Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

আগামী নির্বাচন একটি ‘কঠিন পরীক্ষা’: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘এসিড টেস্ট’ বা কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতির (অ্যাটকো) ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সামনে দ্বাদশ নির্বাচন… গণতন্ত্র উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য এটি একটি এসিড টেস্ট। তাই গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দেশ ও জনগণের জন্য কারা অপরিহার্য এবং কোন ধারার জনপ্রতিনিধি অবশ্যক, তা ঠিক করতে এবং জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমের কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিন... নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত পাঁচ দশক অধিককাল অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক চেষ্টা চালিয়েছে।দেশের তৃণমূল পর্যায়ের গণমাধ্যমের উপস্থিতি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনভাবে কাজ করতে গনমাধ‍্যমকে সরকার সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

স্বাধীনতা বিরোধীচক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে কোনোভাবেই যেন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সে লক্ষ্যেও গণমাধ্যমকে আরও তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম অবশ্যই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। সাথে সাথে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রমকে তুলে ধরতে হবে।’

দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে গণমাধ্যমকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কেউ যাতে ছদ্মাবরণে ও চতুরতার সাথে আমাদের ইতিহাসকে বিকৃতি করতে না পারে, সেজন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও রাষ্ট্রপতির সচিবরা। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও অ্যাটকোর সহসভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। অ্যাটকো সভাপতি সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।


আরও খবর



৫শ টাকার কমে ‘গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব’

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:হাট থেকে গরুর কিনে বাজারে আনা পর্যন্ত চাঁদাবাজিসহ নানা হয়রানির মুখোমুখি হতে হয় মাংস ব্যবসায়ীদের। তবে এসব হয়রানি বন্ধ করতে পারলে ৫শ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের মাংস ব্যবসায়ীদের মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের মাংস ব্যবসায়ীদের মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক 

সোমবার (১৮ মার্চ) মিরপুরের উজ্জ্বল গোশত বিতান পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

 ভোক্তার ডিজি  বলেন, চামড়ার দাম যৌক্তিক মূল্যে বিক্রির পাশাপাশি গরু আনার পথে হয়রানি কমাতে পারলে ৫শ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় কম দামে মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে অনেকে। অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।

 এদিকে, শাহজাহানপুরের আলোচিত ব্যবসায়ী খলিলের দেখানো পথে হেঁটে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন মিরপুর ১১ নম্বরের উজ্জ্বল গোশত বিতানের মাংস ব্যবসায়ী উজ্জ্বল। সকাল থেকেই তার দোকানে মাংস নিতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে।

ক্রেতারা জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে করলে অন্যান্য বাজারেও স্বস্তি মিলবে।
 
এ সময় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক আরও জানান, রোজায় কোন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে যাতে ক্রেতারা প্রতারিত না হয়, সে জন্য সারা দেশে প্রতিদিন ৫০-এর বেশি টিম কাজ করছে। অভিযানের ফলে বাজারে শসা, লেবু ও বেগুনের দাম কমছে।

আরও খবর



হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার রয়েছে স্বাভাবিক।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন বাংলাহিলি সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত। তিনি বলেন,মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ) সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম আবারও চালু হবে।এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি শেখ আশরাফুল ইসলাম বলেন,বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশের মাঝে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার কর হয়। গ্রেপ্তারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। তারপরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলা ও গণহত্যা শুরু করে।

এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।

ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তা জনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, ‘এই-ই হয়তো আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।’

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন একটি ভূখন্ডের, যার নাম বাংলাদেশ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এ উপলক্ষে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

এদিন সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দিবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :ঈদযাত্রায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলসহ ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, আসন্ন ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ২টি ফেরি বাড়িয়ে ১৫টি এবং ৩টি লঞ্চ বাড়িয়ে ২০টি করা হয়েছে। যার প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। দৌলতদিয়া প্রান্তের ঘাট সচল থাকবে ৩টি।

দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে ঘাট দিয়ে ঈদের আগের ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিনসহ মোট ৭ দিন বন্ধ থাকবে পচনশীল ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকব্যাতীত সকল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



গাংনীতে শসা চাষিদের জন্য আশির্বাদ রমজান মাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শসা চাষিদের জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে রমজান মাস। বাজার দর বৃদ্ধি পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় হাঁসি ফুটেছে এসব শসা চাষিদের মুখে। ১০ টাকা দরের শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এমন দামে ভোক্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও চাষি আর ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি।

গাংনী বামন্দি কাঁচা বাজারের আড়ৎদার আব্দুল হালিম জানান, রমজানের দশদিন আগে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। শসা কেনার লোকও পাওয়া যায়নি। ফলে শসা পচে গেছে। কিন্তু রমজানের শুরু থেকেই শসার চাহিদা বেড়েছে আশংকাজনক হারে। সেই সাথে বেড়েছে দামও।

শাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি মকসেদ আলী জানান, শসা বর্তমানে গাংনীর চাষিদের কাছে একটি জনিপ্রয় চাষ রমজানের আগে শসা কম দামে বিক্রি করে লেবার খরচ হয়নি। রমজান মাস আসায় শসা চাষিদের কপাল খুলেছে। শসা এখন আড়তে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জোড়পুকুর গ্রামের শসা চাষি ইমারুল জানান, যে ব্যবসায়ীরা শসা কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তার্ধাসঢ়;ই এখন শসা কিনতে ভিড় জমাচ্ছে চাষিদের কাছে। বাজার চড়া হওয়ায় এখন একই সাথে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। একই কথা জানালেন শসা চাষি কুঞ্জনগরের আব্দুল হাকিম।

ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, রমজানের আগে শসা কিনে মোটা অংকের লোকসান গুণেছি। কিন্তু রমজান মাস আসায় চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বাজার দরও বেড়ে গেছে। এখন আগের লোকসান অনেকটায় কাটিয়ে উঠেছি।

ক্রেতা সাধারণ জানান, রমজানে দ্রব্য মুল্যের স্থীতিশীল রাখা দরকার। ১২ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকায়। এটা চাষি ও ব্যবসায়িদের স্বেচ্ছাচারিতা। সাধারণত ৫/১০ টাকা দাম বাড়লেও ক্রেতা সাধারনের নাগালের মধ্যে থাকে কিন্তু ৫/৬গুন মুল্য বৃদ্ধি যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, তিনি দ্রব্য মুল্য স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন বাজারে আড়তদার ব্যবসায়ি এবং চাষিদের সাথে কথা বলছেন। ইতোমধ্যে আশানুরুপ সাড়া মিলেছে। কেউ সরকারী নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর