Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছে গাংনীর চাষিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৭৭জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি:স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন মেহেরপুরের গাংনীর চাষিরা। তাছাড়া ভরা মৌসূমে অনেকেই লোকসান গুনেন। তাই আগাম সবজি চাষে যেমন চাহিদা তেমন লোকসানের ভয় না থাকায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ঝুকছেন চাষিরা। বিশেষ করে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। কৃষি বিভাগের দাবি, আগাম জাতের সবজি চাষ করে চাষিরা অল্প সময়ে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০৪ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি ও ৩৩ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত আগাম শীতকালিন কপির আবাদ সর্বোচ্চ। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, তেমনি কৃষি ক্ষেত্রেও ঘটছে উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনা। আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপিগুলো দেখতেও বেশ চমৎকার এবং খেতে সুস্বাদু। আগাম হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি। পাশাপাশি খুব বেশি কৃষক এ আবাদ না করায় ভালো দামে ব্যবসায়ীরা ক্রয় করেন। আবার অনেকে নিজেরাই স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে ভালো দামে রপ্তানি করছেন। চাষিদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, আগাম শীতকালিন ফুলকপি উৎপাদনে খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা। আর ক্ষেত থেকেই ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে মোটা টাকা লাভের মুখ দেখেছেন কৃষকরা। তবে অতিরিক্ত বর্ষা হলে ক্ষতির সম্মুখীন হন কৃষকরা। চলতি বছরে যেহেতু বর্ষা মৌসুমে বর্ষা কম হয়েছে, তাই রোগবালাই কম হওয়ার পাশাপাশি পচার হাত থেকেও বেঁচে গেছে ক্ষেত। গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, আগাম সবজি বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয়ে শীত আসলে শেষ হয়ে যায়। বাধাকপি ও ফুলকপিতে বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। সার, কৃটনাশকসহ বিভিন্ন পরিচর্যায় খরচ থাকলেও সবচেয়ে বেশি খরচ হয় কীটনাশকে। কিন্তু খুব অল্প সময়ে ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে এক লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চলতি বছরে কপি বিক্রি হচ্ছে। গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের আগাম বাধাকপি চাষি আলি হোসেন জানান, চলতি বছরে ১০কাঠা জমিতে আগাম জাতের বাধাকপি চাষ করেছিলেন। ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হলেও ক্ষেত থেকেই ৩৩ হাজার টাকায় কপি বিক্রি করেছেন।

তিন মাসও লাগে না এতে আমার লাভ ভালো হয়। সাহারবাটি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়া জানান, আগাম শীতকালিন সবজিচাষিদের কাছ থেকে ঠিকা হিসেবে ক্রয় করেন। ক্ষেত থেকেই সবজি পুষ্ট না হতেই ক্রয় করেন। ফুলকপি বিঘা প্রতি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ও বাধাকপি ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্রয় করেন। এবছরে এখন পর্যন্ত ৬০ বিঘা জমির বাধাকপি ও ফুলকপি ঢাকাসহ বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করেছেন। আরো মাস খানেক ধরে বিক্রি করবেন বলেও আশা করছেন তিনি। শীত মৌসুম চেয়ে আগাম শীতকালিনের চাহিদা বেশি। ধলা গ্রামের স্বপন মিয়া জানান, তিনি সবজি চাষ ও ব্যবসা করেন। স্থানীয় ফরিয়া হিসেবে বিভিন্ন চাষিদের জমি থেকে বাধাকপি ও ফুলকপি ক্রয় করেন। আগাম শীতকালিন ফুলকপি ও বাধাকপিতে তুলনা মূলক অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি লাভ হয়। আগাম ফুল কপি ও বাধা কপি চাষে কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনি বাজারে চাহিদা থাকায় ব্যবসায়িরাও বেশ লাভবান হচ্ছেন। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার জানান, মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। তন্মধ্যে বাধাকপি ও ফুলকপি চাষ হয় বেশি। চাষিরা বছরে তিন চারবার সবজি উৎপাদন করে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের জেলায় উৎপাদিত সবজি রপ্তানি করে চাষিরা লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে। আগাম শীতকালিন সবজি একটি ভালো লাভজনক ফসল এতে চাষিরাও লাভবান হচ্ছে, দেশও লাভবান হচ্ছে। কৃষি বিভাগ চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন সবজি আবাদে।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের চাকরি পেয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাকরীতে সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিতাস গ্যাসে কর্মরত ঐ প্রেমিকের নাম মিজানুর রহমান তৈয়ব। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। তার পিতার নাম মোজাম্মেল হাওলাদার। 

ঘটনা বিবরনে জানা গেছে সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ঢাকায় থাকতো। চাকরির এক পরীক্ষার হলে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানের। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ও পরে প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে মিজান। তিনমাস পূর্বে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকুরি হয় তাঁর। চাকুরির পর থেকে ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে তার মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার ব্লক করে দেয়। কোনভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণী গত ১৭ এপ্রিল প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। মিজানুর রহমান তৈয়ব নামের তিতাস গ্যাসের কর্মীর গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৫ দিন যাবত অনশন করছেন ঢাকা মিরপুর-১০ থেকে আসা সাদিয়া জান্নাত নামের এই তরুণী। এ ঘটনায় প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে প্রেমিক।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আমি অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকুরি করছি। মিজানের চাকরির পূর্বে তার প্রতিমাসের খরচ আমার থেকে নিয়েছে। আমি ওকে বিশ্বাস করে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় মিজান আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমাদের সম্পর্ক অস্বীকার করতেছে।

তরুণী আরও বলেন, আমি বিয়ের দাবিতে মিজানের বাড়িতে এসেছি। আমাদের বিয়ে হবে না হয় আমি লাশ হয়ে এই বাড়ি থেকে যাবো।

মিজানের বাবা ও বড় ভাই বলেন, আমরা মেয়েকে নিরাপদে আমাদের বাসায় রেখেছি। মিজান পালিয়ে আছে। তার সকল মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রেখেছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে তাকে এনে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ওমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়েছি। মেয়ে ও ছেলের পরিবারের বক্তব্য শুনেছি। মিজানকে এনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে তার পরিবারকে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে।

চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরিন হক বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অনশকারী সাদিয়া জান্নাতকে মিজানের বাবার জি

ম্মায় রেখেছেন।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃপ্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপন্ন। মানুষের জীবন গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষেরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায়। প্রচুর গরমে তাদের কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সামান্য কাজ করেই হাপিয়ে পড়ছে তারা। অনাবৃষ্টিতে গ্রাম গঞ্জের রাস্তাঘাট ধুলোবালুতে ভরে গেছে।

এ থেকে নিস্তার পেতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ডিগ্রী কলেজ মাঠে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাইয়্যেদুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত ইমাম ওলামা মাশায়েখের আয়োজনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান,উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লবসহ ২ শতাধিক মুসল্লি অংশ গ্রহণ করে। এ নামাজে ইমামতি করেন উত্তরবঙ্গের খ্যাতি সম্পন্ন মাওলানা আব্দুল্লাহীল বাকী।

সহকারী শিক্ষক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান বলেন,প্রচন্ড দাবদাহ থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে  অংশ হিসাবে এ নামাজ আদায় করা হলো। হাদিসে আছে আমাদের নবী রাসুলেরা বৃষ্টির জন্য এ নামাজ আদায় করতো। সেই ধারাবাহিকতায় এ নামাজ পড়েছি। একইভাবে ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটে লোকজন কমে যায়। এ জন্য বেচাকেনাও কম। সূর্যের তাপদাহে মানুষ বাড়ী থেকে তেমন বের হতে পাড়ছে না। তাই বৃষ্টির প্রার্থনায় এ নামাজে অনেকেই অংশ গ্রহণ করেছি।

আরও খবর



পাঁকা আমের কাঁচা আটি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর( নীলফামারী) প্রতিনিধি:উত্তরের ১৬ জেলায় আম পাড়া শুরু না হলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমে সয়লাব হয়ে গেছে। আম পাকাশুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ মে থেকে নির্ধারণ করা হলেও সৈয়দপুরের আড়তে ২৮ এপ্রিল থেকে আম ওঠতে শুরু করেছে। অপরিপক্ক এসব আম নানা নামে ৩৬০০ থেকে ৪০০০ টাকা মন দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাল মোহন নামে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, গোপাল ভোগ ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরিপক্ক এসব আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকানোর ফলে আমের উপরের অংশ হালকা হলুদ ও বেশ চকচকে। যা ক্রেতারাও কিনছেন রশালো  ও মিষ্টি ভেবে। 

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার গরম আবহাওয়া ও বৃষ্টি না হওয়ার ফলে প্রায় গাছের আম ঝরে গেছে। একই সাথে আম বাড়তে সময় লাগবে।  যেসব গাছে আম আটক হয়েছে সেগুলি ১৮ মের আগে পরিপক্ক হওয়ার কথা নয়। কৃষি বিভাগের ঘোষিত  নির্ধারিত তারিখ ১৮মে ঘোষণা করা হলেও সৈয়দপুরের ফলের আড়ত ও খুচরা বাজারে কেমিক্যাল মিশিয়ে পাকানো আম বেচাকেনা চলছে জোরেশোরেই। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, কৃষি বিভাগ ১৮মের পরে আম পাড়ার নির্দেশ দিলেও আমরা ২৩ মে’র আগে আম পাড়াতে নিরুৎসাহিত করছি। কারণ ১৮ মে’র মধ্যে আম পরিপুষ্ট হবে না।একই মতামত ব্যক্ত করেন নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক ডক্টর এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে মে মাসের শেষের দিকে আসবে দেশি আঁঠির আম,আর জুন মাসের প্রথম দিকে নামবে গোপাল ভোগ, ল্যাংড়াসহ রংপুরের বিখ্যাত হাড়ি ভাংগা আম। তিনি বলেন,  বাজারের যে সব আম বিক্রি হচ্ছে সেগুলি কেমিক্যাল মিশিয়ে অথবা কিলিয়ে পাকানোর মত।

ক্রেতা সহ সাধারন মানুষ বলছেন বাজারের যে সব আম বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির উপরের অংশ হালকা হলুদ রং এর হলেও মিষ্টি নেই এবং আটি গুলি কাঁচা। অধিকাংশ আমই ১২ ঘন্টার মধ্যে শুকিয়ে যাচ্ছে। শহরের ১ নং রেল ঘুমটি এলাকার একাধিক ফল বিক্রেতা জানান, গিয়াস উদ্দিন নামের এক আড়তদার নাটোর ও শান্তাহার থেকে যেগুলি  আম আড়তে এনেছেন সেগুলির সবই অপরিপক্ক ও কেমিক্যালে পাকানো। ওই আড়তদার বিভিন্ন নামে আম বিক্রি করছেন  এবং দামও নিচ্ছেন অনেক বেশি। তারা বলেন অপরিপক্ক পাকা আম বিক্রির দায়ে রংপুর বিভাগের অনেকের জরিমানা করা হলেও গিয়াস নামের ওই আড়তদার দাপটের সাথেই বিভিন্ন ধরনের আম বিক্রি করে চলেছেন। সৈয়দপু ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব বাদশা মিয়া জানান, সৈয়দপুর শহরের ২/৩ জন আড়তদার খুলনা,নাটোর ও রাজশাহী থেকে আম নিয়ে আসছেন এবং এখান থেকে জেলার বিভিন্ন  বাজারে পাঠাচ্ছেন। কৃষি অধিদপ্তরের নির্ধারীত ১৮মে’র আগে যে গুলি আম বাজারে আনা হচ্ছে সেগুলির প্রায় সবই অপরিপক্ক পাকা আম।

জানতে চাইলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন অপরিপক্ক পাকা আঠালো আম খেলে পেটের পিড়া হবেই হবে। শিশু সহ বয়স্ক মানুষ ওইসব আম খেলে ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। 


আরও খবর



জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। 
সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। 

দন্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ির জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামে। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি থেকে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে আসামী আলামের বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় অন্যান্য আসামীরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে বিভিন্ন অস্ত্র দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে ও পা দিয়ে বুকে ও পেটে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন। 

সিংকঃ এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), জজ কোর্ট, জয়পুরহাট।

আরও খবর



কপিলমুনিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

আমিনুল ইসলাম বজুল,পাইকগাছা প্রতিনিধিঃকপিলমুনিতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনন্দ মোহন বিশ্বাস এর স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় কপিলমুনি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সরদার মোঃ বজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন এর পরিচালানয় বক্তব্য রাখেন কপিলমুনি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোঃ আফছার আলী, কেকেএসপির সাধারণ সম্পাদক এম বুলবুল আহমেদ, জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাধন কুমার ভদ্র, প্রধান শিক্ষক রহিমা আখতার শম্পা, আবুল কাশেম, সাবেক মেম্বর মতলেব সানা, পরিমল সাধু, অলোক মজুমদার, অজয় সাধু, জি এম হারুন-অর-রশিদ, দিপক মন্ডল, অহিদুল প্রমুখ সহ সুন্দরবন প্রেসক্লাব, কপিলমুনি প্রেসক্লাব ও সিটি প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এসময় চিংড়ি মাছ প্রতিকের প্রার্থী আনন্দ মোহন বিশ্বাস আগামী ২৯ মে নির্বাচনের সকল প্রকার সহযোগিতা কামনা করেন এবং পাইকগাছা উপজেলাকে স্মার্ট ও মডেল হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গিকার করেন।



আরও খবর