ষ্টোরে চুরি হয়েছে। সে সুবাধে থানা পুলিশ ভ্যান চালক বাচ্চু ফরাজীকে স্বাক্ষী নিয়েছে ও জড়িত সন্দেহে পাহারাদার হাকিম মোল্লাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হাকিম মোল্লা ১০ দিনের মধ্যে চোরকে সনাক্ত করে নগদ টাকার উদ্ধারে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন। সে প্রতিশ্রুতির ২০ এপ্রিল তারিখ শেষ হলে পাহারাদার হাকিম মোল্লা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে।

রাতিন ষ্টোরের মালিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আ.ওয়াদুদ হাওলাদার বলেন,তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে ১৫২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা আতংকে আছি।এরকম চুরি পাহারাদার হাকিম মোল্লা পূর্বেও ঘটিয়েছে। চুরির ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পাহারাদারের স্ত্রী নারগীস বেগম বলেন, আমার স্বামী গত দুই দিন ধরে বাড়িতে আসেনা। মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে গেছে। ২০ এপ্রিল থানায় বসার তারিখ ছিল। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই অভিযোগের (তদন্তকারি কর্মকর্তা) বিকাশ দত্ত বলেন, তেতুলবাড়িয়া বাজারের চুরির ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাহারাদার গা ঢাকার বিষয়টি শুনেছি। সে পালিয়ে থেকে পার পাবে না।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, অপরাধী এবং আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০এপ্রিল) বেলা ৩ টার সময় কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার সামনে কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুস্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি আল আসাদ রেমন, সাধারন সম্পাদক শেখ শুভিন আক্তার, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহাবুব হোসেন মিলন, সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম তৌফিকুল কবির তুহিন, অর্থ সম্পাদক তৌফিক আহম্মেদ শাওন , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, সদস্য হাবিবা, নীম, নজরুল ও আরিফ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কুষ্টিয়া সদরের বটতৈল আনসার ক্যাম্প মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রহমানের (পুলিশ) মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের বাড়ীর সামনে তার মেসার্স ফাহিম ট্রেডার্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানে গত ৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারটার সময় হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এলাকার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী। এদিন থানায় অভিযোগ দিলেও তা নিতে বিলম্ব করেন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। মামলা নং-১৮ , তাং-১১/০৪/২০২৪ইং । এরই মধ্যে উল্টো হামলাকারীদের অভিযোগ এজাহার নিয়ে পুলিশ তার হীন মানুষিকতার পরিচয় দেন । নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে লুটপাট ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অপরাধী ও আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানে পুলিশের প্রতি আহবান জানান। নতুবা আগামীতে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ আরো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃগ্রাম্য এলাকাগুলোতে নববর্ষ উপলক্ষে রংমাখানো, নদী বা পুকুরে মাছ ধরা, গোসল করার প্রচলন রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় কুলিক নদীতে দুই শিশু গোসল করতে যায়। গোসলের একপর্যায়ে দূজনে পাতিতে তলিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নববর্ষ উপলক্ষে কুলিক নদীতে রবিবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নে খঞ্জনা গ্রামের ইব্রাহিমের কন্যা ইয়াসমিন (১০) দিনাজপুর সদর উপজেলার রেল স্টেশন এলাকার ইউসুফ আলী’র কন্যা তসলিমা (৮) গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা তসলিমা ইয়াসমিনের সাথে দুপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে কুলিক নদী পানিতে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। 

এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, থানা পুলিশসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর



আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া জরাজীর্ণ ঘরেই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে রেজাউল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িতেই পরিবারের সদস্য নিয়ে কষ্টে বসবাস করছেন দিনমজুর রেজাউল করিম। গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে তার বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তার ঘরের টিনের ছাউনি, কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ঘর পুনরায় সংস্কার করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ কারনে তিনি আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দিনমুজর রেজাউলের ঘরের মাটির তালা কয়লায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। টিনের ছাউনি আগুনে পুড়ে ফায়ার সার্ভিসের পানির চাপে ঘরের চারদিকে এলোমেলো পরে রয়েছে। বাড়ির ভিতর ও বাহিরে রাখা আছে আগুনে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, টিন ও অন্যান্য তৈজসপত্র। বাড়ির দুটি কক্ষে গাদাগাদি করে রাখা আছে বেঁচে যাওয়া অন্যান্য আসবাবপত্র।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই বাড়িতেই পরিবারের দুই মেয়ে, দুই নাতি ও রেজাউল দম্পতির বসবাস। ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দিনমজুর রেজাউল হওয়াই তাদের পক্ষে ওই বাড়িটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। একারণে ঘরের উপরে ছাউনি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রচন্ড তাপদাহে কষ্ট করে সেখানেই অবস্থান করছেন তারা। যে কোন সময় ঝড় বা বৃষ্টি হলে পরিবারটি পরতে পারে মহা বিপদে। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে দিনমজুর রেজাউলের বাড়িতে গোয়াল ঘরে চুলার কয়লার আগুন থেকে আগুনের সূত্র পাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে সাড়া বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার বাড়ির টিনের চালা, ঘরের মাটির তালাতে রাখা খরকুটো সহ অন্যান্য কিছু আসবাব পুড়ে যায়। খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে পৌনে এক ঘন্টা ব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

দিনমজুর রেজাউল করিম বলেন, এনজিও থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে আমার বাড়ির টিনের ছাউনী দিয়েছিলাম। কিস্তি পরিশোধের আগেই আগুনে পুড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। পোড়া বাড়িতেই প্রচন্ড গরমের মধ্যে পরিবার নিয়ে আছি। বর্তমানে এটা ছাড়া আমার থাকার মতো কোন পথ নাই। আমি অন্যের বাড়িতে কামলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন আমার অন্যের সহযোগীতা প্রয়োজন।

আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌনে এক ঘন্টা প্রচেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়। গোয়াল ঘরের পাশের চুলার জ¦লন্ত কয়লার আগুন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।পৌর মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী বলেন, দিনমজুর রেজাউলকে পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর