Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৮০জন দেখেছেন

Image

বাসস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। আজ বুধবার ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চারজন সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই স্বাধীন। আমরা আপনাদের ওয়েস্টমিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে সামরিক শাসকদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের।

তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতো এবং রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা করতো।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোজ্যতেল আসত। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এই আইটেমগুলোর আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এই জিনিসগুলোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা এ উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘বিশেষ করে তারা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলসহ কানেকটিভিটির উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে তারা বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়। তারা উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।

তারা আরও বলেন, যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।

ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানান ইহসানুল করিম।

শেখ হাসিনা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।

তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নৌকার নমিনেশন না পেয়ে লাইভে এসে যা বললেন সিদ্দিকুর (ভিডিও)

প্রকাশিত:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ২৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রাজধানীর অভিজাত একাধিক এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে বইছে ভোটের হাওয়া। আগামী ১৭ জুলাই আসনটিতে হবে উপনির্বাচন। বর্তমান সংসদের পাঁচ মাস বাকি থাকলেও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার দৌঁড়ে ছিলেন ক্ষমতাসীন দলটির রাজনীতিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও তারকারা। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানও।

মনোনয়ন সংগ্রহের পর ওইদিন ছোটপর্দার রম্য এই অভিনেতা বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মনোনয়ন বোর্ড যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি এ আসনে ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়ন করব।

কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে মনোনীত করা হয়। পরে গণভবনের বাইরে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

এদিকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের। এরপর গভীর রাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-১৭ আসনের জন্য আমাকে সিলেকশন করেননি। সে কারণে একটু মন খারাপ।

‘কিন্তু মন খারাপ হলে মানুষ কী করে, মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। সেজন্য আমিও ‍ঘুরতে আসছি দুবাইয়ে এবং কেনাকাটা করতে। অনেকেই আছে যে মন খারাপ হলে ঘুরলে এবং কেনাকাটা করলে মন ভালো হয় আমারও তাই। আমি আওয়ামী লীগের লোক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রীর আদর্শের সৈনিক। নৌকার মানুষ আমি। আমি সেই জায়গা থেকে বলতে চাই ঢাকা-১৭ আসন থেকে যাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে আমি সত্যিকার অর্থে মানুষটার পক্ষেই কাজ করব, নৌকার পক্ষে কাজ করব। কারণ, আমি নৌকার বাইরের মানুষ না। আমি আওয়ামী লীগের,’ বলেন এই অভিনেতা। 

ওই ভিডিও বার্তায় সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা যারা এই নৌকার মাঝি হওয়ার জন্য নমিনেশন পেপার উঠিয়েছিলেন আমি ছাড়াও ২১ জন। এই ২১ জনের মধ্যে আমার বাবার সমতুল্য মানুষও ছিল। আমি তাদের একটা কথা বলতে চাই- দিনশেষে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হয়ে বাঁচতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে বাঁচতে চাই। সেজন্য আমি বলব, আসুন আমরা সবাই মিলে উন্নয়নের মার্কায়, নৌকার পেছনে থাকি। নৌকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার সেগুলো করি।’

ছোটপর্দার এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার কাণ্ডারী করে ঢাকা-১৭ আসনের জন্য নমিনেশন দিয়েছে আমরা সবাই যদি তার জন্য কাজ করি, আমার মনে হয় সেটা হবে সত্যিকারে আওয়ামী লীগের পরিচয় দেওয়া। আমি আশা করব গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট এবং ভাষানটেক এলাকার মানুষগুলো একত্রিত হয়ে নৌকাকে জয়ী করবে আগামী উপনির্বাচনে।’

সিদ্দিকুর বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে হয়ত বা আমাদের কে দেখতে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন যে তার যোগ্যতার মাপকাঠিতে আমরা আসলেই যোগ্যতা অর্জন করেছি তাহলে এখান থেকে আমাদের যে কারও একজনকে দেখতে পারেন এই ঢাকা-১৭ আসনের জন্য বা বাংলাদেশের অন্য একটা জায়গার জন্য। সর্বপরি সবাইকে বলব অচিরেই ফিরে আসব বাংলাদেশে। সবাই ভালো থাকবেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসতে পারি।

গত ১৫ মে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মৃত্যুবরণ করার পরে এই আসনটি শূন্য হয়। পরে গত ১ জুন এই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ১৭ জুলাই হবে নির্বাচন। ব্যালটের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।

ঢাকা-১৭ আসন উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। এর আগে ৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সবাই।


আরও খবর



অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে চিলমারী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

আলমগীর হোসাইন, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ অবৈধভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের সন্নিকট থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বাধাহীনভাবে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রকল্পটি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বামনের হাট রেগুলেটর থেকে চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাসন্তীপাড়া পর্যন্ত যে কোন জায়গায় ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পটি দেবে গিয়ে দেখা দিতে পারে বিপর্যয়।

যুগের পর যুগ ধরে করালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদ দেশের অন্যতম প্রাচীন নৌ বন্দর চিলমারীকে গ্রাস করে চলছিল। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাস্তভিটা হারিয়েছে। কোন কোন পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথের ভিখারি হয়েছে। বর্তমানে চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন পুরোপুরি ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে বিলীন। বাকি তিনটি ইউনিয়নের অর্ধেকেরও বেশি অংশ ব্রহ্মপুত্র নদ গ্রাস করে ক্রমাগত চিলমারীর শেষ অংশটুকু গিলে খাওয়ার পথে এগোচ্ছিল। গত ১৭ই জুলাই ১৯৯৩ইং চিলমারী বন্দর নদী ভাঙন প্রতিরোধ আন্দোলন নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে নদী ভাঙ্গণ প্রতিরোধ আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীরা চিলমারী থেকে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম গিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে সংগ্রাম করেছেন।

এই আন্দোলন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টিতে আনতে সক্ষম হয়। অবশেষে দীর্ঘ দেড় যুগ আন্দোলনের সফলতা আসে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা ফেজ-১ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ইং সালের জুলাই মাসে ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প ফেজ-১ এর কাজ শুরু করা হয়। ৯৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার অংশে জুন’২০০৯ইং উক্ত কাজ শেষ হয়। এরপর থেকে ফেজ-২, ফেজ-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে গিয়ে শেষ হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে চিলমারীবাসীর স্বপ্ন ও প্রাণের দাবি পূরণ হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবার পর চিলমারী উপজেলার যৎসামান্য অংশ রক্ষা পেয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে চিলমারী নামের একটি উপজেলার অস্তিত ধরে

রেখেছে। কিছু বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ ডানতীর প্রকল্পের ডানতীর সংলগ্ন এলাকা থেকে বিরামহীন ভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালুর ব্যবসা করছে। শুধুমাত্র চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর এলাকায় ১৪টি পয়েন্টে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা প্রকল্পের নীচ অংশে বিশাল আকৃতির গর্ত দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোপূর্বে অনেক এলাকায় একাধিক জায়গায় হঠাৎ কিছুদূর করে অংশ দেবে যাওয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বোল্ডার ফেলে দেবে যাওয়া অংশগুলিতে নদী ভাঙন কোনোমতে ঠেকিয়ে রেখেছে। এই প্রতিরক্ষা প্রকল্পটির কোন অংশ পুরোপুরি দেবে গেলে আর চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না। এ বছর ৭০ সদস্য বিশিষ্ট একটি গ্রুপ একসাথে শেয়ার করে রমনা নৌ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করে নদী তীরেই বালুর স্তুুপ করে সেখান থেকে শতাধিক ট্রলিতে বালু বিক্রি করছে।

এছাড়াও বাসন্তী গ্রাম জোড়গাছের ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর ধরে রমনা মিয়া বাড়ির সামন ও পিছনসহ রাজারভিটা, পুটিমারী ও ফকিরের হাট এলাকায় মোট ১৪টি পয়েন্টে একাধিক গ্রুপ বা ব্যক্তি বালুর ব্যবসা চলছে। ফলে এই বালু ব্যবসার উপর প্রায় ২ হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। বিভিন্ন বালু পয়েন্টের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, তারা অবৈধ নয় বরং বৈধভাবে বালুর ব্যবসা করতে চায়। তাদের দাবি চিলমারীকে বালু মহাল ঘোষণা দেয়া হউক। এটা হলে তারা যেমন বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারবে পাশাপাশি সরকারও এই বালু মহাল থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পাবে।১৭ মে ২০২৩ বিকেলে চিলমারী উপজেলার সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ ও বালু উত্তোলন বন্ধ করার বিষয়ে এক মতবিনিময় করেন। এ সময় চিলমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু বলেন, প্রথমত বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না।

সরকার যদি চিলমারীতে বালু মহাল ঘোষণা দেয় তখন যত্রতত্র জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হবে এবং একটি নিরাপদ এলাকাকে বেছে নিয়ে একটি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বালু উত্তোলিত হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম চিলমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক এস, এম নুরুল আমিন সরকার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তার প্রথম এবং শেষ কথা আগে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। তারপরে অন্য বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। প্রেসক্লাব চিলমারীর সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মণিরুল ইসলাম লিটু বলেন, চিলমারী থাকলে তো বালুর ব্যবসা থাকবে। চিলমারী না থাকলে বালুর ব্যবসা হবেটা কোথায়। তিনি বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।চিলমারী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা পারভেজ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পুরো চিলমারীর মানুষের একটাই কথা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। চিলমারী উপজেলা রক্ষার বিকল্পে আর কোন শব্দ নাই। এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানকে বলেন, আমি বালু উত্তোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু নানা কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারিনি। আপনারা সাংবাদিকগণ পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন। উপর থেকে আমাকে নির্দেশ দিলে আমি চিলমারীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেব।


আরও খবর



রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃরূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭ শত টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ছালাউদ্দিন ভূঞা  এ  বাজেট  ঘোষণা  করেন । বাজেটে রাস্তাঘাট, কালভার্ট, মেরামত ও নির্মাণ,  পানিসরবরাহ,  পানি নিষ্কাশন,মাদক বিরোধী গণসচেতনতা বৃদ্ধি, খেলাধুলা,  বিনোদন সহ সার্বিক উন্নয়নে  ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি১০ লক্ষ ৮৬ হাজার  ২০ টাকা। 

উদ্বৃত্ব ধরা হয়েছে ২২ লক্ষ  ৫২ হাজার ৬৮০ টাকা। উন্মুক্ত  বাজেট ঘোষণা  অনুষ্ঠানে  উপস্থিত  ছিলেন ইউপি সদস্য আলহাজ্ব রমজান আলী, আওলাদ হোসেন আলমগীর  হোসেন,রিটন প্রধান, মোরশেদ  আলম, আব্দুল্লাহ আল মামুন  দোলন,আব্দুল  কাইয়ুম,   মনির হোসেন,  জাকিয়া  সুলতানা,  জিন্নাত আরা জিসান,  জাহানারা, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব  মোঃ হাবিবউল্লাহ মিয়া ,  রূপগঞ্জইউনিয়ন  ছাত্রলীগের সভাপতি  আব্দুল আজিজ,  রূপগঞ্জ ইউনিয়ন  তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক  সোহেল প্রধান  প্রমুখ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কলমের দাম না বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

চাঁদপুর প্রতিনিধি:শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাজেটে শিক্ষা উপকরণের মধ্যে বলপেনের (কলম) দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আমাদের প্রস্তাব থাকবে- পেনের দাম যেন না বাড়ানো হয়।

আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বরাদ্দকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ। আরও যেটি দরকার, সেটি হচ্ছে গবেষণা। গবেষণায় এবারও থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত বছর এবং বিগত বছরে তাদের বরাদ্দ কাজে লাগাতে পারেনি। এ বছর তারা বরাদ্দ কাজে লাগাবে। আমরা গবেষণা ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটে শিক্ষা উপকরণের ক্ষেত্রে বলপেনের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনায় আমাদের প্রস্তাব থাকবে- পেনের দাম যেন না বাড়ানো হয়।

দীপু মনি বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দ প্রতি বছরই বাড়ছে। একই সঙ্গে আমাদের জিডিপির আকার তুলনামূলক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে হিসেবে শিক্ষায় বরাদ্দ কিছুটা কমেছে। আমাদের বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট চলছে, এগুলো শেষ হয়ে গেলে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট। আমরা দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষ তৈরি করব, যারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।


আরও খবর



বিশ্বনবী কঠিন বিপদে যে দোয়া পড়তেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক:মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে সুখ-দুঃখ, বিপদ-মুসবিত ততদিন থাকবে। বিপদকে ঘৃণা বা খারাপ দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অনেক সময় বিপদের কারণেই মানুষ আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। আবার যখন মানুষ চরম অন্যায়ের দিকে ধাবিত হয় তখনই মানুষের ওপর বিপদ-মুসিবত পতিত হয়। তিনি চাইলে মুহূর্তেই বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন।

তবে বিপদে পড়লে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) আমাদের ছোট্ট এই দোয়াটি পড়তে বলেছেন।

আরবি দোয়া : «إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرَاً مِنْهَا».

বাংলা উচ্চারণ : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখলুফ লী খাইরাম মিনহা।

বাংলা অর্থ : আমরা তো আল্লাহ্‌রই। আর নিশ্চয় আমরা তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। হে আল্লাহ! আমাকে আমার বিপদে সওয়াব দিন এবং আমার জন্য তার চেয়েও উত্তম কিছু স্থলাভিষিক্ত করে দিন।” (মুসলিম ২/৬৩২, নং ৯১৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতেন তখনই তিনি আল্লাহর কাছে একান্তভাবে দোয়া প্রার্থনা করতেন। এ সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন-

আরবি দোয়া : - أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

বাংলা উচ্চারণ : আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাযাবিহি ওয়া ইকাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াত্বিনি ওয়া আঁই ইয়াহদুরুন। (আবু দাউদ)

বাংলা অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে তার ক্রোধ ও আজাব থেকে, তার বান্দার শত্রুতা থেকে এবং শয়তানের প্ররোচনা থেকে সুরক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলার আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তারা আমার কাছেই না আসতে পারে।

সুতরাং প্রতিটি মুমিন মুসলমানের উচিত সর্বাবস্থায় আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। কারণ, কার বিপদ কখন কীভাবে আসবে সে কথা তো আর আগে থেকে বলা যায় না। তাই সর্বাবস্থায় মহান স্রষ্টার স্মরণে নিজেকে নিয়োজিত রাখা মুমিনের কর্তব্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। তার রহমতের চাদরে আমাদের আবৃত করুন। আমিন।


আরও খবর