Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

আড্ডা ও খুঁনসুটিতে ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২১৩জন দেখেছেন

Image

সাব্বির খান,ইবি:সুন্দর প্রকৃতি। চলছে ফুটবল টুর্নামেন্ট। কিছুক্ষণ পরে স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় সেজেছে টিএসসিসি। সকল কাজ ফেলে রেখে একত্রীত সিনিয়র-জুনিয়র। কোন র‌্যাগিং মতো অপসংস্কৃতি চর্চার জন্য নয়, সবাই পরস্পরকে কাছে পেয়ে অনেকটা আবেগাপ্লুত। 'নুরু, পুশি, আয়েশা, শফি সবাই এসেছে, আম বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে' কবি গোলাম মোস্তফার বনভোজন কবিতার এই লাইনের মতো শিক্ষার্থীরা সবাই যেন তারার হাসি হেসেছে। বলছিলাম কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের চড়ুইভাতি ও মিলনমেলার গল্প।

ঋতুচক্রের হাজিরা খাতায় কার্তিক মাসের প্রথম দিন, হেমন্তকাল। সকাল ১১ টায় বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। টুর্নামেন্টের শেষে বর্ণিল আয়োজনে আয়োজন করা হয় চড়ুইভাতির। পরে সন্ধায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এই মিলনমেলার সমাপ্ত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের স্নাতক (সম্মান) এর ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ এবং স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রায় আড়াইশো ছাত্র-ছাত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে সবাই আবেগাপ্লু।

শিক্ষার্থীরা জানান, 'দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র-জুনিয়র একত্রীত হয়ে শিশুদের মতোই খুনসুটিতে মেতেছিলেন শিক্ষার্থীরা। আড্ডার আসরে স্মৃতিচারণ করে অনেকে  ফিরে গিয়েছিলেন সেই ছোটবেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সবুজ ক্যাম্পাসে আড্ডার সঙ্গে সঙ্গে চলছিল বিভিন্ন স্টাইলে তোলা সেলফির ঘনঘটা। মুখর প্রাণের স্পন্দন জেগেছিল বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের প্রাণ জুড়ে। '

চড়ুইভাতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন আব্দুল্লাহ পারভেজ। তিনি বলেন, ' আন্তঃসেশন ফুটবল টুর্নামেন্ট ও চড়ুইভাতির মাধ্যমে বিভাগের সকলের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধন যেন আরো দৃঢ় হলো। এই অনুষ্ঠানটিকে বাস্তবায়ন করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সবার অংশগ্রহণে এই আয়োজন হয়ে উঠেছিল চমৎকার উৎসবমুখর।

আরও খবর



শাহজালালে ফ্লাইট ওঠানামা তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। এজন্য আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ রানওয়েটি রাত ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ তিনদিন মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এ সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এ ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এ তিনদিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য ২ মাস ৫ ঘণ্টার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।


আরও খবর



গাংনীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত থেকে পুষ্টি সপ্তাহের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সুপ্রভা রাণীর সভাপতিত্বে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল আল মারুফ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, গাংনী প্রেসক্লাব সহ- সভাপতি মজনুর রহমান আকাশ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম প্রমূখ। 

অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, সিএইচসিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৫ ইলেক্ট্রোলাইট মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এই ড্রিংকগুলো হলো এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল কবীরের আদালত এ আদেশ দেন।

এছাড়া পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ ও ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই। ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


আরও খবর



বেনাপোলে চেকপোষ্টে কাস্টমস সুপারের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন শার্শায় কর্মরত দৈনিক যায়যায়দিন ও বাংলাদেশ টুডের সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম।

শনিবার সকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ব্যাগেজ তল্লাশীর সময় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের সাথে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন।

এক পর্যায়ে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের পাসপোর্ট ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক দফা ধাক্কা দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অপ্রিতীকর ভাষা ব্যবহার করেন কাস্টমসের ওই কর্মকর্তা।

এসময় কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কোন সাংবাদিককে পরোয়া করেননা বলে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিক আশরাফুল ভারতে টুরিষ্ট ভিসা'য় বেড়াতে যান গত ২দিন আগে। আজ ফেরার সময় ৫ বোন ও মায়ের জন্য ১২টি শাড়ি আনছিল। এ অপরাধে তাকে ঐ কাষ্টমস কর্মকর্তা সাংবাদিকের শাড়িগুলাে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ঐ কর্মকর্তার সাথে বাগবিতন্ডা হওয়ার এক পর্যায়ে সাংবাদিককে তিনি শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।

এ ঘটনার পর সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম বেনাপোলে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে ঘটনাটি জানালে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে সমাধান করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাসপোর্ট যাত্রী জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান ব্যাগেজ তল্লাশির নামে সাধারণ যাত্রীদেরকে নানা রকম ভাবে হয়রানি করেন। কেউ কোন কথা বললে তার পাসপোর্ট ও মালামাল কেড়ে নিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন।

সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, যদি সাংবাদিককে এভাবে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করা হয় তাহলে অন্যান্যদের অবস্থা কতটুকু ভয়ানক হতে পারে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং সকলের জীবন ও মালের নিরাপত্তার জন্য অনতি বিলম্বে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানকে এখান থেকে বদলি করা হোক।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেনের কাছে আনিত বিষয় নিয়ে জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।


আরও খবর



মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে কৃষি খাতে বিপর্যয়ের অশনি সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

মেহেরপুর মূলতঃ কৃষি ভিত্তিক এলাকা। এখানকার মাঠে ধানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠের নানা ধরণের ফসল। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান। এছাড়াও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর ধান, ৫ হাজার ৪৪১ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম, ৭১৫ হেক্টর লিচু, ১৬৫ হেক্টর কাঁঠাল ও ৬ হেক্টর জাম বাগান রয়েছে। অপরদিকে পাটসহ অন্যান্য ফসল বপন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ক্ষেতের ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

গাংনীর মানিকদিয়া মাঠের ধানচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি শ্রমিক লাগছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। যে ক্ষেতে এক ঘন্টায় সেচ করাজ শেষ হয় ওই জমিতে লাগছে অন্ততঃ তিন ঘন্টা।

এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে সব ধরনের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধানচাষি সহড়াবাড়িয়ার শামসুল ইসলাম জানান, তিনি খামারের মাঠে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। বর্তমানে মাঠে রয়েছে বোরো ধান। প্রতিটি জমিতেই ধানে ফুল রয়েছে। কিছু ধান দুগ্ধ আর কিছু ক্ষীর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে হিটস্ট্রোক দেখা দিতে পারে। বোরো ধান পর্যাপ্ত পানি না পেলে চিটা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার চার বিঘা জমিতে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। আম ও লিচুসহ অন্য ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়ছে। ফলনেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সবজি চাষি সাহারবাটির আকরামুল জানান, বর্তমানে মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ সবজিতে এমনিতেই সেচের পানি দিতে হয়। খরচও বেশি।

কিন্তু চলমান তাপদাহে জমিতে সেচ দেয়ার পরও কোন পানি থাকছে না। রাতে সেচ দিলে সকালে পানি শুকিয়ে যায়। আবারো সেচ না দিলে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে আড়ত পর্যন্ত নিতে সবজি শুকিয়ে কমে যায়। শ্রমিকও লাগছে বেশি।আম বাগান মালিক কাষ্টদহ গ্রামের শরিফুল জানান, গেল বছর গরমে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দেরিতে মুকুল আসে। এখন আমের গুটি রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর গরমে গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। তার হিসেবে বাগানের ৩০/৩৫ ভাগ গাছের গুটি ঝরে পড়েছে। গুটি ঝরা ঠেকাতে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এবার অনেক বেশি লোকসান গুনতে হবে।

আম ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম জানান, গেল বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। ঝরে পড়ে ছাড়াও পোকার আক্রমণ ছিল। গেল বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এবার কেনা বাগান বেশি পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু দেরীতে মুকুল আসে। সেগুলো ঠিক রাখতে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে গাছের সিংহভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে গাছে আর আম থাকবে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল ৫ দিন ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি, ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও ২০ এপ্রিল ৪২.৪ ডিগ্রি, ১৯ এপ্রিল ৪১.৫ ডিগ্রি, ১৮ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি, ১৭ এপ্রিল ৪০.৮ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রচ- গরমের সাথে চলছে গরম বাতাস। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় হিট অ্যালার্ট জারী করে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে। ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজির জমিতে আগামী এক সপ্তাহে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।


আরও খবর