Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ২৫৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের খেলা দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজের একটি হোয়াইটওয়াশ এবং একটিতে ড্র করে বাংলাদেশ। তবে এবার ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের সিরিজের দুটিতেই হারিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৭ ওভারে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১৯ রানের। এই রান ৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই পার করে ফেলে বাংলাদেশ।

১১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই প্রথম ওপেনিংয়ে নেমেছেন আফিফ হোসেন। তিনি ও লিটন দাস মিলে পাওয়ার প্লেতেই তোলেন ৫৪ রান। তবে পাওয়ার প্লের পর ধীর হয়ে আসে রানের গতি। পরের ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান যোগ করেন এই দুজন। এই চাপেই দশম ওভারের প্রথম বলে উইকেট দিয়ে বসেন লিটন। মুজিব-উর-রহমানের বলে দুর্দান্ত ক্যাচে লিটনকে (৩৫) ফেরান রশিদ খান।

লিটনের বিদায়ের ২ বল পর ফেরেন আফিফ হোসেনও (২৪)। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে করিম জানাতের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলের বিপদ বাড়িয়ে পরের ওভারের শেষ বলে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্তও। আজমাতুল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে সরাসরি বোল্ড হন তিনি।

এরপর সাময়িক চাপে পড়া বাংলাদেশকে চাপমুক্ত করেন আগের ম্যাচের নায়ক তাওহীদ হৃদয় ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৩১ রানের জুটি। জয় থেকে দল যখন ১২ রান দূরে তখন এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাপ উঠিয়ে দেন হৃদয় (১৯)। জয়ের জন্য বাকি পথটুকু স্বাচ্ছন্দ্যেই পার করেন সাকিব ও শামীম হোসেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন শামীম। 

সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে দেন আফগান ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে টাইমিং মিস করেন তিনি। বল আকাশে উঠে গেলে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তাসকিন। এর মাধ্যমে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০ উইকেট পূরণ করেন এই পেসার।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও তাসকিনের আঘাত। দলীয় তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে এবার তিনি ফেরান হজরতউল্লাহ জাজাইকে। স্লিপ দিয়ে বল সীমানাছাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাজাই।

ম্যাচে ৭ ওভার ২ বল হওয়ার পর শুরু হয় বৃষ্টি। আফগানিস্তানের রান তখন ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯, উইকেটে ইব্রাহিম জাদরান এবং মোহাম্মদ নবি। দেড় ঘণ্টারও বেশি বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয় সোয়া আটটায়। বৃষ্টির কারণে অনেকটা সময় নষ্ট হওয়ায় প্রত্যেক দলের ইনিংস থেকে ৩ ওভার কমানো হয়।

বৃষ্টির পর এলোমেলো শট খেলতে থাকেন আফগান ব্যাটাররা। নাসুম আহমেদের বলে পরপর জীবন পান মোহাম্মদ নবি। তবে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এই ব্যাটার। মোস্তাফিজুর রহমানের করা দশম ওভারের প্রথম বলেই ফেরেন তিনি। পরের ওভারে এসে ২ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। ১১তম ওভারের প্রথম বলে ইব্রাহিম জাদরানকে (২২) ফেরানোর পর শেষ বলে বিদায় করেন নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও।

৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলকে টেনে তোলেন আজমাতুল্লাহ ওমারজাই এবং করিম জানাত। তাদের ৪২ রানের জুটিতে একশ পার করে আফগানরা। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে ১০৯ রানের মাথায় ওমারজাইকে (২৫) ফেরান মোস্তাফিজ। শেষ ওভারে একই রানে করিম জানাতও ফেরেন। ২০ রান করা জানাতকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানরা।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুইটি করে উইকেট শিকার সাকিব ও মোস্তাফিজুরের।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত হবে ৫টি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতের এ তথ্য জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এতে বলা হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার (১০ বা ১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক এ জামাতে ইমাম থাকবেন। মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। সকাল ৯টায় এ জামাত হবে। এতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর



যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়,তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো: রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৬২জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলছেন, ১৮ কোটি দেশের মানুষ আমরা একবারও দূর্বল নই। সরকার দূর্বল হতে পারে, আমরা দূর্বল নই। আমাদের যে আত্নশক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে জনগণের লড়াই করার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সবকিছু নিয়েই আমাদের উপর যারা খবরদারী করে আমাদের যারা কৃতদাস বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বো। সরকার কোন অবস্থাতেই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। 

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় দুঃস্হদের মাঝে এক ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মোতালেব হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে তার উত্তরার  ফায়দাবাদের বাসভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা আর নেই। বাংলাদেশের শাসক কে? এটাও আজ আমরা ঠিক বলতে পারি না। একজন শাসক রয়েছেন, তার কাজ হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা, বিরোধী দলেরবকোন কর্মসূচি হলেই তা বানচাল কটা এবং তিনি একজন অবৈধ শাসকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার প্রভু আছে, তারাই মূলত শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। কারন আমাদের দেশের লোকদের সীমান্ত হত্যা করছে, অথচ আমাদের দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বা সরকার তা প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিদিন ১ দিন ২ দিন পরপর হয় লালমনিরহাট, নওগা কিংবা য়শোর, ফেনী,কসবা এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এদের জীবনের কেন নিরাপত্তা নেই। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি বেআইনি কাজ করে চলাফেরা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের ব্যাবস্হা আছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার আছে, নেপালের সাথে বর্ডার আছে, আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, ভূটানের সাথে সীমান্ত আছে, অথচ আপনারা কখনও শুনছেন না যে, তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে তারা সংঘর্ষ করতে সাহস পায় না। কারন তাদের প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ শাসন করছে। তাদের বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, ওরা আমাদের পানি কেড়ে নিবে। ওরা একচেটিয়া বানিজ্য করবে। আমাদের কোন পন্য কিনবে না। বাংলাদেশে ওদের পন্যে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কারখানার মালিকরা, আমাদের যে তাত। কত সমৃদ্ধশালী ছিল তাত। সে তাত ধ্বংস করে ভারতের লুঙ্গি শাড়ী কিনতে হয়। তাদের সকল পন্য আমাদের কিনতে হয়। এটার থেকে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্যই তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো দেশকে আত্মনির্ভরশীল করছেন। জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন। আর শেখ হাসিনা প্রতি নিয়ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করার সকল যড়যন্ত্র তিনি করছেন। 

তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশ কেন অরক্ষিত? 
আজকে কেন বান্দরবানের সারাচি, রুমাসহ বিভিন্ন থানায় ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে কেন? আজকে অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আশ্রয় পায় কি করে? এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না। ঠিকই জানেন, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। কারন তারা নতজানু। ওদের কে যেমন তেমন করে বিদেশি প্রভুদের আশ্রয়েই তাদের থাকতে হয়। কারন ওদের কে ভোটে সরকার গঠন হয়নি। কারন তারা ভোটে সরকার গঠন করেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির  যে ডামী নির্বাচন সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ৯৭% মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের আত্নীয় স্বজনরাই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আর ভোট কেন্দ্র সারাদিন সাহারা মরুভূমির মতো শূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে তারা কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং  যারা আওয়ামী সমর্থক ছিলেন নির্বাচনে  তারাও ভোট দিতে যায় নাই। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন  থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান এক দফার আন্দোলন চলবে। 

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে পুরো রমজান মাস ধরে আমাদের উত্তর মহানগরীর ৭১ টি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং আজকে যে আমরা ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি, এটাও আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ। 

৫ শত অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শাড়ি লুঙ্গি  পেয়ে গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ সময় অসহায়রা বলেন  প্রতিবছরই ঈদ এলে বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ঈদ উপহার শাড়ি লুঙ্গি দেন, এতে আমরা খুব খুশি। 

এ সময় এম কফিলউদ্দিন বলেন, মানুষ আজ খুব অসহায় দিন যাপন করছেন। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন।  তাদের জন্য কিছু করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও খবর



কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ২৭ বস্তা টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে এবার ৯ টি দানবাক্স ও ১ টি অস্থায়ী দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে, চলছে গণনা। ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

পাগলা মসজিদের টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

সর্বশেষ এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স ২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।


আরও খবর



আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক বিএনপি করত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক বিএনপি করত,বলেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঝিনাইদাহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেল মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান, নাসির শাহরিয়ার প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিল, যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারত না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন।

সংসদ নেতা বলেন, এক সময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারত না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল ,আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশিরভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করত। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বার বার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এটাই সব চেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। তাকে এক সময় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আবার একজন রিট করল, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে স্থগিত করা হয়েছিল বলেই তিনি এই সংসদে বসতে পেরেছিলেন। যিনি বার বার নির্বাচিত হয়ে আসেন, তার ওপর এই ধরণের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরও তিনি আসতে পেরেছিলেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন।

সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদক প্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে ২ মে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ২ মে বিকেল ৫টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, এই অধিবেশন দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা কম। অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশন কত দিন চলবে, তা নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে, দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ৩০ জানুয়ারি। শেষ হয় ৫ মার্চ। ২২টি কার্যদিবসের এই অধিবেশনে দুটি বিল পাস হয়।


আরও খবর