Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ট্রেন ছুটবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৮১জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:শীঘ্রই ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ট্রেন ছুটবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই রেল লাইনে প্রথম ট্রায়াল শুরু হবে। বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে আগামী জুন মাসে। এতে পূরণ হবে কক্সবাজারবাসীর আরেকটা স্বপ্ন। বাণিজ্যিকভাবে শুরু হলে কক্সবাজার পর্যটন শিল্প আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যেই ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে।কক্সবাজারের স্টেশনটির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাঁচ তলা বিশিষ্ট এই স্টেশনে থাকবে শপিং মল, ফুড কর্নার, লকার, কনভেনশন হলসহ ১৭টি বাণিজ্যিক কার্যক্রম। সমুদ্র দর্শনে এসে প্রথম দর্শনেই সামুদ্রিক একটা আবহ পাওয়া যাবে গোটা স্টেশনে। সেপ্টেম্বর মাসে এই রেলপথে ট্রেনের প্রথম ট্রায়াল রান হবে। আর বাণিজ্যিকভাবে আগামী বছরের জুনে ট্রেনের হুইসেল বাজবে কক্সবাজারে। এতে কম সময়ে, কম খরচে আরামদায়কভাবে যাতায়াত করতে পারবেন এই অঞ্চলের মানুষ। ফলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে বইছে সম্ভাবনার সুবাতাস। দেশের অর্থনীতির গতি বাড়বে বহুগুণ। হবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের অদূরে গুমদুম র্পযন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০১০ সালে হাতে নেয় সরকার। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। দুই পর্যায়ে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। আর এই অংশেরই ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে রামু থেকে মিয়ানমারের অদূরে গুমদুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭৫২ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে এটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওর্য়াকের আওতায় আনতে, পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহনে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।জানতে চাইলে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী জানান, এ প্রকল্পের ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে চট্টগ্রাম তথা ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি ট্রায়াল রান করা হবে। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে দুই জোড়া ট্রেন চলবে। পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ঢাকা থেকে যেসব ট্রেন চট্টগ্রাম পর্যন্ত আসে, সেসব ট্রেনের শেষ গন্তব্য হবে কক্সবাজার। এছাড়া সম্পূর্ণ নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। কুয়েত থেকে নতুন কোচ আনা হয়েছে। তবে এখনো ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি জানান, ট্রেন চালু হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসতে সাড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লাগবে। এসি সিটের ভাড়া ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর নন এসি হতে পারে ৭০০ টাকা।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্প নির্মাণে হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর নির্বিঘ্নে চলাচল করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। বর্তমানে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন আছে। এ কারণে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে বন-পাহাড় নদী পাড়ি দিয়ে রেলপথটি যাচ্ছে কক্সবাজারে। নয়টি স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। এর মধ্যে আছে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। এসব স্টেশনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। দোহাজারী থেকে চকরিয়া এবং চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ৩৯টি ব্রিজ ও আন্ডারপাস সহ ২৫১টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮১ কিলোমিটার অংশে রেলওয়ে ট্র্যাক বসানো হয়েছে। গত শনিবার আইকনিক এই রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, নান্দনিক ডিজাইন আর নির্মাণশৈলীতে গড়ে উঠছে স্টেশনটি। চারদিকে গ্লাস বসানো হয়েছে। ছাউনিটা পুরো কাঠামোকে ঢেকে রেখেছে। ওপরের ছাদ খোলা থাকায় থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। দিনের বেলা বাড়তি আলো ব্যবহার করতে হবে না এই রেলস্টেশনে। ফলে সবসময় ভবনটি সহনীয় তাপমাত্রায় থাকবে। স্টেশনটির ছাদ ঝিনুক আকৃতির। সামনে ফোয়ারা বসানোর কাজ চলছে, সেখানো মুক্তা বসানো হবে। ৬টি লিফট ও ২টি চলন্ত সিঁড়ি স্থাপনের কাজ করছেন শ্রমিকরা।সুবিশাল এই চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে। স্টেশনের ভেতরেই থাকবে কেনাকাটার ব্যবস্থা। থাকবে হলরুম। আবার চাইলেই নির্দিষ্ট লকারে ব্যাগ রেখে পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারবেন পুরো শহর। এমন ৫০০টি লকার থাকবে। থাকবে হোটেল ও গোসলখানা।তবে চালু হওয়ার আগেই নান্দনিক এই স্টেশনটি দেখতে আসছেন পর্যটকরা। তারা বলছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হলে গতি বাড়বে দেশের অর্থনীতির চাকার। সেই সঙ্গে তুলনামূলক চাপ কমবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর। কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। কারণ তখন সহজেই কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন বাড়বে। চাঙা থাকবে পর্যটন ব্যবসা। নতুন করে বাড়বে স্থানীয় কর্মসংস্থান। 


আরও খবর



আত্রাইয়ে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু, আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছে ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু হতে আরো ৭দিন সময় লাগতে পারে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় ও কৃষি বিভাগের যথাযথ পরামর্শে যথাসময়ে কৃষকরা ভালো পরিচর্যা করায় এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।

একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমে কৃষকদের কষ্ট হলেও ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কেটে মাড়াই এর কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও ভালো ফলনে বেজায় খুঁশি। তবে শেষ পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই শঙ্কায় রয়েছে কৃষকেরা।

শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর এ সময় দেশের দক্ষিণ ও উওরাঞ্চল বিশেষ করে নাটোরের লালপুর, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, চিলাহাটি, ডোমারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিক এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আসতে শুরু করেছে। এদিকে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দিগন্তজুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের সমারোহ। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলনের বুকভরা আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। বাজারে নতুন ধানের আমদানি হওয়ায় কেনা-বেচা শুরু হলেও দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, মনিয়ারী, পাঁচুপুর ও বিশা ইউনিয়ে সর্বাধিক পরিমান জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এবারে বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের বোরোচাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপন ও পরিচর্যা সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। অনেক মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন পুরোদমে বোরো ধান কাটতেও শুরু করেছে। তারপরও অধিকাংশ মাঠগুলোতে ধানের শীষের সাথে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। 

উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান, আমি এ বছর ১১ বিঘা জমিতে  বোরো লাগিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাসময়ে ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের কৃষক মো. আজাদ সরদার জানান, আমি এবার ১৬ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হয়েছে। আশাকরি বাজারে দামও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর-মির্জাপুর হাটের ধান ব্যবসায়ী জুয়েল জানান, গত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে। আশা করছি দু-চারদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।

এ ব্যাপারে পাঁচুপুর  ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জানান, আমরা বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, বোরো চাষের শুরু থেকেই ভাল মানের বীজ, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা মাড়াই শুরুও হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। তারপরও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে ওই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি। 


আরও খবর



নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে পর্নোগ্রাফি বিক্রি, আটক সাত ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর পত্নীতলার বটতলী বাজার এলাকায় পর্ণগ্রাফি সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিক্রয়ের অভিযোগে সাত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৬ টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার বদলপুর গ্রামের বিরেন চন্দ্র মন্ডলের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ বাবু (২৮), একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ছেলে  মোকছেদুল মমিন (২৫), বন্দীনাথের ছেলে মনষা (২৮), মধইল গ্রামের ছয়ফুল ইসলামের ছেলে আবদুল করিম (২৩), গুটিন গ্রামের আবদুল গাফফারের ছেলে  আল আমিন (২১), একই গ্রামের জয়রাম উরাওয়ের ছেলে অনুকুল (২৮), মানাষী গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২২)।

র‍্যাব জানায়, তারা বটতলী বাজার এলাকায় তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অশ্লীল সিনেমা ও ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করত। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ায় তাদের নিজ দোকানে অভিযান চালিয়ে পর্নো ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

আরও খবর



হিলি সীমান্ত পরিদর্শন করলেন তিন বাহিনীর ৭৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর ৭৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ঢাকাস্থ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এর এএফডাব্লুসি কোর্সের শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন উর রশিদ এর নেতৃত্বে ৭৮ সদস্যের একটি প্রশিক্ষনার্থী দল হিলি সীমান্তে আসেন।

সোমবার দুপুর দেড় টায় হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটে পৌঁছালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন উর রশিদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জয়পুরহাট- ২০ বিজিবির অধিনায়ক তানজিলুর রহমান। এরপর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন উর রশিদ হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের শুন্য রেখায় ভারতের ৬১ ব্যাটালিয়ানের বিএসএফের সহকারী অধিনায়ক প্রেম বিসোয়াতকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে প্রতিনিধি দলটি সীমান্ত দিয়ে দুদেশের মাঝে আমদানি-রফতানি বানিজ্য,পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারসহ বিজিবি ও বিএসএফের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন।এরপর প্রতিনিধি দলটি বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে বিজিবির সাথে বৈঠক করে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।


আরও খবর



ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি !

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার,স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানী ডেমরা থানাধীন বাঁশের পুল এলাকার ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের ভেতরে ভবন নির্মাণে ত্রুটির কথা বলে সংবাদ প্রকাশ করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি চেষ্টা কালে স্থানীয়দের সাথে বিরোধের জের ধরে দুজনকে গনপিটুনি দেয়া হয়েছে।এ সময় নাম সর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দানকারী শরীফুল ইসলাম ও মাকসুদুল আলম রবি নামে দু'জন  আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ইস্টার্ন হাউজিং প্রকল্পটির ভেতরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় রাজউকের দোহাই দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বেশ কয়েক জন ব্যক্তি। কয়েক দিন আগে অখ্যাত একটি আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে।

এর পর নানা ভাবে এসব ভবন মালিকদের রাজউক দিয়ে বিল্ডিং ভেঙে ফেলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। সোমবার ২২ এপ্রিল দুপুরে ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন ভবনের চিত্রধারণ করতে থাকে।এ সময় শরিফুল ইসলাম প্রকল্প এলাকার ভবন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এর সাথে খারাপ আচরণ করে।পরবর্তীতে আশেপাশের ভবন থেকে লোকজন এসে তাদের কে চ্যালেঞ্জ করলে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায় পরে দুইজনকে উত্তম মধ্যম দেয় উপস্থিত জনতা।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের ভিতরের মারা-মারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এরই মধ্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও খবর



মধুপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ- টাঙ্গাইলের মধুপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র ও রেজিষ্ট্রেশন বুথের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে এ  সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল হক চৌধুরী। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. শরফুদ্দীন, টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবাযের হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান, ধনবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির হোসাইন, মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহানা শিরিন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনি শংকর রায় প্রমুখ।

এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীসমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

 -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর