Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

আগামী ১৪ জুন থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে আগামী ১৪ জুন থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে  রেলপথ মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার আগাম টিকিট বিক্রির বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে রেল ভবনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে ঈদকেন্দ্রিক ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী ২৯ বা ৩০ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে ধরে রেলের কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। আগামী ৩০ মে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা তুলে ধরার কথা রয়েছে।

কর্মপরিকল্পনা ও বৈঠকের কার্যপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগামী ১৪ জুন থেকে ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে রেল। সেদিন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের, ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন পর্যায়ক্রমে ২৬ জুন, ২৭ জুনের এবং ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।

আর ঈদ যাত্রার ফিরতি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন থেকে। সেই হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ জুন দেওয়া হবে ৩, ৪, ৫ ও ৬ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট।

রোজার ঈদের মতো এবারও সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। চারটি কাউন্টারে বিক্রি হবে শুধু দাঁড়িয়ে যাওয়ার (স্ট্যান্ডিং) টিকিট। ঈদ যাত্রায় কেনা অগ্রিম টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়।

রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচ দিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে। আর ঈদুল ফিতরে এক জোড়া নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে।


আরও খবর



ফরিদপুরে নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের সন্ধান মেলেনি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

সোহেল আহমেদঃফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের আটাইল গ্রামের মৃত আজগর গোবাজিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক সুজন  (২০) গত ১৬ মে থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার গত নয় দিনেও তার সন্ধান মেলেনি।নিখোঁজ সুজন একই গ্রামের বিজয় বিশ্বাসের অটোরিকশা ভাড়ায় চালাত।প্রতি দিনের মত  অটোরিকশা নিয়ে গত ১৬ মে জীবিকার সন্ধানে বেড়োলেও আজ অবধি তার সন্ধান মেলেনি।সুজনকে না পেয়ে অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে সুজনের বড় ভাই সোহেল রানা  ১৭ মে বেলা ১০ টার দিকে ফরিদপুর জেলার বাখুন্ডা পশ্চিম পাড়ে রিক্সা স্টান্ডে  মজিদ (৩৫) নামের এক লোকের নিকট  ৫ ব্যাটারী অটোরিকশাটি পাওয়া যায়। 

সুজনের ভাই তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সুজনের নিকট থেকে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে কিনে রেখেছি, আমার ভাই  কোথায়  জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা জানিনা, তারপর  কথা কাটাকাটি করার পর স্ট্যাম্প সহ অটোরিকশা ফেরত দেয় এবং সুজন কোথায় আছে খুজে দিবে বলে আশ্বস্ত করে।

১৯ মে সোহেল রানা বাখুন্ডা মজিদ এর নিকট  তার ভাই সুজনের সন্ধান পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিবাদী মনিরুজ্জামান (৪২) এবং নিজাম (৪৫) উত্তপ্ত হয়ে ৫৫ হাজার টাকা দাবী করে এবং গালমন্দ করতে থাকে।এ ব্যপারে সুজনের বড় ভাই সোহেল রানা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

 অটোরিকশা খুঁজে পেলেও  ভাইকে খুজে না-পেয়ে  সুজনের মা- ভাই বোন এবং আত্মীয় স্বজনরা শংকিত এবং আতংকিত।


আরও খবর



ছয় রোজার ফজিলত শাওয়াল মাসে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলমানের ওপর মাহে রমজানের রোজাকে ফরজ করেছেন।

তবে রোজার মহৎ শিক্ষাটা যেন শুধু রমজানের একটি মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বছর ভরে জীবনজুড়ে এর অনুশীলন হতে থাকে সেজন্যই রাসুলুল্লাহ (সা.) বছরের বার মাসের বিভিন্ন সময়ে নফল রোজা নিজে রেখেছেন এবং উম্মতকে রাখতে উৎসাহিত করেছেন।


নফল রোজাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা। সাধারণ মুসলমান এই ছয় রোজাকে সাক্ষী রোজা হিসেবে জানলেও পবিত্র কোরআন, হাদীস বা ধর্মীয় গ্রন্থাদিতে এই নামটি খুঁজে পাওয়া যায় না।

ছয় রোজার ফজিলত শাওয়াল মাসে :

রমজান মাসের পরের মাস অর্থাৎ হিজরি সনের দশম মাস হলো শাওয়াল মাস। এ মাসের প্রথম দিনে মুসলিম উম্মার সর্ববৃহৎ জাতীয় উৎসব, ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। উৎসব আনন্দে মুসলমানগণ যাতে রমজানের মহৎ শিক্ষাটা ভুলে না যায়, হয় তো সে জন্যই রাসুলে করিম (সা.) এ মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখতে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন।

হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১১৬৪)

আলোচ্য হাদিসে যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয়, তা হলো- শুধু শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখলেই এক বছরের নফল রোজার সওয়াব পাওয়া যাবে তেমনটি নয়। আবার শুধু মহিমাম্বিত রমজানে পুরো একমাস রোজা রাখলেও এক বছরের নফল রোজার সওয়াব দেওয়া হবে সে কথাও কোথাও বলা হয়নি। বরং পুরো রমজান মাস রোজা রাখার পরে শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখলে তবেই পূর্ণ এক বছর নফল রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা যাবে সে কথাই হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন।

বস্তুত হাদিসে পবিত্র কোরআনেরই একটি আয়াতের বক্তব্য বিবৃত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে কেউ কোন নেক আমল করবে তাকে তার দশ গুণ সওয়াব প্রদান করা হবে। ’ (সুরা আল-আনআম: ১৬০) সুতরাং রমজানের এক মাসের ১০ গুণ হলো দশ মাস আর শাওয়াল মাসের ছয়দিনের দশগুণ হলো ৬০ দিন অর্থাৎ দুইমাস।

অর্থাৎ পূর্ণ এক বছরের নফল রোজার সওয়াব লাভের জন্য রমজানের রোজা রাখার পরে শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখার শর্ত থাকলেও যদি কেউ কোনো কারণে রমজানের পূর্ণমাস রাখতে না পেরে থাকেন, তাহলে শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখা যাবে না তেমনটি নয়। সে ক্ষেত্রে পূর্ণ এক বছরের নফল রোজার সওয়াব না পেলেও নফল রোজা পালনের সীমাহীন নেকি তিনি পাবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ছয় রোজা কীভাবে রাখবেন:

হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) শাওয়াল মাসের ভেতর ছয় রোজা রাখার কথা বলেছেন। মাসের প্রথম দিকে, মধ্যভাগে না শেষাংশে সে কথা হাদিসে উল্লেখ নেই। আবার ছয়টি রোজা একসঙ্গে লাগাতার রাখতে হবে, না-কি বিরতি দিয়ে দিয়ে রাখতে হবে, সে কথারও কোনো উল্লেখ নেই। তাই বিজ্ঞ ফকীহ ও আলিমগণের অভিমত হল, যেহেতু শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উৎসব এবং ওই দিনে রোজা রাখা হারাম, সেহেতু ঈদুল ফিতরের দিনটি বাদ দিয়ে মাসের যে কোনো ছয়দিনে রোজা রাখলেই উল্লিখিত সওয়াব লাভ করা যাবে।

এই আরবি শাওয়াল মাসের অর্থাৎ প্রথমদিকে, মাঝামাঝি দিনগুলোতে অথবা শেষদিকে, আবার একাধারে ছয়দিন অথবা একদিন রোজা রেখে তারপর একদিন বা দু’দিন বিরতি দিয়ে আবার একদিন যে কোনোভাবে রোজা রাখা যাবে। শাওয়াল মাসের মধ্যে ছয়টি রোজা রাখলেই হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে, ইনশাল্লাহ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.


আরও খবর



পলাশবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image
গাইবান্ধা সংবাদদাতা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মেরীরহাট নামক স্থানে ইজিবাইকের নিচে চাপা পরে এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।ঐ শিক্ষার্থীর নাম সানাউল্লাহ(৫) সে মেরীরহাট দা হলি কোরআন একাডমীর প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী। 

নিহত সানাউল্লাহ উপজেলার হোসেনপুর ইউপির দিগদারী গ্রামের মাওলানা বেলায়েত হোসেনের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ জানান, ৮ মে সোমবার  বেলা ১.০০ টার দিকে সানাউল্লাহ স্কুল ছুটি শেষে ভ্যানযোগে বাসায় ফেরার সময় ভ্যান থেকে রাস্তায় পড়ে যায়।

তাৎক্ষণিক  পিছন থেকে একটি ইজিবাইক এসে তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় সানাউল্লাহকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে  চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। 


আরও খবর



রূপগঞ্জে গুলিবর্ষণের ঘটনায় দশ দিনেও মামলা রুজু হয়নি - আতঙ্কে বাদীপক্ষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো দক্ষিণপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান মুন্নার (২১) উপর হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ গত দশ দিনেও মামলা রুজু করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত ভয়ভীতি ও হুমকিতে বাদীপক্ষ চরম আতঙ্কে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ২৩ এপ্রিল ২০/২২ জনের একদল সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারাবো দক্ষিণপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান মুন্নার উপর হামলা চালায়। মেহেদী হাসান মুন্না বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় শবনম অয়েল মিলের পাশে তমু মিয়ার বাড়ির সামনে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা রামদা, ছুরি, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, পিস্তল ও লোহার রড সহ দেশিয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার উপর এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা মুন্নাকে বেদম প্রহার করে তার সঙ্গে থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা  ছিনিয়ে  নেয়।

এক পর্যায়ে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে গুলিবর্ষণ করতে করতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে মেহেদী হাসান মুন্নার ডান কানের উপর গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এঘটনায় মেহেদী হাসান মুন্নার মা রাফেজা বেগম বাদী হয়ে ১৬জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু গতকাল ২মে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি।

এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এজাহারে আনীত অভিযোগ বাস্তবতার সঙ্গে মিল না থাকায় মামলা রুজু করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে সুষ্ঠু তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ডেমরায় বাল্কহেড ড্রেজারে সন্ত্রাসী হামলা পাইপ ভাঙচুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব সংবাদদাতাঃরাজধানীর ডেমরায় পাওনা টাকা চাওয়ায় বাল্কহেড ড্রেজারে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কর্মচারীকে হত্যা চেষ্টা ও পাইপ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাল্কহেড ড্রেজারের মালিক আনিসুর রহমান ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার  অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর হোসেন রিপন(৪৬) পিতা-ছাদেক আলী মাতব্বর,সাং-৭৪/১ মাদারটেক (চৌরাস্তা) থানা সবুজবাগ,ঢাকা। রাজ্জাক হোসেন (৪৬) পিতা-মোশারফ,সাং-ভাইগদিয়া মাতব্বর বাড়ি, ওমর ফারুক (৩৮) পিতা-আকবর আলী মেম্বার,সাং- নন্দীপাড়া ব্যাংক কলোনি, মোশাররফ হোসেন (৫৫) পিতা-মৃত রুফ মিয়া সহ অঞ্জাত আরো ১০/১২ জন।

ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান (পিপিএম) ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান দৈনিক সকালের সময়কে জানান, মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে আমার বালু ভরাটের টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল, পাওনা টাকা চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে উল্টা-পাল্টা কথা বলতে থাকে,এর জের ধরে গত ২১ মে রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ডেমরা থানা এলাকার আমুলিয়াস্থ নুন্না ভিটা খেলার মাঠে বালুভরাটের সময়  আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, আমি নিষেধ করলে তারা সকলে মিলে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের ৪টি রাবারের পাইপ কেটে আনুমানিক তিনলক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে গত ২৪ মে সকাল সাড়ে পাঁচটায় ডেমরা থানা এলাকার মেন্দিপুরস্থ ম্যাক্সিম গ্রুপের প্রধান ইয়ার্ডের দক্ষিণ পাশে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের কাজ করাকালীন সময়ে ১,২,৩,৪ নং বিবাদী ও তাদের সহযোগী ১০/১২জন অঞ্জাত লোক এসে ১৬ টি লোহার পাইপ ভাঙচুর করে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করে।এ সময় ১ নং বিবাদী আকবর হোসেন রিপনের হাতে থাকা ধারালো রাম-দা দিয়ে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের ষ্টাফ মিজান(৩৮) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে সে সরে যায় এতে রাম-দায়ের আঘাত লেগে তার পিঠে জখম হয়।২ নং বিবাদী রাজ্জাক হোসেন ষ্টাফ মিজান এর প্যান্টের ডান পকেটে  থাকা মেশিনের তেল খরচের ৭৩০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ সময় তারা মিজান কে এলো পাতারিভাবে মারপিট করে নীলাফুলা জখম করে। তার ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

তিনি আরো জানান,অভিযুক্ত আকবর হোসেন রিপন সবুজবাগ থানার এজাহারভুক্ত মামলার আসামি সে গত ২০১৮ সালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে হাজত বাস করে জামিনে মুক্ত হয়।এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর  রহমান (পিপিএম) বলেন,এ ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।



আরও খবর